Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

তৌফিক মাসুদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

অপদস্ত

সেই যে গম চোর ছেনু মিয়া আজো নিজের চরিত্রের পরিবর্তন করতে পারেনি, বরং তার চুরির মাত্রা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এখন যেকোনো কাজেই তার ভাগ চাই। আর চাওয়াটাও অভিনব, কাছে না আসলে কেউ বুঝবেনা আসলে সে চাঁদা চাইছে না সমাজ সেবার জন্য টাকা তুলছে।  নানা উপায়ে উপার্জন করা টাকাগুলোর একটা বড় অংশই সে ভোট রাজনীতির জন্য রেখে দিত, আর বাকিটা দিয়ে এলাকায় বখাটেদের নিয়ে নষ্টামি করত। স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের থেকে শুরু করে একেবারে চল্লিশঊর্দ্ধো মহিলা পর্যন্ত কেউই ছার পেতনা। যদিও সে ছিল বিবাহিত। একটা পাকা বদের হাড় ছেলেও জম্ম দিয়েছে। যাকে সে কোন শাসন করেনা, সাত বছর বয়সেই সে নিজের... continue reading

১৯ ৩৮৮

আল ইমরান

১০ বছর আগে লিখেছেন

এর পরের ঘটনা কি হতে পারে?

দ্রুত হাতে টাইয়ের নট বাঁধতে বাঁধতে একবার ঘড়ির দিকে চট করে চোখ বুলিয়ে নিলাম, আজ অফিসে পৌছুতে দেরি হয়ে যাবে, বসের ঝাড়ি খাওয়া ঠেকানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না। টাইয়ের নট বাঁধা শেষ করে দ্রুত নাস্তার টেবিলে পৌঁছে গেলাম। স্রেফ এক গ্লাস দুধ খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। হিসেবে রাস্তায় বেশ জ্যাম থাকার কথা এখন। বাসা থেকে মেইন রাস্তায় উঠে এদিক সেদিক তাকিয়ে কোন গাড়ির চিহ্ন দেখছিনা। একটা সি.এন.জি ঠিক করে অফিসের দিকে রওয়ানা হয়ে গেলাম। গাড়িতে বসেই সুহানার ফোন পেলাম, “তুমি আজ বিকেলে আসছ তো?” সুহানার গলায় আহ্লাদী সুর। ভাবলাম একবার, সুহানাকে মানা করে দেই, তারপরও কি মনে করে সম্মতি দিলাম।... continue reading

২৩ ৫৫২

নাজনীন পলি

১০ বছর আগে লিখেছেন

শহরে নতুন যুবক ( সায়েন্স ফিকশন )

( ১০ )
  জিহানের আর মাত্র দুই  দিন বাকি আছে । এ দু’দিনে সে মিশন শেষ করবে আর অতীত পরিভ্রমণ মেশিন এসে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ।
ছায়েরা আর তার বাবা জিহানকে সাহায্য করবে বলেছে। জিহানকে পুলিশ যেন খুঁজে না পাই তাই ছায়েরার বাবার অফিসের গুপ্ত ঘরে জিহানকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে ।
ছায়েরা দিনরাত পরিশ্রম করে একটা আর্টিকেল লিখেছে “ ভালবাসা বনাম মেশিন” শিরোনামে ।
 ছায়েরা আর তার বাবার মতে , একটি ভ্রূণ সৃষ্টি হয় নারী পুরুষের ভালবাসার মাধ্যমে । মাতৃগর্ভে ভ্রূণটি মায়ের শরীর থেকে খাদ্য গ্রহন করে বেড়ে উঠতে থাকে । শুধু মায়ের  খাদ্যই  না তার ভাল মন্দ লাগার... continue reading

৩০ ৪৯৯

মোঃ খালিদ উমর

১০ বছর আগে লিখেছেন

কে আমি? (শেষ পর্ব)

৪।
গোসল সেরে তেল পানি নিয়ে মাথা আঁচড়ে ফটিক মামার সাথে খাবার টেবিলে বসল। বড় ভাবী পাশে বসে। লাল শাক, ভাজা মেনি মাছ, টাটকিনি মাছের ঝোল, গরুর মাংস আর ডাল দিয়ে হাপুস হাপুস খাবার ভঙ্গি দেখে ভাবি আর হিরণের চোখে চোখে অনেক কথা হল কিংবা অল্প কথায় অনেক বেশী ভাব আদান প্রদান হল।
হিরণ জিজ্ঞেস করল-
কিরে ফটিক কেমন লাগছে?
মামি, খুব মজা! আপনেরা কি এমনেই খান পরতি দিন? আমি কি এই গুলা জীবনে দেখছি? কুন দিন ইকটু ডাইল, কুন দিন ইট্টূ আলু ভর্তা এই পাইলেই হাজার শোকর। কুন দিন তো দোহানে মাইনসেরে খাওয়াইয়া কিছু বাঁচলে তাই... continue reading

৯১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

একজন উত্তম কুমারের বন্ধু

বাংলায় ‘দৃষ্টিবিভ্রম’ বলে একটা শব্দ আছে। ইংরেজিতে যাকে বলে IllusionবাHallucination. সাধারণতঃ ধু ধু মরুভুমি বা কূলকিনারাহীন বিস্তীর্ণ সমুদ্রে মানুষের দৃষ্টিবিভ্রম হয়। যার এই সমস্যা হয়, সে কিন্তু বুঝতে পারে না। মনে করে সে যা দেখছে, তা’ সত্যি। কাছাকাছি যাওয়ার পর তার ভুল ভাঙ্গে। এই কারণে অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি না থাকলে মরুভুমি ও সাগরে পথ হারিয়ে ফেলা খুবই স্বাভাবিক।
কিন্তু শহরের রাস্তাঘাটে, বাড়িঘরে বা দোকানপাটে এ ধরণের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটা স্বাভাবিক নয়। তার পরেও কখনো কখনো আমাদের কারো কারো ক্ষেত্রে এমনটি হয়। যেমন, মজিবর ভাইয়ের কথাই ধরুন। তিনি বয়সে আমার চেয়ে সাত আট বছরের বড়। আমার বড় ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।... continue reading

৩৫ ৪৭০

রাজীব নূর খান

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমি অতিথি তোমারি দ্বারে

“আমার যদি আম্মুর মত ক্যান্সার হয় তখন কিভাবে চিকিৎসা হবে? ক্যান্সার তো ব্যায়বহুল রোগ আর আমাদের সংসার তো গরীবের সংসার!! দয়া করে তখন মানুষের কাছে হাত পেত না…এমন কি আমার বাপ ভাইয়ের কাছেও নাহ!”
আমি আমার স্ত্রীর লেখা চিঠি হাতে নিয়ে বসে আছি। কি সুন্দর করে ছোট্র একটা চিঠি লিখেছে। আজ থেকে চার বছর আগের লেখা চিঠি। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সুন্দর হাতের লেখা। আমার চোখের পানির ফোটা পড়ছে চিঠির উপর। ঝাপসা চোখে আমি তাকিয়ে আছি- চিঠির দিকে। সকাল থেকে অসংখ্য বার চিঠিটি আমি পড়েছি। লিলি কিভাবে জানত তার ক্যান্সার হবে ? বাসর রাতে এই চিঠিটি লিলি আমার হাতে দিয়ে বলেছিল- আমি... continue reading

৪৫৪

এই মেঘ এই রোদ্দুর

১০ বছর আগে লিখেছেন

নিষ্ঠুর নিয়তি...

মেহের নাম তার । গ্রামে বড় হওয়া আট দশটা মেয়ের মতই । দুধে আলতা গায়ের রঙ । আশে পাশের গ্রামেও এমন সুন্দরী পাওয়া যাবে না । যেমন সুন্দরী তেমন পড়ালেখায়ও অসম্ভব ভাল। পড়াশুনার পাশাপাশি গান, কবিতা আবৃত্তিতেও ছিল তার অসামান্য মেধা । স্কুল কলেজে বা গ্রামে কোন অনুষ্ঠান হলে তাকে নেয়া হতো উপস্থাপনার জন্য । একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গিয়েছিলেন তাদের স্কুলে । তখন তাকেই উপস্থাপনার কাজটা সাড়তে হয়েছিল । সুন্দর নীল শাড়ী পড়া মেয়েটিকে দেখে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন এই নীল পরীটাই জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী বুঝি ।
মেহের ছিলেন জমিদার পরিবারের মেয়ে । তখনকার দিনে এতটা স্বাধীনতা পাওয়া সবার... continue reading

২৭ ৬১৩

রাজীব নূর খান

১০ বছর আগে লিখেছেন

অদ্ভুত ব্যাপার

সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার পাশে একটি মেয়ে শুয়ে আছে ! মেয়েটির মুখে এক আকাশ মায়া । মেয়েটিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে- খুব আরাম করে সে ঘুমাচ্ছে । মাথা ভর্তি এক আকাশ চুল। ফ্যানের বাতাসে কিছু চুল উড়ছে । কে এই মেয়ে ? কোথা থেকে এলো ? আবার আমার খাটে শুয়ে আছে ! কিন্তু কেন জানি মেয়েটিকে দেখে খুব মায়া লাগছে । মনে হচ্ছে- এত আরাম করে সে অনেক দিন ঘুমায়নি । আমার অফিসের দেরী হয়ে যাচ্ছে- তাই আমি মেয়েটির ঘুম না ভাঙ্গিয়ে- আস্তে ধীরে দাঁত ব্রাশ করলাম- গোছল করলাম, আয়রন করে জামা পড়লাম। জুতো পড়লাম । ক্যামেরার ব্যাগটি... continue reading

৫০৭

রাজীব হোসাইন সরকার

১০ বছর আগে লিখেছেন

''ও মোর চান্দেরে মোর সোনা''


শেষ রাত।
গ্রামের বাইরে একটা মাটির ঘরে টিমটিম করে কুঁপি জ্বলছে।
কয়েকজন প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে বৃত্তাকারে দাঁড়িয়ে আছে। বৃত্তের মাঝখানে একটা পলিথিনের বিছানা। বিছানায় গরম চালভাজা ছড়ানো।
ভাজা চালে সরিষার তেল, পেঁয়াজ-মরিচ মাখানো। তেল মাখা ভাঁজা চালের গন্ধে সবার জিহব্বায় জল আসছে। কুঁপির আলো প্রতিফলিত হচ্ছে সেই জলে।

জিহ্বায় জল নিয়ে পুরুষগুলো তাকিয়ে আছে নারীদের চোঁখের দিকে। নারীরা বিহব্বল হয়ে তাকিয়ে আছে পুরুষদের চোঁখের দিকে।

এবার সত্যিকারের পর্ব শুরু হবে। মোকতার হুজুর সবক দিবেন। মোকতার হুজুরের আস্তানার নাম সবক মঞ্জিল।


শীতকাল।
সবক মঞ্জিলের... continue reading

৮৫৪

জিয়াউল হক

১০ বছর আগে লিখেছেন

সালিশিনামা (ধারাবাহিক গল্প-৫)

(পাঁচ)
তবে হাজী সাহেবের কথায় সবাই একমত হলেও বৃত্তাকার সভার একেবারে ও মাথায় সামনের দিকে ছড়ি হাতে মাটিতে বসা ষাট বছরের বৃদ্ধ দিনমজুর ওমেদ আলী কিন্তু একমত নয়। বয়সের ভারে ভগ্ন শরীরে তার অতটা শক্তি না থাকলেও বিবেকের বলিষ্ঠতায় সে হাজী সাহেবের তিরষ্কার করা কথার প্রতিবাদ করে বলে- হাজী সাব এটা ক্যামন কথা কন ? এক হাতে তালি বাজে ? মেয়েটার না হয় শরম নাই, ছেলেটারও কি নাই ? সে কি করে একটা বিবাহিতা মেয়ের কাছে যায় ?’
জনতার মধ্য থেকে কে একজন খেই খেই করে ওঠে- ঐ বুড়া এত প্যাঁচাও ক্যা ? তুমি কি বিচারক নাকি ?’
ওমেদ আলী আবার... continue reading

৭৮৫