Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

অনিন্দ্য অন্তর অপু

১০ বছর আগে লিখেছেন

শুভ শিবরাত্রি ব্রতঃ (লিঙ্গপূজা নয়)

ব্যুৎপত্তি ও অন্যান্য নাম
সংস্কৃত শিব (দেবনাগরী: शिव, śiva) শব্দটি একটি বিশেষণ, যার অর্থ "শুভ, দয়ালু ও মহৎ"- ব্যক্তিনাম হিসেবে এই শব্দটির অর্থ "মঙ্গলময়"। -রূঢ় রুদ্র শব্দটির পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত কোমল নাম হিসেবে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয় । বিশেষণ হিসেবে শিব শব্দটি কেবলমাত্র রুদ্রেরই নয়, অন্যান্য বৈদিক দেবদেবীদের অভিধা রূপে ব্যবহৃত হয়ে থাকে । 
শিবের নাম সম্বলিত শিব সহস্রনাম স্তোত্রের অন্তত পাঠান্তর পাওয়া যায় । মহাভারতের ত্রয়োদশ পর্বঅনুশাসনপর্ব-এর অন্তর্গত পাঠটি এই ধারার মূলরচনা বলে বিবেচিত হয় । মহান্যাসে শিবের একটিদশ সহস্রনাম স্তোত্রেরও সন্ধান পাওয়া যায়। শতরুদ্রীয় নামে পরিচিত শ্রীরুদ্রম্ চমকম্ স্তোত্রেও শিবকে নানা নামে বন্দনা করা হয়েছে । 
 
শিবলিঙ্গ শিব শব্দের অর্থ মঙ্গলময় এবং লিঙ্গশব্দের অর্থ প্রতীক; এই কারণে শিবলিঙ্গ শব্দটির অর্থ সর্বমঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার প্রতীক । শিব শব্দের অপর একটি অর্থ হল যাঁর মধ্যে প্রলয়ের পর বিশ্ব নিদ্রিত থাকে এবং লিঙ্গ শব্দটির অর্থও একই – যেখানে বিশ্বধ্বংসের পর যেখানে সকল সৃষ্ট বস্তু বিলীন হয়ে যায় । যেহেতু হিন্দুধর্মের মতে, জগতের সৃষ্টি, রক্ষা ও ধ্বংস একই ঈশ্বরের দ্বারা সম্পন্ন হয়, সেই হেতু শিবলিঙ্গ স্বয়ং ঈশ্বরের প্রতীক রূপে পরিগণিত হয় । মনিয়ার-উইলিয়ামস ও ওয়েন্ডি ডনিগার প্রমুখ কয়েকজন গবেষক শিবলিঙ্গকে একটি পুরুষাঙ্গ-প্রতিম প্রতীক মনে করেন। যদিও ক্রিস্টোফার ইসারহুড, স্বামী বিবেকানন্দ, স্বামী শিবানন্দ, ও এস. এন. বালগঙ্গাধর প্রমুখ বিশেষজ্ঞগণ এই মতকে খণ্ডন করেছেন । 
মূল উপাখ্যান 
পুরাকালের কথা। তখন কৈলাশ পর্বতের শিখর ছিল সর্বরত্নে অলংকৃত। ছিল ছায়াসুনিবীড় ফুলে-ফলে শোভিত বৃক্ষ, লতা ও গুল্ম ঢাকা। পারিজাতসহ অন্যান্য পুষ্পের সুগন্ধে চারদিক থাকত আমোদিত। এখানে সেখানে দল বেঁধে নৃত্য করে বেড়াত অস্পরারা। ধ্বনিত হত আকাশ গঙ্গার তরঙ্গ-নিনাদ। ব্রহ্মার্ষিদের কন্ঠ থেকে শোনা যেত বেদধ্বনি ।
এই... continue reading
Likes ১২ Comments
০ Shares

Comments (12)

  • - মাসুম বাদল

    শ্রদ্ধাঞ্জলি...

অনিন্দ্য অন্তর অপু

১০ বছর আগে লিখেছেন

কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎপ্রার্থী একটি নদী

আমারও একটা বহমান নদী ছিল
বিশ্বাস করুণ আপনাদের সবার মত 
আমারও একটা উত্তাল, তরুণী নদী ছিল-
একান্ত ব্যক্তিগত সে নদী ।
যদিও সে নদীতে জল নেই আজ
আমারও আর সেরকম তৃষ্ণা পায় না ।
অথচ একসময়- তন্বী নদীটির দুধর্ষ প্রেমিক
সাঁতরে পার হতো উত্তাল বুক চিড়ে । 
তৃষ্ণাকাতর চাতক নদীস্নান করতো প্রতিদিন
চেনা ঝরনায়, অচেনা উত্তেজনায় ।
যৌবনের ভরা পূর্ণিমায় ডুব দেয়ার জন্য
সব পুরুষেরই একটা নদী থাকে
যেখানে প্রতিদিন সে স্নান করে ।
শুকনো নদীটা এখনও অপেক্ষা করে
চাতকের তৃষ্ণা আর না থাকুক
ও একবার এসে দেখুক
ওর অপেক্ষায় থাকতে থাকতে...
উত্তাল, বহমান তন্বী একটা নদী
কখন শুকিয়ে গেছে
নদীটি নিজেই জানে না ।
প্রতিমাসের প্রথম শনিবার
কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎপ্রার্থী একটি নদী দেখে
তার চাতকও সব তৃষ্ণা হারিয়েছে-
সব তৃষ্ণা ।
মেঘ গর্জন বৃষ্টির জল
আজ আর চাতকের তৃষ্ণা জাগায় না ।  
 
 
continue reading
Likes ৩০ Comments
০ Shares

Comments (30)

  • - রোদেলা

    আমি কম্পুতে খালি লিখতে পারি আর কিছু বুঝিনা।

    • - রুহুল আমিন

      ধন্যবাদ আপু। কম্পিউটার সম্পর্কে জানতে আমার ফেজবুক পেজ এ চোক রাখুন। https://www.facebook.com/starpcsolution

অনিন্দ্য অন্তর অপু

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমি এই ব্লগে একটা ফটো পোস্ট দিতে চাই--- আর সবুর করতে ইচ্ছে করছে না...

Likes Comments

অনিন্দ্য অন্তর অপু

১০ বছর আগে লিখেছেন

এক কৃষক বাবার ভয়

গ্রামের কৃষকটা আজ ভয় পাচ্ছে, বড্ড বেশি ভয় পাচ্ছে।
ওর তিল তিল করে গড়ে ওঠা স্বপ্নটা আজ ডানা
মেলে উড়তে ভয় পাচ্ছে।
রোদে পোড়া, বৃষ্টিতে ভেজা ওর শরীরটা ভয়ে শিউরে উঠছে,
ওর লাঙ্গল ধরা শক্ত হাতটা আজ ভয়ে কাঁপছে।
জীবন যুদ্ধের লড়াকু সৈনিকটা আজ ভীতু, বড্ড বেশী ভিতু।
গ্রামের কৃষকটা ওর জিপিএ ৫ পাওয়া
ছেলেটাকে শহরে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে।
ওর ভয়, প্রিয় সন্তানটা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার
হতে গিয়ে হালের গরু হয়ে ফিরবে কিনা?
ওর ভয়, এই ছেলেটা ওকে বাবা বলে
ডাকতে লজ্জা করবে কিনা?
ওর ভয়, শহুরে সভ্যতার মাঝে গিয়ে 
ছেলেটা অসভ্য হয়ে উঠবে কিনা?
ওর ভয়, শহুরের মেমদের হাত ধরে মাটির
ছেলেটা পাথরের সাহেব হয়ে উঠবে কিনা?
ওর ভয়, গ্রামের ছেলেটা শহুরের নর্দমায়
হারিয়ে যাবে কিনা? গ্রামে আর ফিরবে কিনা?
গ্রামের কৃষকটা আজ সত্যি ভয় পাচ্ছে,
ও আজ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। ওর হাত কাঁপছে,
বুক ধুক ধুক করছে। ওর স্বপ্নগুলো বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
ও কি ওর জিপিএ ৫ পাওয়া ছেলেটাকে শহুরে পাঠাবে?
নাকি ওর হাতে লাঙ্গল ধরিয়ে দেবে?
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

    অথবা হরতালে কার্য্যকারিতা নিদিষ্ট করা যেতে পারে।

    • - গোলাম মোস্তফা

      monir vai salam ......................ও শুভকামনা জানবেন 

      ধন্যবাদ আপনাকে 

    - নীল সাধু

    ধন্যবাদ সুপ্রিয় গোলাম মোস্তফা। 

    স্বাগতম।

    প্রতিবাদী কবিতা নিয়ে নক্ষত্রে ব্লগে আপনার যাত্রা শুরু হয়েছে - ভালো লাগা রইলো। 

     

     

    • - গোলাম মোস্তফা

      নীলদা কেমন আছেন ? অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ...................

    - চারু মান্নান

    Bha dharun,,,,,,,,,,

    • - গোলাম মোস্তফা

      গুরু সালাম কেমন আছেন ? 

      শুবকামনা রইলো 

       

       

    Load more comments...

অনিন্দ্য অন্তর অপু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বউ পিটানির গল্প

 
তখন ক্লাশ টু তে পড়ি। সবুজ ঘেরা প্রকৃতির বুকে আমাদের বাড়ির পাঁচটা ঘর যেন প্রকৃতির এক একটা অলংকার। মালতি দি, কাজলা দি, স্বপ্না দি- প্রকৃতির আদরে গড়া তিনজন বালিকা। আমার চেয়ে ওরা বছর কয়েকের বড় হবে। তিনজন মেয়ের সাথে আমি একমাত্র ছেলে। ওদের সাথে আমার ফেলে আসা স্বপ্নের শৈশব জড়ানো।

আমরা একসাথে খেলাধুলা করতাম। ওরা তিনজন মেয়ে বলে ওদের সাথে মেয়েলি খেলাগুলোই জমত। বউচি, পুতুলের বিয়ে, দাপ্পা, এক্কা- দোক্কা, সংসার- সংসার খেলায় ওদের মধ্যমনি ছিলাম আমি। যা দুষ্ট, যা চঞ্চল, যা শয়তান (ওদের ভাষায়) ছিলাম যে ওরা সবসময় আমায় নিয়ে ব্যস্ত থাকত। তবু সবখেলায় যেন আমার উপস্থিতি না থাকলে ওদের চলেনা।
একদিন সংসার সংসার খেলতে গিয়ে স্বপ্না দি মালতী দির একটা কলস ভেঙ্গে ফেললে ওদের মধ্যে এমন তুমুল ঝগড়া শুরু হল যে শেষ পর্যন্ত আমাদের সোনার সংসার ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেল। ওরা এখন আলাদা সংসার পাতবে। আমি ছেলে, তাই আমার কদর বেশি। আমায় নিয়ে টানাটানি। মালতী দির অনেক খেলনার জিনিস, তাই আমি মালতী দির সাথেই খেলতে রাজী হলাম।
একই বাড়িতে দুটো সংসার। আমি আর মালতী দি। কাজলা দি আর স্বপ্না দি। আমি আমাদের সংসারের গৃহকর্তা। আমি প্রতিদিন বাজার থেকে চাল (ইঁদুরে কাটা মাটি), ডাল (ধানের চিটা), হলুদ মরিচ (পোড়া মাটির গুড়ো), মাছ তরকারি (কচুরি পানা) ইত্যাদি নিয়ে আসি। মালতী দি রাঁধে আর আমি খাই। মাঝে মাঝে মিছামিছি ঝগড়াও হত।
বাজারের ব্যাগ খুলে মালতী দির চিৎকার, “তোমার কি আক্কেল জ্ঞান হইবে না? বাজার থেকে এই পচা মাছ কেউ আনে? চালেও তো অনেক পোকা। বুঝছি কাল থেকে আমারই বাজার যাওয়া লাগব।”
আমিও মালতী দির দিকে চোখ রাঙ্গিয়ে বলতাম, “এই বেটি,... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (5)

  • - Developer

    • - আশরাফুল কবীর

      #প্রথমেই এলিস মুনরোকে শুভেচ্ছা পাশাপাশি নোবেল সাহিত্য পরিষদকে শুভেচ্ছা জানাই ছোট গল্পের কারিগরকে এ পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত করায়..আশা রাখি কিছু গল্প পড়তে পারবো।

      #ভাল থাকুন সবসময়, এ প্রত্যাশা।

Load more writings...