কুকুরের নাম গ্যাব্রিয়েল।
কসুমদ্দিন জিজ্ঞাসা করলো, পিপড়া ভাই, এইটা কি বিদেশী কুত্তা?
-না-ভাই এটা বিদেশী না সহি দেশী প্রাণী, তবে দেখলে সহসা বুঝা যায় না। আর মিয়া কসুমদ্দিন, কুকুরকে কুত্তা বলা ঠিক না। কসুমদ্দিনের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম কথাটা ঠিক তার মনঃপুত হলো না। তাই ত্রিশ সেকেন্ড অপেক্ষা করে আবার বললো, দেশী কুত্তার নাম তো দেশী ই হওন দরকার, গ্যাব্রিয়েল নামডা তো বিদেশী মনে অয়।
আমি বসেছিলাম গ্যাব্রিয়েল কে নিয়ে। ওর গলার শিকল ছাড়িয়ে মাঠের ঘাসে ছেড়ে দিলাম। তিন মাসের বাচ্চা। আর কয়েক মাস চলে গেলেই নিজেকে রক্ষা করতে শিখে যাবে। শিকলটা ব্যাগে ঢুকাতে ঢুকাতে বললাম, মিয়া কসুমদ্দিন দেশী মানুষের নাম যদি গ্যাব্রিয়েল হতে পারে তাহলে দেশী কুকুরের নাম গ্যাব্রিয়েল হতে দোষ কি?
কথা শেষ হতেই মাথা চুলকে কসুমউদ্দিন বললো, কুত্তা আর মানুষ কি এক হইলো নি? কই টাই-স্যুট পড়া মানুষ আর কই রাস্তার নেড়ি কুত্তা!
ওর কথা শুনে কিছুক্ষণ দাঁত চেপে হাসির ভাব নিলাম।
কুকুর আর মানুষে অনেক মিল আছে, বহুকাল ধরে কুকুর আর মানুষ বন্ধুর মতো চলে আসছে। বিস্তর কাহিনীর দৃশ্যায়নে নাইবা গেলাম তবে কসুমদ্দিন, একটা কথা তো স্বীকার করবে নিশ্চয়ই, কুকুর একজন প্রভুভক্ত প্রাণী ট্রেনিং দিয়ে নিলে সে অনেক কাজই করতে পারে এমনকি মানুষের সাথে সহবাস ও করতে পারে তবে তার ভেতরকার কুকুরত্ব হারিয়ে সে মানুষের মতো কুকুর হতে পারে না।
কথা শেষ করে দেখি কসুমদ্দিনের হাতের চায়ের কাপ। তাতে সে বিস্কুট ডুবিয়ে খাচ্ছে। তার মানে বোঝাই গেল আমার কথাগুলো বিস্কুটের মতো তার পেটে চলে গেছে। কিছুই মাথায় ঢুকে নি। সেদিনের মতো তাকে বুঝিয়ে বললাম কুকুরকে... continue reading
Comments (7)
ভাললাগা জানালাম...
ধন্যবাদ কবি দা
সুন্দর।
ধন্যবাদ ভা্