Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ফজলে রাব্বি জেমস

৯ বছর আগে লিখেছেন

নিঃশব্দ প্রত্যাবর্তন

ওকে খুব মনে পড়ে,
দেখতেও ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে।
একই নগরীতে থাকি দুজনে
অথচ কত দূরত্ব।
সেই ব্যস্ত ফার্মগেট, অভিজাত বসুন্ধরা সিটি, চন্দ্রিমার মধ্য দুপুর
সবই আজ ধুলো জমা ডায়রির পাতা।
একসময় এই ঢাকা শহর নিয়েই
কত স্বপ্ন আঁকতাম দুজনে,
আজ সে স্বপ্নগুলো পূরণ করে অন্য কেউ।
আমি নির্লজ্জ, বেহায়া,
আমাকে ভুলে যে সুখের রাত্রি সাজায়
তাকে ভেবে ভেবে আমি লিখি বিরহের কবিতা।
পাঠক আমার লেখা দেখে কষ্ট পায়,
আমি পাই আনন্দ;
কিন্তু কি অদ্ভুত-
যাকে নিয়ে লেখি, কষ্ট কি জিনিস তার তা জানা নেই,
লোভ তার রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে মিশে গেছে।
বিধাতা নারীদের বানিয়েছে এমন এক আলাদা ধাতুতে
যাকে ভাঙলে ফাঁকি ছাড়া আর কোন মৌলিক কনিকা হয়ত পাওয়া যাবে না।
আর আমরা নির্বোধ পুরুষ নিঃশেষ হয়ে যাই,
তবু যতটুকু জীবিত থাকি ততটুকুতেই তার নাম জপ করে যাই।
 
ফজলে রাব্বি জেমস, জুলাই ২০১৪, ঢাকা।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

ফজলে রাব্বি জেমস

৯ বছর আগে লিখেছেন

সেদিন বসন্ত বিকেলে আকাশে রোদ উঠেছিল (প্রতিযোগিতাঃ ২য় পর্ব... ক্যাটাগরি-২)

তখন শীতকাল। মাঘ মাসের প্রচন্ড শীত। ঢাকাতে বরাবরই অন্য জেলাগুলো থেকে শীত একটু কম থাকলেও তখন শীতের যতুটুকু তীব্রতা ছিল তাতেই জমে যাবার দশা। হলে থাকি বলে এমনিতেই রাত জাগা হয় বেশী। তবে শীতের তীব্রতায় সেদিন আগেভাগেই ঘুমিয়ে পড়েছি। রাত দেড়টা দিকে হঠাৎ করেই ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। চোখ মুছতে মুছতে দেখি আমাদেও ব্লাড ডোনার গ্রুপের বাপ্পি ভাই ফোন করেছে। ফোন কানে নিতেই ভাই বলতে শুরু করলো, “তাড়াতাড়ি একটা ফোন নাম্বার লিখে নে, আর মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে চলে যা, রক্ত দিতে হবে, সিরিয়াস পেশেন্ট।”
আমি ঘুম জড়ানো কন্ঠেই বললাম, ভাই কিসের পেশেন্ট? রক্তের গুপ কি? খুব কি জরুরী?
ভাই বললেন, হ্যা। রক্তের গ্রুপ তোরটাই। আমাদের ভার্সিটিরই মেয়ে। মনে হয় সুইসাইড কেস।
আমি ততক্ষণে খাট থেকে উঠে বসেছি। বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছি। তবুও ভাইয়ের সাথে একটু ঠাট্টা করে বললাম, ভাই, এমনিতেই সুইসাইড কেস, তাও আবার অল্প বয়েসি মেয়ে। নিশ্চয়ই বয়ফ্রেন্ডের জন্য আত্বহত্যা করতে গিয়েছিল। আমি রক্ত দিয়ে কি করব। লস প্রজেক্ট।
ভাই একটু শাসন করে বললেন, বাজে বকিস না। তাড়াতাড়ি কর।
রক্ত দান যখন শুরু করেছিলাম তখন একরকম শখের বশেই শুরু করেছিলাম। তারপর কবে যে সেটা একটা সমাজিক  দায়বদ্ধতা হিসেবে মনে গেথে নিয়েছিলাম টের পাইনি। দেরী করলাম না। মোবাইলটা পকেটে পুরেই বেড়িয়ে পরলাম। এমনিতেই রাত অনেক তার মধ্যে প্রচন্ড শীত। কোন রিক্সা পেলাম না।  বাধ্য হয়ে হেটেই রওনা হলাম। হাসপাতালে গিয়ে দেখি ভাই যেমনটা বলেছেন রোগীর অবস্থা তার থেকেও খারাপ।  নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত বলে এখনও কোন রক্ত পাওয়া যায়নি। মেয়েটির চেহারা একেবারে ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। হাতে দেখলাম ব্যান্ডেজ। বুঝলাম কব্জির রগের সাথে তার বোঝাপড়া হয়েছে। নিয়মিত রক্ত দেই বলে আমার আর বেশী... continue reading
Likes Comments
০ Shares

ফজলে রাব্বি জেমস

৯ বছর আগে লিখেছেন

বলো, ভালো আছো তো?

একবারে হঠাৎ করেই দেখা হয়ে গেল সেজুতির সাথে। এভাবে ওর সাথে দেখা হয়ে যাবে ভাবিনি কখনও। তবে দেখা হবে এমন একটা অপেক্ষায় ঠিকই ছিলাম। তবুও ভীষণ অবাক লাগছে। লাইব্রেরীতে বসা হয় না অনেকদিন। ছাত্রজীবনেই যা একটু আধটু অভ্যেস ছিল। পাবলিক লাইব্রেরীর পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম তাই কি মনে করে ভাবলাম একটু ঢু মেরে যাই। এসে দেখা হয়ে গেল সেজুতির সঙ্গে। কিন্তু সেজুতিই বা এখানে কেন? সে যাই হোক এই পরিবেশে ওকে মানিয়েছে ভাল। চশমা ও আগে থেকেই পড়ত তবে সময়ের ব্যাবধানে তার ফ্রেমের ডিজাইনে পরিবর্তন এসেছে। একসময় ভাবতাম ওকে দেখলে বুঝি চিনতে পারবনা। ভুলে যাবার চেষ্টাগুলোও ছিল সুনিপুন। ট্রাংকের ধুলো জমা কাগজপত্রের স্তুপ থেকে বের করে সবগুলো ছবিও একদিন জ্বালিয়ে দিলাম। তবে হৃদয় থেকে সে ছবি এত সহজে মুছতে পারিনি। নাহলে আজ নয় বছর ধরে দেখা নেই তবুও এক দেখাতেই দুজন দুজনকে চিনে ফেললাম কত সহজে। সেজুতিই প্রথম কথা বলল, ভালো আছো? আমি বললাম, এইতো, ভালো, তুমি? সেজুতি মৃদু হাসলো। অনেকক্ষণ আলাপ হলো দুজনে। ঘর-সংসার, ছেলে-মেয়ে এইসবই বিষয়বস্তু। মানুষের জীবনও কত অদ্ভুত। কার ভাগ্যে কি ঘটবে তা কেউ আমরা জানিনা। না হলে যেই সংসার স্বপ্ন নিয়ে ফোনালাপে রাত পার করে দিতাম দুজনে সেই আমরাই হঠাৎ কত দূরে চলে গেলাম। অথচ জীবন আমাদের কারও কিন্তু থেমে নেই। শুধুজীবন সাজানোর মানুষগুলো বদলে গেছে। সেজুতিকে এখন উঠতে হবে। মেয়ের স্কুল ছুটির সময় হয়ে গেছে। আমাকেও বেরোতে হবে। পরষ্পরের কাছথেকে বিদায় নিয়ে রাস্তার দুই দিকে হাটতে থাকলাম দুজনে। কি মনে করে একবার পেছন ফিরে তাকিয়েছি কিন্তু কি অদ্ভুত ব্যাপার সেজুতিও তাই। ঠিক সেই আগের দিনগুলোর মত।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - টোকাই

    খুব সুন্দর ।

ফজলে রাব্বি জেমস

৯ বছর আগে লিখেছেন

বিশ্বকাপ (অণুকাব্য)

•চারদিকে চলছে হইচই
ছড়াচ্ছে ভীষণ তাপ
ঘটনা কিন্তু একটাই দুয়ারে বিশ্বকাপ।

•গাছের উপর বাড়ির ছাদে
উড়ছে পতাকা
ফেসবুক আর পত্রিকা জুড়ে যত তারকা।

•চায়ের টেবিল, বাসের সিটে
তর্ক চলছে বেশ
রাতজেগে দেখতে খেলা প্রস্তুতির নেই শেষ।

•দেখতে দেখেতে খেলা
বাড়বে ঘুমের জ্বালা
এর মাঝে বিদ্যুৎ গেলে বুঝবে ঠ্যালা। continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - রোদের ছায়া

    এতো সুন্দর একটা ছড়া পাঠক শুন্য কেন ভাই?? 

    - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম...

    • - মুন জারিন আলম

      বড়া কী? ছানা কী? চোখ হলো কানা কি?   
      কানা মানা জানা নাই? ছানা কি গো গাওয়া ঘি?   
      সুযোগের সন্ধানে, যেতে চাই সটকে,   
      গলা ছাড়্ বিটকেল! থাকিসনা লটকে। 

    - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    চমৎকার

ফজলে রাব্বি জেমস

১০ বছর আগে লিখেছেন

শ্বেত মিছিলের আগে (অণুগল্প)

ক্রিং ক্রিং ক্রিং। তীব্র শব্দে ফোন বেজে উঠল। ঘুমটা এখনো ভাঙেনি। এত সকালে ফোনের শব্দে ঘুম ভাঙা চরম বিরক্তিকর একটা জিনিস। সেই ভরা বিরক্তি নিয়েই ফোনের দিকে তাকালাম। তাকিয়ে দেখি সেজুতির ফোন। বিস্মিত হওয়ার মতো বর্তমানে এর থেকে আর কী হতে পারে!
যে সর্ম্পকটা চার বছর আগেই অসমাপ্ত সমাপ্তিতে চলে গিয়েছিল, সেটা কি তবে আবার নতুন করে? ফোনটা দেখেই মনে পড়ল আজ সেজুতির জন্মদিন। কী আজব ব্যাপার, এই কয় বছরের ব্যবধানেই এ রকম একটা বিশেষ দিনও ভুলে গেছি, সেজুতি কিন্তু আমার সঙ্গে কথা বলল না। হয়তো অভিমান করে আছে। কথা বলল ওর বড় বোন।
আমাকে আজ সেজুতির বাসায় যেতে হবে। আমারও রাগ দেখানোর দরকার; কিন্তু আমি পারলাম না। অনেক দিন পর আজ সেজুতির দেখা পাব। তাই আমার প্রস্তুতিরও অন্ত নেই। গোসল সেরে ধোয়া কাপড়টি পরলাম। সুগন্ধিও লাগালাম গায়ে। সদ্য যোগ দেওয়া চাকরিটাতেও কষ্টে একটা ছুটির ব্যবস্থা করেই গ্রামের পথে পা বাড়ালাম।
রাস্তায় চলছিলাম আর ভাবছিলাম কিছু ভুল বোঝাবুঝি আর পারিবারিক বৈরী অবস্থানের কারণে কীভাবে এমন একটা সম্পর্ক পূর্ণতা পাওয়ার বদলে উল্টো নিঃশেষ হয়ে গেল। আজ এতদিন পর সেজুতি আবার আমায় ডেকেছে। শুধু ডেকেছে তাই নয়; বাসার সবাইকে নিয়ে আমার জন্য অপেক্ষাও করছে। শেষ হয়ে যাওয়া সম্পর্কটা আজ আবার জোড়া লাগছে।
সেজুতির বাসায় পেঁৗছে দেখলাম, অনেক লোক। সবাই সেজুতিকে দেখার জন্য এসেছে। কিন্তু কেন? সেজুতিকে আজ বিশেষভাবে দেখার কী আছে?
আমার হৃৎস্পন্দনটা বাড়ছে। দূর থেকে দেখতে পেলাম, বিশেষ দিনে সেজুতিকে সাজানোও হয়েছে বিশেষভাবে। একেবারে নতুন সাজে। যে সাজে ওকে আগে কেউ দেখেনি। কাছে গিয়ে আমারও নতুন সেজুতিকে একটু দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু এগোতে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - চারু মান্নান

    কবিকে মাঘের শুভেচ্ছা,,,,কবিতার গভীরতায় সেচ্ছায় ডুব সাঁতার,,,,

    - বরুণ কুমার বিশ্বাস

    ধন্যবাদ

    - আল ইমরান

    শেষ পর্যন্ত বন্ধু বরুন কে পেলাম ব্লগিং এর দুনিয়ায়। কেমন আছিস সেটা আগে বল? লেখা পড়ে মন্তব্য দেব। এখনও পড়িনি।

    • - বরুণ কুমার বিশ্বাস

      valo achi, hothath ki mone holo chole elam Nokhotro blog e

       

    Load more comments...
Load more writings...