Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

জিয়াউল হক

৯ বছর আগে লিখেছেন

যাত্রা নাস্তি

একটা গল্প লিখবো বলে অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম। কিন্তু মনের মতো গল্পের প্লট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। প্রতিদিন আমার চারপাশে কত বিষয়, কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে অথচ কোনটাই আমার মনে ধরে না। আবার দিনমান ধরে ভেবে চিন্তে দু’একটা প্লট যদিও ঠিক করি, কিন্তু মধ্যরাত অবধি লেখার টেবিলে বসে শেষ পর্যন্ত আর গল্পের শুরুটা করতে পারি না। কর্মহীন এ জীবনের কত অলস সময় বৃথা চলে যায় ! আহা ! যদি প্রতিদিন এই গ্লানিময় জীবনের দু’একটি খন্ডচিত্রও এঁকে যেতে পারতাম, তবু জীবনটা মনে হয় সার্থক হতো।
বর্ষাকাল এলে গল্প লেখার ইচ্ছাটা আমার আরও বেশি রকমের বেড়ে যায় ইদানিং। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বর্ষাযাপন’ কবিতার ক’টা লাইন দিন-রাত মাথায় ঘুরতে থাকে।
“মাথাটি করিয়া নিচু            বসে বসে রচি কিছু
        বহুল যত্নে সারাদিন ধরে
ইচ্ছা করে অবিরত             আপনার মনোমত
        গল্প লিখি একেকটি করে।”
যদিও কবিগুরুর সময়কার বর্ষার মতো বর্তমান সময়ের বর্ষা জমে না। ছিটে ফোটা বৃষ্টি দিয়েই বর্ষাকাল চলে যায়। বছর যায় আর তাই পঞ্জিকার বৃষ্টি গননা পৃষ্টাতেও লেখা পরিবর্তন হয়। বাস্তবিকই এ বছরের পঞ্জিকার শেষ পাতার ‘বৃষ্টি গননা’য় লেখা আছে ‘‘বর্ষা ঋতু অথচ বর্ষা নেই। বর্ষাকালকে গ্রীষ্মকাল বলে মনে হবে। চৌঠা থেকে চব্বিশে আষাঢ় পর্যন্ত শুক্রাচার্যের বৃষ রাশিতে কৃত্তিকা নক্ষত্রে সঞ্চার ও বুধের বক্রতার দরুন, তের, চৌদ্দ, ঊনিশ, তেইশ, পঁচিশ ও বত্রিশে আষাঢ় বজ্র সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।’’ কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সব সম্ভাবনাকে গলা টিপে হত্যা করে দু’এক দিন ছিটে-ফোটা বৃষ্টি দিয়ে আষাঢ় বিদায় নিলো।
এলো শ্রাবণ।
পঞ্জিকায় পরের প্যারায় লেখা আছে, ‘‘ছয়ই শ্রাবণ শনি মহারাজের তুলা রাশিতে বক্র ত্যাগ সেই সঙ্গে মঙ্গলের যতি ও রাহুর দৃষ্টি নানাবিধ কারণে সমুদ্রে নিম্নচাপ দেখা দেবে। নদ-নদীতে জল বৃদ্ধি পাবে। এবং সাত, নয়, দশ, এগার, ষোল, তেইশ,... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - মামুন

    দুর্দান্ত লিখনিটিতে ভালো লাগা রেখে সাথেই আছি।

    শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

    • - ফজলে রাব্বি জেমস

      ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

    - টোকাই

    ভালো লাগলো লাগলো । ভোট রইলো ।

    • - ফজলে রাব্বি জেমস

      ধন্যবাদ

জিয়াউল হক

৯ বছর আগে লিখেছেন

কুলখানি

সকাল আটটা না বাজলে কোন দিন ঘুম থেকে উঠা হয়ে ওঠে না আমার। এটা আমার নিত্যকার বাজে অভ্যাসের একটি। এজন্য প্রায় প্রতিদিনই গিন্নির গোমড়া মুখের দু’কথা শুনতে হয় আমাকে। তবু শুনেই থাকি। কারণ, বাজে অভ্যাস হলেও সেটাতো আমারই অভ্যাস। কিন্তু আজ সকালে সাতটা বাজার আগেই গিন্নির প্রবল ধাক্কায় ধড়মড় করে জেগে উঠলাম। আতঙ্কিত চোখে তাকিয়ে বললাম, ‘কি হয়েছে গো, কি হয়েছে ?’
কোমরে হাত দিয়ে বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে গিন্নি বললে, ‘কয়টা বাজে জানো ?’
আমি ঘুম জড়ানো চোখে নিতান্ত অবহেলার দৃষ্টিতে দেওয়াল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘কেন আটটা তো এখনো বাজেইনি।’
‘কার সাথে তোমার চুক্তি হয়েছে যে, আটটা না বাজলে ঘুম থেকে ওঠা যাবে না ?’ ঝনঝনে গলায় বললো গিন্নি। তারপর আমি বিছানায় আধাশোয়া অবস্থাতেই ফরফর করে মশারিটা উপরের দিকে তুলতে তুলতে ঝাঁঝালো কণ্ঠে গিন্নি আবারও বললে, ‘আটটার আগে ঘুম থেকে উঠলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে ?’
‘না, না তা কেন হবে ?’
‘তাহলে নামো বিছানা থেকে। বাইরে একটা লোক কতক্ষণ হলো দাঁড়িয়ে আছে কথা বলার জন্য।’
‘ওহ হো! তক্ষুনি ডেকে দিলেই পারতে ?’
‘অনেকক্ষণ হলো তো ডেকেই চলেছি তোমার তো হুশ হয় না। কাল থেকে যদি সকাল সকাল না ওঠো তবে বিছানায় পানি ঢেলে দিবো বলে রাখলাম।’
বলতে বলতে গিন্নি বাইরে চলে গেলো। কাল যদি সে এমন কা- করেই বসে তাহলে আমার অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই আমি আর সে কথা না ভেবে জানালাটা খুলে অপেক্ষমান লোকটির সাথে কথা বলবো কি না ভাবতেই মনে হলো সেটা বেয়াদবি হয়ে যায়। অথবা অসম্মান করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্প্রিংয়ের মতো বিছানা থেকে লাফ দিয়ে নেমে পরনের লুঙ্গির বাঁধনটা ঠিক করতে করতে বাড়ির গেইট খুলে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    খুব ভাল লাগলো আপনার লেখা। চলতে থাকুক এরকম লেখা একের পরে এক।

    • - রব্বানী চৌধুরী

      ভালো লাগলো কবিতার কথা

      " মুষ্টি ভরে দিয়ে দিলাম ”সাদাকাতুল ফিতরা” ।" 

      অনেক অনেক ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন । আমি ও আপনি যেখানেই থাকি না কেন ঈদ সকলের জন্যে হোক আনান্দের। ঈদ মোবারক।

       

    • Load more relies...

জিয়াউল হক

১০ বছর আগে লিখেছেন

হাজতী

পঞ্চম বারের মতো প্রকাশ্য দিবালোকে মদ্যপানের অভিযোগে আমি এখন হাজতবাস করছি।
মদ উৎপাদন এবং বিক্রির লাইসেন্স যদি দেওয়া যায়, তাহলে তা প্রকাশ্যে খাওয়ার লাইসেন্সটা দিলে কি ক্ষতি হয় ? টাকা দিয়ে মাল কিনে গোপনে ভক্ষণ করা আমার একদম ভাল লাগে না। কিন্তু এদেরকে সে কথা বুঝাতেই পারলাম না। আর শুধু গ্রেফতার করেই যে এরা ক্ষান্ত হয় তা না, প্যাদানিও দেয়। ওটা যেন ওদের হাতের সুরসুরি। তারপর পরের দিনই আবার কোর্টে চালান করেও দেয়। আরে বাপু আমি তো আর নিজে থেকে তোমাদের এখানে আসি না। জোর করে ধরে আনোই যখন, তখন দু’চার দিন থানা হাজতেই না হয় থাকতে দাও ? তোমাদের বাড়িতে তো আর যেতে চাইনি। এরা আসলেই বেরসিক !
অবশ্য হাজতবাসে এখন আর তেমন খারাপ লাগে না আমার। তবে আরও ভাল লাগতো যদি দুপুরের খাবারের পরে দু’এক ফোটা মালটাল খেতে দিতো। এরা বড়ই কৃপণ। মাল তো দূরের কথা খাবারটাও খুব হিসেব করে দেয়। কখনো ইচ্ছে করে এদের সব ক‘টিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাইয়ে দেখাই, কি করে মানুষকে খাওয়াতে হয়। তার পরেও মাঝে মধ্যে হাজতবাস করাটা মন্দ লাগে না।
ইদানিং হাজতবাস আমার আরও এক কারণে ভাল লাগে। তা হলো এখানে বহু রকমের পাপীর সঙ্গে সাক্ষাতের গৌরব লাভ করা যায়। আসলে জেল-হাজতের বাইরে কে নেক্কার, আর কে গুনাহগার বুঝে উঠা খুবই মুশকিল। আমার মনে হয় যদি তা বুঝা যেতো, তাহলে এদেশের চার ভাগের তিন ভাগ জুড়ে হাজতখানা তৈরি করার প্রয়োজন পড়তো। এই যে হাজতখানায় এতো লোক, কারো মুখ দেখে বুঝবার উপায় নেই যে, এরা কোন পাপকাজ করতে পারে। অথচ এরা কেউই অন্যায় না করে এখানে আসেনি। আজ দুপুরে খেতে বসে একজনের সঙ্গে কথা হলো। সে... continue reading
Likes ১৬ Comments
০ Shares

Comments (16)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    দাদা

    অসাধারণ কবিতা

    অনেক অনেক অভিনন্দন--

     

    • - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

       ধন্যবাদ, প্রিয় আলমগীর সরকার লিটন।

    - শিবাশীষ বিশ্বাস

    উকিলের কথা শুনে,
    বেঁচে রইলেন বাবা আমাদের বারো দিন গুনে গুনে। 
    ‘নিদ্রার চেয়ে প্রার্থনা ভালো’ শুনেছেন রোজ ভোরে 
    সেদিন সে কথা বেমালুম ভুলে অসীম ঘুমের ঘোরে
    হারিয়ে গেলেন কোথায় কে জানে,হয়ত বা সেই দেশে 
    যেখানে মামুলি মাটি নিয়ে কেউ ঝামেলা করেনা এসে। 
    যেখানে দলিল খারিজ খাজনা কিছুই কেউ না চায় 
    যেখানে রুলিং পার্টির লোকেরা তারই মতো অসহায়।

     

    হেনা ভাই মনটা খারাপ হয়ে গেল। ভাল থাকবেন 

    - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    ধন্যবাদ, প্রিয় শিবাশীষ বিশ্বাস।

    Load more comments...

জিয়াউল হক

১০ বছর আগে লিখেছেন

ক্ষুধার্ত সময়

আজ কালকের মানুষ গুলো যে কেমন ! মানুষের প্রতি মানুষের টান তো নেইই, তাই বলে একজন আত্মীয়ের প্রতি আরেক জন আত্মীয়ের টানও থাকবে না ? আদর যত্নটা যেন উঠে যেতেই বসেছে। যেটুক বা দেখায় ওটুকু না দেখালেই পারে ! বসতে বলার নাম নেই, খেতে বলার নাম নেই বাপরে বাপ বাড়ির খবর নিয়ে ব্যস্ত। আর ঐ পর্যন্তই !
    মধ্য বয়সী কুদ্দুস মিয়া তার বাড়ির অদূরে ফাঁকা রাস্তাটার মাঝখানে সটান্ দাঁড়িয়ে থাকা কড়ই গাছটার নীচে এসে থামতে থামতে ভাবে সে কথা। ভাবে যে ‘রক্তের রক্ত না হলেও একেবারে দূরেরও তো নয়। আপন খালাতো ভাইয়ের মেয়ে-জামাইয়ের বাড়ি। খালাতো ভাইয়ের মেয়ে মানে কি নিজের মেয়ের মতো নয় ? থাকতে না হয় নাই বললে, একটু জোর গলায় কি খেতে বলাও মানা ?’
    ভাবতে ভাবতে কুদ্দুস মিয়া কপালের ঘাম মোছে বাঁ হাতে। তবু যেন মুখমন্ডল ভিজেই থাকে তার। অবশেষে খানিকটা উবু হয়ে পরনের লুঙ্গির নীচের অংশটা তুলে একবার মুখখানা মুছে নেয়। তারপর মেরুদন্ড সোজা করে সটান্ দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘ হাফ ছেড়ে সামনের দিকে মুক্ত চোখে তাকায়। যেখানে গেলো আশ্বীনের অকাল বন্যায় বিধ্বস্ত দীর্ঘ বিস্তৃত মাঠভরা ধান ক্ষেত নিথর পড়ে আছে। কার্তিকের তীব্র রোদে তার পঁচনগন্ধ যেন দম আটকিয়ে দেয়। মূহুর্তে এক হলকা শীতল বাতাস এসে তার রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাওয়া তপ্ত শরীরটা ছুঁয়ে গেলে সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। যে বাতাসের জন্য একটু আগেই সে হাহাকার করে উঠেছিল মনে মনে। কার্তিক মাসের শুরুর দিকে রাতে একটু শীত শীত ভাব থাকে বলেই দিনের বেলা মেঘমুক্ত আকাশের নীচে বেশ রোদ পড়ে। তাতে ভর দুপুরে পথে বেরুলে ঘামতে হয় বটে। খুব বেশি দূরের পথ যে সে হেঁটে এসেছে তা নয়। কড়ই... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - ঘাস ফুল

    ত্রিভুজ প্রেম কাহিনীই বলা যায়। রোহিত ভালোবাসতো একজনকে কিন্তু পায় নাই। আবার সিঁথি ভালোবাসে রোহিতকে। তাকেও হারায় রোহিত। 

    প্রথম ভালোবাসাটা রোহিতের বুকে অনেক খানি জায়গায় দখল করেছিল, তাই না পেয়েও সেটা ভুলে যেতে পারে নাই। তাই হয়তো সিঁথির এতো ভালোবাসাও তাকে প্রথম প্রথম সহজে ছুঁয়ে যেতে পারে নাই। যখন এক সময় ছোঁয়া শুরু করলো তখন বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো রোহিতের পারিবারিক এবং আর্থিক অবস্থা। মা বাবা ভাই সবাইকে হারিয়ে এখন কোন কিছুতেই আর রোহিতের ভরসা হয় না। তাই হয়তো সিঁথিকে নিজের জীবনের সাথে জড়াতে চায় নাই। জড়িয়ে কষ্ট দেয়ার চাইতে, না জড়ানোকেই তাই সে সঠিক বলে মনে করেছে। কিন্তু সিঁথি যে নিশিথ, চুমকির মতো ফাঁকি দিবে, সেটা রোহিত ধারণা করতে পারে নাই। শেষ পর্যন্ত সিঁথির দেহটা চলে গেলো কিন্তু মনটা আর ভালোবাসাটা ঠিকই রোহিতের বুকে রয়ে গেলো, যা কেউ কখনো আর সড়াতে পারবে না। 

    গল্পটা বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু আপনার বিরাম চিহ্নের যন্ত্রণায় মাঝে মাঝে আমি নিজেও যন্ত্রণা বোধ করেছি। কয়েক জায়গায় শব্দ এলোমেলো হয়ে গেছে। যেমন- কোথায় 'করে' হওয়ার কথা অথচ আপনি লিখেছেন 'করা'। এই টাইপের কিছু ভুল আছে, যা বাক্যকে নষ্ট করে দিয়েছে। 

    ফিনিশিংটা ভালো দিয়েছেন। শেষ লাইনের 'ভাসাবে' শব্দটার পর একটা কমা হবে। সেটাও দিতে ভুলে গেছেন। অনেক জায়গায় বিরাম চিহ্নের ভুল আছে। এতোগুলো এখানে তুলে ধরা সম্ভব নয় বলে ধরছি না। সময় করে ঠিক করে নিয়েন।  

    ধন্যবাদ সকাল দা। 

    • - সকাল রয়

       

      বিরাম চিহ্ন ঠিক করতে হবে। কিন্তু সময় কোথায়_____

      লিখার ই সময় পা ই না

       

      অনেক অনেক বিনীত চিত্তে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি দাদা

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    অনেক সুন্দর একটা গল্প। এরকম আবেগী গল্প আমার মতো পাঠকদের জন্য; মুগ্ধতায় হাউ মাউ করে কেঁদেকেটে একাকার হয়ে যাব বলে!!! এর বেশি আর আর কিছু বললাম না!! 

    • - সকাল রয়

       

      আমি যখন লিখতে গেছিলাম তখন আমারো এমন হইছিল।

      অনেক অনেক ধন্যবাদ

জিয়াউল হক

১০ বছর আগে লিখেছেন

মানুষ (গল্প প্রতিযোগিতা-২০১৪)

    শীতের কুয়াচ্ছন্ন সকালটাকে পাড়হীন সাদা শাড়ি পড়া নব্য বিধবা রমনী ভাবতে দ্বিধা হয় না। বস্ত্রহীন শরীরে যখন কুয়াশা লেগে সাপের দেহের মতো হিম হয়ে আসে, তখন চারপাশে তাকালে মনে হয় সত্যি পাড়হীন সাদা শাড়ি পড়া কোন নব্য বিধবা রমনী ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে পাথরের মুর্তির মতো। আর তার রক্ত জমে বরফ হয়ে গেছে অকালে পতি বিয়োগের শোকে। তাই তার হিমেল ছোঁয়ায় মনুষ্যদেহ ঠকঠক করে কাঁপে। সর্বাঙ্গ কাঁটা দিয়ে ওঠে। দাঁতে দাঁতে যুদ্ধ হয়। চোখ তুলে তাকালে মনে হয় দিগন্ত পায়ের কাছে। দৃষ্টি তার সাদা কুয়াশা শাড়িতে বাঁধা পেয়ে ফিরে আসে বারংবার।
নব্য বিধবা রমনীর পতি বিয়োগের শোকের মতো ক্রমাগত কুয়াশা যখন বাড়তে থাকে আর তার শুভ্র আঁচল উড়িয়ে নিতে ধেয়ে আসে উত্তরীয় হাওয়া, তখন মনে হয় মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে। আসছে মৃত্যুদূত ! এক হাতে কাফনের কাপড় অন্য হাতে নিশ্চিত মৃত্যুর বিভীষিকাময় নৈরাশ সমুদ্র। তবু সেই সমুদ্রের মাঝেই খড়ের আগুন জ্বলে এখানে মুত্যুদূতকে তাড়াবার জন্য। জ্বলে ঘরে ঘরে, উঠোনে উঠোনে, সকাল থেকে সন্ধ্যা। জ্বলে প্রতিদিন।
কিন্তু তবু এরা অতৃপ্ত। যদি সমস্ত ভূ-পৃষ্ঠ জুড়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে মহাকাশটাকে পুড়িয়ে শীতের বিধবা সকালটাকে দগ্ধ করে মারতে পারতো, হয়তো তবেই এরা তৃপ্ত হতো। তা যখন পারে না, তখন অতৃপ্ত থাকবেই তো ? এমন হাড় কাঁপানো শীতেও যাদের গায়ে এককানি বস্ত্র নেই। পায়ের নিচে জুতা নেই। কী নিয়ে তৃপ্ত হবে তারা ? কারো কারো এক ফোটা সরিষার তেলও নেই ঘরে। হাত-পা আর মুখ-মন্ডল যেন গ্রীষ্মের রৌদ্রে ফাটা শুষ্ক জমিন। আর সে চির চিরে ফাটা জমিনের মধ্যে যখন কুয়াশা ঢুকে ভীষন টাটায়, তখন প্রাণ পাখিটা যেন উড়– উড়– করে।
তবে শীতের প্রতিদিন যারা পল্লীর শীতার্ত জীবনের উষ্ণতার জন্য এই... continue reading
Likes ১২ Comments
০ Shares

Comments (12)

  • - ঘাস ফুল

    অত্যাচারী স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করলে মোটেই কোন নারী চরিত্রহীনা হয় না। এমন কী নুতন বর বয়সে ছোট হলেও। আপনার গল্পের এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত। 

    গল্পটি আরও গুছিয়ে লিখতে পারলে আপনার বক্তব্যতা আরও জোড়াল আবেদন রাখতে সক্ষম হত। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো শামস। 

    - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

    মেসেজ আছে গল্পে। ধন্যবাদ, শামস রাসিদ শাওন।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    ভাল গেলেছে। তবে মনে হয় আরেকটু ভাল হতে পারতো।

    Load more comments...
Load more writings...