মিথিলা আর আমি যোমজ দুই ভাই বোন।দু’মিনিট আগে আমি আর ও দু’মিনিট পর।সে হিসেবে আমি বড়।তাই ও আমাকে দাদা বলে ডাকে।আমি বলি মিথী।দু’জনেই তুই,তুই।
আমাদের খেলা থেকে শুরু করে খাওয়া,কার্টুন দেখা,পড়া,স্কুলে যাওয়া সব একসাথে।দু’জন দু’জনকে ছাড়া যেন থাকতেই পাড়ি না। আমরা তখন ক্লাস এইটে পড়ি।সেদিন মিথী আমাকে চম্কে দিয়েছিল।ক্লাসে যাবার সময় যখন ওর কাঁধে হাত রেখে হাটছি।ও তখন আমাকে বললো-“দাদা,উপরের ক্লাসের তোকে আর আমাকে দেকে কি ভাবে জানিস্?” আমি বল্লাম-নাহ্!কি? ও হেসে দিলো।বল্লো- পরে বলবো। আমি সব বুঝে ফেল্লাম।-“ও বলতে চেয়েছিল প্রেমিক-প্রেমিকা।কিন্তু লজ্জায় ও বলতে পারলো না।”
প্রতিদিন ওর গলাগলি ধরে,না হয় কাধে হাত রেখে স্কুলে যাই কিন্তু এবার ওর কাঁধ থেকে হাতটা নামাই।মিথিলা আমার দিকে তাকালো।ও বললো-দাদা একটা কথা বলি? আমি বল্লাম-কি? ও বললো-তুই আমার কাঁধে যখন হাত রাখিস্ না।তখন আমার মনে হয় কি জানিস্?তখন আমার মনে হয়-আমার কেউ আছে।সে আমাকে সারা জীবন আগলিয়ে রাখবে।আমি তখন খুব ভরসা পাই। আমি থম্কে দাড়ালাম।মিথী এসব কি বল্ছে?ও বড়দের মতো কথা বলছে কেন?মিথীর দিকে খুব ভালো করে তাকালাম।আসলেই তো ও বড় হয়ে গেছে!।
আমি ছেলেটা এলোমেলো। মিথীই আমাকে গুছিয়ে রেখেছে।সকাল বেলা ক্লাসের সময় হয়ে গেছে কিন্তু দেখা গেলো আমি এখনও ঘুমুচ্ছি।মিথী আমার মাথার পাশে গিয়ে বসে।মাথায় আদোর করে হাত বুলাতে বুলাতে বলে-“ও দাদা,দাদা।ওঠ্ না দাদা।ক্লাসে যাবার সময় হইছে।” আমার বাবা-মা দু’জনেই চাকরি।বেরিয়ে যায় সকালে।ফেরেন সন্ধায়।ছুটির দিন ছাড়া তাদের পাশে পা-ই না। মিথীই আমাকে আগলিয়ে রেখেছে।স্নেহ দিয়ে,মমতা দিয়ে,ভালবাসা দিয়ে।কিন্তু আমি ওকে কি দিয়েছি?মানষিক যন্ত্রণা,টেনশন।ক্লাস টেই্নে পড়ার সময় বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পরে একদিন সিগারেট খেয়েছিলাম।মিথী ঠিকই ধরে ফেলেছিল। সেদিন ওর কি কান্না.......।“দাদা।আমার মাথায় হাত রেখে বল্।ও আর খাবি না।বল্ দাদা,বল।” আমি সেদিন কেদেছি,সত্যি কেদেছি।দিব্যি কেটেছি,আর কোনদিন খাব না।
আজ রাতে মিথীর বিয়ে।মনে মনে প্ল্যান...
continue reading
Comments (0)
ভালো লাগল কবিতাটি
ধন্যবাদ
কাব্য দেবী ভয় পেয়ে দূরে চলে গেলে শূন্য মাথা নিয়ে পড়ে থাকতে হবে।
ধন্যবাদ অবিরাম