Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

তাহমিদুর রহমান

৯ বছর আগে লিখেছেন

কল্প এবং বই থেকে


 
বাইরে কি বৃষ্টি হচ্ছে? এই মধ্যরাতে এক পশলা বৃষ্টি হলে মন্দ হয় না। ভাবে লিয়ান। অনেক্ষন ধরেই সিডি প্লেয়ারে গান শুনছে সে। ঘরে টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে ঠিক তার বিছানার কাছে। এই আলোতে বিছানায় শুয়ে থাকতে বেশ মজা লাগে লিয়ানের। আলো আঁধারিতে মন কেমন যেন খেলা খেলে যায়। কিছু না ভেবেই অনেকক্ষন কাটিয়ে দেওয়া যায়। মোবাইল বাজছে কি? লিয়ান সিডি প্লেয়ারটা বন্ধ করে মোবাইল হাতে নেয়। কে কল করেছে না দেখেই মোবাইলটা সুইচ অফ করে দেয়। তারপর আবার সিডি প্লেয়ারটা ছেড়ে দেয়। যেন পুরো পৃথিবীর উপরই তার অনেক অভিমান। জানালার পাশে এসে দাড়ায় সে। সারি সারি ছয়তলা,... continue reading

৪৫৬

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

ফুল ফুটেছে

''মেঘের কোলে রোদ হেসেছে
বাদল গেছে টুটি...
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি''
কবিগুরুর এই কথাগুলো মাথার ভিতরের কোনো এক যায়গায় বারবার বেজে যাচ্ছিল।
কিন্তু ঠিক কোন যায়গাটিতে যে, সে বলতে পারেনা। তবে প্রায়ই এরকম হবার মুহুর্তগুলো শেষ হবার পর, নিজের কাছে জানতে ভীষণ ইচ্ছে করে- এই গান কিংবা কবিতার লাইনগুলো আসলেই কি মাথার সুক্ষ্ণ নালীগুলোতে অবস্থান করে? না কি হৃদয়ের শিরা-উপশিরায় সতত বহমান?
প্রচন্ড উপোষী দেহমন! এই 'উপোষী' শব্দটা দেহমন এর সাথে অ্যাড করাতে কি একটু শ্রুতিকটু হল? জানালার পাশে বসে বসে মিষ্টি ভাবছে। কেন যে ওর মা-বাবা ওর নামটা মিষ্টি রেখেছেন! আদতে সে তো একটুও... continue reading

৩৮৩

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

ইন্টারভিউ

আব্দুল মতিন ইন্টারভিউর জন্য যখন মেসের রুম থেকে বের হল, চারদিক কাঁপিয়ে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়। ছোট্ট ফোল্ডিং ছাতাটি মেলে দিয়ে বাস ষ্ট্যাণ্ডের দিকে রওয়ানা হল। ভাগ্যিস রুম মেটের কাছ থেকে এটি ধার চেয়ে সাথে এনেছিল।
ভাঙা ইটের রাস্তাটি এবড়ো থেবড়ো। ইতোমধ্যেই জল জমেছে বেশ। কালি করা জুতোর সামনের ডান পাশে কাদা লেগে গেছে। মনটাই খারাপ হয়ে গেলো ওটা দেখে। আজই বৃষ্টিটা নামার দরকার ছিল?
বাস ষ্ট্যাণ্ডে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্যান্টের নীচের দিকটা ভিজে একাকার। কাদা এবং বালির ছিটে কেমন জাঁকিয়ে বসেছে সেই জায়গাটুকুতে। কালো প্যান্ট বলে রক্ষে।
বাসে উঠে বসার সীট পেলো না। একহাতে ফাইল এবং অন্যহাতে ভেজা ছাতা। ছাতার পানি... continue reading

৩৬৩

Azimul Haque

৯ বছর আগে লিখেছেন

পাঁকের মধ্যে জীবন

 
 
একটা প্রাইভেট কোম্পানীতে আমি চাকরী করি। এর আগে টিউশনি করতাম, তারো আগে কিছুদিন বাসের হেলপারী করেছি। সাত বছর আগে মাষ্টার্স পাশ করেছি আমি। সামনের এই লাশটা আমার স্ত্রী। শুধু আমার স্ত্রীই নন, উনি আমার অতি প্রিয় মানুষ ছিলেন, ছিলেন আমার প্রান। আমার সেই প্রানকে মেরে ফেললো আমাদের কোম্পানীর মালিক আবদুল মালেক। কথাগলো বলে কেঁদে উঠল মামুন নামের যুবকটি উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে।
কাওরানবাজারে একটি স্থানে দাঁড়ালে অনেক সাংবাদিকের উপস্থিতি ঘটে, বিশেষ করে এরকমভাবে একটা লাশ দুহাতে ধরে নিয়ে এসে দাঁড়ালে তো কোন কথাই নেই। অনেক মানুষ আর সাংবাদিক এসেছেন মামুনের কথা শুনতে, সামনে এক নারীর মৃতদেহ।... continue reading

৬৩৬

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

অচ্ছুৎ (ছোট গল্প)

সচিবালয়ের অপজিটে সবাই অনশনে বসেছে।
হাজারখানেক মানুষ। সবাই দেশের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। এরা এই ঈদের দিনেও নিজেদের কিছু ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য এখানে একত্রিত হয়েছে। এদের কয়েক মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়ে গেছে।এর আগেও তারা বেশ কয়েকবার একই দাবীতে আন্দোলন করেছে। তবে তাদের নেতারা তাদেরকে আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে এনেছে বারবার। সরকার আর মালিকপক্ষের সাথে বৈঠকের পর বৈঠক হয়েছে কেবলি। কিন্তু তাতে চিড়ে ভিজেনি। নিন্দুকেরা বলে শ্রমিক নেতাদের পকেট নাকি স্ফীত হয়েছে। তবে রিনা এ কথা বিশ্বাস করেনি। যেমন করেনি তাইজুল, সোহরাব কিংবা লতা।
যে বিশ্বকাপ নিয়ে সারা দেশে এত মাতামাতি, সেই ব্রাজিলের জার্সি এই অনশনকারীরাই বানিয়েছিল। সে তো কবেকার কথা।... continue reading

৪৪৯

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে লিখেছেন

দৃষ্টিপাত

৭ম অংশ-- 
--এত কি ভাবছ তুমি!বলে অনিমেষের হাতের গ্লাসটা নিয়ে মুখের সামনে তুলে ধরল প্রিয়া,নাও,নাও ব্যাস,এইটুকু,আর কোন দিন তোমায় বলব না!
অনিমেষ চুপ করে রইল,প্রিয়ার হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে টেবিলের ওপর রাখল।ধীরে ধীরে প্রিয়ার নেশার আমেজ আসছে,হঠাৎ অনিমেষকে জড়িয়ে ধরল ও,বলল,অনিমেষ,আমায় তুমি ভালোবাসো?বল না! আমায় ভালোবাসো?...অনিমেষ ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল প্রিয়াকে,তাল সামলাতে না পেরে মেঝেতে ছিটকে পড়ে গেলো প্রিয়া।মুহূর্ত সময় ও হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো অনিমেষের দিকে,তারপর ক্ষিপ্ত হাতে বোতল থেকে ঢেলে নিলো ভরা গ্লাস মদিরা।ঢকঢক করে গিলে ফেললো সবটা,অনিমেষকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠলো,আজ তোমার সব ধার শোধ দিতে চাই অনিমেষ!চুম্বনের পর চুম্বন দিতে লাগলো অনিমেষের গাল জুড়ে।নিজেকে সামলাবার চেষ্টা করে অনিমেষ,চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই মোহময়ী চোখ... continue reading

৩৯০

ওয়াহিদ মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

ফটো

হাফ শার্ট ও প্যান্ট পরা এক যুবক এবং শাড়ি পরা এক যুবতী সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটি লজ্জিত ও ভীরু দৃষ্টিতে ছেলেটার চোখের দিকে তাকিয়ে তার গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে দিচ্ছে। ছেলেটা মেয়েটার মুখের দিকে সরল চোখে তাকিয়ে আছে। এটা একটা সাদা-কালো ফটো। ফটোটা ত্রিশ বছর আগে তোলা। ছেলেটার নাম রুমেল আর মেয়েটার নাম বেলা।রুমেল যখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে আর বেলা ইন্টারমিডিয়েটে পড়তো তখন তারা নাটোর শহরের একটা স্টুডিওতে ছবিটা তুলেছিল।
বেলাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ শহরে আর রুমেলদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। বেলার বাবা যখন রুমেলদের থানায় নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত থাকার সুবাদে সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকতেন তখন রুমেলদের সাথেতাদের... continue reading

৫৪০

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

দ্য লাস্ট পেইন্টিং

আজিজ মিসির আর রেবেকার  ডিভোর্স হয়েছিল পনের বছর আগে । সেটার একটা যুক্তিযুক্ত কারণ ও ছিল।দেশের একজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হিসেবে মিসির নিজের ছবি, আর্ট কম্পিটিশন নিয়ে এতোটা ব্যস্ত থাকত। বড় লোকের মেয়ে রেবেকা যদিও ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, কিন্তু ওর ওকে সময় না দেয়াতে সে ধীরে ধীরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে মিসিরের উপরে।
রেবেকার বাবা-মা যদিও মেয়ের  বিয়েটা মেনে নিয়েছিলেম, কিন্তু তাঁরা চাইতেন ভার্সিটি থেকে চারুকলায় গ্রাজুয়েট মিসির ছবি আঁকা ছেড়ে দিয়ে একটা সরকারি জবে ঢুকে যাক। রেবেকা আর মিসিরের মাঝখানে বসে তারা দর কষাকষি করতে লাগলেন। রেবেকা আর মিসির একে অন্যের কাছ থেকে মনে মনে হাজার মাইল দূরে সরে... continue reading

৩৭১

বিন আরফান.

৯ বছর আগে লিখেছেন

নষ্টপ্রেম

আমি কখনো চাইনি এমনটা হোক। ওটা আমি চাইতেও পারি না। আমি ওকে অনেক ভালবাসতাম। তারপরেও অপরাধটি আমি না করে পারলামই না। এছাড়া কি আর করতাম? ও আমার জীবনটা তিলে তিলে নষ্ট করে ফেলছিল। ওকে নিয়ে সবসময় আতংকে থাকতাম। ও এতোটাই ঘাড়ে চেপে বসেছিল, নিজে থেকে আমাকে মুক্তি দিচ্ছিল না। আমিও পারছিলাম না।    ওর প্রতি ভাললাগা আর ভালবাসা দেখে সমাজের অনেকেই আমাকে ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে দেখতো। তাদের চাহুনী দেখে মনে হতো পঁচা জীব-জন্তু দেখছে ওরা। অনেকে নাকে রুমাল চেপে শকুনের মতো দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। থুথুও ফেলতো কেহ কেহ।  এতোসবের পর আমার আর কী করার ছিল? তাও তেমনটা করতাম না। এতোটা নিষ্ঠুরও আমি... continue reading

৫২২

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

ফেরা

একটু আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তাটা কাঁদা না হলেও পিচ্ছিল হয়ে গেছে।এর ভিতরেই লাইন দিয়ে সবাই খালের দিকে আগাচ্ছে। লঞ্চ আসার সময় হয়ে গেছে। যে কোনো সময় ছোট্ট লঞ্চটি খালের বাঁক থেকে বের হবে। মা ছেলের শরীরের সাথে মিশে আছেন। বাবা এবং ভাই-বোনেরাও মন খারাপের চূড়ান্ত অবস্থায় দুজনকে অনুসরণ করছে। দূর থেকে লঞ্চ আসার পরিচিত শব্দ শোনা গেলো।
ছোট্ট একটা লাগেজ। সদ্য সাবেক হওয়া এ.এস.পি মাহবুব বুকের সাথে লেপ্টে থাকা মাকে এক হাতে এবং লাগেজটি অন্য হাতে ধরা অবস্থায় বাবার দিকে অসহায় ভাবে তাকায়। ছেলের চোখের ভাষা বাবা বুঝতে পারেন। এগিয়ে আসেন। মাহবুবের ক্রন্দনরত মাকে একটু জোর করেই... continue reading

৪০৩