এবড়ো খেবড়ো গ্রাম্য রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম। হালকা ছাটে বৃষ্টি হচ্ছে। চারপাশ আবছা অন্ধকার , জায়গাটা সম্পুর্ন অপরিচিত মনে হচ্ছে, কেন হাটছি কোথায় যাবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
কেমন দিশেহারা লাগছে নিজেকে , একটু ভয় ভয় ও করছিল, , না একটু না ভীষন ভয় করছিল।
তার উপর এই বৃষ্টি , শীতে জমে যাচ্ছি যেন... পা চলতে চাইছে না।
কী করে এরকম বিদঘুটে জায়গায় এলাম সেটা ও মনে করতে পারলাম না।
আকাশের দিকে তাকিয়ে সময় এর আন্দাজ লাগানোর চেষ্টা করছি এমন সময় পেছনে কারো পায়ের আওয়াজ পেলাম......
এরকম পরিস্থিতিতে কোনো মানুষের দেখা পাওয়া আনন্দের হাওয়ার কথা কিন্তু আমি খুশি হতে পারলাম না, এমন কি পেছনে ফিরে তাকানোর সাহস টুকু হলো না আমার।
ভয় পেয়ে হাটার গতি বাড়াতে গিয়ে হোচোট খেয়ে পরে গেলাম, পেছনের পায়ের শব্দ কাছে এসে থেমে গেল। কেউ একজন আমাকে টেনে তুলল আলতো হাতে। দেখলাম বৃদ্ধ একটা মানুষ, তার মুখে কেমন পবিত্র আভা , চাপা কন্ঠে বললেন - " সাবধানে চলো , সময় বেশি নেই.. সবাই অপেক্ষা করে আছে " বলেই হাটতে শুরু করলেন সামনের দিকে আমি ও তাকে অনুসরন করে চললাম।
খেয়াল করলাম মানুষ টার পোশাক কেমন অদ্ভুত - কালো পাঞ্জাবি, কালো পাজামা কাল চাদর গায়ে মাথায় কালচে সবুজ রঙ্গা পাগরি বাধা , হাতে ধরে থাকা লাঠি টার রং ও কালো মনে হলো।
মনে হাজার টা প্রশ্ন নিয়ে অচেনা এক বৃদ্ধ কে অনুসরন করে চলেছি অজানা গন্তব্যে।
হাটতে হাটতে তখন আমি ক্লান্ত শরীরে এক বিন্দু শক্তি আর অবশিষ্ট নেই সামনে আবছা আলোয় ভাঙ্গা একটা গেইট চোখে পরল , আমার মন বলল আমি পৌছে গেছি সামনে বৃদ্ধ লোক টাকে আর খুজে পেলাম না, সেটা নিয়ে ভাবার মত অবস্থা তখন নেই আমার।
আমি ভাঙ্গা গেইট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলাম .................
ভেতর টা কেমন স্যাত স্যাতে, চারপাশে ছোট ছোট কিছু উচু ঢিবি... আর
ধোয়া ধোয়া কুয়াশা ... আর একটু সামনে মনে হল কেউ দাড়িয়ে আছে, আমি সেদিকেই এগোলাম ...
কাছে গিয়ে দেখলাম অন্য কেউ নয় ... "আম্মু " দাড়িয়ে আছে একটা ঢিবির পাশে।
আম্মু কে দেখে সব ক্লান্তি কেটে গেলো।
অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে হলো কিন্তু কিছুই বলতে পারলাম না যেন কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি, মা ও কিছু বললেন না এক দৃষ্টে কিছুখন তাকিয়ে থেকে হাত তুলে কিছু একটা দেখালেন আমাকে ....
সেদিকে তাকিয়ে আমি কেপে উঠলাম ...
"সদ্য খুড়ে রাখা একটা খোলা 'কবর "... যেন আমার জন্যে অপেক্ষা করে আছে।
কেমন দিশেহারা লাগছে নিজেকে , একটু ভয় ভয় ও করছিল, , না একটু না ভীষন ভয় করছিল।
তার উপর এই বৃষ্টি , শীতে জমে যাচ্ছি যেন... পা চলতে চাইছে না।
কী করে এরকম বিদঘুটে জায়গায় এলাম সেটা ও মনে করতে পারলাম না।
আকাশের দিকে তাকিয়ে সময় এর আন্দাজ লাগানোর চেষ্টা করছি এমন সময় পেছনে কারো পায়ের আওয়াজ পেলাম......
এরকম পরিস্থিতিতে কোনো মানুষের দেখা পাওয়া আনন্দের হাওয়ার কথা কিন্তু আমি খুশি হতে পারলাম না, এমন কি পেছনে ফিরে তাকানোর সাহস টুকু হলো না আমার।
ভয় পেয়ে হাটার গতি বাড়াতে গিয়ে হোচোট খেয়ে পরে গেলাম, পেছনের পায়ের শব্দ কাছে এসে থেমে গেল। কেউ একজন আমাকে টেনে তুলল আলতো হাতে। দেখলাম বৃদ্ধ একটা মানুষ, তার মুখে কেমন পবিত্র আভা , চাপা কন্ঠে বললেন - " সাবধানে চলো , সময় বেশি নেই.. সবাই অপেক্ষা করে আছে " বলেই হাটতে শুরু করলেন সামনের দিকে আমি ও তাকে অনুসরন করে চললাম।
খেয়াল করলাম মানুষ টার পোশাক কেমন অদ্ভুত - কালো পাঞ্জাবি, কালো পাজামা কাল চাদর গায়ে মাথায় কালচে সবুজ রঙ্গা পাগরি বাধা , হাতে ধরে থাকা লাঠি টার রং ও কালো মনে হলো।
মনে হাজার টা প্রশ্ন নিয়ে অচেনা এক বৃদ্ধ কে অনুসরন করে চলেছি অজানা গন্তব্যে।
হাটতে হাটতে তখন আমি ক্লান্ত শরীরে এক বিন্দু শক্তি আর অবশিষ্ট নেই সামনে আবছা আলোয় ভাঙ্গা একটা গেইট চোখে পরল , আমার মন বলল আমি পৌছে গেছি সামনে বৃদ্ধ লোক টাকে আর খুজে পেলাম না, সেটা নিয়ে ভাবার মত অবস্থা তখন নেই আমার।
আমি ভাঙ্গা গেইট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকলাম .................
ভেতর টা কেমন স্যাত স্যাতে, চারপাশে ছোট ছোট কিছু উচু ঢিবি... আর
ধোয়া ধোয়া কুয়াশা ... আর একটু সামনে মনে হল কেউ দাড়িয়ে আছে, আমি সেদিকেই এগোলাম ...
কাছে গিয়ে দেখলাম অন্য কেউ নয় ... "আম্মু " দাড়িয়ে আছে একটা ঢিবির পাশে।
আম্মু কে দেখে সব ক্লান্তি কেটে গেলো।
অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে হলো কিন্তু কিছুই বলতে পারলাম না যেন কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি, মা ও কিছু বললেন না এক দৃষ্টে কিছুখন তাকিয়ে থেকে হাত তুলে কিছু একটা দেখালেন আমাকে ....
সেদিকে তাকিয়ে আমি কেপে উঠলাম ...
"সদ্য খুড়ে রাখা একটা খোলা 'কবর "... যেন আমার জন্যে অপেক্ষা করে আছে।
Comments (4)
????