Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"কবিতা" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

আনমনা

১০ বছর আগে লিখেছেন

"শেষ চিঠি"

 
 
একটা ঝিনুক কিন্তু পাওনা আছে, 
শেষ রাত্তিরের সমুদ্রস্নান টাও জমা,  
শরতের শেষ কাঁশফুলের অধিকার- অথবা;
দীঘির পাড়ের নির্জনতা, ঋণ জমা থাক।
 
প্রিয়তমের অধিকার- 
অসময়ের বাধ্য নিয়মে নিশ্চিত বিসর্জন,
ভালো থাকার একটি মিথ্যে পণ,
শোঁকের আয়োজনে দু-দণ্ড দেরী-
আসন্ন ঘৃণার কাছে ঋণ হয়ে থাক।  
 
বাগানে সাদা ফুল ফুঁটুক, ভাঙ্গুক নদীর কূল;
সব আয়না ভেঙ্গে চুর, লেপ্টে যাক কাঁজল;
আর, তোমার আমার প্রেম রাজহংসের মতো-
আমার চোখের নদীতে ডুবে মরুক।  
X
continue reading

১৪ ৪২৫

ফেরদৌসী বেগম ( শিল্পী )

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভগ্ন হৃদয়ে যাবে কোথায়?

 
ভগ্ন হৃদয়ে যাবে কোথায়?
যখন গাওয়ার জন্য কোন গান থাকেনা,
থাকেনা তাদের কোন প্রার্থনা,
হৃদয় যখন হয়ে থাকে উলঙ্গ।

ভগ্ন হৃদয় নিয়ে যাবে কোথায়?
যখন তোমার হৃদয় হয়ে থাকে ছিন্ন,
তোমার বুকের বাহিরে,
ছিড়ে টুকরো টুকরো হয়ে।
যখন তোমার শরীর হয়ে যায় অসাড়,
এবং তুমি আর পারনা কিছু গ্রাহ্য করতে।

ভগ্ন হৃদয়ে যাবে কোথায়?
যখন শরীরের সমস্ত রক্ত ভেসে যায়,
আর ভেসে আসে শুধুই আর্তনাত।
চোখ দুটু যখন হয়ে আসে
ঝাপসা আর ফ্যাকাশে।

হত্যা, হত্যা, আর হত্যা,
তাদের রক্ত ছিটিয়ে... continue reading

১২ ৬২২

অনিন্দ্য অন্তর অপু

১০ বছর আগে লিখেছেন

এক কৃষক বাবার ভয়

গ্রামের কৃষকটা আজ ভয় পাচ্ছে, বড্ড বেশি ভয় পাচ্ছে।
ওর তিল তিল করে গড়ে ওঠা স্বপ্নটা আজ ডানা
মেলে উড়তে ভয় পাচ্ছে।
রোদে পোড়া, বৃষ্টিতে ভেজা ওর শরীরটা ভয়ে শিউরে উঠছে,
ওর লাঙ্গল ধরা শক্ত হাতটা আজ ভয়ে কাঁপছে।
জীবন যুদ্ধের লড়াকু সৈনিকটা আজ ভীতু, বড্ড বেশী ভিতু।
গ্রামের কৃষকটা ওর জিপিএ ৫ পাওয়া
ছেলেটাকে শহরে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে।
ওর ভয়, প্রিয় সন্তানটা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার
হতে গিয়ে হালের গরু হয়ে ফিরবে কিনা?
ওর ভয়, এই ছেলেটা ওকে বাবা বলে
ডাকতে লজ্জা করবে কিনা?
ওর ভয়, শহুরে সভ্যতার মাঝে গিয়ে 
ছেলেটা অসভ্য হয়ে উঠবে কিনা?
ওর ভয়, শহুরের মেমদের হাত ধরে মাটির
ছেলেটা পাথরের সাহেব হয়ে... continue reading

৫৫৬

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

শুভ্র নীলে হেমন্ত যেন দাগ টেনেছে

শুভ্র নীলে হেমন্ত যেন দাগ টেনেছে,
বেলা শেষে শিশির ঝরার মাদকতায়, আবছা আঁধার করে নিমন্ত্রণ
ছুয়ে যেতে চায় সাঁঝ লালিমায়, উত্তরের হালকা হিমেল বায়
সজনে পাতায় হাওয়ার কাঁপন ফড়িং ডানা গায়।
ঝাঁক বাঁধা শালিক দলে,
কিচির মিচির গানে, উনুন চালে উঠছে ধুঁয়া সাঁঝ ঘনালে পরে
চাল কুমড়া চুন মেখেছে সবুজ গা জুড়ে, বাঁশঝাড়ে ডাকছে ঘুঘু
জোনাক আলো জ্বালে।
জোনাক আলোয় হেমন্ত রাত,
ফুড়িয়ে যাওয়া চাঁদের আলো মাগে, অমাবশ্যার আঁধার কালোয়
জোনাক মুচকি হাসে, রাতচরা সব শিকারিরা আঁধার ঘন জালে
ছড়িয়ে দেয় মৃত্যু উল্লাস বিভ্রম স্বপ্ন বুনে।
1420@ 16 কার্তিক, হেমন্তকাল।
continue reading

৩১৮

এই মেঘ এই রোদ্দুর

১০ বছর আগে লিখেছেন

অস্থির সময়.....

বলে যায়নি সে কোন পথে যাবে
তখন তার কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ ছিল
চোখে চশমা, হাতে মোবাইলটা ধরে,
ফতুয়ার বুক পকেটে ছিল নীল কলম,
আকাশী রঙ্গের ফতোয়ার বেশ উজ্জ্বল লাগছিল তাকে;
ঠোঁট একটু খোলা ছিল, ঈষৎ হাসি মুখে,
প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে সে হাঁটা ধরে
উঁচু নিচু পথ কর্দমাক্ত, এতটা তীক্ষ্ম রোদ্দুর;
একটা পথ চলে গেলে বহু পথ ধরে,
আঁকা বাঁকা, রাস্তার পাশে খাল, টলটলে পানি....
দুপুরের কড়া রোদের ঘুমচোখ নিয়ে এগিয়ে যায় সে,
সকালের স্নান সেড়েছিল হয়তো;
ভেজা চুল কিছুটা শুকিয়ে... continue reading

৯৭৬

গোলাম মোস্তফা

১০ বছর আগে লিখেছেন

স্বদেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হোক হরতাল

স্বদেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হোক হরতাল স্বদেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হোক হরতাল 
নিবাচনী ইশতেহারে নিষিদ্ধ হোক হরতাল ।
নতুবা হরতাল স্বীকৃতি দাও 
তোমাদের কথিত রাজনীতিন মূল নীতিতে 
স্বদেশের সংবিধানের পাতায় পাতায় 
সার্বজনীন স্বীকৃতি দাও 
হরতাল মানে গনতন্ত্রের মূলমন্ত্র ।। 
আর কত মানুষ পুড়াবে ?
জ্বালাবে আর কত আগুন ?
বোমা মেরে আর কত মানুষ 
পুড়িয়ে কাঠের কয়লা বানাবে ?
ক্ষুধার্ত দীন মজুরের পেটে 
আর কত লাথি মেরে 
নিষিদ্ধ রাজপথে লাশের মিছিলে 
শহীদ মিনারের সংখ্যা বাড়াবে ?
আর কত জ্বালাবে বাড়ী গাড়ী 
অফিস আদালত কল খারখানা 
আর কত চোখের জ্বলে ভাসাবে 
সন্তান হারা মাকে ?
বন্ধ কর 
বন্ধ কর এই প্রহসন ।
রাজনৈতিক প্রতিবাদের নামে 
হরতালের গনতান্ত্রিক চর্চা । 
সভ্য স্বাধীন দেশে অসভ্য... continue reading

১৮ ৬০৫

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

কবিতা

যার কাছে আমি ছিলাম
পুর্ন মাসের চান, মরা গাঙ্গে জোয়ারের ঢেউ।
যে বান্ধা নিছিল আমার পাঁচ বিঘা ভূমি
পুর্ব ধরলার বিল, উজানী নগরের নাও
আমার তাবত ফসলি জমি।
 
অহন সে পর হইয়া গেছে,
তার কাছে আমি নিত্য পরবাস।
 
সে অহন অন্য ডাঙ্গার মানুষ
আমার চর যখন ধুধু প্রান্তর,
আর সে কিনা হাল চষে অন্যের ভূমিতে।
অথচ আমি ছিলাম তার পলি ধোয়া চর।।
 
তার নালিশ আমি কার কাছে দিমু
যার কাছে আমার জমিন বান্ধা পাও।
অহন আমার জোছনা মরে অমাবশ্যার হাতে
কার কাছে গিয়া কমু আমার মানুষ আইনা দাও।
 
... continue reading

১০ ৫৫১

কাজী মেহেদী হাসান

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিহঙ্গিনী; এক বিকেলে অপেক্ষায় রবো তোমার!

উদাসী গাঙচিলের ডানায় বার্তা পাঠালাম
তোমার মেঘের শরীরে নীল আকাশ জড়িয়ে নিও
কিছু আদ্র রজনী দিলাম
হরিণীর চোখটাতে কাজল দিও
বিহঙ্গিনী,
সময় করে এসো একদিন; হইও পরম পূজনীয়!
 
পাজরের হার? আমি তোমায় হৃদপিণ্ড দিলাম
অধরে লাল মেখে নিও
আড়ষ্ট তুলিতেই একে দিও পদচিহ্ন; তবুও এসো!
 
সেদিন,
বৈকালিক নরম রোদ ছুয়ে যাবো অনিমেষ
দীঘির শান্ত জল পেরিয়ে ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মতন
দিব্যচোখে এঁকে যাবো পরিচিত পথ
বিহঙ্গিনী,
এক বিকেলে অপেক্ষায় রবো তোমার!
সময় করে এসো।
continue reading

১০ ৫০৯

আলভিনা চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

নীল ঘাসফুল

 
নিয়তির লিখে দেয়া কষ্টের কবিতাটায় চোখ বুলাতে বুলাতে মেয়েটা হেঁটে চলে।
আজ আর পিছু ফেরবার তাড়া নেই।
কপাল থেকে যত্নে পরা কলাপাতা রঙ্গা টিপ টা অযত্নে খুলে নিলো সে।

ততক্ষনে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়েছে চশমার কাচ।
মেয়েটা খেয়াল করেনি পথের পাশে একটা নীল ঘাসফুল কাঁদছে !
বৃষ্টি অথবা কান্নায় ভিজে গেছে ঘাসফুলের নির্লিপ্ত কপোল !

কেউ জানেনা !
শুধু আমি জানি, আজ থেকে শহরে মেয়েটার প্রেমিক নামের কেউ থাকবে না.
continue reading

১১ ৩৮৭

শামুক শামুক

১০ বছর আগে লিখেছেন

বর্ষাতি-মগজে.........

৪/১১/১৩
Monday, November 4, 2013
4:58 PM
 
 
বর্ষাতি-মগজে আর ফ্লুর আক্রমন নেই--
বস্তিতে বেড়ে ঊঠা শিশুদের মত শক্ত এন্টিবড়ি ঘিরে আছে তায়;
আর তাই--
অটোরিক্সা থেকে বিতাড়িত প্রসুতি রাস্তায় গড়াগড়ি করেও
সদ্যজাত দেবতাকে স্তন্য পান করায়--
কক্টেল আর গ্রেনেড়ের আলোর ঝলকানি সমেত উম্মাদ-উৎফুল্ল জনতার ভিড়ে!
 
শিশু ধিক্কার দিয়ে আর্তচিৎকার করে উঠে--
বলে, আমি মানুষের মাঝে মানুষ হয়েই থাকতে চাই!
 
এখানে দেবতা টিকেনা, টিকে থাকে অমানুষ!
শিশুর আকুতিও মিলিয়ে যায় চারপাশের উম্মাদনায়।
 
মগজের শক্ত-এন্টিবড়ি এখানে অসাড়--
চাই আরো দুর্ভিক্ষ--
খাদ্যের, মননের, জ্ঞানের;
চাই... continue reading

৭১১