Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

তৌফিক মাসুদ

৭ বছর আগে লিখেছেন

ভাবনার নদী

কখনো কখনো মনে হয়
কী এক অন্ধকারে ডুবে আছি আমি!
ভাবনার নদীটা বড্ড বেশী ঢেউ তোলে
ভেবে সারা হই, কীভাবে আমায় নিয়ে
অলক্ষে মহান অন্তর্যামী।
 
মনের মাঝে কেন যেন সাথী হারা ঘুঘু পাখি
কারনে অকারনে ডেকে যায়।
আমি যেন হেমন্তের ধূধূ মাঠে
শুকনো একটি ডালে দোয়েল পাখি নিরুপায়।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    গল্প ভালো লেগেছে । কিন্তু কিছু কিছু শব্দের মাঝে স্পেস মনে হয় ঠিকভাবে আসেনি যার ফলে পড়তে গিয়ে পাঠকের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।

    শুভকামনা ও সমর্থন রইল ।

    • - নদী

      ধন্যবাদ ভাইয়া, স্পেস ঠিক করে নিব

    - জামান একুশে

    ভোট দিলাম অনেকদিন পর। স্বৈরতান্ত্রিক বাতাসে কেমন যেন গণতন্ত্রের গন্ধ পেলাম। :D

    • - নদী

      অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া :(

      শুভ কামনা রইল

তৌফিক মাসুদ

৯ বছর আগে লিখেছেন

পিঁপড়া বিদ্যা

পট্ট চার বছর বয়সী ছোট্ট একটি ছেলের নাম। মাস কয়েক আগেই সে বুঝতে শিখেছে কিভাবেতার চারপাশের প্রাণী কিংবা বস্তুর সাথে খেলা করতে হয়। বাসায় তার সাথে খেলবার মত বাচ্চা বয়সী কেউ নেই। তার উপরে প্রায় প্রতিদিনই তার বাবা মা ঝগড়া করে। বাবা প্রায়ই মাকে ধরে পেটায়। তাই এই সময়টাকে পট্ট ভয় পেত। প্রথম প্রথম সে মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করত। তার আবদার কাজেও দিত। কিন্তু এখন আর সে আবদারে কোন কাজ হয়না।কারণ বাবা আগের মত তাকে আর ভালবাসে না।  তাই সে এই বিরক্তিকর সময়টুকু বারান্দায় বসে কাটাতো। কিন্তু সময় কাটাতে কিছু একটা তো করা চাই। তার কিছু করার প্রচেষ্টা থেকে সে নিজের অজান্তেই বেশ কিছু খেলা আবিষ্কার করে ফেলেছিল। এই যেমন বারান্দায় উড়ে এসে বসা ছোট ছোট ঘাস ফড়িং এর পেছনে ছোটা, মাছি আটকানো, পিঁপড়ের সাথে খেলা করা ইত্যাদি।
 
প্রায় দিনগুলোর মত সেদিনো তার বাবা মায়ের ঝগড়া হচ্ছিল। আর অন্যদিকে পট্টসময় কাটাতে  পিঁপড়েদের সাথে মজেছিল। পট্ট নিজেও জানতোনা, যে পিঁপড়েগুলোর সাথে সে খেলা করছিল সে পিঁপড়েগুলোর তার মতই সুন্দর সুন্দর নাম আছে। ওর আসেপাশে যে পিঁপড়েগুলো ছিল তারা নিজেরা নিজেদের শিবু পিঁপড়া, কানাই পিঁপড়া, আদল পিঁপড়া নামে ডাকত। সে সময় ছিল প্রায় শীতকাল। পিঁপড়েদের খাদ্য যোগাড়ে লেগে যেতে হত যখন তখনই। কিন্তু দালান বাড়িতে খাবার যোগাড় করা কষ্টের ব্যপার। এখানে পোকামাকড় খুব একটা পাওয়া যায়না বললেই চলে। খাবারের আশায় মানুষের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। আজ শিবু, কানাই আর আদল নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছিল। কারন তাদের নাকে খাবারের গন্ধ আসছিল। কিন্তু সে খাবার তাদের নাগালের বাইরে। তাদের পাশে বসে থাকা মস্ত বড় মানুষ দৈত্যটির হাতেই খাবার। সুতরাং অপেক্ষা করা ছাড়া কোন... continue reading
Likes Comments
০ Shares

তৌফিক মাসুদ

৯ বছর আগে লিখেছেন

পিঁপড়া বিদ্যা

পট্ট চার বছর বয়সী ছোট্ট একটি ছেলের নাম। মাস কয়েক আগেই সে বুঝতে শিখেছে কিভাবেতার চারপাশের প্রাণী কিংবা বস্তুর সাথে খেলা করতে হয়। বাসায় তার সাথে খেলবার মত বাচ্চা বয়সী কেউ নেই। তার উপরে প্রায় প্রতিদিনই তার বাবা মা ঝগড়া করে। বাবা প্রায়ই মাকে ধরে পেটায়। তাই এই সময়টাকে পট্ট ভয় পেত। প্রথম প্রথম সে মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করত। তার আবদার কাজেও দিত। কিন্তু এখন আর সে আবদারে কোন কাজ হয়না।কারণ বাবা আগের মত তাকে আর ভালবাসে না।  তাই সে এই বিরক্তিকর সময়টুকু বারান্দায় বসে কাটাতো। কিন্তু সময় কাটাতে কিছু একটা তো করা চাই। তার কিছু করার প্রচেষ্টা থেকে সে নিজের অজান্তেই বেশ কিছু খেলা আবিষ্কার করে ফেলেছিল। এই যেমন বারান্দায় উড়ে এসে বসা ছোট ছোট ঘাস ফড়িং এর পেছনে ছোটা, মাছি আটকানো, পিঁপড়ের সাথে খেলা করা ইত্যাদি।
 
প্রায় দিনগুলোর মত সেদিনো তার বাবা মায়ের ঝগড়া হচ্ছিল। আর অন্যদিকে পট্টসময় কাটাতে  পিঁপড়েদের সাথে মজেছিল। পট্ট নিজেও জানতোনা, যে পিঁপড়েগুলোর সাথে সে খেলা করছিল সে পিঁপড়েগুলোর তার মতই সুন্দর সুন্দর নাম আছে। ওর আসেপাশে যে পিঁপড়েগুলো ছিল তারা নিজেরা নিজেদের শিবু পিঁপড়া, কানাই পিঁপড়া, আদল পিঁপড়া নামে ডাকত। সে সময় ছিল প্রায় শীতকাল। পিঁপড়েদের খাদ্য যোগাড়ে লেগে যেতে হত যখন তখনই। কিন্তু দালান বাড়িতে খাবার যোগাড় করা কষ্টের ব্যপার। এখানে পোকামাকড় খুব একটা পাওয়া যায়না বললেই চলে। খাবারের আশায় মানুষের দিকে চেয়ে থাকতে হয়। আজ শিবু, কানাই আর আদল নিজেদের ভাগ্যবান মনে করছিল। কারন তাদের নাকে খাবারের গন্ধ আসছিল। কিন্তু সে খাবার তাদের নাগালের বাইরে। তাদের পাশে বসে থাকা মস্ত বড় মানুষ দৈত্যটির হাতেই খাবার। সুতরাং অপেক্ষা করা ছাড়া কোন... continue reading
Likes Comments
০ Shares

তৌফিক মাসুদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

কাঁটা মাছ

  
রবির বাবা মস্তবড় ইলিশ মাছ এনেছেন। বাজারে এত বড় ইলিশ মাছ সচরাচর চোখে পড়েনা। তার উপরে অল্প দামে এত বড় মাছ! সকালে আকাশে খুব মেঘ করছিল বলেই ক্রেতা কম ছিল। আর এই ফাঁকেই দান মেরেছে রবির বাবা। 
ছুটির দিনে সকাল ৮ টা মানেই অনেক সকাল রবির জন্য। বাইরে সূর্যের আলো তাপ ছড়াতে শুরু করছে তবুও তার উঠার নাম নাই। তার মা তাকে ডেকে দিচ্ছেননা, কারণ বাড়ির বাইরে আড্ডা বসেছে। নানা জনে মাছ ধরা আর মাছ কেনা নিয়ে নিজ নিজ বিজয়ের কথা বলছেন। এত গল্পের মাঝে সবাই ভুলেই বসেছেন যে উপলক্ষে সবাইকে ডাকা হয়েছে (বড় মাছ দেখবার জন্য) তার কথাই ভুলে গেছে সবাই। হঠাৎ আড্ডার মাঝ থেকে একজন মাছটি দেখতে চাইল। সাথে সাথে সবাই সায় দিল যে, তারাও মাছটি দেখতে চায়। রবির বাবা-মা এই সময়টির জন্যই অপেক্ষা করছিল। রবির মা রবিকে মাছটি নিয়ে বাইরে আসার জন্য ডাকতে লাগলেন। রবি ঘুম ঘুম চোখে কোন রকমে রান্না ঘরে গেল। রান্না ঘরে যেয়েই হাক দিল, “আম্মু, আব্বু কি বাজার থেকে কাঁটা মাছ এনেছে”। 
বাইরে রবির মায়ের উত্তর এল, “না বাবা, তোমার আব্বু বাজার থেকে মস্ত বড় ইলিশ মাছ এনেছেন”।
উত্তরে রবি বলল, “কিন্তু মা আমিতো শুধু মাত্র একটা মাছের মাথার সাথে মস্ত বড় কাঁটা দেখতে পাচ্ছি”।
রবির মা ব্যপরটা হালকা আঁচ করতে পেরেই রান্না ঘরের দিকে দৌড় দিলেন। রান্নার ঘরে ডুকবার আগেই তার পাশ কেটে একটা বিড়াল বের হয়ে গেল। তারপর বাইর থেকে শুধু মাত্র কিছু মানুষের হায় হায় শোনা গেল।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম, বড় ভাই... 

    • - চারু মান্নান

      amer dear kobi,,,,amr

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    onak shundor laglo

    • - চারু মান্নান

      thanks kobi,,,,,,,,,,

    - আলমগীর সরকার লিটন

    চারু দা

    ভাল তো লাগছে

    Load more comments...

তৌফিক মাসুদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

নীল জেলে ও কচ্ছপের গল্প

 
অনেক দিন আগের কথা। নীল আকাশের নিচে নীল সাগরের নীল পানিতে নীল জেলের বাস ছিল। তার নাম নীল কেন রাখা হয়েছে তা কেউ জানতনা। কিন্তু কাকতলীয় ভাবে নীল জেলের বেঁচে থাকার মাঝে প্রকৃতির কত নীলেরই সমাগম হয়েছিল।
 
ছোট্ট নীল জেলে প্রতিদিনই তার বাবাকে মাছ ধরতে সাহায্য করতে সাগরে আসত। সে খুব উদার ছিল। বাবার অলক্ষে অনেক বাচ্চা মাছকেই সে পানিতে ছেড়ে দিত। বাবার জালে আটকে থাকা মাছগুলোকে দেখে তার অনেক কষ্ট হত। কেমন ছট্ ফট্ করত ওগুলো। 

একদিন হল কি, নীল জেলের বাবার জালে একটা কচ্ছপ আটকা পরল। কচ্ছপরা সব সময় ভান ধরে থাকতে পছন্দ করে। জালে আটকে যাওয়া কচ্ছপটিও মরার মত চুপটি মেরে রইল। নীল জেলের বাবা সেটিকে মরা মনে করে নৌকাতেই ফেলে রাখল। এদিকে কচ্ছপ ছানার যায় যায় অবস্থা। পানি ছাড়া আর কতক্ষণ বেঁচে থাকা যায়। সেদিন নীল আকাশের প্রখর সূর্যটা একটুকুও বিশ্রাম নিচ্ছিলনা। প্রচণ্ড রোদে কচ্ছপ ছানার শরির শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবার যোগার। কচ্ছপ ছানা দূর্বল হয়ে গেলেও বুদ্ধি লপ পায়নি। সে অনেকক্ষন ধরেই খেয়াল করছিল নীলের কান্ড কারখানা। সে বাবার জাল থেকে চুপ করে মাছ ছেড়ে দিচ্ছে। তাই সে মনে মনে চিন্তা করছিল, কখন সে নীলের চোখে পরবে। 

বাবার সাথে মাছ সংগ্রহ করতে করতে নীল জেলে হাপিয়ে উঠেছিল। একটু বিশ্রাম নিবে বলে বসল। কিন্তু ভুল করে কচ্ছপ ছানাটির উপড়েই বসে পড়ল। ছোট্ট কচ্ছপ অনেক কষ্টে নড়ে উঠল। নীল ভয় পেয়ে গেল, তার নিচ থেকে কে নড়ছে? উঠে বসতেই দেখল, সে একটি ছোট্ট কচ্ছপের উপর বসে ছিল। কচ্ছপটির জন্য তার খুব মায়া হল। সে কচ্ছপটিকে আদরের সাথে হাতে নিল। মনে করেছিল কচ্ছপটি... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - বাংলার পাই বাপা

     অসাধারণ।

    • - মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

      বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ির কারণে অবুঝ শিশু সন্তানকে যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আমি তা তুলে আনার চেষ্টা করেছি গল্পে। সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

    - আখতারুজ্জামান সোহাগ

    সেই সাবলীল লেখনী। ব্রোকেন ফ্যামিলির শিশুদের নিয়ে লেখা গল্পটি ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।

    - মোঃ মুতাসিম উদ্দিন

    গল্পটি লেখার পর থেকেই খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম, সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছি কি না এই নিয়ে। আপনার মন্তব্য পড়ে এখন অনেক নির্ভার লাগছে।

    অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা।

    Load more comments...
Load more writings...