Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

ইকবাল হোসেন নয়ন

৯ বছর আগে লিখেছেন

সময়ের চাকা

এই ধর ধর...। আহারে ...। পুরা গায়ের উপর দিয়া উঠাইয়া দিলো... মাথাটা দিয়া তো লোকটার রক্ত পড়তেছে। ভাই একটু ধরেন... হাসপাতালে লইয়া যাই...
বুধবারের সন্ধ্যা ৮ টা ১৯ মিনিটের দিকে এভাবেই হুইহুল্লোর শুরু হয় মতিঝিল মোড়টাতে। একজন কে একটা বাস চাপা দিয়ে চলে গেছে। আর সাথে সাথে ভীড় জমে উঠেছে ... লোকটার হাতের ৪ টা কমলা ছড়িয়ে গেছে রাস্তার মাঝে। একটা কমলা পিষ্ট হয়ে গেছে গাড়ির চাকার নিচে।
বুধবার সকাল ৬ টা । ঘড়ির তে টি টিট টি টিট করে এ্যালার্মটা বেজে উঠলো। সাথে সাথে আসাদ সাহেবের মেজাজটাও গরম হয়ে গেছে।।
- ধুর। এতো তাড়াতাড়ি ৬ টা... continue reading

৪৮০

ধুলি মোনালিসা

৯ বছর আগে লিখেছেন

-------------------------------গন্তব্য-------------------------

এবড়ো খেবড়ো গ্রাম্য রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম। হালকা ছাটে বৃষ্টি হচ্ছে। চারপাশ আবছা অন্ধকার , জায়গাটা সম্পুর্ন অপরিচিত মনে হচ্ছে, কেন হাটছি কোথায় যাবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। 
কেমন দিশেহারা লাগছে নিজেকে , একটু ভয় ভয় ও করছিল, , না একটু না ভীষন ভয় করছিল।
তার উপর এই বৃষ্টি , শীতে জমে যাচ্ছি যেন... পা চলতে চাইছে না।
কী করে এরকম বিদঘুটে জায়গায় এলাম সেটা ও মনে করতে পারলাম না। 
আকাশের দিকে তাকিয়ে সময় এর আন্দাজ লাগানোর চেষ্টা করছি এমন সময় পেছনে কারো পায়ের আওয়াজ পেলাম......
এরকম পরিস্থিতিতে কোনো মানুষের দেখা পাওয়া আনন্দের হাওয়ার কথা কিন্তু আমি খুশি হতে পারলাম না, এমন কি... continue reading

৫১৮

আমির ইশতিয়াক

৯ বছর আগে লিখেছেন

রহস্যময় পুকুর ও বটগাছ (প্রতিযোগিতা-২০১৫, ২য় পর্ব, ক্যাটাগরি-২)

জুনায়েদদের বাড়ীর পাশেই ছিল পুরানো একটি পুকুর। পুকুর পাড়েই ছিল বিশাল একটি বড় বট গাছ। বট গাছটির ডালপালা এতই বিশাল ছিল যে সবগুলো ডালপালাই পুকুরে গিয়ে পড়েছে। বট গাছের ডালপালার কারণে সূর্যের আলো কমই পড়ত পুকুরে। সারাদিনই অন্ধকারাচ্ছন্ন ভাব থাকতো এই পুকুরে । এখন এই জায়গাটা এতই ভূতুরে হয়েছে যে দিনের বেলাও এখান দিয়ে মানুষজন যেতে ভয় পায়। আর সন্ধ্যার পরতো এখান দিয়ে লোকজন একেবারেই যায় না। প্রায় প্রতিদিনই এখানে এসে কোন না কোন লোক ভয়ের শিকার হয়। এই পুকুরে এক সময় মাছ চাষ করতো কিন্তু এখন আর কেউ মাছ চাষ করে না। ইতোমধ্যে এই পুকুরকে নিয়ে অনেক ঘটনা... continue reading

২৫ ৫২২

হরি দাস পাল

৯ বছর আগে লিখেছেন

যে জীবন মানুষের......(প্রতিযোগীতা, ক্যাটাগরি-২)

এক অদ্ভুত কারনে তবারক আলির আকাশে-বাতাশে আজ আনন্দের ঘনঘটা। ঘরের কোনায়, খাটের নীচে, আলমারির ড্রয়ারে, উঠোনে, পুকুরে, লাউয়ের মাচায়, যেখানেই চোখ যায় শুধু আনন্দ আর আনন্দ। তবারক আলিকে কুকুরে কামড়েছে!
সংসারে তবারক আলি একা। সাধ করে পাশের গ্রামের ফুলমতিকে বিয়ে করেছিল যুবককালে। বিয়ের মাস দুয়েকের মধ্যেই ফুলমতি ধরাধম ত্যাগ করে চলে গেল। ফুলমতির সাথে অভিমান করে আর বিয়ে করেনি তবারক আলি। তবারক আলির বড় দুই ভাই থাকে সৌদি আরব। গত দশ বছরে তারা দেশে আসেনি। ভাইয়েরা মাসে মাসে যে টাকা পাঠায় তাতে খুব ভালভাবে তবারক আলির দিন চলে যায়। তাই কর্ম করা লাগেনা। তাছারা ফুলমতি গত হওয়ার পর আর... continue reading

৫৮৭

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

অংকুশ (প্রতিযোগিতা ২০১৫- ক্যাটাগরী-২)

নিজের ভিতরে মানুষ যখন প্রচন্ড ভালোবাসা উপলব্ধি করে, তখন আক্ষরিক অর্থে হৃদয়টা কি গলে যায়? কষ্টের নদী হয়ে বয়ে যায়? অনুভূতির প্রগাড় অনুভবে নিজেকে ডুবিয়ে নিয়ে যায়?
রাসেল জানে না।
আকাশচুম্বী অট্টালিকার নিজের ফ্ল্যাটে বসে ভাবছিল রাসেল। আজ পাঁচ বছর ধরে পরবাসী। রাস্না চলে যাবার পর থেকেই…
ভালোবেসেই বিয়ে করেছিল সে রাস্নাকে। সেই উদ্দাম দিনগুলোর কথা... কতটা পাগল ছিল ওর জন্য! ভাবলে আজও শিহরণ জাগে মনে। কিন্তু কিভাবে ধীরে ধীরে সব কিছু শেষ হয়ে গেল। অনুভূতিগুলো কর্কশ আর ধারালো হতে হতে এক সময়ে একেবারে ভোঁতা হয়ে গেল। হৃদয়ে রাস্নার জন্য  যেটুকু ভালোলাগা ছিল, ধীরে ধীরে সেটা অন্য একজনের জন্য বেড়ে উঠতে... continue reading

১৬ ৪২৪

Shafiq Roneiy

৯ বছর আগে লিখেছেন

কালির পূজো

উনিশে পা পড়তেই লতার বাবা মেয়ের জন্য ছেলে দেখা শুরু করলেন। বিয়ের বাজারে লতা পাত্রী হিসেবে তেমন আকর্ষণীয় নয়। গায়ের রং শ্যামলা; গড়ন মাঝারি; অতি সাধারণ চোখ; ঘন চুল- উস্ক খুস্ক; কথায় পুরুষালি ভাব প্রকট। মেয়েলি কণ্ঠে নম্রতা বিয়ের উপযুক্ত ছেলের মায়েদের স্বভাব চাহিদা। লতার কথায় তা নেই। এই যেমন কলেজের বন্ধুদের আড্ডায় লতা হঠাৎ বলে উঠলো –
-         ধুর বাল, ছেলেগুলো সব ন্যাকা। ফর্শা মেয়ে দেখলেই আধকাপ নাল পড়ে । নাক টিপলে দুধ পড়ে।
লতার বাবা ছেলে খুঁজে পেলেন। ছেলে ডাক্তারি পড়ছে। বয়স বাইশ। লম্বা, সুদর্শন। কথাবার্তায় নম্রতার ছাপ; তা সমাজে ভদ্রতা বলে লোকে গোনে। নাম রমেশ। রমেশ তার মার... continue reading

৫৫৮

রাজীব নূর খান

৯ বছর আগে লিখেছেন

তালপাতার সেপাই

প্রতিদিন রাত বারোটার পর পাশের বাসার আশা ভাবি সুন্দর সুন্দর গান বাজান। আজ বাজাচ্ছেন- রবীন্দ্র সংগীত, আমারও পরাণও যাহা চায় তুমি তাই তুমি তাই গো...। কি সুন্দর সুর, কি সুন্দর কথা! এই গভীর রাতে বুকের ভেতর যেন কেমন করে ওঠে। এই রকম রাতে খুব বেশি বিষন্ন হয়ে পড়ি আমি। একটার পর একটা সিগারেট জ্বালিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে বড় ভালো লাগে। টাকার অভাবে সিগারেটও খেতে পারি না। প্যাকেটে মাত্র একটা সিগারেট পড়ে আছে। খাচ্ছি না, খেলেই তো শেষ হয়ে যাবে। সারারাত পড়ে আছে। আমার বিলাসিতা বলতে শুধু সিগারেট। দামী সিগারেট খেতে পারি না। একটা দামের সিগারেট। কত মানুষ মুহূর্তের... continue reading

৪৮৩

মিশু মিলন

৯ বছর আগে লিখেছেন

জীবন এমনই! (প্রতিযোগিতা-১৫)

আমি অহংকারী। অহংকারের সোনালী বীজটা আমার ভেতরে রোপিত হয়েছিল শৈশবেই। গায়ের রঙ ফর্সা আর দেখতে খুব সুন্দর ছিলাম বলে শৈশব থেকে যে-ই আমাকে দেখতো, সে-ই আমার গাল টিপে আদর করে বলতো, ‘মেয়েটা কী সুন্দর ফুটফুটে’ ‘মেয়েটা কী কিউট’ ইত্যাদি! আমি কোনকিছুতে সাফল্য পেলেও আমার সৌন্ধর্যের প্রশংসার আড়ালে ঢাকা পড়ে যেতো সাফল্যের প্রশংসা। তাই কোনকিছুতে সাফল্য অর্জন করার চেয়ে আমি সেজেগুজে থাকাটাই শ্রেয় মনে করতাম। বালিকা বয়সে যখন আমার বুকের আকার পরিবর্তন হতে শুরু করলো এবং এক নতুন ধরণের চঞ্চলতা চলকে উঠলো আমার মধ্যে, তখন আমি নিজেও যেন মানুষের কথার যথার্থতা খুঁজতে শুরু করলাম আরো গভীরভাবে। খুঁজে দেখলাম স্কুলে আমি-ই সবচেয়ে... continue reading

৫৭৯

Gazi Sazib

৯ বছর আগে লিখেছেন

রোমন্থন

বৃষ্টি ঝড়িয়েও আকাশ আসলে শান্তিতে থাকে না। খুব দম্ভের সাথে পুরো শহর ভিজিয়েও যখন সে দেখে তুচ্ছ মানুষ তার প্রতি ভ্রূকুটি না করে ঘুমিয়ে আছে পরম শান্তিতে চারকোনা বিছানায়---তখন সে তার অহমবোধ এর ঘোষনা দেয়! মেঘ বল্লরীর বজ্রনিনাদ ঝংকৃত হয়!
 
হঠাত করেই ঘুম ভেঙ্গে গেল আমার। মুখে পানির ছিটা এসে পড়ছে;নাহ এর জন্য ঘুম চটে যেতে পারে না... হাতের কাছে ঘড়িটাতে সময় দেখে পুরোপুরি জেগে উঠলাম! ''৭ জানুয়ারি আজ আর আমি কিনা...উজবুক একটা আমি'' অস্ফুট উচ্চারণে আমার মুখ বলে উঠে।
 
-'তোমার সময় সেন্স কি আসলেই নাই সজীব? টাইম ব্লাইন্ড নাকি তুমি? সেই কখন থেকে বসে আছি... continue reading

৫৮৫

ফরিদ উদ্দিন মাসউদ

৯ বছর আগে লিখেছেন

মাই পপি লাভ

আমার প্রথম ও একমাত্র প্রেমে পরাটা হয়েছিল, আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি।মেয়েটা তখন ক্লাস ফাইভে পড়ে। ‘’প্রথম দেখাতেই প্রণয়,’’ এধরনের ব্যাপার আরকি...।সত্যি বলছি ওর মতো এতোটা ব্যাক্তিত্যপূর্ণ্য চেহেরা আমি আর দেখিনি।সেদিনই আমার আম্মুকে জানালাম। বল্লাম এভাবে ’’আম্মু,অমুক মেয়েটা ভবিষ্যতে তোমাদের আত্বীয় হতে পারে ।” আম্মু সব বুঝে গেলেন। পরে সেইম্ ভাবে বন্ধুদেরকেও বল্লাম।অামি অবশ্য তাকে (সেই মেয়েটাকে) বলতে যাই নি যে, আমি তোমাকে পছন্দ করি অথবা সাম্‌থিং লাইক দ্যাট্।কারণ আমার কারণে সে একটু ভয় পাক্।তার একটু ঘুম নষ্ট হোক,এটা আমি চাইনি ।আমি ভেবেছিলাম আমরা দু’জনই তো ছোট, দু’জনই আরেকটু বড় হই তার পর দেখা যাবে। এরই মধ্যে আম্মু একদিন বললেন-”ওদের কালচারের সাথে আমাদের কালচার মেলে... continue reading

৫৩৩