Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

নূর মোহাম্মদ নূরু

৮ বছর আগে লিখেছেন

বাঙ্গালীর সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জনের ৪৪তম গৌরব উজ্জল মহান বিজয় দিবস : বিজয় দিবসে সকলকে শুভেচ্ছা


১৬ই ডিসেম্বর, স্বাধীনতা অর্জনের অহংবোধের উজ্জ্বলতায় উৎকীর্ণ অনিন্দ্যসুন্দর একটি দিন। একরাশ সোনালি স্বপ্ন হৃদয়ে ধারণের দিন আজ। বাঙালির কাছে বিজয় দিবস শুধু উৎসবের নয়, স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার শপথেরও দিন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশের মুখ ফিরিয়ে আগামীতে সুখী-সমৃদ্ধ একটি দেশ গড়ার যাত্রা শুরুর দিনও এটি। আজ থেকে ৪৪ বছর আগে এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এদেশের আপামর জনতা দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এদিন বিজয় লাভ করে। পরাজিত হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। জন্ম হয় নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে সর্বোচ্চ অর্জনের দিন ৪৪তম মহান বিজয় দিবস আজ। ১৬ ডিসেম্বর মানেই স্বাধীনতা স্বাদ পাওয়া মুক্ত পাখি। বিজয়ের নিশান উড়ানো দুরন্ত বালক। তবে সেই বিদ্রোহী বালক আজ ৪৪ বছরে পর্দাপণ করেছে। উন্নয়ন, শান্তি-সমৃদ্ধি, শিক্ষা ও মননে বাংলাদেশ আজ ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের বহু দেশকে। আগামীতে বাংলাদেশ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার টাইগার। এটাই বিজয় দিবসের সবচেয়ে বড় অর্জন।


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমোঘ নির্দেশে যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটে। গত ৪৩ বছর ধরে এদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় প্রতিটি মানুষ পরম শ্রদ্ধা আর মমতায় পালন করে আসছে এ দিনটি। যতদিন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব থাকবে ততদিন এ দিনটি পালন করা হবে এমনি মহিমায়। আজ লাল-সবুজের পতাকায় ছেয়ে যাবে পুরো দেশ। আকাশে বাতাসে পতপত করে উড়বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মুক্তির পতাকা। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ সারাদেশে স্মৃতির মিনার উপচে পড়বে ফুলে ফুলে। বঙ্গবন্ধুর বজ্র নিনাদ ভাষণ আর... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাসুম বাদল

    ভাললাগা জানালাম, ভাই...emoticonsemoticonsemoticons

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      জ্বি বাদল দা

      অনেক ধন্যবাদ

      ভাল থাকুনemoticons

    - অনিকেত নন্দিনী

    নস্টালজিক হয়ে গেলাম। চোখের সামনে ভেসে উঠলো সেই বহু বছরের পুরনো চালচিত্র। emoticons

    • - আলমগীর সরকার লিটন

      অনেক ধন্যবাদ

      ভাল থাকুনemoticons

    - মুহম্মদ ফরহাদ ইমরান

    একটু নীরবে নস্টালজিক হয়ে গেলাম

নূর মোহাম্মদ নূরু

৮ বছর আগে লিখেছেন

স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্রের বিজয়ের রজত জয়ন্তিতে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা


আজ ৬ ডিসেম্বর, স্বৈরাচার পতন দিবস। গণ-আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে পদত্যাগ করেন তৎকালীন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ সামরিক আইন জারির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। সামরিক স্বৈরাচারী এরশাদ দীর্ঘ নয় বছরের শাসনামলে আন্দোলন-সংগ্রাম ঠেকাতে অনেক জাতীয় রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করেন। অন্তরীণ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতাদের কারারুদ্ধ করেন এরশাদ। বর্তমানে মহাজোট সরকারের মূল দল আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আবদুস সামাদ আজাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন প্রমুখও রেহাই পাননি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটসহ বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর টানা আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। মুক্তি পায় গণতন্ত্র। ১৯৯০ সালের এই দিনে সামরিক স্বৈর সরকার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। এরশাদের প্রায় নয় বছরের শাসনামলেই দেশে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়। একপর্যায়ে সারা দেশে এরশাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলন গড়ে ওঠে এবং এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের মুখে অনেক মৃত্যু এবং দীর্ঘ রক্তাক্ত পথ অতিক্রম শেষে এই ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশের বুকে চেপে থাকা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়। শুরু হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রযাত্রা। সেই থেকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিনটিকে স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। নব্বাইয়ে দেশব্যাপী... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - প্রলয় সাহা

    আরও তথ্য জানলাম। জমে উঠেছে। ধন্যবাদ দিদি 

    - সুমন সাহা

    আরো অনেক অজানা জানা হলো।

    ধন্যবাদ লিখা চালিয়ে যাওয়া ও শেযার করার জন্য।

    শুভেচ্ছা জানবেন দিদি।

নূর মোহাম্মদ নূরু

৮ বছর আগে লিখেছেন

বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিত্রকর, কার্টুনিস্ট রফিকুন নবীর ৭২তম জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা


স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী যিনি রনবী নামে সমাধিক পরিচিত। দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায় জীবনের প্রথম কার্টুনটি আঁকেন তিনি। কার্টুনটি ছিল ভিক্ষুকদের উপরে। বিষয় দারিদ্র্য। লক্ষ্য ছিল ভিক্ষুকদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের অবস্থানটা তুলে ধরা। জীবনের প্রথম আঁকা সে কার্টুনটি কোথাও প্রকাশিত না হলেও আগ্রহ কমেনি এতটুকু। কার্টুনের প্রতি আগ্রহটা আরও বেশি জোরাল হয় ষাটের দশকের মাঝামাঝিতে, বিভিন্ন যুব সংগঠন, বিশেষ করে ছাত্র ইউনিয়নের কার্টুন পোস্টার আঁকার আহ্বানে। রনবীর টেকাই তার কার্টুন জীবনের এক নতুন মাইল ফলক। টোকাই এমন একটি নাম যা সামগ্রিকভাবে সব পথশিশুকেই নির্দেশ করে। '৭৬-এ বিদেশ থেকে ফিরে এসে পথশিশুদের নিয়ে কার্টুন আকায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন রনবী। টোকাই নামকরণের প্রথমে মোক্কা, টোকা মিয়া, এরপর টোকন, টোকাইন্যা। কিন্তু সবগুলি নামই কেমন অসম্পূর্ণ মনে হয় রনবীর কাছে। প্রথম ভাবনার দীর্ঘ ৮ বছর পর রনবীর আঁকার জগতে জন্ম নিল নতুন এক অধ্যায়- 'টোকাই'। '৭৮-এ শুরু করা কার্টুনে রনবী টোকাইয়ের বয়স রেখেছেন আট। শিল্পীর কল্পনায় '৭১-এ বেঁচে যাওয়া পিতৃমাতৃ পরিচয়হীন পথের শিশুই 'টোকাই'। অবশেষে টোকাই। টোকাই নামক কার্টুন চরিত্রটির স্রষ্টা খ্যাতনামা চিত্রকর, কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী। 'টোকাই' বাংলা অভিধানে স্থান করে নিয়েছে নতুন শব্দ হিসেবে। অধুনালুপ্ত 'বিচিত্রা'য় টোকাই একবার 'ম্যান অব দ্য ইয়ার' নির্বাচিত হয়। গম্ভীর চেহারার রফিকুন নবীর মাঝে সৃষ্টিশীলতার সাথে খেলে যায় রসবোধ। নিসর্গের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে রং-তুলি হাতে তার প্রেমে নিজেকে হারাতে ভালবাসেন শিল্পী। আবার সমাজ ও রাজনীতি সচেতন রনবী ভাবেন সাধারণ মানুষের কথা, পথ-শিশুদের দুঃখ-দুর্দশাকে দেখেন বড় করে। কোন নিপীড়ন সহ্য করবেন না-এই তাঁর প্রতিজ্ঞা। শিল্পীর শিল্প-পরিমণ্ডল জুড়ে তাই স্থান করে নিয়েছে বাস্তব আর কল্পনার সম্মিলন। এক সত্তা যখন সুন্দরের পূজা করতে ব্যস্ত, অন্য সত্তা তখন সমাজ-বাস্তবতার... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - bb.com uy ij

    বোকা ছাড়া আর কি হতে পাড়ি ?

নূর মোহাম্মদ নূরু

৮ বছর আগে লিখেছেন

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজঃ বিকশিত হোক মুক্ত গণতন্ত্রের চর্চা


আজ ১০ নভেম্বর মঙ্গলবার ‘শহীদ নূর হোসেন দিবস’। স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা দূর্বার আন্দোলনে জীবন দিয়ে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় দিন। শহীদ নূর হোসেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে স্মরণীয় নাম। যিনি মিটিং-মিছিল ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অধিকার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সবসময় তিনি সক্রিয় ছিলেন মিছিল মিটিং সমাবেশে। এই অকুতোভয় যোদ্ধা অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছেন। সময়ের সাহসী সন্তান নূর হোসেন সেদিন রাজপথে স্বৈরাচারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গনতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগান বুকে পিঠে লিখে । ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারী রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ৫,৭ ও ৮ দলীয় জোটের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়। এদিন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে জিপিওর সামনে জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিতে আরো শহীদ হন যুবলীগ নেতা নুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো, ফাত্তাহসহ অনেকে। নূর হোসেনের আত্মত্যাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান ও তিন জোটের সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য রূপ লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ এর ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারের পতন ঘটে। তার বীরোচিত জীবনদানের ফলে নূর হোসেন সেই সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন। এরপর থেকে নূর হোসেনের বুকে-পিঠে লেখা সেই শ্লোগান ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ হয়ে ওঠে আন্দোলনের প্রতীক। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ ফিরে পায় ভোট ও ভাতের অধিকার। উল্লেখ্য ১৯৯৬ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ জাতীয় সংসদে নূর হোসেনের মৃত্যুর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। নূর হোসেন দিবসে শহীদ নূর... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - প্রলয় সাহা

    গুরুজ্বী প্রণিপাত। emoticonsemoticonsemoticons

    • - মাসুম বাদল

      শুভকামনা... emoticonsemoticonsemoticons

    - সুমন সাহা

    নতুন জুয়ানী দেইখা
    আবার করবা বুঝি বিয়া

    দুনিয়াডাই অভাবীর খাঁচা
    উড়াল দিবার জো-নাই রেবউ
    কুনু ফাঁক নাই মরণেরও...

     

    কি ভীষণ লেখা। আহ্...emoticons

    • - মাসুম বাদল

      emoticonsemoticonsemoticons

    - মুহম্মদ ফরহাদ ইমরান

    কোথাও যেন নিয়ে যাচ্ছিল । একটা কবিতা,একটা গল্প,একটা জীবন ।

    Load more comments...

নূর মোহাম্মদ নূরু

৮ বছর আগে লিখেছেন

উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার দীনবন্ধু মিত্রের ১২২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি


উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার দীনবন্ধু মিত্র। তিনি নাটক লিখেছেন সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে, বাংলা নাটকের প্রাথমিক যুগে যা ছিল অপ্রত্যাশিত। দরিদ্র কৃষক, সমাজের তথাকথিত নিম্ন স্তরের মানুষ তাঁর লেখায় জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে। কবি ঈশ্রচন্দ্র গুপ্তের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দীনবন্ধু মিত্র ছাত্রাবস্থা থেকেই সংবাদ প্রভাকর, সাধুরঞ্জন প্রভৃতি পত্রিকায় কবিতা লিখতে শুরু করেন। তবে তিনি খ্যাত হন নাট্য অঙ্গনের বলিষ্ঠ পদচারণায়। বাংলার আধুনিক নাট্যধারার প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমসাময়িক দীনবন্ধু মিত্র মাইকেল প্রবর্তিত পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক নাট্যরচনার পথে না গিয়ে বাস্তবধর্মী সামাজিক নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। এই ধারায় তিনিই হয়ে ওঠেন পরবর্তীকালের নাট্যকারদের আদর্শস্থানীয়। নীলদর্পণ (১৮৬০) তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক এবং শ্রেষ্ঠ রচনা। নীলকরদের অত্যাচারের দলিল হিসাবে জাতীয় চেতনা সৃষ্টিতে এই না্টকেরঐতিহাসিক ভূমিকা আছে এবং এর রচনাশৈলীতেও ছিল নতুনত্ব। দীনবন্ধু সমকালীন হিন্দুসমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রহসন রচনা করেও খ্যাতি অর্জন করেন। সমাজের সাধারণ মানুষ সম্বন্ধে বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিই তাঁর রচনার প্রধান প্রেরণা। চাকরিসূত্রে দেশ-বিদেশ ঘুরে বহুলোকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই অভিজ্ঞতা তাঁর নাটকের চরিত্র সৃষ্টিতে তাঁকে বিশেষভাবে সাহায্য করে। কৃত্রিমতার বিরোধী এবং সত্যের অনুসারী দীনবন্ধু ছিলেন সমাজকল্যাণনিষ্ঠ শিল্পী। জীবন সম্বন্ধে গভীর বাস্তব অভিজ্ঞতার দ্বারা তিনি কল্পনাশক্তির ন্যূনতাকে পূরণ করেছিলেন। তীক্ষ্ণ সমাজদৃষ্টি, জীবন্ত চরিত্রসৃষ্টি এবং মানবিক সহানুভূতি তাঁর সৃষ্টিকে অমর করে রেখেছে। গিরিশচন্দ্র ঘোষ উত্তরকালে ন্যাশনাল থিয়েটার স্থাপনের জন্য দীনবন্ধুর নাটককেই কৃতিত্ব দিয়েছেন, সেই অর্থে তাঁকে রঙ্গালয়স্রষ্ঠা বলেও সম্মান জানিয়েছেন। আজ এই গুণী নাট্যকারের ১২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৮৭৩ সালের আজকের দিনে তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটে। বাংলা নাটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপকার দীনবন্ধু মিত্রের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।


(দীনবন্ধু মিত্রের বাংলো বাড়ি)
প্রখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র ১৮২৯ সালে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    সুন্দর লাগল কবিতা

    • - রচনা পারভিন

      ধন্যবাদ আপনাকে। emoticons

    - মাসুম বাদল

    প্রথম থেকে মাঝ অবধি খুব খুব ভাল লেগেছে।

    সমাপ্তিও দারুন; তবে আরো একটু স্বচ্ছতা থাকলে ভালো হতো খুব... 

     

    সর্বোপরি গ্রেট স্যাল্যুট টু ইয়্যু... emoticons

     

    • - প্রলয় সাহা

      ভালো লাগলো দিভাই emoticons

    • Load more relies...
    - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    চমৎকার! emoticons

    • - রচনা পারভিন

      ধন্যবাদ emoticons

Load more writings...