Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

১০ বছর আগে লিখেছেন

ফিরে আসে মুহূর্ত'রা

মুহূর্ত'রা এখন তোমার
তৈরি থেকো যে কোনও সময়ে
আসবে ডাক ঝাঁপিয়ে পড়ার।
যুগে যুগে ঘুরে ঘুরে
সভ্যতার সীমানা পারিয়ে
অসভ্যদের হিংস্র থাবাগুলো যখন
মনুষ্যত্বের গলা চেপে ধরে
এ মুহূর্ত'রা তখন ফিরে আসে বারে বারে।
মুহূর্ত'রা এখন তোমার
নিষ্পেষিত মানুষের কান্না থামাবার।
সতেরশো উনো নব্বইয়ের এর ১৭ই জুন
এ মুহূর্ত'রা বুর্জোয়াদের বিরুদ্ধে নেমে এসেছিল
প্যারিসের টেনিস কোর্টে
লাখ লাখ সাধারণ মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল
"স্বাধীনতা-সমতা-ভ্রাতৃত্ব অথবা মৃত্যু"
এই শপথ গ্রহণ করে
বুর্জোয়াদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছিল।
আঠারো-শো ছিয়াশি সালের ১লা মে
শ্রমিকদের যখন মেশিনের মতো উৎপাদন-যন্ত্র
বানানোর জন্য চলছিল ষড়যন্ত্র
এই মুহূর্ত'রা তখন নেমে এসেছিল
শিকাগোর হে-মার্কেট স্কয়ারে
হাজার হাজার শ্রমিক সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়ে
শ্রমিকদের মানুষের মর্যদা দিয়েছিল।
উনিশ্য বাহান্ন সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি
মায়ের ভাষা কেড়ে নেওয়ার জন্য
যখন ষড়যন্ত্র চলছিল
এ মুহূর্ত'রা তখন নেমে এসেছিল
রফিক বরকত'রা সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়ে
বাঙলার বুকে বাঙলা ভাষাকে আগলে রেখেছিল।
এ মুহূর্ত'রা এখন তোমার
তৈরি থেকো যে কোনও সময়ে
আসবে ডাক ঝাঁপিয়ে পড়ার।
উনিশ্য একাত্তর সালের ২৫শে মার্চ
এ মুহূর্ত'রা বাংলার ঘরে ঘরে এসেছিল
সকল বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল
আকাশে বাতাসে মানুষের আর্তনাদ ছিল
তিরিশ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিল
শুধু কিছু বাঙালীর বাঙলা শত্রুরা হেসেছিল
তবুও পরাধীনতা থেকে বাঙলাকে মুক্ত করেছিল।
উনিশ্য সাতাশি সালের ১০ই জুন
স্বৈরাচারের আস্ফালন দিয়েছিল মাথাচাড়া
আর নেমে এসেছিল এ মুহূর্ত'রা
খালি গায়ে বুকে-পিঠে স্লোগান লিখে
মুক্তিকামী জনতা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল
এবং স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছিল।
দুই হাজার বারোর ৩০ জানুয়ারি
মুদ্রা শোষকেরা যখন এ দেশের মধ্যবিত্ত মানুষের
জীবনের জমানো সবটুকু সঞ্চয় শুষে নিচ্ছিল
গোপীবাগের লিয়াকত আলী সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়ে
মুদ্রা শোষকদের নিস্তব্ধ করেছিল।
যুগে যুগে এ মুহূর্ত'রা আসে ফিরে ফিরে
রক্তচোষা রাক্ষসেরা... continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

১০ বছর আগে লিখেছেন

সময়

যে সময় বয়ে যায় তা আসে কোথা হতে?
কোথায় সে যায়?
চলে গেছি বহুদূর আমি তা খুঁজতে খুঁজতে।
সময় চলে যায়
সময় হয়ত আছে পৃথিবীতে
যদিও সে থাকে-থাকুক
আমাদের কি আসে যায়?
আমি দেখেছি সময় বয়ে চলে যায় না
দেখেছিলাম সে আছে স্থবির হয়ে
সেই কবে থেকে কেউ জানেনা
থাকনা সে স্থবির হয়ে
তার মাঝে। কেন আমরা তাকে
টেনে এনে ভাগ করলাম চব্বিশটা ভাগে
অতঃপর একটা ঘড়ির ভেতর আটকে
কেন বন্দী করতে চাই তাকে?
পৃথিবীর আহ্নিক গতি দিন কে করে রাত
আর বার্ষিক গতি মাস কে করে বছর
তাতে সময়ের কি আসে যায়?
কেন আবার তাকে ষাট দিয়ে ভাগ
করে বানাই ঘণ্টা,মিনিট বা সেকেন্ডের ঝাঁক?
সেকেন্ড মিনিট ঘণ্টা চলে যাক-না
মাস বছর যুগ চলে যেতে থাক-না
ঘুরুক পৃথিবী নিজে কিংবা তার কক্ষপথে
ঘুরুক না সূর্য নিজে কিংবা সবার সাথে
তাতে সময়ের কি আসে যায়
সময় কি তাতে বয়ে চলে যায়?
যেখানে সূর্য নেই -ঘড়ি নেই
চব্বিশ কিংবা ষাট ভাগ নেই
মহাশূন্য ছাড়িয়ে যেখানে আলো নেই
দিন-রাত মাস-বছর কিংবা কল্পনা-চেতনা নেই
সময় কি সেখানে নেই?
সময় বলে যদি কিছু থাকে-থাকুক-না ঠায় দাঁড়িয়ে
যার নিজের অস্তিত্ব নেই সে কিভাবে যাবে ফুরিয়ে?
পরিবর্তন হয় সাগরের, পাহাড়ের আর সভ্যতার
ছন্দ আসে শহরের, জীবনের আর বিলাসিতার
জীবন আসে জীবন চলে যায়
তাতে সময়ের কি আসে যায়?
যদি সময় গিয়ে মিশে থাকে কালে
আর কাল যদি মিশে থাকে মহাকালে
তাহলে বিগ-ব্যাং কিংবা মহাকালের আগে
সেই যে সময় শুরু হওয়ার আগে থেকে
যে... continue reading
Likes ১৪ Comments
০ Shares

Comments (14)

  • - জুলিয়ান সিদ্দিকী

    সুন্দর ভাবনা। যার পরিণতি আর পূর্ণতা তোর গল্প কথাটাতে।

    • - অয়ন আবদুল্লাহ

      ভাবনাগুলো জীবন থেকেই নেয়া... জীবনের এক একটা গল্পের আঁশ ভেঙ্গে বের করা।
      ধন্যবাদ, ভাই...

    - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    ভালো লাগলো। আসলে সব মানুষের জীবনেই গল্প আছে, এটা ঠিক। ধন্যবাদ, নীল আকাশের কাক।

    • - অয়ন আবদুল্লাহ

      আপনাকেও ধন্যবাদ...

    - সনাতন পাঠক

    চমৎকার। শুভেচ্ছা দাদা, ভাল লাগা রইল।

    • - অয়ন আবদুল্লাহ

      অনেক ধন্যবাদ, দাদা...

    Load more comments...

গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

১০ বছর আগে লিখেছেন

বেনামীণির প্রতি

 
তোমার দৃষ্টি আকাশে সূর্যকে দিয়েছে স্থান
তোমার মায়াবী চাহনি রাতের আকাশের
পূর্ণিমাকে করে দেয় ম্লান
তোমার হাসি যেন বর্ষার নদী
ঐ ঠোট যুগল যেন রক্ত-করবী
তোমার রূপ পুরাতন পৃথিবীকে করেছে নতুন পৃথিবী
তোমায় দেখে জন্ম নিয়েছে অনেক কবি
রচনা করেছে অনেক কাব্য, এঁকেছে তোমার ছবি।
ওগো আমার প্রেয়সী
আমি তোমারই কাছে এসেছি
এই নাও সহস্রাব্দের জমানো ভালবাসা
এই নাও আমার সবটুকু হৃদয় সবটুকু আশা।
শুধু তোমাকে পাবার জন্য
আমি জন্ম নিয়েছি বারে বারে
শত শত বার এই পৃথিবীতে এসেছি ফিরে
জমিয়ে রেখেছি ভালবাসা সহস্রাব্দ ধরে।
এসো! এসো আমার বুকে
চোখ রাখো আমার চোখে
শান্ত করো সহস্রাব্দের জ্বালা যন্ত্রণা
আমি যে আর সইতে পারছি না।
আর যদি না আসো তুমি
ওগো বেনামীণি
যদি না তাকাও আর আমার পানে ফিরে
যদি সূর্যকে আকাশ থেকে দাও সরিয়ে
পূর্ণিমা যদি আর রাতের আকাশে না ওঠে
রক্ত করবী যদি আর না ফোটে
যদি বৃষ্টি আর না আসে নদীতে
যদি নতুন পৃথিবী আবার ফিরে যায় পুরাতন পৃথিবীতে
তবুও তোমায় আমি যাব আমি ভালবেসে
বার বার এই পৃথিবীতে ফিরে এসে এসে
হয়তো আবারও অপেক্ষার প্রহর শুরু করে
জমিয়ে রাখব ভালবাসা সহস্রাব্দ ধরে।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - সনাতন পাঠক

    ভাল খবর। ধন্যবাদ দাদা।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    তাইলেতো এইবার ভালোই বইমেলা জমবে আশা করতেছি।

    - ওয়াহিদ মামুন

    আনন্দের খবর।

     

    Load more comments...

গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

১০ বছর আগে লিখেছেন

নারী

নারি হয়ে নাড়ির বাধনে নারী রূপে
আটকে রাখলে পৃথিবীকে
তিন জীবনে তাইতো খুঁজে পেলাম
মা, স্ত্রী আর মেয়েকে।।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - মাসুম বাদল

    চমৎকার... 

    • - চারু মান্নান

      ধন্যবাদ কবি ভাই,
      মাঘের মৌনতা ভাঙে,পানকৌড়ির ডুবসাঁতারে!

    - আলভী

    অনেক ভাল লাগার কবিতা। ধন্যবাদ।

    • - চারু মান্নান

      ধন্যবাদ ভাই,
      মাঘের মৌনতা ভাঙে,পানকৌড়ির ডুবসাঁতারে!

    - ইকবাল মাহমুদ ইকু

    চারু ভাই... অনেক ভালো লাগলো 

    • - চারু মান্নান

      ধন্যবাদ কবি ভাই,
      মাঘের মৌনতা ভাঙে,পানকৌড়ির ডুবসাঁতারে!

    Load more comments...

গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

১০ বছর আগে লিখেছেন

দাদু বোঝে না

 
কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে থরে থরে
তাই ওটা খেলে গলা ধরে
কিন্তু এটা দাদু বোঝে না
তিনি বলেন, ওরে! যারা কাইজা করে
শুধু তাদেরই গলা ধরে।
ইদানীং আমার ঘুম হয় না
কারণ আমার মাঝে
ট্রিপ্টোফ্যান নামক এক ধরনের
এমাইনো এসিডের অভাব আছে,
যার ফলে সেরোটোনিন নামক
নিউরোট্রান্সমিটার হ্রাস পেয়েছে
কিন্তু এটা দাদু বোঝে না।
তিনি বলেন, ওরে! হাম্বল বুরুজের মধ্য দুপুরে
একাকী পথ চলবার সময়ে সাত রাস্তার পারে
জ্বালিষ্ঠ দানবের নজর পড়েছে
সাথে লোলুপ জীনের আসড় আছে
তাই ঘুম হয় না।
আমি বললাম, দাদু! ডাক্তারের কাছে গিয়েছি
তিনি বললেন, ও সব কিছু হবে না রে!
দবির হুজুরের কাছে যেতে বলেছি
সাদা মোরগের রক্তে জাফরান কালি মিশায়ে
তাবিজ লিখে দিবে রে!
বাজুতে বেঁধে রাখবি
সব ঠিক হয়ে যাবি।
দাদুকে বললাম তোমার চুল পেকেছে
কারণ মেলানিন নামক হরমোন কমেছে
দাদু বলেন, ওরে!
কবরের ডাকে
চুল পাকে।
দাদু পাজামা বোঝে কিন্তু জিন্স প্যান্ট বোঝে না
হা-ডু-ডু বোঝে, লেগ স্পিন বোঝে না
ভাটিয়ালী বোঝে কিন্তু মেটালিকা বোঝে না
দুধ বোঝে,কফি বোঝে না।
আমি দাদুকে বলেছি,
দাদু! বর্তমানকে বুঝতে চেষ্টা কর
কারণ আমরা সব সময়ই বর্তমানে থাকি।
তিনি বলেন, অতীতকে কেন হেলা কর
আমরা এসেছিই অতীত থাকি।
continue reading
Likes ১৬ Comments
০ Shares

Comments (16)

  • - আলভী

    অনেক ভাল লাগার গল্প। ধন্যবাদ প্রিয় সাদিয়া।

    • - সুলতানা সাদিয়া

      ধন্যবাদ আপনাকেও.........

    - ঘাস ফুল

    দুইটি ভিন্ন জীবনের করুণ কাহিনীকে যা হয়তো বাস্তবতারই রূপক, সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে পরিপূরক মৃত্যু দিয়ে শেষ করলেন অসাধারণ কাহিনী বিন্যাস, চমৎকার বর্ণনা আর দক্ষ শব্দ গাঁথুনিতে। পৃথিবীর অলিখিত নিয়মে সবাই স্বজাতির প্রতি কিছুটা পক্ষপাত দুষ্ট হয়, স্বজাতির প্রতি আলাদা একটু বেশী ভালোবাসা দেখায়, মায়া মমতা দেখায়, মানবতা দেখায়। মানুষ হওয়া সত্ত্বেও মানুষগুলো পিনুর প্রতি কোন মনুষ্যত্ববোধ দেখাল না, মানবতার হাত বাড়াল না, তারা তাদের মানবতা দেখাল কুকুরগুলোর জন্য শুধু। লেখিকা খুব সুচারু ভাবে ওই মানুষগুলোকে কুকুরের স্বজাতি হিসাবে গল্পে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। পিনুর মতো মানুষদের যারা কুকুরের চাইতেও নিকৃষ্ট ভাবে। শীতার্ত মানুষের অমানবিক করুণ চিত্রের সাথে অমানুষদের মুখোশটাও আপনি উন্মোচন করে দিয়েছেন। অসম্ভব ভালো লাগলো সাদিয়া। 

    • - সুলতানা সাদিয়া

      আপনার মত এমন নিষ্ঠাবান পাঠক হতে পারি না দেখেই হয়তো জুলিয়ান ভাইয়ের কথামত আগের মানে লিখতে পারি না। সুলেখক ও পাঠক ভালো খাকুন, নিরাপদে থাকুন।

    - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    গল্প ভালো লাগলো। ধন্যবাদ, সাদিয়া সুলতানা।

    • - সুলতানা সাদিয়া

      ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার........আমার পাতায় আপনার ঘুরে যাওয়া, আমার অনুপ্রেরণা...........

    Load more comments...
Load more writings...