Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

আল মামুন সানি

৯ বছর আগে লিখেছেন

একজন শুভ (১)

দ্বিতল বাসে দোতলার বা-পাশের একটা সিটে বসে নিচের মানুষ দেখে দেখে সময় কাটাচ্ছে আমার বন্ধু শুভ। শুভ’কে আমি প্রথম দেখেছিলাম গতবছর কাঁটাবনের একটা চায়ের দোকানে। আমার পাশে বসে শব্দ করে চুমুক দিচ্ছিলো চায়ে। মুখ ভর্তি দাঁড়ি। ছেলেটাকে দেখে কথা বলতে ইচ্ছে করছিলো। কেন ইচ্ছে করছিলো তা ঠিক মনে নেই। কথা বললাম। ভীষণ আন্তরিক। সব কথার জবাব খুব সোজা করেই দিচ্ছিল। নিজ থেকেই আমার ফোন নম্বরটা চেয়ে নিল।
তারপর থেকে অনেকটা রুটিন করেই দেখা করতাম আমরা। সারাদিন এখানে ওখানে বসে আড্ডা দিয়ে কাটাতাম। আমার থেকে তিন বছরের বড় ছেলেটা তবুও তুই করেই বলতাম। তেমন গুরুত্ব বহন করে না এই... continue reading

৩২৭

আমির ইশতিয়াক

৯ বছর আগে লিখেছেন

ফেসবুক প্রেম (প্রতিযোগিতা-২০১৫, ৩য় পর্ব, ক্যাটাগরি-২)

মীম এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষ। এখন পড়ার কোন চাপ নেই। যথেষ্ট সময় এখন তার হাতে। মীম তার ছোট নাম। পুরো নাম তানিয়া সুলতানা মীম। মেয়ে এখন অনেক বড় হয়েছে। তাই বাবা তাকে একটি এনড্রুয়েড মোবাইল সেট কিনে দেয়।
ফেসবুক জগৎ সর্ম্পকে কোন ধারনা নেই মীমের। বান্ধবী লুবনার সহযোগিতায় মোবাইল দিয়ে একটি ফেসবুক আইডি খুলছে সবে মাত্র দুই দিন হয়। দুই দিনে বেশ ভালোই বন্ধুর রিকুয়েস্ট এসেছে। মেয়েদের আইডিতো তাই রিকুয়েস্ট একটু বেশি আসে। ফেসবুক দুনিয়ায় মীম একে বারেই নতুন। কি করবে কিভাবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবে, কিভাবে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণ করবে, কিভাবে স্ট্যাটাস দিবে, কিভাবে ছবি আপলোড করবে,... continue reading

৩৪ ১২৬৪

ইউসুফ খান

৯ বছর আগে লিখেছেন

একটি প্রবাদ ও আধুনিক প্রেমের গল্প

প্রথমে একটা অন্যরকম ঘটনা দিয়ে শুরু করি-
বছরখানেক আগে, আমি এবং আমার তিন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম একটা নৌকা ভ্রমনে। গ্রামের বাড়ি নেই, তাই বুড়িগঙ্গার পচা পানির উপর নৌকা ভ্রমন করেই মনের শখ মিটাচ্ছিলাম। বেশ ভালয় ভালয় কাটলো পুরো ভ্রমন। সাতার কেউই তেমন জানতাম না তাই কিছুটা ভয়ের মধ্যে কাটলো। পাড়ের সামনে আমাদের নৌকাটা ভিড়বে, এমন সময় হঠাৎ বেশ বড় একটা ঢেউ এলো। ভয়ংকরভাবে দুলে উঠলো আমাদের নৌকা। ভয়ে আমার পেট মুচড়িয়ে উঠলো। মনে হচ্ছিলো- তীরে এসে তরী ডুববে। কলিজা গলায় এসে লাফাতে লাগলো। সবাই যার যার জায়গায় ষ্টীল হয়ে রইলাম। আমাদের ঘনিষ্ঠ দোস্ত সাব্বির, একটু বেশিই ভয় পেয়ে গেলো। সে... continue reading

১০২৪

ওয়াহিদ হায়দার

৯ বছর আগে লিখেছেন

"দিলরুবা"

বাহীরে বৃষ্টির কারনে ভিজেই ট্রেন থেকে নামতে হল । ষ্টেশনে তেমন কিছুই নেই, শুধু একটা চায়ের দোকান। সামনে বিশাল মাঠ, দৃষ্টি বহু দুর পর্যন্ত ছরিয়ে দেয়া যাচ্ছে।
বৃষ্টির ভিতরে দাঁড়ানোর কোন স্থান খুঁজে পাচ্ছিনা। কাঁদে ব্যাগটা নিয়ে চায়ের দোকানের সামনে গিয়ে গিয়ে দারালাম।
-একটা বেনসন সিগেরেট দেন...
এটা শুনে লোকটা আমার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে রইল। যেন আমি কোন অপরাধ করে ফেলেছি।
-বেনসন নেই, নেভি আছে তাতে হবে?
বাধ্য হয়ে এক প্যাকেট নেভি নিয়ে নিলাম। আর একটা ধরালাম। এক টান দিতেই...
-তোমার নাম কি ভুলু? (পিছন ফিরে দেখি, পলিথিন মাথায় কুজু এক বিদ্ধ লোক)
-হুম, আপনি... continue reading

১৩২৯

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

প্রথম প্রহর (প্রতিযোগিতা- ৩য় পর্ব ক্যাটাগরি-২)

আমাদের কিভাবে দেখা হয়েছিল?
সেই প্রথমবার? নতুন কাউকে দেখার অনুভূতিতে প্রগলভ হওয়ার সেই মুহুর্তগুলো কেমন ছিল? এমন একজন... যাকে দেখলে ভালোলাগার ডানায় ভর করে ঝড়ো বাতাসে পরমশূন্য অনুভূতিতে হাল্কা হলুদ পাতার মত এলোমেলো ভেসে বেড়াতে মন চায়! সবারই কি এমন কিছু মুহুর্ত থাকে না?
আমার ও ছিল।
আমি তো আমিই। আর ও হল ‘ও’।
সেই সময়ে আমরা দুজনে কিন্তু ‘আমরা’ হতে না পেরেও অদৃশ্য এক পলকা বাঁধনে কিভাবে যেন মানসিকভাবে কাছে ছিলাম। তারপরও প্রতিটি বিরূপ পরিস্থিতি এবং খারাপ সময়গুলোতেও ‘ও’ আর আমি ‘আমরা হয়ে যেতাম। দুজনের আলাদা জগত-পরিবার এবং প্রকৃতি-প্রবণতা স্বত্বেও কিছু মিল তো অবশ্যই ছিল।
‘ও’ আমাকে বুঝত। সময়ে আমার... continue reading

৪৬ ৪৪৯

ফজলে রাব্বি জেমস

৯ বছর আগে লিখেছেন

সেদিন বসন্ত বিকেলে আকাশে রোদ উঠেছিল (প্রতিযোগিতাঃ ২য় পর্ব... ক্যাটাগরি-২)

তখন শীতকাল। মাঘ মাসের প্রচন্ড শীত। ঢাকাতে বরাবরই অন্য জেলাগুলো থেকে শীত একটু কম থাকলেও তখন শীতের যতুটুকু তীব্রতা ছিল তাতেই জমে যাবার দশা। হলে থাকি বলে এমনিতেই রাত জাগা হয় বেশী। তবে শীতের তীব্রতায় সেদিন আগেভাগেই ঘুমিয়ে পড়েছি। রাত দেড়টা দিকে হঠাৎ করেই ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। চোখ মুছতে মুছতে দেখি আমাদেও ব্লাড ডোনার গ্রুপের বাপ্পি ভাই ফোন করেছে। ফোন কানে নিতেই ভাই বলতে শুরু করলো, “তাড়াতাড়ি একটা ফোন নাম্বার লিখে নে, আর মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে চলে যা, রক্ত দিতে হবে, সিরিয়াস পেশেন্ট।”
আমি ঘুম জড়ানো কন্ঠেই বললাম, ভাই কিসের পেশেন্ট? রক্তের গুপ কি? খুব কি জরুরী?
ভাই... continue reading

৬৯৪

Azimul Haque

৯ বছর আগে লিখেছেন

আমাদের মূল্যবোধ

মেইন রাস্তার সাথে সরাসরি অথবা পরোক্ষে সংযূক্ত রাস্তাগুলোর একটা দিয়ে হাঁটছিলাম। দু’পাশে দালান, অট্টালিকাগুলো দাঁড়িয়ে পাশাপাশি। রাস্তার পিচ্ ছাড়িয়ে মাটির অংশের ১০/১২ ফিট দুরে দাঁড়িয়ে বাড়িগুলো। মাটির অংশে অবস্থিত যে গাছগুলো, সেগুলির একটার ছায়ায় বসে চা বিক্রি করছেন তিনি। একটি ইটের উপরে বাজারের ব্যাগ বিছিয়ে বসে আছেন, সামনে একটা বড় ফ্লাক্স। ফ্লাক্সের গলায় বাঁধা একটা দড়ি, সেই দড়ির সাথে বাঁধা তিনটি পলিথিন। একটায় বড় বড় টোষ্টবিস্কুট, একটায় পান এবং আরএকটায় সিগারেট আর কিছু শুকনা সুপারী। নীচে বালুর উপরে ছোট ছোট দুইটা পলিথিন পাতা, একটায় কাঁচা সুপারী এবং আরেকটায় তিনটা ছোট কৌটা। এক কৌটায় চুন, আরেকটায় জর্দা এবং আরেকটায় কী যেন।... continue reading

৪৪৮

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

অপরাজিতা (প্রতিযোগিতা ২য় পর্ব- ক্যাটাগরি-২)

নীলার ছোট্ট বাবুটা মোবাইল নিয়ে গেম খেলার জন্য কান্না শুরু করেছে।
অথচ ফেসবুকে গ্রুপ পোষ্টটা চেক করাও খুব জরুরী। পিসির নেট কানেকশন বাড়ির কর্তা ছেলেমেয়েদের পড়া-লিখার ক্ষতি হচ্ছে বলে মেয়াদ শেষ হবার পরে আর রিনিউ করেনি। আসল ঘটনাটা নীলা বেশ ভালোই বুঝতে পারছে।
ওর নিজের লিখাটার পরবর্তী পর্বটাও দেয়া হল না। মাহতাব রাগ করে থাকবে। ওর ভার্সিটি জীবনের এই বন্ধুটি একটু চাপা ধরণের। ওর রাগ-আনন্দ-উচ্ছাস বোঝা বড়ই দায়। যদিও মাহতাব গ্রুপ এডমিন। কিন্তু নীলার উপরে অনেক ভরসা করে থাকে।
শেষ পর্যন্ত মোবাইলটা দিতেই হল।
এটাই হচ্ছে আজকাল। কেমন একটা অবসাদ ওকে ঘিরে ধরে। একজন পরাজিত মানুষের অনুভুতি গ্রাস করে ফেলছে...... continue reading

২৭ ৪৫৫

দীপঙ্কর বেরা

৯ বছর আগে লিখেছেন

জীবনের বালুচর ( প্রতিযোগিতা ২0১৫ ক্যাটাগরি-২ )

 
ফোন পেয়েও মনের মধ্যে কোন কাঁপন ধরে না প্রতীশের । তাহলে কি মনের নিশ্চিত জানা হয়েই ছিল যে শেষ হচ্ছেই ।
কিংবা কেন শেষ হচ্ছে না ? আর পারা যাচ্ছে না দু পক্ষের এত কষ্ট ! শেষ হোক তো ।
সেই হওয়া ফোন এল - ভাই রে , মা আর নেই ।
ডাক্তার জবাব দিয়েছে । বয়সের ভার । দীর্ঘ রোগভোগ । বিছানা শয্যা । যে যার মত চেষ্টা করেছে । দুই ভাই বাইরে ।বড়দার কাছে থাকত । দিদিরাও যথেষ্ট দেখাশুনা করেছে । কিন্তু ভাগ বাটোয়ারায় মা যেমন থাকে তেমন ছিল ।
আর সবচেয়ে ছোট প্রতীশ... continue reading

৩২৭

ইকবাল হোসেন নয়ন

৯ বছর আগে লিখেছেন

অস্পষ্ট আর্তনাদ

                        অস্পষ্ট আর্তনাদ 
ঘুটঘুটে অন্ধকার । রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট গুলো ছাড়া কিছুই আলো দিচ্ছে না । দূর থেকে একটা বাস এগিয়ে আসছে । সম্ভবত এইখানে তাদের তুলে দেওয়া হবে । এই বার তারা সত্যিই চলে যাবেন দুনিয়া ছেড়ে  ।
খুব ছোটো একটা সংসার ছিল । স্বামী,  স্ত্রী আর এক ছেলে মিলে ভালই যাচ্ছিলো । হটাত একদিন  কতো গুলো লোক এসে ছেলেটির মা কে চলে গেলো । পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা গেল তারা তাকে মেরে ফেলেছে । আর সাথে আর ও একটা পরিবার তারা ধ্বংস করে দিয়েছে । সেইদিন থেকে বাবা ছেলে দুইজন ই ভয়ে ভয়ে থাকেন । কারন সয়তান গুলোর নজর তাদের দিকেও আছে ।
আজ বিকালে ঘটনা... continue reading

৭১৮