Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

তৌফিক মাসুদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

মহাসেনের গোঁত্তা

এক
 
ছোট বেলায় যখন নানী বাড়ি যেতাম তখন গোল্লাছুট খেলা হত খুব বেশী। আর গোল্লাছুট খেলতে গিয়ে যে দক্ষতাটি সবচেয়ে বেশী কাজে লাগত তাকে আমরা বলতাম গোঁত্তা। যে যত বেশী গোঁত্তা দিয়ে প্রতিপক্ষকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে পাড়ত তাকেই দলে ভেড়ানোর জন্য সবাই উঠে পরে লাগত। আমি অবশ্য এই কাজটা করতে ভালই পাড়তাম, কিন্তু লোক দেখানো ব্যপারটি ভাল লাগত না।
 
সে গ্রামে গোল্লাছুট খেলার প্রচলন এতই বেশী ছিল যে মেয়েরাও আড়ালে থেকে এক আধটু খেলার চেষ্টা করত। গ্রামে খেলার মাঠে ভাল গোঁত্তা দিতে পাড়ত এমন ছেলেদের হাব ভাবই আলাদা থাকত। তাদেরকে দলে ভেড়াবার জন্য মাঠে... continue reading

১৭ ৩৮২

জাকিয়া জেসমিন যূথী

১০ বছর আগে লিখেছেন

ফেসবুক বন্ধুতা

 
  
 
আগের পর্ব দেখুন এইখানে  
 
এতক্ষণে ইনবক্সের ওই ম্যাসেজটার অর্থ পুরোপুরি বোধগম্য হলো। লোকটা এই রোম্যান্টিক গানের মধ্যে একটি ছেলে আর একটি মেয়ের ছবি ব্যবহার করেছে। গানের সুরে সুরে মেয়ের ও ছেলেটার ছবি মাঝে মাঝে পর্দায় ভেসে উঠছে। ছেলের ছবিটা ওই সরল আহমেদের নিজের। আর, মেয়েটা অন্য কেউ নয়। সামান্থার!
ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছে, প্রেমিক প্রেমিকার ভূমিকায় যেন ওই সরল আর সামান্থা!
এতক্ষণে চোখে পরলো, গানের সাথের কিছু কমেন্ট। এদের কাউকেই সামান্থা চিনতে পারছে না। বোধহয় সরল নামের লোকটার পরিচিত।
পুলক হাসানঃ “কি রে সরল,গানের ভেতরে কাকে দেখছি? ইনি কি আমাদের সরলের সরলা নাকি?”
ইশরাত নূপুরঃ “গানের সাথে ভিডিওটা বেশ লাগছে! ছবিগুলো দারুন এটাচ করেছেন।”
সরল আহমেদঃ “পুলক, তুই ঠিক ধরেছিস! সরলা পেলাম এতদিনে!”
সরল আহমেদঃ “ধন্যবাদ, নূপুর।”
স্মৃতি হায়াতঃ “ভালো লাগলো ভিডিওটা। কংগ্র্যাটস্ সরল!”
সরল আহমেদঃ “থ্যাংক্স, স্মৃতি।”
 
হায় হায়! এই দৃশ্য যদি পরিবারের কারো চোখে পরে তাহলে কি হবে ভাবতেই ভয়ে কেঁপে উঠলো ও। এমনিতেই ইন্টারনেট আর ফেসবুক ইউজ করা নিয়ে বহুত বকা শুনতে হয় ওকে। মেহজুবাও প্রায়ই বলে, “বন্ধু, তুমি তো আছো এক ফেসবুক লইয়া!” আর ভিডিওটা দেখলে তো কথাই নেই। ক্ষ্যাপাবে! “এখন কি করবো? লোকটাকে সামনে পেলে কাঁচা খেয়ে ফেলতাম! শালা শয়তান! কোন ব্যাক্কলে যে ব্যাটার নাম সরল রাখছে! সরল না গরল! এই ব্যাটা একটা পাজির পা ঝাড়া! ছেলেগুলোর হয়েছে এই এক বদ স্বভাব। এদের বসতে দিলে মাথায় চড়ে বসে!!! এরকম একটা কাজ কিভাবে করতে পারলো? ওওহ, আমি এখন কি করবো!!!” রাগে গর গর করতে করতে মাথার চুল চেপে বলতে থাকলো সামান্থা।
পরবর্তী কয়েকটা ঘন্টা ওর অন্য সব কাজ মাথায় উঠলো। কিভাবে এই ভিডিও ডিলিট করা যায়! সেরকম কোন অপশন পেলোনা। তাতে মাথা গরম হয়ে উঠলো আরো। কি করা যায়! কি করা যায়! কম্পিউটার টেবিলের চেয়ার থেকে উঠে বার বার ঘরের মধ্যে পায়চারী করতে লাগলো। একবার খাটে বসে তো একবার বিছানায়। সারাদিন কম্পিউটার চালানো। মাঝে আবার দু’বার কারেন্ট চলে গেছে। কাজের সময়েই যত ঝামেলা! কারেন্ট যাওয়ারও দরকার পরছে আজকে! যত্তসব!
‘ফেসবুক অথরিটি’ বলে একটা বিষয় আছে এই ব্যাপারে ওর একটা ক্ষীণ ধারণা থাকলেও সেটা কিভাবে করতে হয় তা সামান্থার জানা নেই।
দুপুরের দিকে সরল আহমেদকে অনলাইনে পাওয়া গেল। ও রিকোয়েস্ট করলো ভদ্রভাবে। কারণ মা বলে,“শত্রুর সাথে খারাপ ব্যবহার না করে মোলায়েম ভাবে কথা বলতে হয়। নইলে শত্রু ক্ষতি করে।”
যাহোক মিস্টার সরল ওটা ডিলিট করে দিবে বলে ওকে আশ্বস্ত করলে ও কিছুটা শান্ত হলো। দুপুরে আধো ঘুম আধো জাগরণের বিশ্রাম হলো। বিকেলে আবার অনলাইনে বসলো সে। আবার ভিডিওটা চেক করে দেখে, কিসের কি। ঐটা তো বহাল তবিয়তেই আছে! এবার আর ও চুপ করে থাকতে পারলো না। লোকটাকে হাজার বার রিকোয়েস্ট করতে লাগলো। মেসেজের পরে মেসেজ দিতেই থাকলো। বার বার বুঝালো-“ভাইয়া প্লিইইজ!ওটা থেকে আমার ছবিটা সরিয়ে ফেলুন।”
রাতে আপু ও দুলাভাই দু’জনেই অনলাইনে বসে। রেগুলার। তাছাড়া দেশে বিদেশে ওর আরো কত আত্মীয়-বন্ধু থাকে। ওদের কেউ যদি দেখে ফেলে ভিডিওটা। তারপরে বাসায় জানিয়ে দিলে কেয়ামত হয়ে যাবে।কারন ওটা তো ওর ওয়ালে একেবারে প্রথমেই অবস্থান করছে।
(চলবে...)
   
শেষ পর্ব পড়ুন এখানে continue reading

১৪ ৪৪৮

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১০ বছর আগে লিখেছেন

মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায় এক রাত (গল্প- ৫ম পর্ব)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায় এক রাত-০৪ (গল্প)
মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায় এক রাত -০৩
মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায় -2
মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায়
(পঞ্চম পর্ব)
আমি কথার প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার কি হাঁটতে এখনও কষ্ট হচ্ছে?
-- কষ্ট তো হচ্ছে, এখন কি করবো?
-- আপনার যখন বেশি কষ্ট হবে তখন বলবেন আমি দাঁড়িয়ে যাবো।
একথা বলায় মহিলা কিছুদুর গিয়েই আমার ঘার ঝাঁকি দিয়ে বলল, ভাই একটু দাঁড়ান আমি আর হাঁটতে পারছি না।
-- এ ভাবে দাঁড়ালে তো স্টীমার পাওয়া যাবে না।
-- একটু দাঁড়ান ভাই হাপিয়ে গিয়েছি একটু জিরিয়ে নিই।
একটু জিরিয়ে নিয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম। চার পাঁচবার জিরানোর পর একসময় ঘাটে এসে পৌছলাম। তখনও স্টীমার ওপার থেকে আসে নাই। বেশির ভাগ যাত্রী খাওয়ার হোটেলে বসে আছে। এখনও অনেকে খাচ্ছে। আমরা দুইজন আপাতত ছোট একটা হোটেলে বসলাম। মহিলা একদম কাহিল হয়েছে। বিজলীবাতির আলোতে চেয়ে দেখি তার কানের পাশে ধুলা লেগে আছে। আমি ব্যাগ থেকে গামছা বের করে তাকে হোটেলের পাশে অন্ধকারে ডেকে এনে বললাম, গামছা দিয়ে হাত মুখ ভালো করে মোছেন। কানে, মুখে, মাথায় বালু লেগে আছে।
মহিলা তাড়াতাড়ি গামছা দিয়ে পুরো শরীর মুছে নিল। হোটেলের কলে পানি চেপে দিলে হাতমুখ ধুয়ে নিল। আমিও হাত মুখ ধুয়ে নিলাম। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগেছে। আমি মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাত খাবেন?
মহিলা মাথা নাড়ালো, খবো।
-- কি দিয়ে খাবেন?
-- চিংড়ি মাছ নেন।
মহিলার জন্য চিংড়ি মাছ এবং আমার জন্য পিয়ালী মাছ নিয়ে নিলাম। খাওয়ার সময় মহিলা আমাকে তার বাটি থেকে অর্ধেক চিংড়ি মাছ তুলে দিলো।  আমিও আমার পিয়ালী মাছের অর্ধেক তাকে দিয়ে দিলাম। খাওয়া শেষ করতে না করতেই স্টীমার ঘাটে এসে ভিরল। স্টীমারের যাত্রী নামার পর আমাদের উঠার সুযোগ হলো। স্টীমারে উঠার সময়ও মহিলা আমাকে ধরে ধরে উঠে। স্টীমারে উঠার প্রায় চল্লিশ মিনিট পর স্টীমার ছেড়ে দেয়।
ওপারে গিয়ে একজন কুলি ঠিক করি। স্টীমার চাপার সাথে সাথে কুলি লাফদিয়ে আমাদের ব্যাগ নিয়ে দৌড়াতে লাগল। আমি কুলিকে ফলো করে হাঁটতে লাগলাম। কিন্তু সমস্যা হলো মহিলাকে নিয়ে। সে হাঁটতে পারছিল না। আমি তার ডান হাত বগলে চেপে ধরে কুলির পিছে পিছে হাঁটতে লাগলাম। মহিলা অনেক কষ্টে খোঁড়াতে খোঁড়াতে আমার সাথে সাথে এলো। কুলি গাড়ির মাঝামাঝি একটি বগিতে আমাদের তুলে সীট দখল করে দিল। সীটে বসতে পেরে কুলিকে পাঁচ টাকা বখশীশ দিয়ে দিলাম।
এখানেও চল্লিশ মিনিট পর গাড়ি ছেড়ে দিল।
আমরা বগীর জানালার সাইডে মাঝখানের দেয়াল ঘেসে বসেছি। দেয়ালের সাইডে মহিলাকে রেখে তার পাশেই আমি বসেছি। গাড়ির দুলুনীতে মহিলা ঘুমে ঢুলতেছিল। ঘুমে কখন সে দেয়ালের সাথে কখন সে আমার কাধের সাথে ধাক্কা খাচ্ছিল। এভাবে কয়েকবার ধাক্কা খাওয়ার পর একসময় আমার কাধের উপর আস্তে করে মাথা ঠেকিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে গাড়ির ঝাকিতে মাথা ছিটকে সরে গিয়ে তার ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছিল। এ অব¯থা দেখে আমার সামনের সীটে যে দুইজন মহিলা বসা ছিল তার মধ্যে মধ্য বয়স্ক মহিলাটি ্আমাকে ডাক দিয়ে বলল, এই যে ভাই, নতুন বিয়া করছেন বুঝি?
এ কথা শুনে আমি তার মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকি। মহিলা আমার তাকানো দেখে বলে উঠল, আরে ভাই নতুন বিয়া করা বউ নিয়া ঢাকায় যাইতেছেন তো এতো শরমের কি আছে? বউয়ের মাথাটা হাত দিয়া কান্দের উপর চাইপা ধরেন। নইলে গাড়ির ঝাকিতে ছিটকা পইরা মাথায় ব্যাথা পাইবো। তখন তো আপনারই হাসপাতালে দৌড়াইতে হইবো।
মহিলার এ কথার পরও যখন আমি তার মাথা হাত দিয়ে ধরছি না, তখন সে উঠে এসে আমার হাতের মধ্যে মাহিলার মাথা দিয়ে আমাকে চেপে ধরে দিয়ে বলল, বিয়া করছেন, স্বামী হইছেন, বউয়ের আদর করবার জানেন না। আপনি কেমন মানুষ?
মহিলা আমাকে স্বামীর আসনে বসানোর কারণে আমার কেমন যেন লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছিল। লজ্জা লজ্জা ভাবেই তার মাথাটা আমার কাঁধে চেপে ধরি। মাথা চেপে ধরায় মহিলা আরাম পেয়ে আমার... continue reading

১১৬৫

মামুন ম. আজিজ

১০ বছর আগে লিখেছেন

প্রকাশিত হলো সংকাশ ছোট কাগজের চতুর্থ সংখ্যা

মামুন ম. আজিজ এর সম্পাদনায় এবং পন্ডিত মাহী ও রনীল জহিরের নিবিড় সহযোগিতায় প্রকাশিত হলো 'সংকাশ' ছোট কাগজের দ্বিতীয় বর্ষ॥দ্বিতীয় সংখ্যা (ডিসেম্বর ২০১৩।। অগ্রহায়ণ-পৌষ ১৪২০)
এটি সংকাশ এর চতুর্থ সংখ্যা।

এ সংখ্যায় যারা লিখেছেন...
কবিতাঃ
আহমেদ সাবের
আহমাদ মুকুল
সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (সূর্য)
রেজওয়ান তানিম
হাসান মসফিক
রুদ্র অনিবার্ণ
শেখ একেএম জাকারিয়া
রোদের ছায়া
তানি হক
প্রজ্ঞা মৌসুমী
বনলতা হাসান দেবী
খন্দকার নাহিদ হোসেন
তাহমিদুর রহমান
অজ্ঞন আযার্চ
সিপাহী রেজা
বিষণ্ণ সুমন
লুৎফল বারি পান্না
উদয় শংকর দুর্জয়
জলধারা মোহনা
ফাতেমাতুজ জোহরা
অজয়... continue reading

১২ ৪০৯

ফায়েজ মাহ্‌দী

১০ বছর আগে লিখেছেন

মেয়েটা খুব সুন্দর, অনেক বেশি সুন্দর !

মেয়েটা খুব সুন্দর, অনেক বেশি সুন্দর। কি সুন্দর করে হিজাব পরেছে, আবার জিন্সও পরেছে, হাতে চুড়িও আছে সেই সাথে আরেকজনের হাত। মেয়েটা আসলেই অনেক বেশি সুন্দর। কিন্তু যার হাতটা ধরে আছে সেই ছেলেটা ভালো না। আসলে ছেলে না, ধামরা ব্যাটা একটা। মেয়েটার হাইট পাঁচ ফিট তিন হবে। আর ছেলেটার হবে অলমোস্ট ছয়। কিছুতেই দুজনকে মানাচ্ছে না। কোনভাবেই না। অন্যদিকে ছেলেটার চুল মেয়েটার চেয়েও বড়। 
মেয়েটাকে ছেলেটা ধপাস করে একটা থাপ্পড় দিয়ে বসলো। তবুও মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে আছে। কাঁদছে আর বলছে, তুমি আমাকে একদম শেষ করে দিছ শাকিল। আমার আর কিছুই নেই নিজের। এরচেয়ে একটা রাস্তার মেয়েরও অনেক দাম আছে।
চুপ কর,... continue reading

১৩৫৭

জাকিয়া জেসমিন যূথী

১০ বছর আগে লিখেছেন

ফেসবুক বন্ধুতা

    পর্ব-০১ 
 
 
পর্বঃ দুই 
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে প্রতিদিন সামান্থার অনেক ব্যস্ততা। বোন দুলাভাই দুজনে নিজেরা রেডি হয়ে অফিসে চলে যায়। ভাগ্নে ভাগ্নী দুটোকে ঘুম থেকে তোলা থেকে শুরু করে নাশতা খাওয়ানো, পোশাক পরানো, টিফিন রেডি করে সাথে দিয়ে দেওয়া, স্কুলে দিয়ে আসা এবং ছুটির পরে বাসায় আনা সবই ওর একার কাজ। বোন-দুলাভাই দুজনেরই অফিস সামলে এসব দিকে সময় দেয়াটা বেশ কষ্টকর হয়ে উঠে।
দুজনেরই অফিস সেই গুলশানে। আর বাসা-স্কুল সব ধানমন্ডিতে। নেহাত সামান্থা পড়াশুনা শেষ করে অবসরই বসে আছে। এখনো কোন চাকরি শুরু করেনি। তাই এসবে ওর কোন সমস্যা হচ্ছে না।
কালরাতে ভালো ঘুম হয়নি। ভোরবেলাতেই ও বিছানা ছেড়েছে আজকে। অন্যান্য দিন যা সে কখনো করেনা। আজ সকালে নাশতা না খেয়েই আগে নেট কানেকশন লাগালো। ফেসবুক লগ-ইন করে দেখতে পেলো, ইনবক্সে একটা ম্যাসেজ। মাউস ড্রাগ করে ম্যাসেজ ওপেন না করেই যতটূকু পড়লো, “সরল আহমেদঃ ‘আপনার অনুমতি ছাড়াই আপনার ছবি...”
“কি লিখেছে? ‘আপনার ছবি’ মানে? আমার ছবি? আমার ছবি কী করেছে? কোন্ ছবি? পেইন্টিং?”
পুরো ম্যাসেজটা ওপেন হওয়ার পরে দেখতে পেলো, “আপনার ছবি অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করার জন্য দুঃখিত। আমার মনে হয় আপনার ভালো লাগবে।”
কালরাতের সেই লোকটা। ম্যাসেজটার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলোনা। “যাক্। রাতে অস্থিরভাবে না ঘুমানোর মত কোন কারণ ঘটেনি। অযথাই সন্দেহ করেছিলাম!”
এরপর সারাদিন নিশ্চিন্ত মনে ঘর কন্যায় ডুবে গেলো।
বিকেলে মেহজুবার ফোন এলো। সামান্থার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। দুজনে একই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বছর মাস্টার্স সমাপ্ত করেছে। মেহজুবা মনোবিজ্ঞানে। সামান্থা গণিতে।
“এই, সিদ্ধেস্বরী কলেজে নিয়োগের সার্কুলার হয়েছে। দেখেছিস? ইত্তেফাক পেপারে গতকাল প্রকাশ হয়েছে বিজ্ঞপ্তিটা। বিভিন্ন বিষয়ের সাথে গণিতেও প্রভাষক নেবে। সার্কুলারটার বিস্তারিত তুই বিডিজবসডটকম থেকে দেখে নিস। ফোনে তো এত ডিটেইল বলা যায়না।”
“আচ্ছা ঠিক আছে। দেখবো।”জবাব দিলো সামান্থা।
সন্ধ্যায় নেট কানেকশন লাগিয়ে ফেসবুক, বাংলা ব্লগ, বিডিজবসডটকম সব জায়গাতেই লগ-ইন করে আগে চাকরির বিজ্ঞপ্তিটা দেখে নিলো। তারপরে,ফেসবুক ট্যাব ওপেন করলো। ফেসবুক ওয়ালে চোখ পরলো। একটা ভিডিও। গানের। কে যেনো ওকে ভিডিওতে ট্যাগ করেছে। হর হামেশাই ফেসবুক বন্ধুদের কেউ না কেউ ফটোগ্রাফিক ছবি, গল্প, কবিতায় ওকে ট্যাগ করে। দেখার জন্য। কেমন বানানো হলো জিনিসটা। কিন্তু নাম ট্যাগ করাই সার। ওর কখনোই এসবের সবগুলো সময়মত দেখা হয়ে ওঠে না। কমেন্টও করা হয়না বেশিরভাগেই। কিন্তু,আজই হঠাৎ ওর এই ভিডিওটা দেখার শখ হলো। কেননা ওটা গানের ভিডিও। গান তো সামান্থার ভীষণ পছন্দ! বিশেষ করে আধুনিক বাংলা গান।
“পলাশ ফুটেছে। শিমুল ফুটেছে। (তপন চৌধুরী)”
“নাহ। এই গানটা তো মনে হচ্ছে কখনো শুনি নাই।” গানটালোড করে কানে হেড-ফোন লাগিয়ে ও শুনতে শুনতে ভাবলো “নাহ্! গানটা মন্দ লাগছে না। ভিডিও গান! বাহ! গানের কথাগুলো তো ভালোই... পলাশ ফুটেছে ... শিমুলফুটেছে... এসেছে দারুন মাস... আমি জেনি গেছি... তুমি আসিবে না ফিরে...মিটিবে না পিয়াস...পলাশ ফুটেছে... শিমুল ফুটেছে... এসেছে দারুন মাস । ...আমি জেনে গেছি ...তুমি আসিবে না ফিরে... মিটিবে না পিয়াস... কতদিন কত আশার স্বপন দেখেছি সংগোপনে ...কতদিন কত আশার স্বপন দেখেছি... সংগোপনে... হৃদয় আমার ভরেছিলাম দখিনা ...”
কানে হেড ফোন লাগিয়ে শুনতে শুনতে ও ভিডিওটি দেখতে লাগলো। দেখতে দেখতে ভিডিওটার মাঝ বরাবর এসে ওর মাথা গরম! “ওওওহ, নো!!!এটা কি! ভাগ্যিস খেয়াল করেছিলাম!”
(চলবে...) 
 
তৃতীয় পর্ব পড়ুন এইখানে  continue reading

২২ ৫৬৩

তৌফিক মাসুদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

পুতুল ও মেছোবাঘের গল্প

এক
পুকুর পাড়ের বাবলা গাছটির পাতাগুলোর মাঝখান দিয়ে শেষ বিকেলের লাল সূর্যটা আবছা দেখা যায়। সেখানে বৃষ্টি ভেজা গাছের পাতাগুলো নিশ্চুপ হয়ে আছে। গাছের নিচে কচু পাতার মাঝে জমে থাকা পানি তখনো মাটি ছোঁয়ার স্বপ্নে বিভোর। শেষ বিকেলের আলো পাতার মাঝে জমে থাকা পানিকে লাল রঙের আভা দিচ্ছে। কিছুক্ষণ পরেই পুতুল প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্যকে আর অবাক চোখে চেয়ে দেখতে পারবেনা। কেননা আর একটু পরেই সন্ধ্যা তার নতুন রূপ নিয়ে পুতুলের সামনে এসে হাজির হবে। কিন্তু সন্ধ্যার এই রূপ পুতুলের মত পাঁচ কিংবা ছয় বছরের একটি মেয়ের কাছে শুধুই অন্ধকার, যে অন্ধকারকে সে ভয় পায়।
প্রতিদিন বিকেল বেলায়... continue reading

১২ ৪৬১

সকাল রয়

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমাদের তো কিছুই নেই

সে রাতে মেঝেতে ক’ফোটা রক্ত দেখে
আঁতকে উঠেছিলাম! তখনও ভাবিনি দেখতে হবে রক্তবন্যা। আমার হাত ধরে তুই
আর আমাদের ছোট বোন অলকা ঠিক যেন একসাথে কেঁদে উঠেছিলাম। সে চিৎকারে তুই মুখ চাপা দিয়েছিলি।
আঙ্গিনায় পড়ে থাকা বাবার পাঞ্জাবী ভেজা ছিল রক্তে। দেখি মা ঠিক পুতুলের মতো মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঘরদোর এলোমেলো। যেন কোন ঝড় এসে খেলে গেছে তান্ডবলীলা।
বারান্দা পেরিয়ে কলতলায় এসে দেখি পড়ে আছে বড়’দি’র এক পাটি চটি, গতকাল বাবা যেটা খুজে খুজে কিনে এনে দিয়েছিল বড় বাজার থেকে। আমি শখের সে চটির পানে তাকিয়ে ভাবছি আর এক পাটি কোথায়? আর কোথায় আমাদের বড়’দি।
কিছুটা বিস্ময়ে আমি যখন গেছি তলিয়ে, তুই... continue reading

১৪ ৪৬৬

জিয়াউল হক

১০ বছর আগে লিখেছেন

সালিশিনামা (ধারাবাহিক গল্প)

(দুই)

কল্পনা তার ছোট ভাই-বোনের বিছানায় জানালার ধারে মরার মতো সটান্ শুয়ে থেকে গুনগুন স্বরে কাঁদছিল আর কী সব আবোলতাবোল ভাবছিল। চাচা সাত্তার মিয়ার গলা ফাটানো চিৎকার গালাগাল শুনে তার ভাবান্তর হলো, এবং সে যখন শুনতে পেলো  কেউ সাক্ষি দিবে না, তখন তার ক্রোধটা আবার ধা ধা করে উঠলো আগের চেয়েও দ্বিগুন বেগে। তবে সেটা শত্রুর চেয়ে প্রতিবেশিদের উপরেই বেশি চড়াও হয়ে উঠলো। কারণ প্রেমিকের সাথে গোপন প্রণয়টা যারা হাতেনাতে ধরে রাষ্ট্র করে দিতে পারলো, এমনকি উপযাচক হয়ে সে খবরটা তার স্বামীর কানে পৌঁছে দিয়ে এক নিমেষেই তার দাম্পত্য সংসারের সমাপ্তি ঘটিয়ে দিতে পারলো, এখন তারা মামলার সাক্ষি হতে পারে না ?
যত ভাবে ততই ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠে কল্পনা। ভাবনার মাঝে এক সময় কাপুরুষ প্রেমিকের কথা মনে পড়লে ক্রোধের মাঝেও একটা চিন্ চিনে ব্যথা বুকে অনুভব করে সে। মন ভুলিয়ে যে প্রণয়ে আবদ্ধ করে, সে কী করে গা বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যায় ? ভয়েই যদি করিস তবে প্রণয়ে আবদ্ধ করলি কেন ? কেন আমার স্বামীর সংসার ভেঙ্গে দিলি ? কাপুরুষ, শয়তান, বদমাশ........ ! সে আর ভাবতে পারে না। তার ফুঁফিয়ে কান্না আসে। আবেগে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসে।
কিন্তু আবেগের মধ্যেও যখন নিজের অস্তিত্বের কথা ঝিলিক দিয়ে ওঠে মনে, তখন এক মূহুর্তে সে ফিরে আসে জীবন সমুদ্রের মাঝে, এবং তাকিয়ে দেখে চারপাশে কোথাও তার কূল নেই ; সে ভেসে আছে অথই জলে, তখন তার কণ্ঠরুদ্ধ আবেগ হঠাৎ শুস্ক পাথরে রুপান্তরিত হয়ে হৃদস্পন্দন যেন থামিয়ে দেয়। সে আর ভাবতে পারে না। ক্রোধে কুকড়ে আসা হালকা পাতলা দেহটাকে পুটলি বানিয়ে গুম হয়ে পড়ে থাকে।
তবে অনেকক্ষণ পর নিজের অজান্তেই সে এক কান্ড করে বসে। হঠাৎ বিছানা থেকে লাফ দিয়ে নেমে পাগলের মতো দিগদ্বিগ তাকায়, তারপর কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই উন্মাদের মতো ছুটে গিয়ে ইটের দালানওয়ালা বাড়ীর ভিতরে দক্ষিণ দুয়ারি ঘরটায় ঢুকে ভিতর থেকে  খিল এঁটে দেয়, এবং ধপাস করে মেঝেতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
ঘরটা আসাদের। সকালবেলার ছিপছিপ বৃষ্টির মধ্যে ঘটিত ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত সে পলাতক। অবশ্য তাৎক্ষণিক পারিবারিক শলাপরামর্শে তাকে ভাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের বিত্তশালী পরিবারের লোকদের প্রত্যেককেই আলাদা সংসার করতে দেখা গেলেও অস্তিত্বের প্রশ্নে তারা কিন্তু এক, অথবা রসুনের মতো একই মূলে বহুমুখি।  আর সে জন্যেই দেখা গেলো আসাদের সতালো ভিন্ন সংসারী তিন ভাই, যারা ইতিপূর্বে বাপের সহায়-সম্পত্তির ভাগা-ভাগি নিয়ে বহুবার দ্বন্দ-সংঘাত করেছে তারাই আজ অবিবাহিত কনিষ্ঠ সৎ ভাই আসাদকে  ইতর-গরীব চালচুলোহীন এক পরিবারের বিবাহিতা প্রেমিকা নারীর রাহু থেকে রক্ষা করার জন্য ছুটে আসে। কেউ লাঠি নিয়ে গেলো কল্পনার বাপ-চাচাকে মারতে, কেউ এলো আসাদের ঘর থেকে কল্পনাকে টেনে হেঁচরে বের করে দিতে। তাদের রক্তচোখের চাহুনিতে আর হুঙ্কারের আওয়াজে সমস্ত গ্রাম কেঁপে উঠলো। যে গ্রামবাসি ঘটনার প্রত্যাক্ষদর্শী হয়েও সাক্ষি দিতে এলো না, তারা হঠাৎ বিপুল শক্তি নিয়ে ছুটে এলো তাদেরকে সহায়তা করতে।
কিন্তু জব্বার মিয়া আর সাত্তার মিয়াকে লাঠিপেটা করা সহজ হলেও দালান ঘরের স্টীলের দরজা ভাঙ্গা সহজ কথা নয়। গা ঘামাতে হবে। সময়ও লাগবে। কেউ শাবল নিয়ে এলো, কেউ ধাক্কাতে লাগলো, কেউ জানালার গ্রিল কাটার চেষ্টা করতে লাগলো হেকসো ব্লেড দিয়ে। সামান্য একটি মেয়ের ভয়ে সকলেই যেন সন্ত্রস্ত। সমস্ত বাড়ী জুড়ে কী এক বিশ্রি কান্ড বেঁধে গেলো।
আসাদের ষাটোর্ধ বয়সী পিতা রইচ কেরানি বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিংহের মতো গর্জন করতে লাগলো। তবে যত গর্জনই করুক, মনে মনে সে কিন্তু ভীষন আশ্চর্য হয়েছে। কারণ তার ধারনা ছিল এর চেয়েও বড় কোন ঘটনা তার ছেলেরা ঘটালে, তাতে কেউ আদালতে মামলা করতে পারলেও অন্ততঃ বাড়ীতে এসে আক্রমন করার সাহস পাবে না। অথচ একজন বিত্ত বৈভবহীন লোকের সামান্য মেয়ে তার বাড়ীতে এসে আক্রমন করলো, যদিও তাকে সরাসরি অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলো না, কিন্তু তাকে ভাবিয়ে তুললো। কারণ তার বহু সাধনায় গড়ে তোলা প্রভাব প্রতিপত্তির মাথায় সে যে ক্ষত সৃষ্টি করে দিলো, সে কেলেংকারির ঘা তো বাকি জীবনে আর শুকোবে না। তাছাড়া নারী ঘটিত... continue reading

৭৮০

জাকিয়া জেসমিন যূথী

১০ বছর আগে লিখেছেন

ফেসবুক বন্ধুতা

                       
 
হাসিখুশি চমৎকার উচ্ছ্বল চঞ্চল মেয়ে সামান্থা। কথা বলতে খুব ভালোবাসে। বেশ মিশুক। অপরিচিত নতুন কোন মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করে ফেলতে ওর একটুও সময় লাগে না। মুহূর্তেই এতটা আপন করে নেয় যে মনে হয় কত দিনের চেনা!
ফেসবুক ব্যবহার করার মাধ্যমে নতুন নতুন দেশে বিদেশে থাকা সিনিয়র জুনিয়র অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। নিজের আত্মীয় বন্ধুরা ছাড়াও ফেসবুক এর অন্য বন্ধুদের তালিকা থেকে বা হোম পেজ এ দেওয়া ‘বন্ধু হিসেবে যোগ করতে পারেন’ এমন কাউকে দেখলেই নাম কিংবা প্রোফাইল পিক দেখে পছন্দ হলে যোগ করে নেয়। এমনি করে জানা অজানা অনেক অনেক বন্ধু এখন ওর।
বড় বোন আতিফা বলে, “তুই এতসব অচেনা লোককে কেন যোগ করিস? সবাই কিন্তু সমান নয়।আজেবাজে লোক দিয়ে ভার্চুয়াল এই জায়গাটা ভরা থাকে। ঝামেলা বাঁধলে বুঝবি!”
এসব কথায় সামান্থা কখনো পাত্তা দেয়না। ফেসবুক বন্ধুদের কারো কাছ থেকে কোন অপ্রীতিকর কিছু কখনোই সে পায়নি। আপু অযথাই ভয় পায়।
দেশে বিদেশে ওর বন্ধুতা লিস্টে থাকা বিভিন্ন বয়সী নানান নারী-পুরুষ বন্ধুদের কারনে ওর উপকারই বেশি হয়েছে। এইসব নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয়ের মাধ্যমে নিজে অনেক কিছু জানতে পেরেছে। একেক মানুষের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ারিং এর মাধ্যমে অনেক কিছু শেখা যায়। তবে,সবাইই যে নির্ভেজাল ভালো মানুষ তা নয় অবশ্য। কিছু মানুষ আছে আজাইরা বকবক করে ওর মাথাটা খেয়ে নিতে চায়। সব সময় কি আর কথা বলতে ভালো লাগে! সময় অসময় আছে না! এরকম হলে ও ফ্রেণ্ড লিস্ট থেকে তাকে ছাটাই করে দেয়। তাও আবার জানিয়ে। “দেখুন ভাই,আপনি না ভীষণ বিরক্তিকর! মাফ করবেন। আপনাকে ডিলিট করে দিচ্ছি”এই বলে। নিজের কান্ড দেখে ওর বেশ হাসি পেয়ে যায়! মুছে দিবি। দে!আবার জানানো কেন!
সেদিন রাতে এক অদ্ভূত কাণ্ড হয়েছে। ফেসবুক এর ম্যাসেজ ইনবক্সে দেখে এক তরুণ ওকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছে- “আমাকে আপনার বন্ধুতা লিস্টে জায়গা দেয়া যায়? তাহলে প্লিজ আমাকে রিকোয়েস্ট পাঠান।” প্রো-পিক দেখে মনে হলো, ওরই বয়সী হবে। সামান্থা একটু অবাকই হয়ে গেলো। বন্ধু হিসেবে যোগ করতে ইনবক্সে ম্যাসেজ দিতে হয় নাকি? রিকোয়েস্ট পাঠালেই তো চলে। লোকটার সম্পর্কে কৌতূহল হলো। তবু আগে লোকটার প্রোফাইল ঘেঁটে দেখে নিতে চাইলো। যতটা দেখা গেলো তাতে সন্দেহজনক কিছুই নেই। যা হোক সে নিজেই বন্ধুতার রিকোয়েস্ট সেন্ড করে দিলো। "দেখাই যাক না! খারাপ হলো পরে না হয় ডিলিট করে দেওয়া যাবে!"
লোকটাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর সাথে সাথে ওকে এক্সেপ্ট করে নেওয়া হলো। লিস্টে যোগ হওয়ার সাথে সাথে সামান্থা ভালো করে নতুন বন্ধুর প্রোফাইলের সবকিছু ঘেঁটেঘুঁটে দেখা শুরু করলো। দেখতে দেখতে বেশ রাত হয়ে গেলো। ঘুমানো দরকার। রাত আড়াইটা পেরিয়ে গেছে। এখনো পুরো প্রোফাইল, নোটস, ছবি, ভিডিও ইত্যাদির কিছু কিছু দেখা বাকি রয়ে গেছে। লোকটা কোত্থেকে ওর নাম পেয়েছে বার বার জিজ্ঞেস করেও ও এখনো জবাবটা পায়নি। কোন মিউচুয়াল ফ্রেন্ডও তো নাই। জানলো কি করে! কিন্তু,আর বেশি রাত জাগতে ইচ্ছে করছে না। “থাক। সকালে উঠে দেখে নেবো বাকিটা। কয়েকদিনের কথাতে লোকটা নিশ্চয় নিজে থেকেই জানাবে” ভেবে সামান্থা ইন্টারনেট লাইন অফ করে দিলো। কিন্তু, মনের ভেতরের খচখচানিটা কিছুতেই গেলো না। যা তার আর কোন সময়েই হয়নি। আজ কেন যেন শুয়েও শান্তি পেলোনা ও।
 
(চলবে...) 
 
দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন এইখানে continue reading

২০ ৫২৮