Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

৯ বছর আগে লিখেছেন

প্যাঁ প্যাঁ পাগলার পরী কাহিনী

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
প্যাঁ প্যাঁ পাগল আমাদের গ্রামের পূবের গ্রামে বাস করতেন। গ্রামের নাম মইন্যা পাড়া। পাগলের আসল নাম কি তা কেউ জানে না। কারণ পাগোল কথা বলতে পারতেন না। যে কোন কথা বলতে গেলে শুধু প্যাঁ প্যাঁ শব্দ করতেন। কাউকে কোন কথা বললেও প্যাঁ প্যাঁ করতেন এবং কারো কথার উত্তর দিলেও প্যাঁ প্যাঁ করতেন। তবে বয়স্ক লোকজন তাকে ওসমান পাগল বলে ডাকতো। কিন্তু ওসমান নামে ডেকে কেউ কোনদিন তার নজর কারতে পারেনি। পিছন থেকে ওসমান নামে যতই ডাকা হোক না কেন সে সামনের দিকে চলতেই থাকতো। তাকে ফিরাতে হলে দৌড়ে সামনে গিয়ে ইশারা দিয়ে ফিরাতে হতো।
পাগল দেখতে... continue reading

৪১৯

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

এই তো আমার বাবা! # ছোট গল্প

মোবারক স্যারের পুকুরটা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের ঠিক দক্ষিণ পাশে। ভার্সিটির ভিতর হবার পরও এর নাম 'মোবারক স্যারের পুকুর' হবার পিছনে কি কারণ থাকতে পারে? একা একা ভাবছিল আরাফাত। পুকুরটির পশ্চিম দিকের পাড়ে চুপচাপ বসে আছে সে। দ্বিতীয় বারের মত ওর মনে এই নামকরণের পিছনের কারণ কি তা জানার ইচ্ছেটা কেন জানি জেগে উঠল। হয়ত মোবারক স্যার দীর্ঘদিন এই পুকুরটি লীজ নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন, তাই বোধ হয় এরুপ নামকরণ। তবে রংপুর পুকুর এর নাম কেন রংপুর হল? এই নামের কোনো শিক্ষক আছেন বা ছিলেন কিনা ভাবতে চেষ্টা করল...
ধুত্তুরি! কি ভাবছে এসব?
আজ মন খারাপের চুড়ান্ত হয়েছে বাসায়। এজন্য... continue reading

১৬ ৪৬১

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

ছেলেটি এখনো হৃদয়বান

সকাল থেকেই কেন জানি অস্থির লাগছে কণার।
অথচ কেন বুঝতে পারছে না। ছেলে মেয়ে দুজন বসার রুমে। আরাফাত পিসিতে গেমস নিয়ে ব্যস্ত। আর পিম্পি ছবি আঁকছে। স্কুলে কি একটা কম্পিটিশনে অংশ নেবে। কণা ই থীম দিয়েছে। সেই অনুযায়ী এখন আঁকার চেষ্টা করছে।
ওদের দুজনের ভূবনে ওরা নিজেদের মত রয়েছে।
আর সে?
ঠোঁটের কোণে একটুখানি হাসি এসে এসেও আসে না। কি এক রহস্যময় অনুভবে মুহুর্তে বিলীন হয় কণা। হাসির সাথে বিষন্নতার লেজ ধরে কিছু কষ্টও কি মুহুর্তটিকে একটু হেলিয়ে দিতে চায় না।
কলিং বেল বেজে উঠে।
‘আসসালামু আলাইকুম... য্যারা মেহেরবানি করে দরোয়াজা খুলিয়্যে’
ইলেক্ট্রিনিক রেকর্ডেড নারী কন্ঠের জোরালো আওয়াজে কণার সামান্য... continue reading

১৭ ৪০৩

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে লিখেছেন

এইলোক অন্যলোক (ভৌতিক গল্প)

শেষ অংশ... 
আধঘণ্টা পর ওঝা একটু সুস্থ হলেন, বললেন, বাবা সকল, একটা কথা বলি।আমায় দিয়ে এ পেত্নী ছাড়ানো সম্ভব হবে না।আমায় তোমরা বিদায় দাও!
এর পর আর কথা চলে না। এ ওঝাকে বিদায় দেওয়া হল।ওঝা আপন প্রাণ বাঁচাবার জন্যে নিজের ঘরের দিকে রওনা হলেন।
পর দিন সকালে পৌঁছলেন মহারাষ্ট্রের চাঁদা জেলার ওঝা।ইনি বাঙালী উদ্বাস্তু, চাঁদা জিলায় সরকারী পুনর্বাসন পেয়েছেন।
ওঝা তাঁর নিজের আসন পাতলেন । আবার সেই পুজা আর যজ্ঞের আয়োজন হল।
অমরেশ তেমনি তর্জন গর্জন করতে থাকলেন। আগের দিনের মত যজ্ঞের সামনে জোর করে তাঁকে বসানো হল। তেমনি পেত্নীর গলায় ওঝাকে মেরে ফেলার হুমকি দিলেন অমরেশ। এই ভাবে যজ্ঞ পূজা চলতে থাকল। ওঝা... continue reading

৬২২

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

মেয়েটি হৃদয়বতী ছিল না (ছোট গল্প)

অফিসের কাজে শাহবাগে আসতে হয়েছিল।
কাজ শেষে কি মনে করে বই মেলার ভিড়ে নিজেকে হারাতে ইচ্ছে হল রেজার। তাই বাংলা একাডেমীর ভিতরে এখন সে। কত মানুষ। নানা রঙের মানুষ। উচ্ছল প্রানবন্ত এক একজনের আনন্দিত মুখগুলোকে দেখছে। নিজেও ভালোলাগার আবেশে ভেসে যাচ্ছে।
কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা হল।
এরা নবীন লেখক। এদের সবার বই বের হয়েছে। ওদের থেকে একটি করে বই কিনলো। খুশী মনেই। বন্ধুরা অনেক খুশী হল। ওদের চেহারায় উপচে পড়া আনন্দকে নিজের আনন্দ মনে হল রেজার। সবসময়ে এমনই ভেবে এসেছে সে।
আচ্ছা, অন্যরাও কি এমনটি ভাবে?
রেজাকে নিয়ে?
বাংলা একাডেমী থেকে বের হয়ে সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গনে একটু ঢু মারতে গেলো। এখানেও অনেক... continue reading

১৮ ৩৫৩

শামিম হাসান

৯ বছর আগে লিখেছেন

একদিন পার্কে

একদিন পার্কে বসে আছি। আমার থেকে একটু দূরে একজোড়া কপোত-কপোতি প্রেমালাপ করছে। প্রথমদিকের কথা শুনতে পাইনি। এরপর যতটুকু মনে রেখেছি লিখে দিলাম। মনে হয় না কারো কাছে খারাপ লাগবে...
কেন এতো ভালোবাসিস?
জানিনা।ভালোবাসি ভালোবাসি... কেন বাসি?
জানি না। তুই বল?
কেন বাসিস না?
 
জানি না
দুজনের দুটি প্রশ্নের একই উত্তর হল। জানি না। তবে কে জানে?
 
আল্লাহ জানে
আমি ওটাই ভেবেছিলাম যে তুই বলবি।
 
সত্য তো তুইও জানিস।
না, আমি কিছুই জানি না। আর এটাই একজন প্রকৃত জ্ঞানী মানুষের কথা হওয়া উচিত। আর আমি একজন জ্ঞানী হয়ে বুঝি এটা বলবো না।
 
... continue reading

৪৬৭

আতা স্বপন

৯ বছর আগে লিখেছেন

গল্পের খোঁজে

বাস ষ্ট্যান্ডে দাড়িয়ে আছি এক ঘন্টার মতো। কোন বাস নেই। অফিস থেকে বাসায় ফিরব বলে একটু তারাতারি বের হয়েছি। কিন্তু তাতে কোন লাভ হল না। যেই লাউ সেই কদু অবস্থা। বাস সব গেল কই। অনেক ক্ষন বাস না আসায় ষ্ট্যান্ডে লোক জমে গেছে। ওদের ঠেলে বাসে উঠা যাবেতো। এসব ভাবছিলাম। কোথা থেকে যাত্রি বোঝাই একটি বাস এসে থামল। অপেক্ষমান যাত্রিদের মাঝে হুটপুটি লেগে গেল বাসে উঠার জন্য। না! উঠতে পারলাম না। বাসের গেইটা পর্যন্ত লোড। ঝুলে যাব তারও উপায় নেই। তবুও উঠার শেষ চেষ্ট করলাম না! পারলাম না। বাস ছেরে দিল।
হঠাৎ দ্রীম! দ্রীম! আওয়াজে হতচকিয়ে গেলাম। একটু দুরে... continue reading

৪১০

রাজীব নূর খান

৯ বছর আগে লিখেছেন

অন্য ভুবন

স্টল বন্ধ করে বইমেলা থেকে বের হওয়ার সময় একটা বুড়ো লোক আমাকে বলল- একটা বই নেবেন? একেবারে নতুন, ম্যাজিকের মতো। আমি বুড়োটার দিকে তাকালাম। কালো জামা পরা, মাথার চুল মেয়েদের মতন লম্বা। খোচা খোচা দাড়ি। গায়ের রঙ ময়লা। ভাঙ্গা গাল। কপালে রঙ দিয়ে কি যেন আঁকা। আর চোখ দু'টো পাথরের মতো। বুড়ো লোকটা তার জামার ভেতর থেকে একটা কালো মলাটের মোটা বাঁধানো বই আমার হাতে দিলেন। বুড়ো লোকটা কিছু বলছিল- কিন্তু মানূষের ভিড়ের শব্দের কারণে আমি ঠিক শুনতে পাচ্ছিলাম না। আমার বন্ধু'রা টিএসসি'তে অপেক্ষা করছে, চা খাবো, আড্ডা দিবো- আমার মন পড়ে আছে সেখানে।
আমি বই পাগল মানুষ। নতুন... continue reading

৩৫০

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

শেষ বিকেলের আলোয় (সম্পুর্ণ গল্প)

সকালবেলাটা কত সুন্দর ছিল!
দুপুরটা ও...
কিন্তু বিকেল বেলাটা যে এমন নিরাশার কালো রঙে রাঙ্গিয়ে তাকে পথহারা করে দিবে কে বুঝেছিল?
সেই আবারও শূন্যে ফিরিয়ে নিয়ে এলো সরফরাজকে।
ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন।
মনে পড়ে ১৯৯৮ সাল এর কথা।
কিছু চাওয়ার মৃত্যু... অন্য কিছু পাওয়া!
না পাওয়ার বেদনা এক সময় নতুন ‘না চাইতেই পাওয়াকে’ আকড়ে ধরে জীবনের জটিল সমীকরণকে সরলীকরণে ব্যস্ত।
পাশের রুমে কে যেন গান শুনছে।
আব্দুল জব্বারের অনেক পুরনো গান-
‘এক বুক জ্বালা নিয়ে বন্ধু তুমি
কেন মিছে বয়ে বেড়াও
আমায় যদি তুমি বন্ধু ভাবো
কিছু জ্বালা আমায় দাও’…
কেন জানি চোখে পানি এসে গেল। রুমে একা আছে। রফিক সাহেব নেই। কি কাজে যেন বাহিরে গেছেন।... continue reading

২৫ ৪৮৪

মুখোশের ফেরীওয়ালা

৯ বছর আগে লিখেছেন

প্রহর শেষের রাঙা আলোয়

টি এস সির সোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে বসে আছে প্রহর। শরীরে অস্থিরতার চিহ্ন স্পষ্ট। কিছুক্ষন পর পর মোবাইলটা কানে চেপে ধরছে। কিন্তু ওপাশ থেকে কেউ না ধরায় বিরক্ত হয়ে মোবাইলটা কেটে দেয় দিয়ে একটা সিগারেট ধরায়। আরো কিছুক্ষন ব্যাস্ত চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে ঊঠে রুবেলের চায়ের দোকানের দিকে হাটা দেয়। রুবেলকে আরেক কাপ চা দিতে বলে, টি এস সির সামনের দেয়ালে পা ঝুলে বসে সিগারেট টানতে থাকে। আবার মোবাইল বের করে ফোন দেয়, কিন্তু এবারো ধরে না। ও কিছুই বুঝতে পারে না। আজ ওর জন্য একটা বিশেষ দিন। প্রায় দুই বছর ভালবেসে আজ ওর ভালবাসা পাবার দিন। মায়া, ওর ভালবাসার... continue reading

৬৫৩