Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বিন আরফান.

৯ বছর আগে লিখেছেন

নষ্টপ্রেম

আমি কখনো চাইনি এমনটা হোক। ওটা আমি চাইতেও পারি না। আমি ওকে অনেক ভালবাসতাম। তারপরেও অপরাধটি আমি না করে পারলামই না। এছাড়া কি আর করতাম? ও আমার জীবনটা তিলে তিলে নষ্ট করে ফেলছিল। ওকে নিয়ে সবসময় আতংকে থাকতাম। ও এতোটাই ঘাড়ে চেপে বসেছিল, নিজে থেকে আমাকে মুক্তি দিচ্ছিল না। আমিও পারছিলাম না।    ওর প্রতি ভাললাগা আর ভালবাসা দেখে সমাজের অনেকেই আমাকে ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে দেখতো। তাদের চাহুনী দেখে মনে হতো পঁচা জীব-জন্তু দেখছে ওরা। অনেকে নাকে রুমাল চেপে শকুনের মতো দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। থুথুও ফেলতো কেহ কেহ।  এতোসবের পর আমার আর কী করার ছিল? তাও তেমনটা করতাম না। এতোটা নিষ্ঠুরও আমি হতে পারতাম না, যদিনা পত্র-পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলগুলোতে ওর সম্বন্ধে নানাভাবে নাক ছিটকানোমূলক প্রচারণা না দেখতাম।    নিয়তি আমার সহায় ছিল না। তাই হয়তো ওর সাথে আমার পরিচয়। আগে থেকে চেনা-জানা থাকলেও কলেজ ক্যান্টিনে ওকে প্রথম আপন করে নিই। আমার প্রতি ওর আকাঙ্ক্ষাটাই বেশি ছিল। ভাবটা এমন দেখিয়েছিল যেন আমার জন্য ওর জন্ম। ক্যান্টিনের পর থেকে ও আমার পিছু ছাড়ে না।    প্রথম প্রথম উন্মুক্ত মেলামেশায় সংকোচবোধ করলেও ধীরে ধীরে আমাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যায়। একসময় আমি ওর প্রতি এতোটাই আকৃষ্ট হয়ে যাই যে, লাজ-সরমের মাথা খেয়ে যেখানে সেখানে ওকে ভালবাসার পরশ বুলাতাম। সরম ভাঙ্গবেনাইবে কেন? ওকে যখন চুম্বন দিতাম আমার কলিজা পর্যন্ত টের পেত। একেবারে ছেদ করে ওঠতো। মনে হতো এর চেয়ে শান্তির অনুভূতি আর কিছুতেই হতে পারে না। আমার বেহায়াপনা আর উন্মুক্ত মেলামেশা দেখে ছোটরাও ওর প্রতি দুর্বল হতে শুরু করে। আমার অগোচরে স্নেহভাজনরাও একটু-আধটু শূরশূরি দিত। ও নিজে থেকেও  ছোটদের কাছে পেতে সঙ্গ দিত।    এটা আমি কিছুতেই মানতে পারছিলাম না। সমবয়সীরা হলে না হয় বুঝায়ে দূরে সরিয়ে দিতাম। কিন্তু চক্ষুলজ্জার মাথা খেয়ে ছোটদের সাথে এব্যাপারে কিভাবে আলাপ করি? তাছাড়া আমাদের সম্পর্কটাও বৈধ ছিল না। কোন মুখে ওদেরকে বিরত রাখি? পরিস্থিতি এতোটাই ঘোলাটে হচ্ছিল যে ওর সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মানে স্নেহভাজনদের নষ্ট হয়ে যাওয়ার সুযোগটা করে দেয়া। তাই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম ওকে জীবন থেকে চিরতরে ওপড়ে ফেলতে। সফলও হলাম। কিন্তু একটুও অপরাধবোধ কাজ করল না। বরং ও এতোদিন আমার সাহচর্যে থাকলে আমি নিষ্প্রাণ হয়ে যেতাম।    তারপরেও মাঝেমধ্যে ওর জন্য মায়া হয়।ওর প্রেম আমার কলিজায় এতোটাই দাগ কেটেছিল যে, এখন ওর নাম শুনলেই দুর্গন্ধে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। এখন মনে হয় নামটাও বিশ্রী। সিগারেট। যে নিজেও জ্বলে অন্যকেও জ্বালায়। ওকে অনেকে তামাক নামেও চিনে।   
Likes Comments
০ Share

Comments (1)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    নূর দাদা

    অনেক শুভেচ্ছা-----