Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

কাজী মেহেদী হাসান

৯ বছর আগে লিখেছেন

ঘৃনার স্বরলিপি

আমি এসেছি একটি সংকীর্ন মানবহৃদয় থেকে  
একটি বিষাক্ত পদ্মজ্যোৎস্না অথবা একটি যাচ্ছেতাই হৃদপিণ্ড থেকে
অস্থির মশালের স্ফুলিঙ্গ থেকে, সভ্যতার নোংরা হস্তশিল্প থেকে  
আমার আঙুলগুলো উদ্ধত আর একজোড়া বিষাদাক্রান্ত চোখ!
কালের বিরুদ্ধে স্থির ধ্রুবতারার মতো ওরা জপ করে অভিশাপ, তীব্রতম ঘৃনা।
 
আমি গল্প বলি এক মাংসল যুবতীর, এক অভিশপ্ত শরীরের
স্মরণ করি কিছু অপাংক্তেয় স্তবক, পবিত্রতম কবিতার এক গা ঘিনঘিনে চরিত্র!
 
আমি এসেছি একটি ক্ষুদ্রতম স্বপ্ন থেকে
একটি মহত্তম জীবনের অশ্লীল অধ্যায় অথবা একটি নষ্ট চুম্বনের গল্প থেকে
দুর্বিনীত অগ্নুৎপাত থেকে, মিছিলফেরত যুবকের রক্তচক্ষু থেকে
আমার সংকল্পবদ্ধ পেশি আর শিরায় লেপ্টে থাকা যন্ত্রণা!
কুষ্ঠ রোগীর ক্ষতের মতো ঘৃণা করি তোকে
গড়িয়ে পড়া হলদে পুঁজের মতো ঘৃণা করি তোকে
তোর জন্য ঘৃণা, ঘৃণ্যতম অভিশাপ... 
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - ধ্রুব তারা

    গদ্য কবিতা লিখেছেন? 

    • - মো: মালেক জোমাদ্দার

      বুঝলাম না কেন যেন গদ্যাকারে প্রকাশিত হলো। আমি আবার পোষ্ট করলাম। ধন্যবাদ। 

       

    - মো: মালেক জোমাদ্দার

    আহ্বান পূর্বাকাশে উদয় রবির কিরণ
    আঁধার সরে আলোকিত ভূবন,
    সুমধুর কন্ঠে ধ্বনিত মুয়াজ্জিনের আযান
    নত কর মাথা আসছে সে আহ্বান ।
    তন্দ্রা ছেড়ে আসো স্রষ্টার ঘরে 
    করুণা চাও সিজদায় পড়ে ।
    থেকোনা নিদ্রায় দিবা রজনী ধরে,
    করিওনা হেলা, তৈরী হও-হবে যেতে পরপারে।
    অপরূপ ধরনী ক্ষণিকের তরে 
    বৃক্ষ-তরু,পবন বারি সকলই রইবে পরে।
    ভূবনে রেখেছে নিযুত কোটি সৃষ্টি করে
    সিজদায় পড়ে চাও দরকারে তাঁর তরে ।
    আহ্বান শোন পূনরায় বেলা ভরদুপুরে-
    অনুস্মরণে মহানবীরে ।
    তেজী সূর্য্য দ্রুতই পশ্চিমে ঢলে পড়ে
    ছুটে আসো তাঁর পবিত্র ঘরে,
    সময় ফুরিয়ে ডুবিবে আধারে-
    আবার আহ্বান সুদূর মিনারে।
    চলে এসো, পড় সিজদায় ডাকো তাঁরে
    চলন্ত পৃথিবী ঘুর্ণিপাকে বারে বারে,
    আকর্ষণ মহাকর্ষণ সবই তাঁকে ঘিরে
    অনুভব,চেতনা,বেদনা,সুখ দু:খ ফেরে;
    দাও সাড়া আহ্বানের খোঁজো তাঁরে
    প্রকৃত ভালবাসার স্বাদ থেকে থেকোনা দূরে। 

    - মো: মালেক জোমাদ্দার

    আহ্বান পূর্বাকাশে উদয় রবির কিরণ
    আঁধার সরে আলোকিত ভূবন,
    সুমধুর কন্ঠে ধ্বনিত মুয়াজ্জিনের আযান
    নত কর মাথা আসছে সে আহ্বান ।
    তন্দ্রা ছেড়ে আসো স্রষ্টার ঘরে 
    করুণা চাও সিজদায় পড়ে ।
    থেকোনা নিদ্রায় দিবা রজনী ধরে,
    করিওনা হেলা, তৈরী হও-হবে যেতে পরপারে।
    অপরূপ ধরনী ক্ষণিকের তরে 
    বৃক্ষ-তরু,পবন বারি সকলই রইবে পরে।
    ভূবনে রেখেছে নিযুত কোটি সৃষ্টি করে
    সিজদায় পড়ে চাও দরকারে তাঁর তরে ।
    আহ্বান শোন পূনরায় বেলা ভরদুপুরে-
    অনুস্মরণে মহানবীরে ।
    তেজী সূর্য্য দ্রুতই পশ্চিমে ঢলে পড়ে
    ছুটে আসো তাঁর পবিত্র ঘরে,
    সময় ফুরিয়ে ডুবিবে আধারে-
    আবার আহ্বান সুদূর মিনারে।
    চলে এসো, পড় সিজদায় ডাকো তাঁরে
    চলন্ত পৃথিবী ঘুর্ণিপাকে বারে বারে,
    আকর্ষণ মহাকর্ষণ সবই তাঁকে ঘিরে
    অনুভব,চেতনা,বেদনা,সুখ দু:খ ফেরে;
    দাও সাড়া আহ্বানের খোঁজো তাঁরে
    প্রকৃত ভালবাসার স্বাদ থেকে থেকোনা দূরে। 

কাজী মেহেদী হাসান

৯ বছর আগে লিখেছেন

প্রাপ্তিস্বীকার

উন্মাতাল যমুনায় চর জেগেছে সেতো কবেই
আমার দ্বারে এসে কতবার অধঃমুখে ফিরে গেল শ্রাবনের প্রবল বর্ষণ
ঈর্ষায় জ্বলে গেছে মেঘ, জলসিঞ্চনে ভুলে গেছে হিমালয়!
তবু আমি সেই নতমুখ
আমায় ক্ষমা করো---
আমি এর বেশি কাঁদতে পারিনি!
 
গত বসন্তের বয়সী কোকিলটার মৃত্যু হলো সেদিন
আগুনে শিমুল পলাশ; ওরাও কুর্নিশ করে গেছে আমার রক্তজবা চোখ
সময়কে বুকে ধরা শতায়ু গাছ, সাহস করেনি চণ্ডীদাস!
তবু আমি সেই পরাজয়
আমায় ক্ষমা করো---
আমি এর বেশি অপেক্ষা করতে পারিনি!
 
প্রাচীন শারীরিক কাঠামোয় ক্রমশই বেড়েছে হৃদয়ের প্রত্নতাত্তিক মূল্যবোধ
অন্ধের সাদা ছড়ির চেয়েও আপন সে চোখ, আমার প্রাত্যহিক দর্পন।
মানবিক দৃষ্টির অব্যর্থ নির্যাস, আমি তাতে পবিত্র হই প্রতিদিন!
তবু আমি সেই অভিযোগে ন্যুজ প্রেমিক
আমায় ক্ষমা করো---
আমি এর বেশি ভালোবাসতে পারিনি!
continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    াল লাগলো। 

    • - কল্পদেহী সুমন

      ধন্যবাদ

    - ধ্রুব তারা

    ভাই আপনি এত নীরব কেন? 

    • - কল্পদেহী সুমন

      তাই বুঝি :)

কাজী মেহেদী হাসান

১০ বছর আগে লিখেছেন

যে কথা বলতে নেই!

মুখবন্ধ খামের মতোই নিরুপদ্রব তুমি-আমি কিংবা আমরা
কিছু বাষ্প শকট অথবা যন্ত্রদানব দেখেছি
দেখেছি কলকাঠি হাতে দো-পেয়ে আকৃতি
আমাদের বক্ষ পাজর, উত্থিত অস্থি অজরে
ওরা নগ্ন উল্লাস করে প্রতিদিন!
মানবিক মুখাবয়বে হামেশাই দৃশ্যমান পশুত্বের হলদে দাঁত
তবু ওদের হায়েনা বলতে নেই, এ কথা বলতে নেই!
 
শুনেছি ওরা স্বাধীনতা মুছে দেবে, বুকের গহীন কুঠরে মিইয়ে যাবে লাল-সবুজ
মানচিত্রের রেখায় রেখায় উপচে পড়েছে পুরনো বিষের পেয়ালা
নতুন আঘাতে জেগে উঠছে ক্ষত
আমরা দাঁতে দাঁত চেপে থাকার অনুশীলন করি; কেন্নোর মতো গুটিয়ে রই
রঙিন পানি, আলোকসজ্জা আর যুবতী মাংসের ঢেউয়ে রাত কাটে ওদের
আমরা অপেক্ষা করি পুনর্বার ধর্ষিত হতে
তবু ওদের জানোয়ার বলতে নেই, এ কথা বলতে নেই!
 
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে মানুষ আজ সহজলভ্য ‘কাবাব’
রাজপথে থেমে যায় প্রসববেদনা অথবা জীবনের শেষ স্পন্দন!
আমাদের ঠোঁটে তবু প্রগলভ হাসির বাধ্যবাধকতা
আমরা ভালো নেই...বলতে নেই..বলতে নেই..
continue reading
Likes ৩৪ Comments
০ Shares

Comments (34)

  • - সালাহ্‌ আদ-দীন

    কাহিনীটা এই রকম, ধর্ষণ করতে ইচ্ছা হইছে তো আইন করা হল ধর্ষণ জায়েজ। অতঃপর আইনের দুহাই দিয়ে শুরু হল গন ধর্ষণ।  পাশে এবার আইন ভঙ্গ হয়। 

    • - ফাতিন আরফি

      চমৎকার একটা উদাহরণ দিলেন! :)

    - রুদ্র আমিন

    গণতন্ত্র মরে গেছে তার সাথে আমার এবং আমাদের মতো সকল জনগণ। বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলই তাদের গঠণতন্ত্র মান্য করে চলে না তারা কিভাবে দেশের গঠণতন্ত্র মেনে চলবে...সকল রাজনৈতিক দল গুলোকে বয়কট করা উচিত।

    • - ফাতিন আরফি

      জনগণকে আমি খুব ভালো মনে করি না, কারণ তারা মোটেই সচেতন এবং সৎ না! ধন্যবাদ।

কাজী মেহেদী হাসান

১০ বছর আগে লিখেছেন

পড়লে মনে, খবর দিও!

 
খুব রাত্তিরে পড়লে মনে, ডেকে নিও
বৃষ্টিবেলায় ইচ্ছে হলে সঙ্গে নিও
রোদ্র দুপুর-জোনাক রাতে
ক্লান্ত নুপুর-সাঝ প্রভাতে
পড়লে মনে, খবর দিও!
না হয় তুমি নিরব থেকো, অশ্রুপাতে!
 
সন্ধ্যেবেলায় অবহেলায়, একটুখানি সঙ্গ দিও
দুপুর করে ঘুমিয়ে থাকলে ধমক দিও
নির্জনতায়-কফির কাপে
কোলাহলে-ফুচকা খেতে
পড়লে মনে, খবর দিও!
না হয় তুমি একাই থেকো, ভীষণ জেদে!
 
বকুল ঝরা পথখানিতেলাগলে আমায়, জানিয়ে দিও
হাতটা ভীষণ শূন্য হলে চেয়ে নিও
ব্যালকনিতে-পূর্নিমাতে
রিকশাভ্রমন-রোজ ঘুমোতে
পড়লে মনে, খবর দিও!
না হয় তুমি দূরেই থেকো, কল্পনাতে!
 
আমার চায়ের কাপে চুমুক দিও
অলস সময়– অ-কবিতায় তুমিই আমার দুঃখ হইও
না হয় তুমি ভুলেই যেও, শ্রাবনরাতে!
 
বুক চিরে যে বসত করে
সেই বৃষ্টি না এলে হায়, মেঘের বলো কিইবা তাতে!
এক পৃথিবী, একটা আকাশ, রাত্রি জাগুক জলপ্রপাতে!
X
continue reading
Likes ১৬ Comments
০ Shares

কাজী মেহেদী হাসান

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিহঙ্গিনী; এক বিকেলে অপেক্ষায় রবো তোমার!

উদাসী গাঙচিলের ডানায় বার্তা পাঠালাম
তোমার মেঘের শরীরে নীল আকাশ জড়িয়ে নিও
কিছু আদ্র রজনী দিলাম
হরিণীর চোখটাতে কাজল দিও
বিহঙ্গিনী,
সময় করে এসো একদিন; হইও পরম পূজনীয়!
 
পাজরের হার? আমি তোমায় হৃদপিণ্ড দিলাম
অধরে লাল মেখে নিও
আড়ষ্ট তুলিতেই একে দিও পদচিহ্ন; তবুও এসো!
 
সেদিন,
বৈকালিক নরম রোদ ছুয়ে যাবো অনিমেষ
দীঘির শান্ত জল পেরিয়ে ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের মতন
দিব্যচোখে এঁকে যাবো পরিচিত পথ
বিহঙ্গিনী,
এক বিকেলে অপেক্ষায় রবো তোমার!
সময় করে এসো।
continue reading
Likes ১০ Comments
০ Shares

Comments (10)

  • - নীল সাধু

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    আরে মাই ডিয়ার রোদেলা আপু যে। 

    বহুদিন পর তোমার লেখা পড়লাম। কিরাম আছো? নিয়মিত থাকবা আশাকরি।

    • - রোদেলা

      তোমাকে শুভেচ্ছা ।আশা করি অতি শীঘ্রই দেখা হবে।

    - ইখতামিন

    প্লাস

    Load more comments...
Load more writings...