Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"কবিতা" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

‍মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

আজ আর শব্দরা ঘুমায়না

আজ আর শব্দরা ঘুমায়না
-মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

আজ আর শব্দরা ঘুমায়না জাগ্রত থাকে,
যখন তখন কোন সীমাহীন ছন্দ হয়ে ডাকে।
শীতের কুয়াশা ভেদি; বর্ষার জল ছুয়ে আসে,
আজ আর শব্দরা হারায়না থেকে যায় পাশে।
রাত বিরাতে কাগজের সন্ধানে লিপ্ত করে-
কিংবা কলমের; ব্যস্ত করে রাখে ফের।
গ্রামের পর গ্রাম থেকে শব্দ আসে,
নদী হতে নদী পেরিয়ে খুব কাছে-
জামরুল গাছ হতে শব্দরা জমায় ভীড়,
হিজলের গাছ থেকে এসে গড়ে নীড়।
ঘোলা পুকুরের পাড় থেকে আসে শব্দরা,
নিকষ রাতের অন্ধকর থেকে আসে-
কিংবা জোসনা আলো ভরা এই রাতে;
শব্দরা আসে, ভীড়... continue reading

৩৬৬

নীল সাধু

১০ বছর আগে লিখেছেন

আলিঙ্গনের তুমুল ইচ্ছে এবং কুর্চি ...

আলিঙ্গনের তুমুল ইচ্ছেটা বৈশাখের একলা দুপুরে
রাধাচূড়ার হলদে আভায় ভেসে কুর্চির শাড়ির সবুজ আঁচলে মিশে যেতে থাকে!

শাড়ির ভাজে ভাজে ক্রমাগত আগুন রঙের নকশা আকে সে!
বোতাম আটা ব্লাউজের ঘাড় গ্রীবা বেয়ে পড়া লোনা ঘাম মুক্তো জমায়!
নাভির উপরেই কপোতাক্ষ নদীর বেভুলো অতল খাদে সর্বনাশের ইচ্ছেরা ডুব দেয় অক্লেশে!
দেয়ালের ওপাশে কামরাঙ্গা গাছের ডালে বসে অবাক শালিক দেখে কুর্চির নিরাভরণ গা।

জানালার শিক ধরে হেটে আসে বিকেলের নরোম রোদ!
নগ্ন হাতের পাশে ছড়িয়ে পড়ে থাকা কুর্চির এলো-চুলের গন্ধ মাখে!
কালো-বনে হেটে বেড়ায় সুহাসিনী আঙ্গুল! ছুঁয়ে ছুঁয়ে বাড়তে থাকে পুলক ঘড়ি! জ্যামিতিক... continue reading

৫৫৭

তাহমিদুর রহমান

১০ বছর আগে লিখেছেন

শিলাখণ্ডের পর্দা

 
শিলাখণ্ডের পর্দা
জোসেফ ব্রডস্কী
অনুবাদঃ তাহমিদুর রহমান
 
বিপজ্জনক হলুদ সূর্যটা অনুকরণ করে চলে তার বাঁকা চোখ
কুঞ্জবনে মাস্তুল কেঁপে উঠে, কাঁপতেই থাকে যতক্ষন না নৌকো উলটে যায়
জমে যাওয়া ব্যতিক্রমী যিশুর আগমনে। ফেব্রুয়ারি মাস দেখতেই চলে যায়
অন্য মাসগুলোর চেয়ে; তাই এই দিনগুলো থাকে অন্যের যন্ত্রণায় উদাসীন।
প্রিয় মানুষেরা, মাঝির পাল আজ বিকৃত, রণতরী আজ নিমজ্জিত,
শুধু কোন দেবতাই পারে এ থেকে পরিত্রান দিতে।
ছায়ার আশায় সোনালী ঘোড়ার খোঁজে লাগাম খুলে দেওয়া হয়েছে রঞ্জিত দেয়ালে,
বদ্ধ ঘর আজ বিলাপে পরিপূর্ণ, নগ্নতার উল্লাসে ফড়িংও ভুল পথে চলে।
continue reading

৮৫৫

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিশ্বাস

আমি ভালবাসি বলেই তুমি সুন্দর
বিশ্বাস না হয় আরশীকে প্রশ্ন করো।
আমি ছুয়েছি বলেই তোমার হাতে পদ্ম ফোটে।
কথা রাখো বা না রাখো ক্ষতি নেই
আকাশে মাথা রাখো।
নিজ হাতে ছুয়েছি আকাশ
সেথায় কি মেঘ জমতে পারে।।
continue reading

৪৭৩

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

হাওয়া জলে জীবন গেল

হাওয়ায় উড়ে মেঘের যৌবন
বীজ বুনে সাগড় যে তার, অঙ্গ লীলায় অমীয় সাঁজ
ক্ষণে ক্ষণে রুপ বদলের, আচমকা বাহারি রঙ্গ রণে
ধরা যেন তারই সাজে সাজিয়ে সঙ্গ।
এমনি খেলায় জন্ম মৃত্যু
কালে কালে শুধু প্রজন্ম বদল, ছাপ চিত্রে তার সাক্ষ্য মিলে
চিতায় পুড়া নিথর অঙ্গ, সাগর জলের সেই সেই নুন ছাকনি
হাওয়ার জলের সেই হারিয়ে খেলা।
সেই খেলাতেই ডুবছি মজে
আহার নিদ্রা সব গো গ্রাসে, চেতন ফিরলে আবার সেই মেলা
অঙ্গ লুকাই কোন কোন সে আঁধারে, যে আঁধারে অঙ্গ হারায়
হাওয়া জলের না পাই দেখা।
1420@ 20 আশ্বিন, শরত্কাল।
continue reading

৪০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ৮৪তম জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা

বাংলাদেশের প্রধান এবং শক্তিমান ও প্রতিবাদী কবি শামসুর রাহমান। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ভাগে দুই বাংলায় তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তাঁর দুটি কবিতা 'স্বাধীনতা তুমি' ও 'তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা খুবই জনপ্রিয়। কবির জীবনকথা থেকে জানা যায়, ছাত্রজীবন থেকেই তাঁকে কবিতা পেয়ে বসেছিল, এজন্য তার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া সমাপ্ত করা হয়নি। আধুনিক কবিতার সাথে তার পরিচয় ও আন্তর্জাতিক-আধুনিক চেতনার উন্মেষ ঘটে ১৯৪৯-এ, এবং তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা ১৯৪৯ মুদ্রিত হয় সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায়। নিভৃতচারী, শান্তিপ্রিয় কবি হওয়া সত্ত্বেও শামসুর রাহমানের বিবেক তাঁকে দিয়ে লেখিয়ে নেয় ‘১৯৫৯’ শীর্ষক কবিতা। এ কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি প্রথম বহির্মুখী... continue reading

৭০০

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিংশ শতাব্দীর আধুনিক বাংলার অন্যতম প্রধান কবি জীবানানন্দ দাশের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

বিংশ শতাব্দীর আধুনিক বাংলার অন্যতম প্রধান কবি জীবানানন্দ দাশ। মর্মগত, সুমিত, নিরাবেগ ও সুস্থির গদ্যরীতির জন্যে তিনি বিশিষ্ট। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় প্রকৃতি তাঁর কাব্যে রূপময় হয়ে উঠেছে। আধুনিক নাগরিক জীবনের হতাশা, নিঃসঙ্গতা, বিষাদ ও সংশয়ের চিত্র তাঁর কবিতায় দীপ্যমান। স্বচ্ছ, সুন্দর, শান্ত ও স্নিগ্ধ রোমান্টিক কবিতার স্রষ্টা হিসেবে তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়। তাঁর নিসর্গ বিষয়ক কবিতা ষাটের দশকে বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এদেশের সংগ্রামী জনতাকে তীব্রভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে ‘ঝরা পালক’, ধূসর পান্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা ও বেলা অবেলা। কবিতার কথা তাঁর প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি একজন কথা সাহিত্যিকও। মৃত্যুর পর... continue reading

১২২৫

ইকবাল মাহমুদ ইকু

১০ বছর আগে লিখেছেন

পঙ্কিল ভূমি

কতগুলো পাথর সারি সারি
নগর, বন্দর আর অট্টালিকা,
শুধু পাথর আর পাথর ।
এমনকি চাঁদের আলো ও
বাকা হয়ে পড়েনা মেঝেতে ।
একটু দুরেই জোছনা প্লাবনে ভেসে যায়
অগণিত মুখ গুলো ফুটপাথে।
সারি সারি পাথর গুলো বেঁধে ক্লান্ত হয়ে
ওরা ঘুমিয়ে পড়ে সেই ফুটপাথে,
আর শীতল কক্ষে বসে লিখা
এ কলমে কতইনা তীব্রতা !
আর একটু এগুলেই হায়নার দল
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় বৃক্ষ গুলোকে ,
ওরাই নাকি বন-রক্ষক !!
মরনাস্ত্র কি শুধুই গুলি ছোড়ে ?
কখনো কখনো মরনাস্ত্র হয়ে উঠে কল-কারখানা
গুলিতে গুলিতে বিধ্বস্ত আজ প্রকৃতি ।
পাথরের উপর আর পাথর পড়ে
আর ফুটপাথে মুখগুলো বাড়তেই... continue reading

৬৬৭

মোকসেদুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

প্রশ্ন?

গণতন্ত্র কি আবার ধর্ষিত হবে রাজপথে
ধর্ষিতার লাল রক্তে রঞ্জিত হবে কি পিচঢালা পথ
ধর্ষিত জনতার আর্তচিৎকার কি আবার শোনা যাবে বিষাক্ত নীল আকাশে
ক্ষমতার মোহে অন্ধ যারা তাদের কানে কি পৌঁছবে ছেলে হারানো বাবার বুকফাটা কান্নার আওয়াজ?
গণতন্ত্র গণতন্ত্র, জনগণের শাসন বলে যারা চিৎকার করে দিনরাত
আর বলে আমরাই জনগণের সেবক, তারা কেন
আজও জনগণের মন থেকে দূর করতে পারে না ভয়
কেন দেশের আমজনতাকে আতংকে দিন কাটাতে হয়?
এ কেমন গণতন্ত্র সাবধানে পা ফেলতে হয়
মুখে কুলুপ এঁটে পথ চলতে হয়
ভিন্নমত, পথের দলকে পিষ্টকরে টিকে থাকতে হয়।
গণতন্ত্র তুমি কি আসলেই দেশের সবার জন্য?
না,না,না যখন যে ক্ষমতায় থাকে আমি তারই... continue reading

৩৮০

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

এবং সেই পথ

কেন জানি পথ ফুরায় না?
দীর্ঘ দিন যাবত একই পথে হাটা, অথচ প্রতিনিয়ত বিনির্মাণে পথ
পথের মোড়ে সেদিনের গজে উঠা, পাকুড় গাছটা সবুজ অঙ্গে মহীরুহ
হাওয়া বয় শিকড় ঘেঁসে ইট সুড়কির বসবার আসনে।
আঁকা বাঁকা পথ ধরে হেঁটে যায় পথিক,
ভেসে আসে বেসুরা বেহুলা লখিন্দর, ঐ দূর সবুজ গাঁও মেঠো পথে
সাঁওতাল পাড়ায় মাদল বাজে, আরও বাজে ঢোল কাসর
গাঁও এর বুকচিরে পাকা সড়ক পথের অদম্য ছুটে চলা।
সেই মেঠো পথে এখন ইট সুড়কি,
গ্রাম্য জীবনে এখন বেশ উচ্ছ্বলতা, ইটের দালান উঠছে গাঁও এ
হাটখোলায় চাউল কল, কাঠ চিড়ার মেশিনে রাতভর কাঠ চেরাই
কলকারখানার আওয়াজ গ্রামের পথের নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে যায়।
1420@ 16 আশ্বিন,... continue reading

৪০৩