Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে লিখেছেন

দৃষ্টিপাত

ষষ্ঠ অংশ-- 
এখানে ওখানে উগ্র সাজসজ্জা করে মেয়েরা দাঁড়িয়ে আছে,হাসছে হুল্লোড় করছে,নিজেদের মধ্যে ঢলে ঢলে পড়ছে।অনিমেষকে দেখে দাঁত বের করে কিছু বলল ওরা,সে কথা অনিমেষের কান পর্যন্ত পৌঁছল না।চারদিকে গমগম আওয়াজ,মনে হচ্ছে অনেক মানুষ জনের উপস্থিতি এখানে--সুন্দরীদের আয়োজনের অপেক্ষায় স্বাগত জানাবার মহড়া চলছেবুঝিচারিদিকে।তিন তলায় উঠে এলো অনিমেষ।তিন নম্বর ঘর খুঁজতে অসুবিধা হচ্ছিল ওর।সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসার পর দু দিকেই সারিবদ্ধ ঘর--কোনদিকে হবে তিন নম্বর ঘর! সমাধান স্বয়ং প্রিয়া নিজে এসে করল,আসুন এদিকে,প্রিয়া সামনে দাঁড়িয়ে,তার মেক আপের উগ্রতা আরও বেড়েছে মনে হল!
--আপনি এখানে!আমি বুঝতে পারছি না,বলে অবাক চাহনিতে অনিমেষ প্রিয়ার দিকে চাইল।
--সব বলব,আগে ঘরে আসুন,দ্রুত ঘরের দিকে এগিয়ে গেল প্রিয়া।
--না,আমি কারো ঘরে যাব না,অনিমেষ প্রিয়ার সঙ্গে যেতে যেতেই কথাগুলি বলে উঠলো।বাকি... continue reading

৩৭৮

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

যেতে যেতে দুয়ার হতে

আমার ভুবনে আমি একা।
বড্ড নিঃসঙ্গ! সবাই থেকেও যেন নেই। নিজের থেকে নিজেই যখন দূরে সরে যায় কেউ, তখন চেতনায় দীর্ঘশ্বাসের জমাট বাষ্পে পরিচিত ছায়াগুলোকেও কেমন ঝাপসা দেখায়! আমার বেলায়ও তাই হয়েছে।
আমি এখন আর আমাতে নেই। অন্য কেউ-কিছু একটা আমাকে দখল করেছে। এক মরণব্যাধি ধীরে ধীরে আমাকে গ্রাস করে চলেছে। সবাই জানে। আমিও... অথচ অন্যরা এমন ভাব করছে যেন কিছুই হয়নি। আমিই পৃথিবীর সব থেকে সুস্থ মানুষ... একমাত্র সুস্থ মানুষ! নীরবে চোখের জল মুছে মুখে জোর করে হাসি ফুটিয়ে আমার কাছে আসে। কিন্তু চোখের জল মুছলেই যে হৃদয়ে কান্নার দাগ লুকোনো যায়না- এই চরম সত্যটা বুকে ধারণ করে অভিনয়ের... continue reading

৩৮৫

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে লিখেছেন

দৃষ্টিপাত

৫ম অংস--                (৭)
অনিমেষ ঘরের দিকে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালো, এমনি সময় হাওড়া গামী ট্রেন আসতে দেখা পেল। থামলও--ট্রেনটা দেখে ঘরে ফিরবে। থামার কয়েক সেকেন্ড পর ট্রেন ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়ার উঁকি মারা মুখটা দেখতে পেল অনিমেষ। প্রিয়া কি যেন দেখার জন্য বাইরের দিকে উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে ছিল। না, ওর চোখে চোখ পড়েনি অনিমেষের। সে এক অদ্ভুত কাণ্ড করে বসলো, লাফ দিয়ে চলন্ত ট্রেনে উঠে পড়ল।মনে মনে ভেবে নিলো আজ প্রিয়ার সঙ্গে দেখা না করে ফিরবে না সে।এমন ধনুক ভাঙ্গা পণ মনে কি ভাবে এলো নিজেও বলতে পারবে না। ট্রেন এসে থামল হাওড়া স্টেশন, উন্মাদনা আর মরিয়া ভাবনা তাকে নিয়ে চলল প্রিয়ার খোঁজে। দূরে হন হন... continue reading

৩৬৮

মোঃ মাহবুবুল আলম

৯ বছর আগে লিখেছেন

মাহবুবুল আলমের গল্প-শ্যাওলা-দুই

কানিজ মায়ের বিছানার পাশে রাখা ঔষধের বাক্স থেকে ট্যাবলেট বের করে খুব কষ্ট করে একটা ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। বারেকা খাতুন যেন পানিটুকুই গিলতে পারছেন না। কানিজ মায়ের মুখ হা করিয়ে দেখে-ট্যাবলেটটা জিভের কাছেই আটকে আছে। নিজের আঙ্গুল দিয়ে ট্যাবলেটটা ভেতরে ঠেলে দিয়ে আবার মুখে পানি দেয় কানিজ। ঠিক মতো হা করতে পারে না বারেকা খাতুন। শরীরের কোনো শক্তি বল অবশিষ্ট নেই। শেষবার রক্তবমি করার পর বিছানা থেকে আর উঠতেই পারছেন না তিনি সারাটা শরীর কেমন রক্তহীন শাদা হয়ে গেছে। বিছানাতে প্রস্রাব-পায়খানা করছেন। তবে দিনে দু’দিনবার প্রস্রাব করলেও পায়খানা হয়না আজ তিনচার দিন ধরে। পায়খানা করতে যতটুকু শক্তির প্রয়োজন তা ও... continue reading

৩৪১

মোঃ মাহবুবুল আলম

৯ বছর আগে লিখেছেন

মাহবুবুল আলমের গল্প

মাহবুবুল আলম-এর গল্প
 
শ্যাওলা
 
 
 
বারেকা খাতুন বেশ ক’দিন ধরেই একেবারে শয্যা নিয়েছেন। স্বামীর ভিটা ছেড়ে এখন ঠাঁই নিয়েছেন সেঝ মেয়ে কানিজের বাসায়। উপজেলা সদরের গৌরীপুর গঞ্জের কানিজের বাসা। তার স্বামী আতিকুর রহমান সেই গঞ্জেরই এক ঔষধ ব্যবসায়ী। শুধু ঔষধ ব্যবসায়ীই নন, এ গঞ্জেরই এক হাতযশ চিকিৎসকও। এই কারণে বারেকা খাতুন ছেলে-মেয়েদের ঢাকার বাসায় থাকতে যতটা না স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন; কানিজের বাসায় থাকতেই তার চেয়ে বেশি আয়েশবোধ করেন।
 
ছেলেরা নিজেদের চাকুরী-বাকরী নিয়ে, আর তাদের বউয়েরা তাদের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে এতটাই ব্যস্ত ও আত্মকেন্দ্রিক যে, তারা মা বা শ্বাশুড়ির তপ্ততালাপি নিয়ে... continue reading

৩৬০

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

আমি ভুলে যাই তুমি আমার নও

' আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে
মনে পড়ল তোমায়...'
পাশের বাসায় গান বাজছে। উস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মাদ চৌধুরীর। ওর ফেভারেট। এরকম খুব অল্প গানই আছে, যা রিমকি'র ভালো লাগে। আসলে ভালোলাগার পরিমাণ যদি বেশী হয়ে যায়, সেখানে কোয়ালিটি থাকেনা। বেশীরভাগ মানুষই এখন আর্টিফিশিয়াল ভালোলাগার পিছনে ছুটে চলেছে। কোয়ালিটির থেকে কোয়ান্টিটির দিকেই ধাবমান।
ইউনিভার্সিটি বন্ধ। গরমের বন্ধ প্রায় শেষ হয়ে আসছে। এজন্য কি মনে কোনো আক্ষেপ রয়েছে ওর?
নাহ! বরং খোলা থাকলেই বেশী ভালো লাগে। কতটা ভালো?
বিছানায় উপুড় হয়ে বুকের নীচের বালিশটা জাপ্টে ধরে ভাবে, 'তাই তো? উমম... ৫৫% ভালো লাগে।' আর বাকী ৪৫% খারাপ লাগাটা শুধু মাত্র সারাদিন ঘুমাতে পারেনা... continue reading

৪৫০

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে লিখেছেন

দৃষ্টিপাত

৪র্থ অংশ-- 
আকর্ষণ কিন্তু মনের গভীরে ক্রিয়া করে যাচ্ছিল।অনিমেষ ভুলতে পারছে না প্রিয়াকে, ট্রেনের তিন চার দিনের চক্ষু মিলনের কথা ভুলতে পাচ্ছেনা,সে দৃষ্টিতে কি যে আকর্ষণ ছিল কে জানে!প্রিয়ার চোখ খুব সুন্দর,তাতে মোহময়ী টান আছে--মেয়েদের চোখ এমনি হয় কখনো!অনিমেষের অমন চাহনির কাউকে আগে চোখে পড়েনি।এ যে সৃষ্টি ছাড়া দৃষ্টি দান--ও কেন ভুলতে পারছেনা প্রিয়া কে?
তিন মাস হবে প্রায়,আবার এক ছুটির দিন অনিমেষ পৌঁছল বাড়ুই পাড়া।চেনা পথ ধরে মন্ত্রমুগ্ধের মত এগিয়ে চলল প্রিয়ার ঘরের দিকে।ঘরে তালা ঝুলছে! ফাঁকা,সব কিছু খালি খালি লাগলো,ফাঁকা ফাঁকা মনে হতে লাগলো।সে দিনের বয়স্কা মহিলার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল।
--প্রিয়া কোথায় গেল?বিনা দ্বিধায় অনিমেষ জিজ্ঞেস করে বসলো।
--ও তো সকালে বের হয়ে যায়,রাতে ফেরে,তুমি কে... continue reading

৩৬৩

আমির ইশতিয়াক

৯ বছর আগে লিখেছেন

দুষ্টু মিন্টু

আমি তখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি। তখন আমাদের ক্লাসে ছিল এক দুষ্টু ছেলে। তার নাম মনির হোসেন মিন্টু। সে সব সময় স্যারদের ক্লাসে পড়া জিজ্ঞাসা করলে উল্টাপাল্টা জবাব দিত। অবশ্য তার জবাবে যুক্তি থাকে। একদিন ক্লাসে বিজ্ঞান স্যার আমাদেরকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সর্ম্পকে বোঝাচ্ছিলেন। তিনি অনেকবার বুঝানোর পর স্যার একে একে সবাইকে বললেন, আম পাকলে আকাশের দিকে না উঠে মাটিতে পড়ে কেন?
আমরা সবাই যে যার মতো বুদ্ধি খাটিয়ে উত্তর দিলাম। যখন স্যার মিন্টুকে প্রশ্ন করলেন মিন্টু তখন জবাব দিল, স্যার আকাশেতো খাওয়ার কেউ নেই, তাই আম আকাশের দিকে না উঠে মাটিতে পড়ে যায়।
তার উত্তর শুনে আমরা... continue reading

৫৬৮

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

তবুও কাছে (অণূগল্প)

শায়লা অনেকক্ষণ ধরে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছে। যাও বা পাচ্ছে সবই ওর উল্টো পথের। এই ভরদুপুরে সবাই যার যার বাসায় কিংবা নিরাপদ কোনো ছায়াঘেরা যায়গায় যেতে চাচ্ছে। বান্ধবী রিতার বাসায় এসে ফেসে গেলো সে। একটা অটো নিয়ে চলে যাবে কিনা ভাবল একবার।
গরমে ঘেমে অস্থির হয়ে বাস স্টপেজের দিকে আগায়।
স্টপেজে কোনো বাসও আসছে না সেই অনেকক্ষণ হয়ে গেলো। শায়লা বিরক্তির একেবারে চরমে পৌঁছে গেছে। ঠিক তখনই উল্টো দিকে সাজ্জাদের পিছনটা সে দেখতে পায়।
এবং চিনে ফেলে।
মেয়েদের ভিতরে অনেক অদ্ভুদ জিনিস আছে। একইসাথে এদের অতিরিক্ত একটি ইন্দ্রিয় রয়েছে। অদৃশ্য কিছু অতি সহজে বুঝে ফেলার... দ্রুত উপলব্ধি করার এমন কিছু... continue reading

১০ ৩৮১

জাবেদ ভুঁইয়া

৯ বছর আগে লিখেছেন

তিনটি দৃশ্য ও একটি আংশিক প্রেমের গল্প

এক
নিমের মাজন দিয়ে দাঁত মাজতে মাজতে আরেকবার মিয়াবাড়ির আওতার উপর দিয়ে উঁকি মারে সুজন। উঠোনের অর্ধেকটা চোখে পড়ে। একপাশে চট বিছিয়ে তাতে ধান আর মরিচ রোদে দিয়ে এখনও ঝিমুচ্ছে জাও বুড়ি। বড় মিয়ার কোন দূরসম্পর্কের বোন। বাড়ি ঘর কিছুই নেই। চাকরানীর মত পড়ে থাকে মিয়া বাড়িতে।
বুড়ির দাঁত নেই, ফোকলা দাঁতে ভাত খেতে পারেনা বলে নরম করে 'জাও' রেঁধে খায়। সেই থেকে এখন নামই হয়ে গেছে 'জাও বুড়ি'।
দাঁতমাজতে উশখুশ করে সুজন। আড়চোখে আশপাশটা দেখে দ্বিতীয়বার উঁকি দিতেই 'হুশ হুশ' করে উঠে বুড়িটা। ওর কলজে শুকিয়ে যায়। দেখে ফেলল নাকি ?
ভয়টা কাঁটে একটু পরেই।দেখেনি ! ধানে... continue reading

৫৫০