Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এই মেঘ এই রোদ্দুর

৭ বছর আগে লিখেছেন

উদাস প্রহর....


©কাজী ফাতেমা ছবি
জলের মাঝে পা ডুবিয়ে-অপলকে উদাস আঁখি
এমন কিছু প্রহর আমার-ইচ্ছে কেবল একলা থাকি..
শেষ বিকেলের বুকে বসে-একলা আঁকি জীবন ছবি
সঙ্গী শুধু সে-ই হবে-গোধূলিয়ার রক্তিম রবি।
এমন প্রহর ভাবার প্রহর-মুগ্ধ হওয়ার স্নিগ্ধ প্রহর
স্বস্তির নি:শ্বাস বুকের ভিতর-জলে ঢালি জীবন জহর।
বসে থাকি জলের উপর-সন্ধ্যার আবির গায়ে মেখে
নীড়ের ফেরার তাড়া দিয়ে-দূরের পাখি যাচ্ছে ডেকে।
এমন প্রহর আমার প্রহর-ভাল লাগার ছোট প্রহর
মৃদু হাওয়ায় শান্তির প্রহর-উচ্ছ্বাসের ঢেউ মনের শহর।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ঝিলমিলিয়ে-রোদ্দুর হাসে জলের উপর
বাজে টুংটাং রিনঝিনিয়ে-ঝিলের পাড়ে জলের নুপূর।
কেউ নাই পাশে একলা আমি-জলে ভাসাই স্বপ্ন হাজার
সুখের ভেলায় ভাসলে নামে-শিহরণের ঢেউ মন মাঝার।
-
এমন প্রহর হঠাৎ করে-আসতে যদি ডিঙি বেয়ে
আমায় দেখে তরতরিয়ে-বৈঠা হাতে আসতে ধেয়ে...
দূরের ডিঙি দেখে আমি-তোমার কথা ভাবতাম শুধু
একলা আমি বসে আছি-মনের বাড়ি মরু ধূঁধূঁ ।
এসো তুমি ডিঙি নিয়ে-ভেসে যেতে ইচ্ছে জাগে
অভিমানের প্রহর দেখো-উদাস আছি অনুরাগে।
হাতটি ধরে উঠব নায়ে-ডুবুডুবু ডিঙি নায়ে
বসব দুজন পাশাপাশি-ছোঁয়া লাগিয়ে গা গায়ে continue reading
Likes Comments
০ Shares

এই মেঘ এই রোদ্দুর

৮ বছর আগে লিখেছেন

» একতায় দাঁড়াই পাশ ঘেঁষে.......

©কাজী ফাতেমা ছবি
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ
লাল সবুজে আজ লাগছে বেশ
ভালবাসি ভালবাসি
জিতি হারি তবু বাসি।
স্বপ্ন রোয়া সোনার মাটি
দুর্বাঘাসের শীতল পাটি
হাঁটি হাঁটি নগ্ন পায়ে
ভেসে বেড়াই স্নিগ্ধ বায়ে।
শান্তি মনে বটের ছায়ায়
জড়ায় আমায় মোহমায়ায়
মেঠোপথের বুনোফুলে
লালনীল সবুজ স্বপ্ন দোলে।
সবুজ শ্যামল বাংলাদেশে
স্বপ্ন হঠাৎ উঠবে হেসে
মনে খুশির ঢেউ তুলে যায়
খুশির জোয়ার আটকানো দায়!!
চলো যাই মিলেমিশে
একতায় দাঁড়াই পাশ ঘেষে
বিপদ আপদ আসুক শত
ভালবাসি দেশ হোক ব্রত!!

  continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - লিপু রহমান

    আজ আমার হাতের মুঠোয়
    আমার হিয়া যে আজ প্রসন্ন।

    ভালো লেগেছে, আরও ভালো লেখা পড়তে চাই ।

    • - মাধু পূর্ণিমা

      খুব সুন্দর লেখা ভাইয়া 

এই মেঘ এই রোদ্দুর

৮ বছর আগে লিখেছেন

নীলখামের সেই চিঠি-[অভ্র] (প্রতিযোগিতা/২০১৬) ক্যাটাগরী-২ পর্ব-৪

অভ্র, মাঘের সন্ধ্যায় জানাচ্ছি হৃদয় নিংড়ানো অফুরন্ত শুভেচ্ছা। ভাল আছ নিশ্চয়ই!! আশা করছি কিছুদিন আগের বিষন্নতা কাটিয়ে উঠতে পেরেছ!! তবে আমার অবাক লাগে অভ্র তুমি বিষন্ন ছিলে... শুভ্র অভ্র তুমি কালো অভ্রতে পরিণত হয়ে পড়ছিলে। গলে গলে পড়ছিল তোমার কষ্টগুলো আর সেই কষ্টগুলো আমার হৃদয়ে চুয়ে চুয়ে পড়ছিল। অবাক এজন্য যে তোমার কষ্টগুলো অন্য কারো কাছ থেকে পাওয়া!!
 
তোমার হৃদয়বাড়ি সুনামি বয়ে গিয়ে তোমাকে তছনছ করে দিলো অথচ সেই কারণ আমি আজও জানতে পারিনি। অভ্র আমি তোমার কাছের কেউ হতে পারিনি তাইনা?? কেনো অভ্র!! তুমি তো আমার মনের আকাশের শরতের অভ্র ছিলে!! নীলের মাঝে পেঁজাতুলো অভ্র। ভেসে বেড়াতে নির্দ্বিধায়। বিশাল আকাশে ছিল তোমার অবাধ বিচরণ... আমি শুধু অপলক তোমাকে দেখেই যেতাম। ছুঁতে যাইনি হাত বাড়িয়ে পেতে চাইনি মন বাড়িয়ে!!
 
কল্পনায় ভেসে বেড়াতাম তোমার ডানায় চড়ে। অভ্র তুমি আমার স্বপ্ন হতে অথৈ ঘুমঘোরে... সবই ত অস্পৃশ্য থেকে করেছি.. তোমায় বিরক্ত করতে যাইনি পাছে তুমি ভেসে ভেসে আমার আকাশ ছেড়ে চলে যেতে পারো অন্য কারো আকাশে তাই!!
 
অভ্র আমার আকাশ ছেড়ে সেইতো চলে গেলে। আচ্ছা কার আকাশটা আমার আকাশের চেয়ে বড় বল দেখি?? সেই আকাশ বুঝি আমার আকাশের চেয়েও বেশি শুভ্রনীল?? আমি রোদ্দুর হয়ে তোমার পিছু নিয়েছি সেই কবে থেকেই... ভোরের রোদ্দুর হয়েছি কভু তোমাকে স্নিগ্ধ আভাসে ভিজিয়ে দিতে..... কভু হয়েছি বিকেলের মিষ্টি রোদ্দুর যাতে তুমি সেই মিঠে রোদের স্নেহ দেহে নিয়ে হাঁটতে পারো সীমাহীন মেঠোপথ ধরে।
 
অভ্র তুমি ভেসে বেড়াতে বিকেলের মিঠে রোদ মাথায় নিয়ে... তুমি ভাবতেও পারনি রোদ্দুর তোমায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে।হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারতে আমায়। কারণ তুমি জানতেই না... continue reading
Likes Comments
০ Shares

এই মেঘ এই রোদ্দুর

৮ বছর আগে লিখেছেন

কদম রসূল দরগাতে ভ্রমণ (প্রতিযোগিতা/২০১৬, পর্ব-৪ ক্যাটাগরি-৩)

 
নারায়নগঞ্জ কেল্লা পরিদর্শন শেষে আমরা ফিরে আসি রিক্সা করে তারপর অন্য একটি রিক্সা নেই কদম রসূল দরগাহতে যাওয়ার জন্য। দশ মিনিটের মধ্যে আমরা পৌঁছে গেলাম শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে।

সে নদী পার হয়েই যেতে হয় কদম রসূল দরগাতে। শীতলক্ষ্যা নদীল কূল ঘেঁষেই কদম রসূল দরগাহের অবস্থান।

নদীতে গিয়ে অইপাড়ে যাবার জন্য নৌকায় চড়ে বসি। কিন্তু পানি সেই বুড়িগঙ্গার মতই কালো আর গন্ধযুক্ত। দেখেই মন খারাপ হয়ে গেলো। আমাদের নদীলগুলোর আসলেই খুব খারাপ অবস্থা। সেদিকে কোন সরকারই নজর দেয় না।
 

 

যাই হোক নৌকায় চড়ে বসলাম আমি আর আপা। কি সুন্দর নেৌকার ভিতরে পাটি বিছানো। জুতা রেখে দুইজনেই আসন পেতে বসলাম। বিকেলের রোদ চোখে এসে পড়ছিল নদী হতে রিফ্লেকশন হয়ে ।
 

 

কত নৌকা আসছে যাচ্ছে, ভূঁ ভূঁ করে ট্রলার লঞ্চগুলো যাচ্ছে নির্নিমেষ দৃষ্টিতে তাই দেখে যাচ্ছি। অবশ্য এক হাতে ক্যামেরা ছিল আর অন্য হাতে মণ্ডা মিঠাই আসার সময় নদীর ঘাট থেকে কিনে নিয়ে আসছিলাম ।
 

 

আমি আর আপা চিবুচ্ছিলাম এগুলোই কারণ দুপুরেতো আর খাওয়াই হয়নি। সাথে সুন্দর মিষ্টি একটা বাচ্চা ছিল তাকেও দিলাম খেতে।
 

 
 
একটার পর একটা ছবি তুলেই যাচ্ছি। আমি আবার সকল কিছুইতে মুগ্ধ হয়ে যাই । মুগ্ধ হয়ে দেখে যাই। মানুষ দেখি, মাঝি দেখি, নৌকা দেখি । ছলাৎ ছলাৎ জল দেখি। অপূর্ব সময় কেটেছে তখন। ভাল লাগায় চোখ বুজে আসছিল।
 

 

 

 
হঠাত দেখি সেখানে একটা কুকুরকে সেম্পু মাখিয়ে গোসল দেয়া হচ্ছে
 

 

প্রকৃতির... continue reading
Likes Comments
০ Shares

এই মেঘ এই রোদ্দুর

৮ বছর আগে লিখেছেন

মাতৃভাষা বাংলা আমার-ভালবাসার অথৈ খামার (প্রতিযোগিতা/২০১৬-ক্যাটাগরী-১) পর্ব-৪

রক্তরাঙা ফুলে ফুলে
বর্ণমালা আছে ঝুলে
গাছে যখন জ্বলে আগুন
ভাষা নিয়ে আসে ফাগুন।
 
কৃষ্ণচুড়া শিমুল পলাশ
সাথে হলো ভাষার-ই চাষ
মুখের ভাষা নিতে কেড়ে
পাকসেনারা আসে তেড়ে...
 
বুকে আঘাত বুলেট দিয়ে
ভাষা নিতে চায় ছিনিয়ে
ফাগুন মাসের আট তারিখে

পাক'রা  ইতিহাস যায় লিখে....
 
শ্লোগান উঠে সুরে সুরে
আকাশ বাতাস বুকটি ফুঁড়ে
পাক সেনারা ভয়ে কাঁপল
রক্তের নেশা মনে চাপল...
 
মায়ের ভাষা ফিরে পেতে
সালাম জব্বার উঠল তেঁতে
মিছিল করল রাস্তায় নেমে
দুশমন সকল গেলো ঘেমে...
 
বুলেট ছুঁড়ে বুকের মাঝে
পলাশ শিমুল রক্তে সাজে
ভেজা রাস্তায় ভাষা কাঁদে
পাকিরা সব পড়ল ফাঁদে!!
 
হয়নি পিছ পা বীর বাঙালি
ভাষা পেতে হায়! কাঙালী!
মায়ের ভাষা কেড়ে আনল
পাক সেনারা যে হার মানল!
 
ভাষার সম্মান যুদ্ধে রক্ষা
উর্দু ভাষা পেলো অক্ষা
ভালবাসি মায়ের ভাষা
বাংলা ভাষায় মুখটি ঠাসা !!
 
যে ভাষাতে সুরে সুরে
থাকি আমি শান্তির ঘোরে
মাতৃভাষা বাংলা আমার
ভালবাসার অথৈ খামার।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - ওয়াহিদ মামুন

    চমৎকার।

     

    - আলমগীর সরকার লিটন

    বেশ লাগল বাদল দা

     

    - চারু মান্নান

    বাহ কবি,,,,,,,,খুব অন্্যরকম!!!!

Load more writings...