Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

মাতুলনামা

আতাউর মামা। পিতা পুত্র সবারই মামা। তাকে ডাকার প্রয়োজন হলে ছোট বড় সবাই ‘মামা’ বলে ডাকে। এই ডাকের উৎপত্তি কীভাবে হল, কেউ জানে না। যারা তাকে এই নামে ডাকে, তারা কেউ তার ভাগ্নে নয়। আতাউর মামার কোন বোন নেই। তার ভাগ্নে আসবে কোত্থেকে? আগের জেনারেশন ‘মামা’ বলে ডেকে গেছে, বর্তমান জেনারেশনও ‘মামা’ বলে ডাকছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, আতাউর মামার বয়স অনেক। আশির কাছাকাছি তো বটেই। কিন্তু মামার দেহে কোন রোগ ব্যাধি নেই। এখনো তিনি উদ্দেশ্যহীনভাবে শহরের ভেতর বাইরে মাইলের পর মাইল হাঁটেন। আর তাকে চেনে না, এমন লোক এই শহরে প্রায় নেই বললেই চলে। পাতলা একহারা শরীর। মুখে সাদা দাড়ি। মাথার... continue reading

২৫ ৫৮৭

গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

১০ বছর আগে লিখেছেন

আলাপন

প্রতি শুক্রবার রাত ৩টায় আশফারিয়ার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঠিক ৩টায় ঘুম ভাঙ্গে এবং ৪টায় আবার ঘুম আসে। এই এক ঘণ্টা সে খবর শোনে। কোনও টিভি বা রেডিওতে নয়, ফাঁকা স্থান থেকে শব্দ আসে।
তার ঘুম ভাঙার পর সে শুনতে পায় দুটি শব্দ আলাপ করে। একটি শব্দ উত্তর দিক থেকে আসে এবং আরেকটি শব্দ দক্ষিণ দিক থেকে।
পৃথিবীর কোথায় কি কি গোপন ঘটনা ঘটেছে এই শব্দ দুটো তাই নিয়ে আলাপ করে। সকল গোপন কূটনীতিক খবর বা গোপন রুদ্ধদ্বার বৈঠক বা যা কিছুই সাধারণ জনগণের সামনে প্রকাশ করা হয় না তার সবগুলোই
এই শব্দ দুটি প্রতি শুক্রবার রাত ৩টায় আলাপ করে। একবার শব্দ দুটোর আলাপের মাঝখানে আশফারিয়া কথা বলেছিল, শব্দ দুটিকে একটা প্রশ্ন
করেছিল কিন্তু উত্তর ওরা দেয় না। এর আগেও বহুবার কথা বলেছিল কিন্তু শব্দ দুটি কোনও উত্তর দেয় না। তাদের আলাপেই মগ্ন থাকে।
তাই শব্দ দুটো আলাপ শুরু করলে আশফারিয়া আর কোনও কথা বলে না। খবর শোনার মতোই শোনে।
এক ঘণ্টা আলাপ করে ওরা চুপ হয়ে যায়। আর এক সপ্তাহ ঐ শব্দ দুটির কোনও খবর পাওয়া যায় না।

একবার আশফারিয়া তার বান্ধবী রুবাইদা কে এই ঘটনা বলেছিল। রুবাইদা শুনে বলল, তুই দেরী না করে দ্রুত একজন ভাল সাইকিয়াট্রিস্টের সাথে সাক্ষাৎ কর।
তারপর থেকে আশফারিয়া এই সব ঘটনা আর কাউকে বলে না। নিজে শুনে নিজের কাছেই রাখে। এই আলাপ গুলো শোনার জন্য সে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে। প্রতিবারেই নতুন খবর পাওয়া যায়।
আজ শুক্রবার কারণ রাত বারোটার আগে বৃহস্পতিবার ছিল।
ঠিক ৩টা বাজল। আশফারিয়ার ঘুম ভেঙে গেল। পরিবারের আর কারও ঘুম ভাঙেও না এবং তারা এই আলাপও শুনতে পায় না।
আজকেও শব্দ দুটি যথারীতি আলাপ শুরু করল।
শব্দ-১ জাপান থেকে একদল লোক এসেছে
শব্দ-২ কারা উনারা?
শব্দ-১ বাংলাদেশের জিরো পয়েন্টে মাটির নিচে একটা ডিভাইস সেট করেছে
শব্দ-২ কীসের ডিভাইস?
শব্দ-১ ওটা দিয়ে মানুষের মনে ঢোকা যায়
শব্দ-২ কি করে?
শব্দ-১ ডিভাইসটা মাটির নীচে সেট করেছে কেন বলত?
শব্দ-২ আমিতো সেটা জানিনা
শব্দ-১ মাটিতে যতো মানুষ যাতায়াত করে কিংবা রাস্তায় যতো যানবাহন চলাচল করে প্রত্যেককে ওটা কানেক্ট করে
শব্দ-২ ঐ ডিভাইসটা?
শব্দ-১ বলছি কি এতক্ষণ?
শব্দ-২ তারপর?
শব্দ-১ আরেকটা ডিভাইস বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ভবনের ছাদে সেট করা হয়েছে।
শব্দ-২ কেন?
শব্দ-১ এটা আকাশ পথের সব যানবাহনকে কানেক্ট করে
শব্দ-২ ও
শব্দ-১ পানি পথে যাতায়াত করে এমন যানবাহনে কানেক্ট করার জন্য বঙ্গোপসাগরে একটা ডিভাইস আছে
শব্দ-২ তাই নাকি?
শব্দ-১ কানেক্ট করার পর ডিভাইসটা সেন্সরের মাধ্যমে মানুষের মনে ঢুকে যায়।
শব্দ-২ তাই নাকি?
শব্দ-১ গতকাল ওরা আক্তার নামের এক মানুষের মনে ঢুকেছিল
শব্দ-২ তারপর?
শব্দ-১ একে একে মনের ভেতরে জমে থাকা অতীতের সকল স্মৃতি ভিডিও করেছে
শব্দ-২ এ কি বলছ?
শব্দ-১ আশ্চর্য জনক অনেক কিছু বেরিয়ে এসেছে
শব্দ-২ কি বেরিয়ে এসেছে?
শব্দ-১ এমন কিছু আছে যা ভাবা যায় না।
শব্দ-২ আর কারও মনে ঢুকেছিল?
শব্দ-১ গত রবিবার বাংলাদেশের এক লাখ মানুষের মনে ঢুকেছিল
শব্দ-২ কি পেল?
শব্দ-১ তিনশ আটচল্লিশ জন মানুষ অন্যকে মার্ডার করার পরিকল্পনা করছিল
শব্দ-২ আর?
শব্দ-১ পরকীয়ায় জড়িত পঞ্চাশ হাজার দু'শ মানুষ দৈহিক সম্পর্ক নিয়ে ভাবছিল
শব্দ-২ তারপর?
শব্দ-১ নয় হাজার আট'শ বাইশ জন অন্যান্যদের অর্থ আত্মসাৎ করার কৌশল নিয়ে ভাবছিল
শব্দ-২ আর?
শব্দ-১ দুই জনের স্ফটিক রঙের মন পাওয়া গেছে
শব্দ-২ তার মানে এই দুই জন কি ভাল মানুষ?
শব্দ-১ নয় জন মানুষের মনের কোনও রঙ পাওয়া যায় নি
শব্দ-২ এরা কি মোনাফেক?
শব্দ-১ পাঁচ জনের মনে ঢোকা যাচ্ছিল না
শব্দ-২ কেন?
শব্দ-১ কারণ জানা যায় নি
 
 
আলাপন-৪
আলাপন-৩
আলাপন-২
আলাপন-১ continue reading

১৪ ৩৭২

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

লুকোচুরি

শফিক সাহেব রাতের খাবার খেয়ে বারান্দায় বসেন। বারান্দায় বসার কারণ তার ঘরে বসে সিগারেট খাওয়া নিষেধ। নিষেধ করেছেন তার স্ত্রী। সিগারেটের গন্ধে তার নাড়িভুঁড়ি নাকি উল্টে আসে। তার চেয়েও বড় সমস্যা হচ্ছে কথা। তার স্ত্রী কড়া কড়া কথা শোনান। তার কড়া কথা শুনতে ভালো লাগে না। তার বারান্দায় বসে সিগারেট টানতে ভালো লাগে। তবে আজ ভালো লাগছে না। সমস্যা হয়েছে। সমস্যা মানেই টেনশন। শফিক সাহেব টেনশনে আছেন। টেনশনের কারণ হচ্ছে অর্পা। অর্পা তার মেয়ে। একমাত্র মেয়ে। একমাত্র মেয়েকে যেমন আদর দিয়ে ঘিরে রাখা হয় তিনি তা করেননি। আরও এক ডিগ্রি বেশি করেছেন। তিনি আদর দিয়ে মেয়েকে বাক্সবন্দী করে রেখেছেন।... continue reading

২৭ ৪৪৫

রাজীব নূর খান

১০ বছর আগে লিখেছেন

একটি পিশাচ এর আত্মকাহিনী

উইকিপিডিয়া'তে লেখা আছে- ''পিশাচ একধরনের রূপকথার দানব যে মানুষের মৃতদেহ ভক্ষণ করে।এই প্রাণী কবরের মধ্যে বাস করে বলে মনে করা হয়।'' আমি একজন পিশাচ। কিন্তু কেউ দেখে বুঝতে পারে না। সবাই মনে করে- আমি একজন আধুনিক সহজ সরল মানুষ। মানব সমাজে বাস করার এই এক মজা। তারা উপরের চাকচিক্য দেখেই- বাহবা দেয়। যাই হোক, আমি আগে পিশাচ ছিলাম না। খুব সাধারণ জীবন-যাপন করতাম। সেই জীবনে কোনো আনন্দ ছিল না। রোমাঞ্চ ছিল না। পিশাচ হওয়ার পর হঠাত জীবন হয়ে গেল দারুন আনন্দময়। এক আকাশ সমান সাহস বেড়ে গেল। আগে রাত্রেবেলা বাথরুমে যেতেও ভয় পেতাম। আর এখন মধ্যরাতে কবরস্থানে বসে থাকলেও... continue reading

৯৯৮

মামুন ম. আজিজ

১০ বছর আগে লিখেছেন

আলোকচিত্রী (ছোট গল্প)

ছবি কথা বলে, কিছু ছবি খুব প্রাণবন্ত। এমন কিছু ছবি থাকে যা নাড়া দেয় নিঃশ্বাসের পথ ধরে খুব গভীরে। গুমোট কষ্ট নিয়ে মনটাকে অদৃশ্য অনুর টানে সংকুচিত করে, নিষ্পেষিত করে, মনে হয় হঠাৎ প্রচন্ড শীত জেগে ওঠে তারপর ছবিদৃশ্য মনকে চাদর, কাঁথা, লেপ প্যাঁচিয়ে জরসর হয়ে টানছে ভেতরে কোথাও এক নিবিড় শূন্যতায়। যে শূন্যতায় যে কেউ হারাতে পারে। ছবি এক নিগুঢ় ইতিহাস।
       ছবি পাগল ছেলে নিমিখ, ছবির প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা। ছবি নিয়েই তার জীবন, ছবিতেই খুঁজে ফেরে সুখ আর বেদনার উপাত্ত। জীবনে অনেক ছবি তুলেছে, এখনও তুলছে, তবুও মন ভরে নি, অনেক ইতিহাস তার হাতেই চিত্র বন্দী হয়েছে, তবুও তার বুক... continue reading

১৪ ৫২৯

রুদ্র আমিন

১০ বছর আগে লিখেছেন

মনের অব্যক্ত বাসনা

আকাশ কে……………?
হয়তবা আমরা কেউ তাকে চিনি না বা জানি না
অবশ্য চেনার কথাও না কারন,
সে তো আর কোন বিখ্যাত কেউ না
যে তার নাম ছাপা হবে কোন পত্রিকার পাতায়..
বা তাকে নিয়ে মিউজিক ভিডিও বানাবে কোন স্যাটেলাইট চ্যানেল।
সে যদি নজরূল হতো তাহলে হয়তো তাকে জানা যেত
কিংবা শাহরুখ খান হলেও ছবি দেখা যেত ভিডিও এর মাধ্যমে,
কিন্তু সে এসবের কিছুই নয়; সে একজন মানুষ
ক্ষত বিক্ষত একজন মানুষ
রাত গভীর হলে যার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে।
মাঝে মাঝে কার কার কথা ভেবে মাথাটা “ আউলা ঝাউলা ” করে ফেলে ?
কিছু দিন আগে বাংলাদেশের কোন এক জেলা শহরে তার সাথে আমার পরিচয়…………
নেশার... continue reading

৪১৯

জাকিয়া জেসমিন যূথী

১০ বছর আগে লিখেছেন

ফেসবুক বন্ধুতা

 

 
গল্পের প্রথম পর্ব এইখানে 
গল্পের দ্বিতীয় পর্ব এখানে 
গল্পের তৃতীয় পর্ব এখানে 
 
শেষ পর্বঃ 
লোকটাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে যখন কিছুতেই ক্ষ্যান্ত করতে পারলো না, ও তখন ফেসবুক ওয়ালে একটা নোটিশ দিয়ে দিলো-“বন্ধুরা, আমি একটি বিপদে পরেছি। আমার অনুমতি ছাড়া একটি ভিডিওতে সরল আহমেদ নামের এক তরুন আমার ছবি এটাচ করেছে। কিভাবে এ থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়? সাহায্য করুন। প্লিইইইজ!”
একই ধরনের ম্যাসেজ ঐ ভিডিওটির নিচে অন্য যারা কমেন্ট করেছে সেখানেও সে দিয়ে দিলো যাতে ঐ লোকের বন্ধুরাও জেনে যায় বিষয়টা। ফেসবুক একাউন্টে হেল্প অপশনে গিয়েও একটা ডায়রী করলো।
এর মধ্যে সরল আবার অফলাইনে। যখন অনলাইনে আবার তাকে দেখা গেলো, সামান্থা বুঝে গেলো এই লোককে শায়েস্তা করতে অন্য পথ ধরতে হবে! তাতে কাজ হলে হতেও পারে! লোকটা যা করেছে তা এক ধরনের প্রপোজালই বলা যায়! অদ্ভূত ভিন্নতা সে আবেদনে!
সে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে আবার ম্যাসেজ দিলো লোকটাকে। “আপনি যে কাজটা করেছেন, একটু ভেবে দেখুন তো, আমার হাজবেন্ড দেখলে সে কি মনে করবে?”
এরপর অনেকক্ষণ কোন রিপ্লাই নেই। এর আগে বেশ কিছুক্ষণ মেসেজ-পাল্টা মেসেজ দেওয়া-দেওয়ি চলছিলো। মেসেজের জবাব আসার অপেক্ষা করতে করতে সে আবার চেক করে দেখলো ভিডিওটা। ভালো করে খুঁটিয়ে দেখার পরে সারাদিনের তীব্র মাথার যন্ত্রণাটা দূর হয়ে গেলো। এতক্ষণ যেমন মনে হচ্ছিলো বুকের ভেতরে কেউ ছুরি চালিয়ে দিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে ছুরিটা যেন কেউ বের করে নিয়েছে বিনা ব্যাথায়।শেষ ট্রিকসটা কাজে লাগলো তাহলে! ওকে ম্যারিড ভেবে সরলের প্রেম উধাও! সারাদিন অনেক কড়া কড়া কথা শুনিয়ে ফেলেছে লোকটাকে। রাগে। তা না করেই ওর উপায় কি ছিলো! লোকটার যদি ওকে ভালো লেগেই থাকে অন্য কোনভাবে জানাতে পারতো সেটা। তা না করে যেটা করেছে তা খুবই অবিবেচকের কাজ! একটা ভদ্র ঘরের মেয়ের সম্মান জড়িয়ে আছে যেখানে! এটা সে বুঝবেনা? ও তো কোন মডেল বা সেলিব্রেটি নয়। ওর ছবি কেন একজন অচেনা ছেলের সাথে ভিডিওতে থাকবে!!
এখন বিপদ কেটে যেতেই লোকটাকে ধন্যবাদ জানাতে ইচ্ছে করলো। হাজার হোক ও তো অভদ্র নয়। ওর ম্যাসেজ এর উত্তর এলো, “উফ্! আপনি একটা অসহ্য! ক্যানো জ্বালাচ্ছেন?”
কয়েক সেকেন্ড পর ফেসবুক এর অন্যান্য বন্ধুদের প্রোফাইল ঘুরে এসে ওর বলতে ইচ্ছে হলো, “আমি কোথায় আপনাকে জ্বালিয়েছি! আপনিই তো সারাদিন আমাকে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে রেখেছেন!”
কিন্তু, ওই লোকের নামে ক্লিক করে মেসেজ দিতে চেয়ে দেখা গেলো, লোকটা ওর ফ্রেন্ড লিস্টে নেই। নিজেই ওকে ডিলিট করে দিয়েছে। সামান্থার মুখের কোণে মুচকি হাসি দেখা গেলো।
“যাক্ বাবা বাঁচা গেলো! জঞ্জাল নিজেই পথ পরিস্কার করে বিদায় নিয়েছে।”
 
পরিশেষঃ এই ঘটনার পর সহজ সরল মেয়ে সামান্থার একটা উচিত শিক্ষাও হয়েছে। “লোকটার অবশ্যই কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিলোই। নইলে নিজে বন্ধুতার অনুরোধ না পাঠিয়ে কেন ওকে দিয়েই সেটা করিয়ে নিয়েছিলো! আর এক রাতের মধ্যেই এমন একটা অঘটন কেন ঘটিয়েছিলো!” অনেক ভেবেও এর কোন সদুত্তর পায়নি ও। তবে, এরপর থেকে ও আর অচেনা কাউকে ওর ফ্রেণ্ড লিস্টে যোগ করেনা। এমনকি ওর ফেসবুক এর সমস্ত জায়গায় ও কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করে নিয়েছে। অর্থাৎ, রেস্ট্রিকশন দিয়ে দিয়েছে যেন ইচ্ছে করলেই একেবারে ঘনিষ্ঠ বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন ছাড়া কেউ আর ওকে বাইরে থেকে দেখতে না পায় বা ওর সম্বন্ধে বেশি কিছু তথ্য না পায়। আর নিজের অনেক ছবি ও ব্যক্তিগত তথ্যও ও ফেসবুক থেকে মুছে ফেলে বাস্তব জীবনের সাথে ভার্চুয়াল জীবনের একটা সীমারেখা টেনে নিয়েছে। এই একটি ঘটনা ওর সরল সাধারণত্ব পালটে ওকে অনেক কঠিন করে দিয়েছে। এখন আর ইচ্ছে করলেও ফেসবুক বা অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত অনেক কিছুই শেয়ার করা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে।
 
(সমাপ্ত) 
  continue reading

১২ ৪৭৮

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প

সুখ কোথায় থাকে জানি না? তবে দুঃখের সাথে তার সন্ধি চির দিনের। ভাগ করে খেতে আসে আমাকে। একবার তৃষ্ণায় আরেক বার জলে ডুবিয়ে মারতে চায়। কখনো পুর্নিমা আর কখনো অমাবস্যা। মনের বনে লেগেছে গ্রহন। টুনটুনি বলল কোথাও ঘুরে আস। পাহাড় কিংবা নদীর কাছে। পাহাড় তো নেই। তাহলে নদী। কোথায় পাব তারে। মটর সাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। হঠাৎ মনে আমার এক বিশেষ দিনে নন্দিনি বলেছিল তোমাকে নিয়ে আশুলিয়া যাবো। এর পর থেকে তার ব্যস্ততা ছুটি দেয়না। আমাকে নিয়ে আর আশুলিয়া যাওয়া হয় না। হয়তো তার সাথে আর কোন দিন যাওয়া হবেও না। থাক আমি একাই যাই। যেই ভাবা সেই কাজ।... continue reading

১১ ৫৫৭

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

ব্যাধি

দুরারোগ্য ব্যাধি হচ্ছে সেই ব্যাধি যার কোন চিকিৎসা নেই। ক্লাশ টেনের আর্টস বিভাগের সাধারণ বিজ্ঞান বইয়ে জনসংখ্যা ও পরিবেশ চ্যাপ্টারে এমনই লেখা। ছাত্রীকে পড়াতে গিয়ে শাহেদ থমকে গেছে। সে নড়াচড়া করছে না...

-কি হল স্যার?
-ব্যাধি।
-মানে?
-দুরারোগ্য ব্যাধি।
-এইডস!
-নাউজুবিল্লাহ!
-সূচ বা সিরিঞ্জের মাধ্যমেও এইডস ছড়ায়। শুধু শুধু নাউজুবিল্লাহ বললেন কেন?
-সরি।
-কথায় কথায় সরি বলবেন না। আপনার হয়েছে কি?
-দুরারোগ্য ব্যাধি।
-ব্যাধির নাম কি?
-ব্যাধির নাম 'মন খারাপ'।
-আপনার মন খারাপ?
-হ্যা।
-দেখলে তো মনে হয় বিশাল আনন্দে আছেন।
-ও আচ্ছা।
-ডাক্তার দেখান।
-কি দেখাবো?
... continue reading

৩৯৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

নরক থেকে ফেরা

এটি একটি শোনা কাহিনী। আমি নিজেই বিশ্বাস করিনি। তাই অন্যদের বিশ্বাস করানো প্রায় অসম্ভব। তবে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস থেকে নয়, মহামতি সেক্সপিয়রের অমর বানী ‘দেয়ার আর মেনি থিংস ইন হেভেন এ্যান্ড আর্থ.........’ স্মরণ করে কাহিনীটি লিখে ফেললাম। আশা করি, আমার মতো আপনারাও বিশ্বাস করবেন না।
আমাদের এই শহরে ‘ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউট’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে (রুয়েট নয়)। জমি জমা জরীপ এবং হাল্কা প্রকৌশল বিষয়ে শিক্ষা দানের জন্য সরকারি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ব্রিটিশ আমলে ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। আমি যে সময়ের কথা বলছি, সেটি সম্ভবতঃ ১৯৬৯ সালের ঘটনা। কাশেম নামে একটি গ্রাম্য ছেলে এই প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করতো। তখন এই... continue reading

২৮ ৬১৯