Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ফরিদ উদ্দিন মাসউদ

৯ বছর আগে লিখেছেন

তবু.........

আমি হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে-
সূর্যাস্তের মতো।
দিকহারা পথিকের মতো।
গৃহত্যাগী,ছন্নছাড়া ব্যক্তির মতো।
আমি খালি হয়ে গেছি-
সন্তানহারা পিতার মতো।
সদ্য তালাকপ্রাপ্তা বিবাহিতা নারীর মতো।
আজীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামির মতো।
আমি মানি না,বুঝি না।
বলেছি ভুলে গেছি,
তবু.........।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

ফরিদ উদ্দিন মাসউদ

৯ বছর আগে লিখেছেন

মাই পপি লাভ

আমার প্রথম ও একমাত্র প্রেমে পরাটা হয়েছিল, আমি যখন ক্লাস টেনে পড়ি।মেয়েটা তখন ক্লাস ফাইভে পড়ে। ‘’প্রথম দেখাতেই প্রণয়,’’ এধরনের ব্যাপার আরকি...।সত্যি বলছি ওর মতো এতোটা ব্যাক্তিত্যপূর্ণ্য চেহেরা আমি আর দেখিনি।সেদিনই আমার আম্মুকে জানালাম। বল্লাম এভাবে ’’আম্মু,অমুক মেয়েটা ভবিষ্যতে তোমাদের আত্বীয় হতে পারে ।” আম্মু সব বুঝে গেলেন। পরে সেইম্ ভাবে বন্ধুদেরকেও বল্লাম।অামি অবশ্য তাকে (সেই মেয়েটাকে) বলতে যাই নি যে, আমি তোমাকে পছন্দ করি অথবা সাম্‌থিং লাইক দ্যাট্।কারণ আমার কারণে সে একটু ভয় পাক্।তার একটু ঘুম নষ্ট হোক,এটা আমি চাইনি ।আমি ভেবেছিলাম আমরা দু’জনই তো ছোট, দু’জনই আরেকটু বড় হই তার পর দেখা যাবে। এরই মধ্যে আম্মু একদিন বললেন-”ওদের কালচারের সাথে আমাদের কালচার মেলে না।” আমি তখন বিষয়টা মানতে পারিনি।
আম এখন অনার্স ফার্স ইয়ারে পড়ি।আর এরই মধ্যে আমি বুঝে গেছি কাল্‌চার একটা বড় ইস্যু।আর একারণেই আমাদের ভবিষ্যতের কোন সম্পর্ক হয়তো নাও হতে পারে।যদি তা’’ই হয় তবে তাকে নিয়ে স্বপ্ন না দেখাই ভাল।মানুষ হিসেবে আমার মনটা সীমিত, কাউকে মনটা দিয়ে পরে ফিরিয়ে নিয়ে আমি ভাল থাকতে পারবো না।অনেক ভাল হয়েছে মেয়েটকে বলিনে।
মিথ্যে বলবো না - এখন আর কোন মেয়ের দিকে তাকাইও না।সেই আমার প্রথম প্রেম এবং সেটাই শেষ থাক্।আমি জানি অমন মুগ্ধতা আমি আর কাউকে দেখে হবো না।
মেয়েটা জানে না যে আমি তাকে অনেক বেশি পছন্দ করি।মেয়েটা অনেক বেশি ভাল থাক্।দোয়া করি -” আল্লাহ। তুমি তাকে অনেক বেশি সুখে রাইখো।” continue reading
Likes Comments
০ Shares

ফরিদ উদ্দিন মাসউদ

৯ বছর আগে লিখেছেন

আকুতি

মিথিলা আর আমি যোমজ দুই ভাই বোন।দু’মিনিট আগে আমি আর ও দু’মিনিট পর।সে হিসেবে আমি বড়।তাই ও আমাকে দাদা বলে ডাকে।আমি বলি মিথী।দু’জনেই তুই,তুই।
আমাদের খেলা থেকে শুরু করে খাওয়া,কার্টুন দেখা,পড়া,স্কুলে যাওয়া সব একসাথে।দু’জন দু’জনকে ছাড়া যেন থাকতেই পাড়ি না। আমরা তখন ক্লাস এইটে পড়ি।সেদিন মিথী আমাকে চম্‌কে দিয়েছিল।ক্লাসে যাবার সময় যখন ওর কাঁধে হাত রেখে হাটছি।ও তখন আমাকে বললো-“‍দাদা,উপরের ক্লাসের তোকে আর আমাকে দেকে কি ভাবে জানিস্?” আমি বল্‌লাম-নাহ্!কি? ও হেসে দিলো।বল্‌লো-‌ পরে বলবো। আমি সব বুঝে ফেল্‌লাম।-‌“ও বলতে চেয়েছিল প্রেমিক-প্রেমিকা।কিন্তু লজ্জায় ও বলতে পারলো না।”
প্রতিদিন ওর গলাগলি ধরে,না হয় কাধে হাত রেখে স্কুলে যাই কিন্তু এবার ‌ওর ‌কাঁধ থেকে হাতটা নামাই।মিথিলা আমার দিকে তাকালো।ও বললো-দাদা একটা কথা বলি? আমি বল্‌লাম-কি? ও বললো-তুই আমার কাঁধে যখন হাত রাখিস্ না।তখন আমার মনে হয় কি জানিস্?তখন আমার মনে হয়-আমার কেউ আছে।সে আমাকে সারা জীবন আগলিয়ে রাখবে।আমি তখন খুব ভরসা পাই। আমি থম্‌কে দাড়ালাম।মিথী এসব কি বল্‌ছে?ও বড়দের মতো কথা বলছে কেন?মিথীর দিকে খুব ভালো করে তাকালাম।আসলেই তো ও বড় হয়ে গেছে!।
আমি ছেলেটা এলোমেলো। মিথীই আমাকে গুছিয়ে রেখেছে।সকাল বেলা ক্লাসের সময় হয়ে গেছে কিন্তু দেখা গেলো আমি এখনও ঘুমুচ্ছি।মিথী আমার মাথার পাশে গিয়ে বসে।মাথায় আদোর করে হাত বুলাতে বুলাতে বলে-‍“ও দাদা,দাদা।ওঠ্ না দাদা।ক্লাসে যাবার সময় হইছে।” আমার বাবা-মা দু’জনেই চাকরি।বেরিয়ে যায় সকালে।ফেরেন সন্ধায়।ছুটির দিন ছাড়া তাদের পাশে পা-ই না। মিথীই আমাকে আগলিয়ে রেখেছে।স্নেহ দিয়ে,মমতা দিয়ে,ভালবাসা দিয়ে।কিন্তু আমি ওকে কি দিয়েছি?মানষিক যন্ত্রণা,টেনশন।ক্লাস টেই্‌নে পড়ার সময় বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পরে একদিন সিগারেট খেয়েছিলাম।মিথী ঠিকই ধরে ফেলেছিল। সেদিন ওর কি কান্না.......।“দাদা।আমার মাথায় হাত রেখে বল্।ও আর খাবি না।বল্ দাদা,বল।” আমি সেদিন কেদেছি,সত্যি কেদেছি।দিব্যি কেটেছি,আর কোনদিন খাব না।
আজ রাতে মিথীর বিয়ে।মনে মনে প্ল্যান... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - সাইফুল ইসলাম

    ভালো লাগল কবিতাটি 

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    - টোকাই

    কাব্য দেবী ভয় পেয়ে দূরে চলে গেলে শূন্য মাথা নিয়ে পড়ে থাকতে হবে।

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ অবিরাম