প্রথমে একটা অন্যরকম ঘটনা দিয়ে শুরু করি-
বছরখানেক আগে, আমি এবং আমার তিন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম একটা নৌকা ভ্রমনে। গ্রামের বাড়ি নেই, তাই বুড়িগঙ্গার পচা পানির উপর নৌকা ভ্রমন করেই মনের শখ মিটাচ্ছিলাম। বেশ ভালয় ভালয় কাটলো পুরো ভ্রমন। সাতার কেউই তেমন জানতাম না তাই কিছুটা ভয়ের মধ্যে কাটলো। পাড়ের সামনে আমাদের নৌকাটা ভিড়বে, এমন সময় হঠাৎ বেশ বড় একটা ঢেউ এলো। ভয়ংকরভাবে দুলে উঠলো আমাদের নৌকা। ভয়ে আমার পেট মুচড়িয়ে উঠলো। মনে হচ্ছিলো- তীরে এসে তরী ডুববে। কলিজা গলায় এসে লাফাতে লাগলো। সবাই যার যার জায়গায় ষ্টীল হয়ে রইলাম। আমাদের ঘনিষ্ঠ দোস্ত সাব্বির, একটু বেশিই ভয় পেয়ে গেলো। সে আতঙ্কে উঠে দারালো। আমাদের নৌকার পাশ ঘেঁষেই তখন আরেকটা নৌকা যাচ্ছিলো। সাব্বির বাঁচার তাগিদে সেই নৌকাটার উপরে এক পা দিয়ে দিলো। আমরা চুপচাপ ওর কর্মকাণ্ড দেখতে লাগলাম। মাঝি বলল- “মামা, করেন কি? জায়গায় বসেন, কিচ্ছু হইবো না। নড়াচড়া করলে নৌকা উলটাইয়া যাইবো”
এদিকে সাব্বির দাঁড়ানোর ফলে আমাদের নৌকাটা এক পাশে বেশী ভারী হয়ে অনেকখানি কাত হয়ে গেলো।
ফলাফল- ঝপাং. ……..
সাব্বিরকে দেখলাম, পানিতে পড়ে গেলো। পাড়ের কাছে থাকায় ডুবলো না, তবে বুড়িগঙ্গার পচা পানিতে ভিজে একাকার হয়ে গেলো। আমাদের নৌকা সুন্দরমতো পাড়ে ভিরলো। আমরা আস্তে আস্তে নেমে গেলাম। আমাদের প্রচণ্ড হাঁসিতে কেপে উঠলো বুড়িগঙ্গার পাড়। অতি-রসিক মাঝিটা দূর থেকে বলতে লাগলো- ‘মামা, দুই নৌকায় পা দিসেন, তো মরসেন’
সাব্বির দ্রুত হাটা ধরলো। আমরা পিছনে পিছনে।
“দুই নৌকায় পা দেয়া ঠিক না”- এ কথার সত্যতা স্বচক্ষে দেখতে পেলাম। মর্ম না বুঝলেও আমার কাছে ব্যাপারটা অনেক বেশী ফানি লেগেছিলো। সাব্বিরের এই ঘটনায় আমিই সেদিন সবচেয়ে বেশী হেসেছিলাম। আজও মনে পরলে হাসি পায়।
ছোটবেলায় এই প্রবাদটার... continue reading
বছরখানেক আগে, আমি এবং আমার তিন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম একটা নৌকা ভ্রমনে। গ্রামের বাড়ি নেই, তাই বুড়িগঙ্গার পচা পানির উপর নৌকা ভ্রমন করেই মনের শখ মিটাচ্ছিলাম। বেশ ভালয় ভালয় কাটলো পুরো ভ্রমন। সাতার কেউই তেমন জানতাম না তাই কিছুটা ভয়ের মধ্যে কাটলো। পাড়ের সামনে আমাদের নৌকাটা ভিড়বে, এমন সময় হঠাৎ বেশ বড় একটা ঢেউ এলো। ভয়ংকরভাবে দুলে উঠলো আমাদের নৌকা। ভয়ে আমার পেট মুচড়িয়ে উঠলো। মনে হচ্ছিলো- তীরে এসে তরী ডুববে। কলিজা গলায় এসে লাফাতে লাগলো। সবাই যার যার জায়গায় ষ্টীল হয়ে রইলাম। আমাদের ঘনিষ্ঠ দোস্ত সাব্বির, একটু বেশিই ভয় পেয়ে গেলো। সে আতঙ্কে উঠে দারালো। আমাদের নৌকার পাশ ঘেঁষেই তখন আরেকটা নৌকা যাচ্ছিলো। সাব্বির বাঁচার তাগিদে সেই নৌকাটার উপরে এক পা দিয়ে দিলো। আমরা চুপচাপ ওর কর্মকাণ্ড দেখতে লাগলাম। মাঝি বলল- “মামা, করেন কি? জায়গায় বসেন, কিচ্ছু হইবো না। নড়াচড়া করলে নৌকা উলটাইয়া যাইবো”
এদিকে সাব্বির দাঁড়ানোর ফলে আমাদের নৌকাটা এক পাশে বেশী ভারী হয়ে অনেকখানি কাত হয়ে গেলো।
ফলাফল- ঝপাং. ……..
সাব্বিরকে দেখলাম, পানিতে পড়ে গেলো। পাড়ের কাছে থাকায় ডুবলো না, তবে বুড়িগঙ্গার পচা পানিতে ভিজে একাকার হয়ে গেলো। আমাদের নৌকা সুন্দরমতো পাড়ে ভিরলো। আমরা আস্তে আস্তে নেমে গেলাম। আমাদের প্রচণ্ড হাঁসিতে কেপে উঠলো বুড়িগঙ্গার পাড়। অতি-রসিক মাঝিটা দূর থেকে বলতে লাগলো- ‘মামা, দুই নৌকায় পা দিসেন, তো মরসেন’
সাব্বির দ্রুত হাটা ধরলো। আমরা পিছনে পিছনে।
“দুই নৌকায় পা দেয়া ঠিক না”- এ কথার সত্যতা স্বচক্ষে দেখতে পেলাম। মর্ম না বুঝলেও আমার কাছে ব্যাপারটা অনেক বেশী ফানি লেগেছিলো। সাব্বিরের এই ঘটনায় আমিই সেদিন সবচেয়ে বেশী হেসেছিলাম। আজও মনে পরলে হাসি পায়।
ছোটবেলায় এই প্রবাদটার... continue reading
Comments (0)
আলমগীর ভাই কেমন আছেন ? খুব সুন্দর কবিতা। শুভেচ্ছা রইল।
জ্বি দাদা আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি
আপনি কেমন আছেন আর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন