Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মামুন

৭ বছর আগে লিখেছেন

তারা গুনি আকাশে আকাশে

বন্ধুরা! কেমন আছিস সবাই?
এখনো কি ক্ষ্যাপা চত্বরে আড্ডা দিস
শহীদুলের চা'র দোকানে
নেড়ে শফিক কি সেই আগের মতই উচ্ছল-
ছল ছল নদীর মত এখনো কি বয়ে চলে সে
হৃদয় থেকে হৃদয়ে..সারাটাক্ষণ?
আকাশের বিদেশ যাবার কি হলো
জানাস তো
পপির সাথে ওর কি এখনো যুদ্ধ চলে
সম্পর্কটা কি টিকে আছে  ওদের?
বাতেন স্যার এখন কেমন আছেন রে
আগের মতন এখনো কি কবিতা লেখেন?
একটা বই বের করতে চেয়েছিলেন..
আচ্ছা বলতো, আমরা এতগুলি ছাত্র থাকতে
স্যারের এই ইচ্ছেটা পূর্ণ হল না কেন?
তোরা না জানালে ও
খবর রেখেছিলাম আমি.. একজন ফোনে জানিয়েছিল আমায়
সেই রাতে স্যারের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে অনেক কেঁদেছিলাম!
আমাদের মত এমন কুলাংগার ছাত্র স্যার রেখে গেলেন কেন বলতে পারিস?
সেই হোটেল আল সালাদিয়া'র কথা মনে পড়ে
গলার কাছে কিছু একটা আটকে আসে আমার
ওটার ভেংগে পড়ার আর কত দেরী জানাস তো।
অনেক স্মৃতি আছে আমাদের ওটাকে ঘিরে
ওর ভগ্নপ্রায় প্রতিটি ইটের বুকে জমে থাকা
আমাদের বেকার জীবনের কষ্টকর মুহুর্তগুলিকে
ছুঁয়ে আসতে ইচ্ছে করে এখনো!
আমাদের কষ্টগুলি মুখ থুবরে পড়ত ওর বুকে
আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল ভবনটি পরম মমতায়।
তোরা কি কখনও কখনও যাস ওখানে
আড্ডা জমাস এখনো!
এখনও কি সেই আগের মত.. সব চলে?
আমাদের ইরফান গার্মেন্টস মালিক হয়েছে শুনেছিস বোধহয়
একবার বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম চাকরি চাইতে
আমাকে সমাদর করেছিল বেশ
লাল চা খাইয়ে অনেক কথা বার্তা ও বলেছিল।
ওদের পিওন ছেলেটা অসাধারণ চা বানায়!
চাকরিটা হয় নাই আমার
সিভিটা হয়ত পড়েছিল ওর ওয়েস্টবিনের তলায় অবহেলায়..
কণার সাথে সম্পর্কটা ও তাই পোক্ত হলনা আর।
খালেককে শেষবার দেখেছিলাম বাজারের ফুটপাথে
ওর সব্জির  দোকানে সে বসে আছে
দাড়ি রেখেছে তাই প্রথমটায় চিনতে পারিনি আমি-
শেষে যখন হাসল
চিনলাম আমি তাকে
ঐ হাসি কি ভুলা যায়?
এই, তোরা কি এখনও প্রাণ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মেঘ আবির

    emoticonsপুরোপুরি বোধগম্য এবং মাধুর্যমন্ডিত নয় ৷ আশাকরি পরেরটা ভালো হবে

    - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    ভবিষ্যতে সংশোধনের মাধ্যমে আরো ভালো কিছু লিখার চেষ্টা থাকবে । অকপটে মতামত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ । ভবিষ্যতেও এমন গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করছি ।

    - এই মেঘ এই রোদ্দুর

    ভোটাইলাম

    • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

      অনেক ধন্যবাদ আপু । সাথে শুভকামনা ও ভালবাসা ।

    Load more comments...

মামুন

৮ বছর আগে লিখেছেন

মায়ের নাইয়র

একদিন আমান হেঁটে হেঁটে চলেছিল। গন্তব্য উদ্দীশ্যহীন। ঝুপড়ি এক চা’র দোকানের সামনে ছোট্ট একটি পানের দোকান। খোলা পান বিক্রী হয় সেখানে। সাথে ‘সাদা পাতা’ এবং চুন সুপারি। দোকানে একটা ছোট টেপরেকর্ডারে বেশ উচ্চ স্বরে গান বাজছে।
‘কাজল নদীর জলোর
ভরা ঢেউ ছলছলে’… …
নিজের ভেতর থেকে আমান যেন হঠাৎ বের হয়ে আসে। ফিরে যায় অনেক আগে। নৌকায় করে বাগেরহাট থেকে নানাবাড়ি যাচ্ছে। আব্বা-আম্মা, ছোট ভাই, আর ছোট খালু। নদীর পানিতে মাঝির বৈঠা র সংঘর্ষে কোমল-মৃদু আওয়াজ। পানির নিজস্ব রঙ নেই জানে সে। কিন্তু পানির কি নিজস্ব ঘ্রাণ আছে?
ছোট খালু খুব ভালো গাইতে জানতেন। নৌকায় বসে তিনি এই গানটি গাইছিলেন! এক অপূর্ব সুরলহরীতে সেই সময়টা কত্তো আনন্দে কেটে যেত!
নৌকার ছইয়ের ভেতর মায়ের আঁচলের নরম পেলবতায় হৃদয় ছুঁয়ে যেত আমানের। একটা গান মধুমতি নদীর সেই প্রবল যৌবনের বুক চিরে চিরে ঢেউয়ের তালে তালে স্রোতের অনুকূলে নেচে বেড়াতো! মায়ের নরম হাতের ছোঁয়া আজ আমান এখনো ওর কপোলে অনুভব করে। ভাবলেই কেমন ঘুমে বুজে আসে চোখ। হৃদয়ে তখন প্রশান্তির শ্যামল ছায়াময় অনুভূতি বিরাজ করে।
এক খুচরা পানের দোকানের সামনে বিহ্বল আমান ওর ছেলেবেলার সব থেকে প্রিয় জায়গায় বেড়ানোর সুখস্মৃতিতে উদ্বেলিত হয়। তখন সেটা ছিল জীবনের সব চেয়ে মধুরতর সময়। নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়া।
কিন্তু সেটা যে ওর মায়ের ‘নাইয়র’ ছিল! তখন বুঝে আসে নাই। একজন মা- একজন নারী এবং একজন মেয়ে ও বটে। সন্তান হিসাবে আমরা কেবল তাকে মা ই দেখি। আজ আমানের নিজের মায়ের সেই নাইয়র যাত্রা সময়ের ঘ্রাণে ভেসে ভেসে ওর হৃদয়কে প্রহ্লাদে নাচিয়ে তোলে!
একটা কষ্ট অনুভব করে আমান। মা কে কেবল মা ই দেখবার জন্য। তাঁর ভিতরের... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    হুম সত্যিই বলেছেন... হয়ত আমরাও তখন থাকবনা emoticons

    • - ডি এম শফিক তাসলিম

      ধন্যবাদ মাইদুল !! অনেক দিন পর আপনার মন্তব্য দেখলাম 

মামুন

৮ বছর আগে লিখেছেন

তিন শহর

ফ্রাঙ্কফুর্ট। জার্মানী।
ম্যাসেঞ্জারেবন্ধুর ম্যাসেজ। আর এক মহাদেশ পার হয়ে আসাতেই যেন হ্যান্ডসেট স্ক্রীণেমৃদু কাঁপন অনুভব করে দূরের বন্ধু। মৃদু হাসি নিয়ে বিছানায় পাশ ফিরে আরামঅনুভব করে। ভালো লাগাটুকু চোখ বন্ধ করে উপভোগ করে।
স্ক্রীণে বন্ধুর মুখ।
‘ পারুর সাথে একবার কথা বলতে চাই। আমার ফোন ই ধরছে না। তোর বুবুকে বল না..’
সময় যেন থমকে যায়।
নিঃশ্বাসগুলো বিশ্বাসের ওপার থেকে এপারে আসতে বাঁধা পায়।
সমস্যারগভীরেচিন্তা-ভাবনাকে ঠাই দেবার আগেই বেদনারা ঘিরে ধরে দূরের বন্ধুকে। সেমোবাইলের দর্পণে কাছের বন্ধুরছবির দিকে তাকিয়ে থাকে। উপায় খোঁজে।


মধ্যরাত। পারুর শহর।
একাএক প্রিয়দর্শিণী ঘুমন্ত ওর নিজ শহরের নিমগ্নতা যোগীর গভীর ধ্যানমগ্নতায়অনুভব করছে। ফ্ল্যাট লাগোয়া ইউক্যালিপটাস গাছটির পাতার ফাঁক গলে নেমে আসাচাঁদের আলোয় ওর দীর্ঘ এলোচুল কেমন মায়াবী! নিঃশ্বাস রুদ্ধ হয়ে আসে...দর্শকের বুকের গভীরে উষ্ণ রক্তের তান্ডব নৃত্য অনুভব করায়।
কালচে আগুন!
অহর্নিশি পোড়ায়- কাছে টানে- এমনই আগুন।
কি এক রহস্যময়, গোপন আবেশে পারুর অধর কোণে ফুটে উঠা মৃদু হাসি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই হ্যান্ডসেটে মৃদু কম্পন...
‘ পারু! ফোন ধর... একবার...’


এতটুকুই কথা। কত ব্যথা। কথার ভিতরেও কতটা যে না বলা কথা রয়েই গেল! রেখে গেল- কিছু একটা- অনুভবে- কল্পনায়?
বাস্তবে নয় কি? কেন?
পারুরহাসি ই পারুর কান্না। সেই কান্না ধীরে ধীরে মৃদু হাসির কম্পনে চোখ স্পর্শকরার আগেই, মধ্যরাতের এক রহস্যময়ী অপ্সরী, নিজের শহরে বসে ভাবে-
' ওকে যদি আমি ভালো ই না বাসি, তবে ওর কষ্ট অনুভব করে, আমার ও কষ্ট পাবার কোনো অধিকার নাই। '
রুপালী তরল চাঁদের প্রবল বর্ষণে পারু ভিজে যেতে থাকে...


মধ্যরাত। কাছের বন্ধুর নিজ শহর।
... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাসুম বাদল

    খূব ভালোলাগা জাণালাম লেখায়... emoticons 

     

     

    প্রোফাইলে ছবি জূরে দিলে খুশি হবো ... emoticons

    • - মফিজুল ইসলাম খান

      অনেক ধন্যবাদ ।

    - প্রলয় সাহা

    অনেক ভালো লাগলো দাদা। 

    • - মফিজুল ইসলাম খান

      অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

মামুন

৮ বছর আগে লিখেছেন

ব্যাধি

একজন লেখক তার জীবনকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে সাজাতে পারেন। এক একটি অণুগল্প - লেখক জীবনের মুহূর্তগুলোর খন্ডাংশ!
নিজের জীবনের অণুগল্পগুলো লিখা শুরু করা দরকার। কিন্তু ঠিক কোথা থেকে শুরু করবে, ভেবে পায়না আমান।
চলমান সময় এক ব্যাধি। সময়ের বুক খুঁড়ে খুঁড়ে  নিজেকে কি নির্বিকার ভাবেই না খেয়ে ফেলছে।
ব্যাধি আমানের নিজের শরীরেও বাসা বেঁধেছে। ওর নিজের শরীরের পুষ্টি পেয়ে  ধীরে ধীরে ওকেই শুষে নিচ্ছে। সবসময়ে আমানের সাথেই এমন কেন হয়?
নক্ষত্রখচিত এক নিশ্চুপ আকাশ। থমকে থাকা সময়ের আঁচল ছেড়ে  ছুটে আসা দমকা বাতাসের এলোমেলো তোড়ে আমানের চিন্তাস্রোত একটু হলেও যেন এলোমেলো হয়।
বেডসাইড টুলের ওপর ছবির একটি ফ্রেম। ওখানে স্মৃতিদের বন্দী করার এক অপচেষ্টা।
স্মৃতিদেরকেও কি বন্দী করা যায়? বন্দী স্মৃতিরা কি ভাবে? আমানের এই মুহুর্তে খুব জানতে ইচ্ছে হল।
পাশের ফ্ল্যাটে গান বাজছে। এক প্রেমিক পুরুষের হৃদয় নিঙড়ানো শাব্দিক অনুরণন বেশ জোরেই ভেসে আসে, " স্মৃতির মিনারে আজনম, তাই তোমাকে প্রয়োজন " ... ...
রুমু ই কি আমানের সেই তুমি? তাকে কেন প্রয়োজন? সে কি নেই? চলে গেছে?
চলে যাওয়া মানুষদের ফিরে আসতে কত সময় লাগে?
একটি গান স্মৃতিকাতরতায় ভোগাবার মত কিছু মুহুর্তের জন্ম দেয়। দুপুরের ভাতঘুমে ঢলে পড়ার ঠিক আগমুহুর্তে - বুকের উপর থেকে প্রিয় কবিতার বইটিকে আলতো হাতে পাশে রাখার সময়ে  তনুমন যে স্বপ্নিল আবেশে স্নিগ্ধ হয়- এই গানটির এনে দেয়া মুহুর্তেরাও তেমন এক অনুভবে আমানকে বুঁদ করে রাখে।
রুমু ও কি আমানের জন্য এক ব্যধি নয়?
একটি খালি ফ্রেমে জোর করে ধরে রাখা কিছু বিশেষ সময়ের স্মৃতি..চিহ্ন..অণুসাক্ষর! এরাও ইদানিং আমানকে কুরে কুরে খায়। নিজের শরীর-মনের ভিতরে-বাহিরে বাস করা কালব্যাধিদের নিরন্তর দংশনে, শ্রবণাতীত চিৎকারে এক নবীন লেখক নিজের কষ্টের কথা বলার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাসুম বাদল

    ভাললাগা জানালাম সুন্দর লেখাটিতে।

    শুভকামনা রইলো, ভাই!!!

    emoticonsemoticonsemoticons 

মামুন

৮ বছর আগে লিখেছেন

পথের বাঁকে

একটানা অনেকক্ষণ হাঁটবার পর, সামনের পথ কিছুটা ঢালু হয়ে এসেছে, অনুভব করল আমান। দু'পাশের 'অ্যাকাশিয়া' (আকাশী)' গাছগুলোর সৃষ্ট টানেলটি- মায়াবি সবুজ! দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। ভালোলাগাদের চোখের পাঁপড়িতে  মৃদু কম্পন ওঠে। সময় যেন পলকের তরে থেমে যায়।
কলেজ ফিল্ডে তিন যুবক। ফাঁকা গোলপোষ্টের পেছনে গোল হয়ে বসা। আমানকে দেখে ঘোলা চোখে একপলক তাকায়। সিগ্রেট মিশ্রিত মারিজুয়ানার হাল্কা মিষ্টি ঘ্রাণ বুকে নিয়ে নেচে আসা দমকা হাওয়া, আমানের নাসারন্ধ্রে ঝড় তোলে। ওর দৃষ্টির প্রখরতা ছেলেগুলোর নির্লিপ্ত চাহনির সামনে কেমন নিস্প্রভ হয়ে আসে।
স্মৃতির চড়ুইগুলো কি আরো ধুষর ছিল?
আমান হাটে আর ভাবে। একজন পরাজিত মানুষ। যার স্মৃতির চড়ুইগুলো কেবলই ধুষর থেকে ধুষরতর।
আমান। একজন অতি সাধারণ মানুষ। অন্তর্মুখী জীবনে অভ্যস্ত একজন পলাতক মানব। পলাতক সময়ের বুকে হারিয়ে আছে।
সময় কত বদলে গেছে এখন। ইচ্ছে-অনিচ্ছের গন্ডি নূণ্যতম মূল্যবোধেরও 'থোরাই কেয়ার' করে।
বড্ড বোবা সময় এখন।
চোখে ঘষা কাচের দৃষ্টি। আর ব্রেইনে কিছু Pre-Arranged Instructions নিয়ে বেচে থাকা রোবট মানুষগুলোর, অনুভূতি ক্রমেই শুণ্য হয়ে আসছে।
অনুভূতিহীন ভালোবাসায় ওদের হৃদয় একদিন ঠিকই মরে যাবে। এখন প্রয়োজন অনুভূতির ব্যবচ্ছেদ।
শুণ্য অনুভূতি নিয়ে যে পৃথিবীতে ভালোবাসা ধুঁকে মরে, কেমন সেই পৃথিবী?
একটু থমকে দাড়ায় আমান। সামনের সবুজ টানেলটিকে এখন কালচে লাগছে।
ভালোবাসাহীন সেই পৃথিবীর শেষ মানুষ দুজন যদি ওরা হত! সে আর তার প্রিয়দর্শিণী। মৃত হৃদয়কে জাগিয়ে তুলতে সে সক্ষম ছিল। এক পলাতক চাঁদের পিছু ধেয়ে, সেই যে চলে গেল.....
আমান হাঁটে আর ভাবে,
'পলাতক রাত বিরহী চাঁদের টানে সব সময়েই কি ফিরে? আপন নীড়ে?
এক সন্ধ্যায়- যে সন্ধ্যায় আলো সবুজ, পথ সবুজ- এমনই পথে নিজের চোখের আলোয় জ্বলে উঠে, এক প্রিয়দর্শিনী, আমানের হাত ধরে হাঁটবে বলেছিল। আর আমানও হাঁটতে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মাসুম বাদল

    পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম... 

    • - প্রলয় সাহা

      অপেক্ষা......

Load more writings...