Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"কবিতা" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

‍মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

হে নবজাতক

হে নবজাতক
-মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

হে নবজাতক সোনালী রৌদ্দুর শেষে
এক মুঠো আলো যখনো রাঙিয়ে রেখেছে আকাশ-
এলো-মেলো বয়ে চলে বাতাস; জোসনা আলো রাতে এলে দুর্জয় বেশে।

অজর ঝরা বৃষ্টি ফোঁটার রাত্রি শেষে নতুন দিগন্তে
সোনালী বিকেল যখন নতুন স্বপ্ন দেখায়-
তেমন বিকেলের আলো মুছা রাতে স্বপ্ন রাঙা ভেলায়
তুমি এলে ভরা জোসনা রাতে মনের গভীর রত্নে।

রাতের তারারা যেন সাজিয়েছে নতুন স্বপ্নপূরী,
নতুন কল্পনা, আপন আল্পনায়; ভাসাই স্বপ্নতরী।

অসামাপ্ত কিছু স্বপ্নকে সাজাই তোমার কথা ভেবে
হারিয়ে যেন যাই দূর আকাশে পাখির মত ডানা মেলে-
নদীর... continue reading

৩৬৪

গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমিও তোমাদের মতো

আমিও তোমাদের মতো
এসেছিলাম এই পৃথিবীতে
তবে আমি ছিলাম খুব ক্লান্ত
এবং পথ ছিল বড় কণ্টকময়
কিন্তু তা অপসারণেও ছিল প্রতিবন্ধকতা।
আমার মনে প্রশ্ন জেগেছিল
কেন এই জীবন?
কেন আমার এই পৃথিবীতে আসা?
আমি অনেক কে দেখেছি
যারা জীবনে শুধুই অর্থ
উপার্জনে ব্যস্ত ছিল।
অনেক কে দেখেছি
তারা যে এসেছিল
তার চিহ্ন রেখে যেতে ব্যস্ত ছিল।
অনেক কে দেখেছি
তারা এই জন্য এসেছিল যে
পৃথিবীর মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে।
আর আমি আমার জীবনে অনেক খুঁজেছি
কেন আমি এসেছিলাম এই পৃথিবীতে
অথচ আমি তা খুঁজে পাইনি
কারণ আমি ছিলাম ক্লান্ত।
আমি দেখেছি ধর্ম গ্রন্থ গুলোর
বাণীতে বলা আছে continue reading

৩৯৫

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

সমাজ সংসার সময়ে মানুষ এখন

সমাজ সংসার সময়ে মানুষ এখন,
খুব একটা আবেগ তাড়িত হয় না, সদ্য মৃত্যু অথবা বীভত্স দৃশ্য
অবলোকনে হয়তো মনে দাগ কাটে, সহজেই মন থেকে মুছে যায়
সময়ের কড়া নাড়া বিকট তাড়িত যোদ্ধা।
সেই মৃত্যুগুলো কি অপয়া?
যার রক্তপাতে সাধারণজনের চোখ ভিজে না, তাহলে মিথ্যা মৃত্যু?
সময়ের গায়ে ঠিকই তার চিহ্ন আঁকে, মৃত্যু অভিশাপ ছড়িয়ে পরে
ছোপ ছোপ মাটির আদলে অতঃপর ডেকে যায়।
এই অপমৃত্যুর অভিশাপে সমাজ বিপন্ন,
উদাস আকাশ জুড়ে, উদল মেঘেদের নির্লিপ্ত চলা
তবু কেন ঈশান কোণে গুরুগম্ভীর মেঘেদের অগ্নিমূর্তি? চঞ্চল হাওয়া
কুণ্ডলী হেঁকে ডেকে আনে সর্বনাশ।
১৪২০@১৫ কার্তিক, হেমন্তকাল।
continue reading

৩৮২

তুহিন সরকার

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভালবাসা।

বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে
ভেসে গেছে সুখ
প্রিয়ার কান্না ভেজা মুখ,
শূণ্যদৃষ্টি নিলামে
প্রতীক্ষা একটু ভালবাসার..........................
স্মৃতি রোমন্থন।
ব্যস্ততার অনলে পুড়ছে হৃদয়
হাল ছাড়া ভালবাসা,
সময় আজ কাঙ্গাল!
বলি বলি করে না বলা কথা গুলো শূণ্যতায় ডুবে হাহাকার,
পাল ছেঁড়া হাল সময়ে আজ আমি কাঙ্গাল
কান্নাভেজা সুখে বিমুখ ভালবাসা।
সুখের আকাশে নিস্তব্ধ রাত,
নিশ্চুপ রাতের পাখি, মেঘে ঢাকা চাঁদ,
তারার করুণ চাহনী।
ভালবাসা আজ বসন্ত বিলাপ।
continue reading

৩৭৯

নাসির আহমেদ কাবুল

১০ বছর আগে লিখেছেন

শৈশবের গল্প

বাড়ি থেকে সিকি মাইল দূরে
জমিদারদের পোড়ো বাড়ি, তারই পাশে বটদীঘি-
প্রকান্ড বটগাছ; তার কোল ঘেঁষে আরও একটি পুকুর,
অদূরে নাপিত বাড়ি। ছনের নয়, গোলপাতার নয়-
টিনেরও নয়- প্রাসাদতুল্য অট্টালিকা  সেটি!
এগুলো দেখতে দেখতেই স্কুলের পথ ফুড়াতো আমার।
আবার সেই পথটায় বাড়ি ফিরতে বকুল গাছের নীচে
কিছুটা আড্ডা- কিছুটা ফুল কুড়ানোর উৎসব।
এ সবই আমার শৈশবের গল্প ...
আমাদের বাড়ির সামনে দিগন্ত ছোঁয়া ধান ক্ষেত
মেঠো পথ আঁকাবাঁকা, সে পথে বৃষ্টিতে ভিজে
ডাক নিয়ে আসতো ত্রিশূল হাতে রানার মহব্বত।
আমাদের বাড়ির পোস্ট অফিসে বসে
মহব্বতের কাছে ওর গল্প শুনেছি দু:খের-বেদনার,
আমার শৈশব মহব্বতকে খুঁজে ফেরে এখনও!
বাড়ির পাশেই ছোট্ট নদী-খাল,
ঘাটে বাধা থাকতো জব্বার মাঝির পানসি... continue reading

৪৪১

মোকসেদুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

আকুতি

লাশের সারি আরও কত দীর্ঘ হলে তোমাদের বিবেক জাগ্রত হবে
আরও কত রক্ত পান করলে মিটবে ক্ষুধা-পিপাসা-
আরও কত মায়ের বুক খালি হলে থামবে এ যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা?
চেয়ে দেখ আজ শুভ্র বসনে বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে রয়েছে লাশ
মায়ের চোখে আজ অশ্রু নেই সেখানে দাউ দাউ জ্বলছে ঘৃণার আগুন
বোবা কান্নায় তিনি আজ পাথর-
তোমাদের দূষিত পঁচে যাওয়া রাজনীতি দেখতে দেখতে তিনি আজ ক্লান্ত।
সব তো কেড়ে নিয়েছো, আমার মায়ের আঁচল ভরা সুখ, চোখে-মুখের দীপ্তি মাখা হাসি
উঠোনের এক চিলতে রোদ, ভরা পূর্ণিমার চাঁদও কেড়ে নিয়েছো
এখন অমাবশ্যার অন্ধকারে ছেয়ে আছে আমার মায়ের মুখ।
দোহাই তোমাদের, আমার মাকে আজ একটু শান্তি দাও
তাকে... continue reading

৩৯১

আলভিনা চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

নৈশব্দের পুজারী

  প্রতিক্ষীত পথিকের নাম জপে জপে, 
দিন গুনছিলাম এক প্রেমময় রাত্রির। 
দুঃসহ অপেক্ষাকে ছিড়ে- ছুঁড়ে , 
অস্থিরতা-মগ্ন ঠোঁটে ঠোঁট ঘষে, 
স্বীয় সত্তার আবডালে থাকা সে রাত 
গাঢ় কন্ঠস্বরে শুনিয়ে চলে পৃথিবীর পবিত্রতম ডাক, 
“কাছে এসো, 
এই, কাছে এসো !”
আধো লজ্জায় উন্মাতাল আমি, 
প্রত্যাখ্যানের ধৃষ্টতা দেখানো শিখিনি তখনো ! 
সমস্ত প্রহর নৈশব্দের পুজারী হয়েও
গিয়েছি নীলাভ শীতল কলঙ্ক এবং উষ্ণ আবেগী প্রেমের কাছে ,
শর্তহীন আকাঙ্ক্ষায় ! 
সে রাত আসার আগে আমি জেনে রেখেছিলাম,
আমি কারো কেউ একজন, 
অথবা কেউ একজন আমার । 
এলোমেলো ত্রস্ত পায়ে সে রাতের বিদায়ের বেলা,
আধখাওয়া নির্মোহ চাঁদ এসে আমাকে ফিসফিসিয়ে বলে গিয়েছে, 
আমি কারো কেউ হইনা, 
আমারও “কেউ” বলে কেউ নেই ... ... continue reading

৫০২

নীল সাধু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বুনো ফুলেদের সাথে~

মন আমার রোদে পুড়ে পুড়ে
এলোপাথাড়ি হাটতে থাকে,
শাহবাগের ফুলের দোকানগুলো ছাড়িয়ে
ছায়াদের সঙ্গে নিয়ে
বাংলামটরের জ্যাম পেরিয়ে
আমার সামনে এসে দাঁড়ায়; আমি তাকে দেখেই
আমার বুনো ফুলগুলো চাই তার কাছে
সে জানায়
সে সব ফেলে এসেছে কালীগঙ্গার তীরে; এবেলা ওবেলা
সেখানে নাকি ভ্রমরের দল উড়া-উড়ি করে
প্রান্তর জুড়ে নেচে বেড়ায় শালিকের ঝাঁক;
বুনো-ফুলের খুব শখ হয়েছে উড়ার
হাওয়ার আদরে
চৈত্রের এই দাবদাহেও সে ভালো আছে; উড়ে উড়ে ক্লান্ত বুনো ফুল
কাশবনের ছায়ায় বসে মেঘদের দিয়ে বার্তা পাঠায়
আসবে না আর সে কোনদিন;

বুনো ফুলগুলোকে না পেয়ে আমি কিছুটা... continue reading

৪১৮

‍মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা
-মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা তোমাকে বলছি,
রুপে রুপসী পূণর্ভবা শিমুলের রক্ত রাঙানানো দৃশ্যে-
শুকনো বাশের ঝপে মাছেদের দলের সামনে বসেছি।
হাজার বছরের ইতিহাস আজ উঠে ফুঠে ক্ষণে ক্ষণে,
জন্ম-মৃত্যু-বন্ধন আর আবেগ রুদ্ধ মনে-
কতকাল গেছে; কত ক্ষণ দূরের কোকিলের ডাক শোনা যায়,
আমের মুকুল রৌদ্দুর দুপুরে অসীম স্বপ্ন জাগায়।

তুমি পূনর্ভবা; হাজার পথের মিলনের সাক্ষি তুমি,
ছুটে এসেছি তোমার বুকেতে সবুজ ঘাসের দেহেতে আমি।
মাছরাঙার নিরব অপেক্ষার পহরের মত অপেক্ষা করি,
যতদূর যায় চোখ চেয়ে দেখি চিকচিক বালি।

হে শতবর্ষী পূনর্ভবা, তোমার তীরে... continue reading

৩৯৬

মোকসেদুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনন্ত যাত্রা

মহাকাল নামক সময়ের কাছে সঁপে দিয়েছি আমার পার্থিব সবকিছু
আমার মনের আঙ্গিনা জুড়ে এখন তাই বিধ্বস্ত কালো মেঘের ছায়া
জীবনের কুটিল সময়গুলো বারবার পিছন থেকে আমার
পুরান জামার আস্তিন টেনে ধরে ডাকে।
সময়ের এমন অসময়োচিত কান্ড দেখে হাসবো না কাঁদবো
আমি বুঝে উঠতে পারি না,
সময়ের কাছে আমার শতছিন্ন পুরান জামাটি খুলে দিয়ে ন্যাংটা হয়ে পথে নামি
হাঁটি, হাঁটি ক্লান্তিবিহীন এক মহাকালের পথে।
continue reading

৪১২