রাত গভীর হয়ে চলেছে ক্রমেই, পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়ছে ধীরে ধীরে, ঘুম নেই শুধু শুকতারার চোখে। কী ভেবে চলেছে ও! কেন ভেবে চলেছে? কোন অভাব তো নেই সংসারে ওদের। নিজে ডাক্তার, বড় ডাক্তার মা-ও। একই বাসায় থাকে দু’জন ওরা। আর কোন সদস্য নেই। অভাব না থাকারই কথা, নাই-ও। তবে!
ভেবে চলেছে শুকতারা, কে তার বাবা, কোথায় সে? জীবনের ছাব্বিশটা বছর কেটে গেছে, আজো চিনলনা কে ওর বাবা। শুনেছে, ওর জন্মেরও অনেক আগে মা-কে ফেলে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন উনি অমূলক এক সন্দেহের বশবর্তী হয়ে যে, এই মেয়ে তার নয়। ও যখন বড় হয়েছে, অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে, অনেক জায়গায় খুঁজেছে ও বাবাকে। পায়নি, শুনেছে সেই যে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে বাবা, আর আসেনি, কেউ আর কোনদিন দেখা পায়নি উনার। বাবার আত্মীয়রা বলেন, জাপান চলে গিয়েছিল বাবা, দু’চার বছর ওঁদের সাথে যোগাযোগ ছিল, তারপর থেকে আর উনি যোগাযোগ করেননি।
ভেবে পায়না শুকতারা, কেন এমন হলো। মা কী খুব উচ্ছৃংখল ছিল! মামা-খালারা তো বলেন, না মোটেই উচ্ছৃংখল ছিলনা তোর মা, খুব শান্ত ছিল। এরপর যে বর্ননা শুনেছে শুকতারা, তাতে কোনমতেই মনে হয়না যে, ও অন্যের ওরসজাত। তবে! হাঁ, বাবার একটা ভুলের মাশুল-ই বয়ে বেড়াচ্ছে ওরা। কী জবাব দেবে ও আজ মিনারকে? অনেকদিন বলতে চায়নি ও পুরো বিষয়টা ওকে। হাঁ, সংকোচ তো বটেই কিছুটা। আর ও নিজেও চায়না কারো সাথে হৃদয়ের কোন টানে জড়াতে। আবার মিনারকে ও উপেক্ষা-ও করতে পারেনা। কেন যেন ছেলেটা পিছু ছাড়েনা। একরকম জোর করেই ও জয় করে নিয়েছে শুকতারাকে। আকৃষ্ট হয়নি তা বলেনা শুকতারা। কলেজে ছয় বছরের শেষের তিনটা বছর ওরা অনেক কাছাকাছি থাকত। ইন্টার্নশীপের সময়টায় একত্রে নাইট ডিউটি পড়ে গেলে... continue reading
ভেবে চলেছে শুকতারা, কে তার বাবা, কোথায় সে? জীবনের ছাব্বিশটা বছর কেটে গেছে, আজো চিনলনা কে ওর বাবা। শুনেছে, ওর জন্মেরও অনেক আগে মা-কে ফেলে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছেন উনি অমূলক এক সন্দেহের বশবর্তী হয়ে যে, এই মেয়ে তার নয়। ও যখন বড় হয়েছে, অনেক কিছু বুঝতে শিখেছে, অনেক জায়গায় খুঁজেছে ও বাবাকে। পায়নি, শুনেছে সেই যে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে বাবা, আর আসেনি, কেউ আর কোনদিন দেখা পায়নি উনার। বাবার আত্মীয়রা বলেন, জাপান চলে গিয়েছিল বাবা, দু’চার বছর ওঁদের সাথে যোগাযোগ ছিল, তারপর থেকে আর উনি যোগাযোগ করেননি।
ভেবে পায়না শুকতারা, কেন এমন হলো। মা কী খুব উচ্ছৃংখল ছিল! মামা-খালারা তো বলেন, না মোটেই উচ্ছৃংখল ছিলনা তোর মা, খুব শান্ত ছিল। এরপর যে বর্ননা শুনেছে শুকতারা, তাতে কোনমতেই মনে হয়না যে, ও অন্যের ওরসজাত। তবে! হাঁ, বাবার একটা ভুলের মাশুল-ই বয়ে বেড়াচ্ছে ওরা। কী জবাব দেবে ও আজ মিনারকে? অনেকদিন বলতে চায়নি ও পুরো বিষয়টা ওকে। হাঁ, সংকোচ তো বটেই কিছুটা। আর ও নিজেও চায়না কারো সাথে হৃদয়ের কোন টানে জড়াতে। আবার মিনারকে ও উপেক্ষা-ও করতে পারেনা। কেন যেন ছেলেটা পিছু ছাড়েনা। একরকম জোর করেই ও জয় করে নিয়েছে শুকতারাকে। আকৃষ্ট হয়নি তা বলেনা শুকতারা। কলেজে ছয় বছরের শেষের তিনটা বছর ওরা অনেক কাছাকাছি থাকত। ইন্টার্নশীপের সময়টায় একত্রে নাইট ডিউটি পড়ে গেলে... continue reading
Comments (2)
সুন্দর ভাই ।