বর্ষাকাল এলে গল্প লেখার ইচ্ছাটা আমার আরও বেশি রকমের বেড়ে যায় ইদানিং। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বর্ষাযাপন’ কবিতার ক’টা লাইন দিন-রাত মাথায় ঘুরতে থাকে।
“মাথাটি করিয়া নিচু বসে বসে রচি কিছু
বহুল যত্নে সারাদিন ধরে
ইচ্ছা করে অবিরত আপনার মনোমত
গল্প লিখি একেকটি করে।”
যদিও কবিগুরুর সময়কার বর্ষার মতো বর্তমান সময়ের বর্ষা জমে না। ছিটে ফোটা বৃষ্টি দিয়েই বর্ষাকাল চলে যায়। বছর যায় আর তাই পঞ্জিকার বৃষ্টি গননা পৃষ্টাতেও লেখা পরিবর্তন হয়। বাস্তবিকই এ বছরের পঞ্জিকার শেষ পাতার ‘বৃষ্টি গননা’য় লেখা আছে ‘‘বর্ষা ঋতু অথচ বর্ষা নেই। বর্ষাকালকে গ্রীষ্মকাল বলে মনে হবে। চৌঠা থেকে চব্বিশে আষাঢ় পর্যন্ত শুক্রাচার্যের বৃষ রাশিতে কৃত্তিকা নক্ষত্রে সঞ্চার ও বুধের বক্রতার দরুন, তের, চৌদ্দ, ঊনিশ, তেইশ, পঁচিশ ও বত্রিশে আষাঢ় বজ্র সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।’’ কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সব সম্ভাবনাকে গলা টিপে হত্যা করে দু’এক দিন ছিটে-ফোটা বৃষ্টি দিয়ে আষাঢ় বিদায় নিলো।
এলো শ্রাবণ।
পঞ্জিকায় পরের প্যারায় লেখা আছে, ‘‘ছয়ই শ্রাবণ শনি মহারাজের তুলা রাশিতে বক্র ত্যাগ সেই সঙ্গে মঙ্গলের যতি ও রাহুর দৃষ্টি নানাবিধ কারণে সমুদ্রে নিম্নচাপ দেখা দেবে। নদ-নদীতে জল বৃদ্ধি পাবে। এবং সাত, নয়, দশ, এগার, ষোল, তেইশ,... continue reading
Comments (4)
দুর্দান্ত লিখনিটিতে ভালো লাগা রেখে সাথেই আছি।
শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
ভালো লাগলো লাগলো । ভোট রইলো ।
ধন্যবাদ