Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ইকবাল মাহমুদ ইকু

৯ বছর আগে লিখেছেন

প্রিয় জানালায়

এমনই কিছু তালি দেয়া স্বপ্ন যখন 
ঘুম নিয়ে কাড়াকাড়ি করে, তখন ঠিক সেই 
স্যাঁতসেতে জানালায় কড়া নাড়ি; প্রিয় জানালায়। 
জ্যোৎস্না গুলো এলোমেলো বিছানায়; নেই তবু-
কি যেন নেই! কি যেন নেই! কি যেন নেই!
নিরন্তে,অস্পষ্ট কল্পনাগুলো, হঠাৎ বুকে-
রাত্রি হয়ে ওঠে ঝাপসা চোখের মত। 
অদিতি,
সে প্রতিক্ষার পাড় ধরে ধরে আমি আছি
হঠাৎ রোদ্দুর হয়ে তুমি আসবে বলে। 
ক্ষুদা তৃষ্ণায় ম্লান, সাথে জল এনো, 
ঐ চিবুক ছোঁয়া জলে বিলিন হয়ে যাব।
অদিতি,
তোমার পায়ের ছাপ দেখি ধুলোতে
কখনো মেঘের পাড়ে তোমার চোখ;
আঁকাবাঁকা জন্মনীল চোখের ছোঁয়া_
এ দুটো ঠোঁট ঋণী হয়ে থাকে 
তোমার মায়াভিরু লাজুক ঐ ঠোঁটে । continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - শাহ আলম বাদশা

    কবি হতে চাইলে বানানভুল আর শব্দগঠনে সতর্ক হতেই হবে! কি নয় হবে কী,  বেড়িয়ে নয় হবে বেরিয়ে (বের হয়ে) আর বেড়িয়ে মানে বেড়ানো 

    • - বিষ পিঁপড়ে / <u>তাইবুল ইসলাম</u>

      স্যার 

      আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

      আমি তো প্রায় কি আর কী এর ব্যবহার ভুলেই গিয়েছিলাম

      আপনাকে পাশে পেয়ে খুব ভাল লাগল

      emoticons

    • Load more relies...
    - লুৎফুর রহমান পাশা

    চেষ্টা করলে সবাই তার কাংখিত জিনিস পেতে পারে

     

    • - বিষ পিঁপড়ে / <u>তাইবুল ইসলাম</u>

      আপনার এ প্রেরনায় আমি এগিয়ে যেতে চাই 

      শুভেচ্ছা রইল 

      emoticons

ইকবাল মাহমুদ ইকু

৯ বছর আগে লিখেছেন

আমার কিছু যায় আসেনা

স্রষ্টার মুখোমুখি কিছু টা সময় অবিশ্বাসী আমি,
বলি_ আমি তোমায় বিশ্বাস করিনা,
হেয়ালি পূর্ণ উত্তর ভেসে আসে-
আমার কিছু যায় আসেনা।
ক্রুধ্য আমার চিৎকারে তার কালো সন্ধ্যার-
বিধ্বস্ত পাল ছিড়ে যায়,
-আমার কিছু যায় আসেনা!-
বাতাসে ভেসে বেড়ায় মৃত লাশের গন্ধ,
শ্রমিকের কাতর ধনীতে; সু-উচ্চ দালান।
নগর নামের রাজপ্রাসাদ গুলোতে
কিছু স্রষ্টার সংঘবদ্ধ বসবাস ।
সম্রাজ্যবাদের প্রতিজ্ঞায় চামড়াহীন শেয়াল গুলোর
মরাকান্না ভেসে বেড়ায় প্রতিটি দেয়াল জুড়ে।
রক্তধারায় প্লাবিত ফসলের মাঠ,
স্বার্থান্বেষী সোঁদা গন্ধ গ্রাস করে নেয়;
গ্রাস করে নেয় মাঠ-ঘাট আর
পূর্ণিমার চাঁদটিও ভরে ওঠে কুটিল হাসিতে।
রক্তগুলো পরিনত হয় খুদায়
বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছাসে শেয়ালের কান্নাগুলো
কিভাবে যেন হায়নার হাসিতে রূপ নেয়।
একটু একটু করে তারা আমায় টেনে নেয়
চাপা পড়ে যায় প্রতিবাদের স্বর,স্রষ্টার কালো রঙ্গে।
স্রষ্টার কালো দালান গুলিতে আমি ও ঢুকে যাই,
একটু একটু করে,
-আমারও আর কিছু যায় আসেনা-
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মুন জারিন আলম

    সুন্দর ঝড়ো বর্ষনমূখর সকালে আাদিত্য ছেলেটা ঘুম থেকে একটু দেরীতেই উঠলো ৷ আদিতে্য পাশের রুমের ভাইটি আদিতে্যর কাছে এসে বলল কিরে আদিত্য তুই না বৃষ্টি হলেই ভিজিস ? তা আজ তো অনেকক্ষন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে ভিজবি নাহ emoticons  চমত্কার গল্প। চমত্কার মেসেজ।

    • - মেঘ আবির

      emoticonsধন্যবাদ

ইকবাল মাহমুদ ইকু

৯ বছর আগে লিখেছেন

নিলান্ত জোছনা

 নিলান্ত জোছনায়(উপন্যাস)  পর্বঃ ১
বৃষ্টির পরে আকাশ টা দেখতে বেশ ভালোই লাগছে। 
একটা স্পেশাল ব্যাপার আছে আজ আকাশের মধ্যে, অনেক সুন্দর একটা রংধনু উঠেছে আজ। মাঝে মাঝে নিজেকে এই বিশাল আকাশের সামনে অনেক খুদ্র মনে হয়। 
নতুন ফোন কিনেছি আজ সকালে, টিউশনির টাকা টা মনে হয় জলে পড়ল। 
ফোন ইউজ করতাম না ভালোই ছিলাম।
আজ সকাল থেকে অতন্দ্রিলা কে ফোন দিতে ইচ্ছে করছে। যতবার অতন্দ্রিলা কে দেখতে ইচ্ছে করছিল ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেছি। মাত্র সকালে ফোন কিনলেও এইসব ব্যাপারে আমি অনেক এক্সপার্ট, কিভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড চ্যাঞ্জ করতে হয় , পিসি থকে কিভাবে ছবি মোবাইল এ নিতে হয় সবকিছু অতন্দ্রিলা শিখিয়ে দিয়েছিল ওর ফোন দিয়ে। 
শেষমেষ থাকতে না পেরে অতন্দ্রিলা কে ফোন দিলাম_
কয়েকবার রিং হবার পর ইউজার বিজি দেখাচ্ছে। এর মানে আমি জানি, এর মানে হচ্ছে, অতন্দ্রিলা এখন ব্যাস্ত আর তাই সে রিং কেটে দিচ্ছে। তারপরেও আমি বার বার ফোন দিতে লাগলাম, ও বার বার ফোন কেটে দিচ্ছে। খেলা টা বেশ জমে উঠেছে, ভালোই লাগছে। এবার ফোন দিয়ে ফোন অফ পেলাম, কিছু টা মন খারাপ হয়ে গেলো, খেলা টা মাত্র জমে উঠেছিলো।
এটা মনে হয় একটা বদ অভ্যাস কাউকে ফোন দিয়ে না পেলে সাথে সাথে অন্য কাউকে কল দিতে ইচ্ছে করে। এত দেখি মহা মুসিবত একদিনের মধ্যেই আমি ফোন রোগে আক্রান্ত। আমার তো অতন্দ্রিলা এর নাম্বার ছাড়া আর কারো নাম্বার মনে থাকেনা। 
অচেনা কোন নাম্বার এ ফোন দিব কিনা ভাবছি, হঠাৎ মনে পরে গেলো পকেটে তো বাবার ভিসিটিং কার্ড আছে। কার্ড বের করে বাবার নাম্বারে ফোন দিলাম_ 
-হ্যালো !
-হ্যালো শব্দের বাংলা কি অর্থ বলতে পারেন?
-কে বলছেন?
-জি আমি বলছিলাম।
-আমি কে? কণ্ঠস্বর কিছু টা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

ইকবাল মাহমুদ ইকু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বৃষ্টি আর লোনা জল

জানালা দিয়ে হঠাৎ আসা ঝরো বাতাসে কেমন জানি একটা বৃষ্টির গন্ধ পায় বর্ণীল,তবুও তার ধারনা বৃষ্টি আসবেনা। নিদ্রাহীন চোখের তীক্ষ্ণতা মহিরু বটবৃক্ষের ডালপালার মত সুদুর প্রসারি হয়ে দিগন্তে কালো মেঘ খুজে বেড়ায়। কালো মেঘ আর নিজেকে কেন জানি গুলিয়ে ফেলে তার মধ্যে যেন নিজের অবয়ব দেখে সে।
ঠিক এমন টি চায়নি, ঘটনা টা এইত কয়েকদিন আগের, তার স্কুলের বান্ধবী নীলাকে ঘিরে।
সীমান্ত নামে এক ছেলের সাথে সম্পর্কে জরিয়ে পড়ে নীলা ইন্টারে উঠতে না উঠতেই। মূল ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি ফোনের মাধ্যে। একদিন রাত ১ তার দিকে বর্ণীল এর মোবাইল এ একটা কল আসে, কিছু টা অবাক হয় সে।
এত রাতে তো কারো ফোন করার কথা নয়! কেমন জানি একটা কৌতূহল হয় তার মাঝে _
-হ্যালো!
-বর্ণীল বলছ? অপ্র প্রান্ত থেকে প্রশ্ন ভেসে আসে।
-জি বলছি, আপনি কে ?
-আমি সীমান্ত, নীলার বন্ধু।
নীলার বয়ফ্রেন্ড সীমান্ত তাকে এত রাতে ফোন? শঙ্কিত হয়ে উঠে বর্ণীল, কোন সমস্যা হয়নি তো আবার? নীলাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে সে,সেই ছোট্ট বেলার ক্লাস ওয়ান থেকেই তার বেষ্ট ফ্রেন্ড নীলা।
-কি ব্যাপার সীমান্ত ভাইয়া! কেমন আছেন? কোন সমস্যা?
এর পর ইনিয়ে বিনিয়ে সীমান্ত যা বলল তা শুনে বর্ণীল পুরাই হতবাক! তাকে নাকি সীমান্তর অনেক ভালো লাগে, সীমান্ত নাকি তাকে ভালোবেসে ফেলেছে!
বর্ণীল তেমন কিছু বলেনা, শুধু বলে
-ভাইয়া! আপনি যা বলছেন তা অতি মাত্রায় কিছু ফালতু কথা বলে মনে হচ্ছে আমার কাছে, আপনি আমাকে আর কখনো ফোন দিবেন না। আপনি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড এর বয়ফ্রেন্ড ! আপনার কাছ থেকে আমি এ ধরনের কথা আশা করিনি।

সুতীব্র পাহাড়ি বাঁশির সুরের মত মাথা ঝিম ঝিম করতে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান

    কি রকম অনুভুতি থেকে এরকম লিখা যায় জানি না। শুধু বলবো - হৃদয় ছুয়ে গেলো।

    • - মাসুম বাদল

      আপনাকে মন্তব্যে পেয়ে সত্যিই খুবই আনন্দিত।

      অনেক অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য... 

    - আলমগীর সরকার লিটন

    বাদল দা

    আমি আরিফুর দার সাথে পুরোপরি এক মত

    শুভ কামনা--------

    • - মাসুম বাদল

      অশেষ শুভকামনা, লিটন ভাই... 

    - ওয়াহিদ মামুন

    কাঙালের মতো
    একবুক পুঞ্জীভুত আশা নিয়ে
    হাত বাড়ায়েছি তোমার দ্বারে
    আমাকে ফিরায়ে দিয়োনা, উর্বশী!

    অসাধারণ লিখেছেন। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।  

          

    • - মাসুম বাদল

      সালাম ও শুভকামনা রইলো... 

    Load more comments...

ইকবাল মাহমুদ ইকু

১০ বছর আগে লিখেছেন

অসহ্য কোলাহলের শব্দ

ঘুম থেকে উঠেই তানভীর চোখ খুলে দেখে মাথার উপর ফ্যান টা অদ্ভুত ভাবে ঘুরছে। অদ্ভুত লাগার কারন হল, তানভীরের কেন জানি মনে হচ্ছে ফ্যানটা যেদিকে ঘুরার কথা তার ঠিক উল্টা দিকে ঘুরছে। 
ধুর! তানভীর ভাবে ফ্যান উল্টা দিকে ঘুরুক আর ঠিক ভাবে ঘুরুক, তাতে আমার কি? গায়ে বাতাস লাগলেই হলো। 
ইদানিং যেই ভ্যাপসা গরম পড়েছে, শরীর ঘামে চিট চিট করছে পুরাই। জানালা দিয়ে পাশের নর্দমা থেকে উৎকট একটা গন্ধও আসছে। গন্ধটা উপেক্ষা করে তানভীর গামছা দিয়ে গায়ের ঘাম মুছতে থাকে। বের হতে হবে একটু পরে, বিকেল সোয়া চারটা বেজে গেছে প্রায়। গরম কালের এই একটা অসুবিধা সোয়া চারটা বাজলেও বাইরে তাকিয়ে মনে হচ্ছে এখনো দুপুর বেলা।
ক্র্যাচ নিয়ে তানভীর বের হল বাসা থেকে, ক্র্যাচ নেওয়ার কারন হল দুই মাস আগে একটা এক্সিডেন্ট এ তানভীরের এক পা কাটা পরে। 
তানভীর মতিঝিল এর জন্য সি,এন,জি ঠিক করল। শ্যামা এর বাসায় কি জানি একটা অনুষ্ঠান আছে, সব বন্ধুদের দাওয়ায় দিয়েছে শ্যামা। হয়ত তানভীরের কথা ভুলে গেছে, তাই বলে তানভীর তো আর না যেয়ে থাকতে পারেনা। 
তানভীর আর শ্যামার রিলেশন প্রায় চার বছর হতে চলল। গতকাল তাদেরই এক বন্ধু করিমের সাথে দেখা, করিম বলে শ্যামা নাকি তার সাথে আর রিলেশন রাখতে চায়না, একটা পঙ্গু মানুষের বোঝা সে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে পারবেনা। 
তানভীর মোটেও বিশ্বাস করেনি করিমের কথা। শ্যামা মনে হয় একটু ব্যস্ত ইদানিং তাই আর তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছেনা। আজ যেহেতু শ্যামার বাসায় কোন অনুষ্ঠান আর তাই তানভীর যাচ্ছে করিমের সামনেই তার ভুল টা ভাঙ্গিয়ে দিতে।
শ্যামার বাসার সামনে এসে থামলে তানভীর সি,এন,জি থেকে নেমে যায়। শ্যামার বাসায় লাইটিং এর কাজ চলছে, বেশ একটা উৎসব মুখর একটা পরিবেশ।... continue reading
Likes Comments
০ Shares
Load more writings...