Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আল ইমরান

৯ বছর আগে লিখেছেন

উৎসবমুখর নৈরাজ্য

  একটা কবিতা লিখব বলে
কবিতার খাতা নিয়ে বসি
মনের ভিতর উঁকি দিয়ে দেখি
ভেতরটা শুন্য, অন্ধকার আর নিরুত্তর
ভেবে ভেবে ভাবনার ছেঁড়া সুতো নিয়ে
আরও বেশি ভাবনায় ডুবে যাওয়া
আস্তে আস্তে তন্য তন্য করে খুঁজে ফেরা
শব্দরা ডুবে আছে সেই নিস্তব্ধ অন্ধকারে।
তোমাকে ভাবার চেষ্টা করলাম বেশ করে
তোমার চোখ, তোমার ঠোঁট, তোমার নৈরাজ্য
যেন ভাবনাকে আরো বেশি ধোঁয়াটে করে
তুমিও যেন আমার নিরবতা নিয়ে মেতে আছ
মেতে আছ উৎসবমুখর নৈরাজ্যে।
ভাবতে ভাবতেই দুচোখে ভর করে ঘুম
যেন ঘুমাইনা কত সহস্র বছর ধরে
আলতো করে বন্ধ দুচোখের ক্যানভাসে
জল রঙ্গে মনের তুলিতে আঁচর কাটি
শত চেস্টাতেও ফোটেনা কোন অবয়ব
ঘিরে ধরে ক্লান্তি, ধ্যানমগ্নতা থেকে গভীর ঘুমে
নিজেকে সঁপে দিয়ে হই নিথর, নির্বাক
শুন্য থাকে আমার শখের কবিতার খেরোখাতা। continue reading
Likes Comments
০ Shares

আল ইমরান

১০ বছর আগে লিখেছেন

“যুদ্ধপুরাণ” বাঁধ ভাঙার প্রয়াস

মার্চ মহান স্বাধীনতার মাস। এই স্বাধীনতা খুব সহজে আসেনি। স্বাধীনতা এসেছে অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এযাবৎ রচিত হয়েছে অনেক গান, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, সিনেমা এবং গল্প। প্রতিটি প্রয়াসই ছিল অনেক চেষ্টা এবং গবেষণার ফসল। কিন্তু এদের মধ্যে ছিল সীমারেখা। “যুদ্ধপুরাণ” সেই সীমারেখা বা বাঁধ ভেঙ্গে দেয়ার এক ভিন্নধর্মী প্রয়াস।
নাটকটি নির্মিত হয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পুর্ববর্তী সময়ে মিরপুর এলাকায় পাকিস্তানি আর্মি এবং পাকিস্তান পন্থী অবাঙ্গালী দের দ্বারা সংঘটিত নারকীয় হত্যা যজ্ঞের প্রতিচ্ছবির পটভূমিতে।
নাটকটির মুল আকর্ষন হচ্ছে এর উপস্থাপন। তথাকথিত নাটকের মত আপনি শুধু বসে বসে দেখলেন আর শুনলেন ব্যাপারটা এমন নয়। নাটকটি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করার মত। একটু ধারনা দিলে হয়ত বুঝতে পারবেন, ধরুন আপনি রাতের আধারে কোন এক বধ্যভূমির পাশ দিয়ে খালি পায়ে হাঁটছেন, হঠাৎ আপনার নাকে ভেসে এল কর্পুর আর ধূপের মিশ্র গন্ধ। পায়ের নিচে মাটি হয়ে উঠল শীতল ও স্যাঁতস্যাঁতে। লক্ষ করলেন, আপনার আশেপাশে হাঁটছে লম্বা আলখেল্লা পরিহিত আরও কিছু কায়া, চাঁদের আবছা আলোয় মুখগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে কোন একটা কায়া এগিয়ে এলো আপনার দিকে, বলে উঠল, আমাকে চিনতে পারছেন কি, চেনার কথাও নয়, আমি আবু তালেব। বলেই হাতটা এগিয়ে দিল, ঘটনার আকস্মিকতায় আপনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। অজান্তেই হাতটা বাড়িয়ে ধরলেন সেই হাতটিকে। মৃত মানুষের হাতের মত হিমশীতল হাতের স্পর্শ লাগল আপনার হাতে। চমকে কায়ার মুখের দিকে তাকালেন, চাঁদের অস্পষ্ট আলো আধারিতে ফুটে উঠল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া লাশের মুখ। আপনার অনুভূতি তখন কেমন হবে একটু ভাবুন তো। এই নাটকে আপনি এই ধরনেরই কিছু অনুভূতি পাবেন। এখানে দেখা হবে সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শহীদ হওয়া... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (5)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    সুন্দর আইডিয়া তো।

    - আলমগীর সরকার লিটন

    নতুন সৃষ্টিধারার কবিতা

    অভিনন্দন দাদা---

    • - মো: মালেক জোমাদ্দার

      আলমগীর ভাই ধন্যবাদ ।

    - সুখেন্দু বিশ্বাস

    বাহ! চমৎকার কবিতা। ধারনাটা ও সুন্দর।

     

    শুভেচ্ছা সতত মালেক ভাই।  

    • - মো: মালেক জোমাদ্দার

      ভাই ধন্যবাদ,শুভকামনা। 

    Load more comments...

আল ইমরান

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমার দেখা জাফলং

“আট মাস ধরে সিলেট থাকার পরও জাফলং দেখা হয়নি” এই অপবাদ মাথায় নিয়ে সিলেট ছাড়তে ইচ্ছে করছিল না। তাই গতকাল থেকেই মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম যে আজ জাফলং যাব। সকাল থেকেই রুমমেট এবং বন্ধু আতিক কে বলে রেখেছিলাম যে, আজ যে করেই হোক জাফলং দেখতেই হবে। অনেক চেস্টা তদবির করে দুপুরের দিকে সময় মিলল। সিলেট সোবহানী ঘাট থেকে জাফলং এর বাসে উঠে বসলাম বেলা দেড়টায়। শহর ছেড়ে গাড়ি বেরিয়ে পড়তেই চোখে পড়ল সিলেটের পাহাড়ি সৌন্দর্য।



বাসের খোলা জানালা দিয়ে হালকা ঠাণ্ডা হাওয়া চোখে লাগতেই চোখ জড়িয়ে আসছিল ঘুমে। অনেক কায়দা কসরত করে ঘুমকে জয় করে দেখতে লাগলাম তামাবিল রোড এবং জৈন্তা এলাকার প্রাকৃতিক রুপ। তামাবিল এলাকায় বেশ কয়লা পাওয়া যায় শুনেছিলাম। তামাবিল পার হয়ে আসার সময় দেখলাম সারি সারি ভারতীয় ট্রাক কয়লা লোড আনলোড করছে। খুব কাছেই নাকি সীমান্ত। এদিক দিয়েই আসে কয়লা। প্রায় ২ ঘন্টার জার্নি করে নামলাম জাফলং বাজারে। দুপুরে খাওয়া হয়নি। ক্ষুধায় পেটে ছুঁচো ডন মারছিল। ঝটপট মাছের চাটনি আর কৈ মাছ ভুনা দিয়ে খাওয়া দাওয়া সারলাম। বেশ ভালো রান্না হয়েছিল। খরচ ও বেশ কম। সেখান থেকে হাঁটা শুরু করলাম জাফলং এর পাথর নদীর দিকে। মিনিট দশেকের মাঝে পৌঁছে গেলাম সেখানে।


পাথুরে নদীতে পাথর তোলায় ব্যস্ত ওখানকার কর্মজীবী লোকজন। কিছুক্ষণ পর পর আসছে ট্রাক, পাথর বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। একপাশে পাথর ভাঙ্গানো হচ্ছে মেশিনে। পাথর ভাঙ্গার এলাকা বেশ ধুলোয় আচ্ছন্ন। মেশিনের কর্মীদের গায়ে জমেছে ধুলোর আস্তরন। কাজ শেষে পাথুরে নদীর ঠান্ডা কিন্তু ঝকঝকে পানিতে গোসল সেরে নিচ্ছে কেউ কেউ। শুনলাম, বেশ কাছেই ভারতীয় সীমান্তের বি এস এফ ছাউনি।... continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - Ekolobyo

    সুন্দর............
    অনেক ভালো লাগা রইলো....................

     

আল ইমরান

১০ বছর আগে লিখেছেন

আলহামদুলিল্লাহ!!! আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে অবশেষে আমি সোনালি ব্যঙ্ক এর সিনিয়র অফিসার হিসেবে নিয়োগপত্র হাতে পেয়েছি। আমাকে ফেব্রুয়ারী ১৭ তারিখের মধ্যে আমাকে সদরঘাট প্রিন্সিপাল শাখায় রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। আমি সকল শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে দোয়া করার জন্য এবং বিভিন্নভাবে মানসিক সাপোর্ট দেয়ার জন্য। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, যেন সফলতার সাথে চাকরি করে পরিবার, দেশ এবং সমাজের দায়িত্ব পালন করতে পারি।

Likes Comments

আল ইমরান

১০ বছর আগে লিখেছেন

এইত জীবন........

  এখনও বউনি হলোনা, মুখ ভার করে সি.এন.জি ষ্টেশনে দাড়িয়ে ভাবছিল সুব্রত। সে ভাড়ায় সি.এন.জি চালায়। মালিকের জমা ১২০০ টাকা, এর উপর তেল মবিল বা হালকা কিছু সার্ভিসিং সাথে ট্রাফিক পুলিশদের চাঁদা তো আছেই। তারপর যা থাকে তাই দিয়ে চলতে হয় তাকে। কোনদিন ৩০০, ৫০০ এরকমই থাকে তার পকেটে। আজকের অবস্তা খুবই খারাপ সকাল ৯ টায় বেরিয়েছে, প্রায় ১২ টা বাজতে চলল। ভেবেছিল এবার কিছু টাকা বেশি হলে মা কে একটা ইলিশমাছ কিনে খাওয়াবে। অনেকদিন হয় ইলিশ মাছ খাওয়া হয় না। জিনিষপত্রের যা দাম, তাতে দম বন্ধ হবার উপক্রম।
--এই সি.এন.জি, যাবে?
মেয়েলি গলার মিষ্টি ডাকে ছেদ পড়ল ভাবনায়।
--জি আপা, কোথায় যাবেন?
--পান্থপথ, বসুন্ধরা সিটির সামনে নামব।
--৩০০ টাকা দিতে হবে আপা।
--কেন, আপনার মিটার নাই?
--মিটারে গেলে পোষায় না আপা। যে দুর্মূল্যের বাজার.... চাল কেনার পয়সাই হয় না।
--কথা বেশি বল, আচ্ছা ঠিক আছে, চল।
মেয়েটি উঠে বসতেই সি.এন.জি চলতে লাগলো। যাত্রাবাড়ীর এই দিকটায় ফ্লাই ওভারের কাজ চলছে। তাই বেশ ট্রাফিক জ্যাম হয়। কিন্তু আজকে মোটামুটি নির্বিঘ্নেই এই জায়গাটা পার করে গেল সুব্রত। টিকাটুলির মোড়ে এসে বিশাল জ্যামে আটকে গেল সে। জ্যামে চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া আর তেমন কিছু করার থাকে না।

মেয়েটির মোবাইলে ফোন এসেছে। কিছুক্ষন কথা বলার একপর্যায়ে মেয়েটি খুব রেগে গিয়ে ইংলিশে কিছু বলতে লাগলো, যার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝল না এবং বোঝার চেষ্টাও করল না সুব্রত। ইতিমধ্যে জ্যাম ছেড়ে গ্যাছে। মতিঝিল পার হয়ে পল্টন মোড়ে আবারও জ্যামে পড়ল সি.এন.জি। আবারও মেয়েটির মোবাইলে ফোন এলো, বেশ কিছুক্ষন কথা বলার একপর্যায়ে ওপাশের কোন এক প্রশ্নের উত্তরে... continue reading
Likes ১৯ Comments
০ Shares

Comments (19)

  • - নীল সাধু

    কামাল ভাই ফ্লিকারের লগো আসছে, ছবি নেই

    - কামাল উদ্দিন

    সমস্যাটা বুঝতে পারছি না

Load more writings...