বলে যায়নি সে কোন পথে যাবে
তখন তার কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ ছিল
চোখে চশমা, হাতে মোবাইলটা ধরে,
ফতুয়ার বুক পকেটে ছিল নীল কলম,
আকাশী রঙ্গের ফতোয়ার বেশ উজ্জ্বল লাগছিল তাকে;
ঠোঁট একটু খোলা ছিল, ঈষৎ হাসি মুখে,
প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে সে হাঁটা ধরে
উঁচু নিচু পথ কর্দমাক্ত, এতটা তীক্ষ্ম রোদ্দুর;
একটা পথ চলে গেলে বহু পথ ধরে,
আঁকা বাঁকা, রাস্তার পাশে খাল, টলটলে পানি....
দুপুরের কড়া রোদের ঘুমচোখ নিয়ে এগিয়ে যায় সে,
সকালের স্নান সেড়েছিল হয়তো;
ভেজা চুল কিছুটা শুকিয়ে কপালে এসে পড়ছিল; কারণ
তখন এলোমেলো বাতাস ছিলো,
অত:পর সে হেঁটে হেঁটে রাস্তার বাঁকে গিয়ে থামে,
পিছন ফিরে দেখে; কেউ হয়তো তার হাঁটা পথে তাকিয়ে আছে;
আবার ধীর পায়ে আগায় সে,
ভর দুপুরে দাঁড়কাক ডাকছে কোথাও,
এদিক ওদিক দেখে দাঁড়ায় ঠাঁয়;
হয়তো বা কাক কোথায় ডাকছে সেটা দেখবে বলে;
হতে পারে সে অন্য ভাবনার দোলাচলে দাঁড়িয়েছিল।
অনুঞ্চ হাঁটে তবু সে; ছাতা থাকলেও মাথায় দেয় নি,
ঝাঁঝালো রোদ্দুর উপভোগ করবে বলে,
তার সঙ্গী শুধু তার ছায়া,
এখান থেকে ভাবছি, আকাশে মেঘ জমোক,
তাকে ছায়া দিক; অথবা
তুমুল বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিক তাকে,
পথচলায় তার বিরাম নেই,
হাঁটুক সে, হেঁটে হেঁটে যাক বহুদুর,
কারণ সে তো কবি; কবিদের থেমে থাকতে নেই,
কবিতার উপকরণের খুঁজে সে আজ পথে।
যত্তসব আবেগীয় শব্দ আছে;
উড়ে এসে তার নীল কলমে বসুক,
ছন্দে ছন্দে হউক তার পথ চলা।
কবি কবিতার ভালবাসায় বাঁচুক
কবিতার সাথে প্রেম; মানুষের সাথে নয়।
অস্থির সময় কাটে আমার অবেলায়,
সে বলে যায় নি, কোন পথ ধরে যাবে সে;
কারণ এটাই বোধয়!
তখন তার কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ ছিল
চোখে চশমা, হাতে মোবাইলটা ধরে,
ফতুয়ার বুক পকেটে ছিল নীল কলম,
আকাশী রঙ্গের ফতোয়ার বেশ উজ্জ্বল লাগছিল তাকে;
ঠোঁট একটু খোলা ছিল, ঈষৎ হাসি মুখে,
প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে সে হাঁটা ধরে
উঁচু নিচু পথ কর্দমাক্ত, এতটা তীক্ষ্ম রোদ্দুর;
একটা পথ চলে গেলে বহু পথ ধরে,
আঁকা বাঁকা, রাস্তার পাশে খাল, টলটলে পানি....
দুপুরের কড়া রোদের ঘুমচোখ নিয়ে এগিয়ে যায় সে,
সকালের স্নান সেড়েছিল হয়তো;
ভেজা চুল কিছুটা শুকিয়ে কপালে এসে পড়ছিল; কারণ
তখন এলোমেলো বাতাস ছিলো,
অত:পর সে হেঁটে হেঁটে রাস্তার বাঁকে গিয়ে থামে,
পিছন ফিরে দেখে; কেউ হয়তো তার হাঁটা পথে তাকিয়ে আছে;
আবার ধীর পায়ে আগায় সে,
ভর দুপুরে দাঁড়কাক ডাকছে কোথাও,
এদিক ওদিক দেখে দাঁড়ায় ঠাঁয়;
হয়তো বা কাক কোথায় ডাকছে সেটা দেখবে বলে;
হতে পারে সে অন্য ভাবনার দোলাচলে দাঁড়িয়েছিল।
অনুঞ্চ হাঁটে তবু সে; ছাতা থাকলেও মাথায় দেয় নি,
ঝাঁঝালো রোদ্দুর উপভোগ করবে বলে,
তার সঙ্গী শুধু তার ছায়া,
এখান থেকে ভাবছি, আকাশে মেঘ জমোক,
তাকে ছায়া দিক; অথবা
তুমুল বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিক তাকে,
পথচলায় তার বিরাম নেই,
হাঁটুক সে, হেঁটে হেঁটে যাক বহুদুর,
কারণ সে তো কবি; কবিদের থেমে থাকতে নেই,
কবিতার উপকরণের খুঁজে সে আজ পথে।
যত্তসব আবেগীয় শব্দ আছে;
উড়ে এসে তার নীল কলমে বসুক,
ছন্দে ছন্দে হউক তার পথ চলা।
কবি কবিতার ভালবাসায় বাঁচুক
কবিতার সাথে প্রেম; মানুষের সাথে নয়।
অস্থির সময় কাটে আমার অবেলায়,
সে বলে যায় নি, কোন পথ ধরে যাবে সে;
কারণ এটাই বোধয়!
Comments (6)
ভালোবাসার স্বরুপ বুঝতে আমাদেরকে প্রকৃতির কাছে যেতে হবে। প্রকৃতির প্রতিটি অনু পরমানু আমাদের শেখায় কি করে ভালোবাসতে হয়।
ধনব্যবাদ শিল্পী আপা সুন্দর এই পোষ্টটির জন্য।
ভালো থাকবেন।
নীলদার সাথে সহমত। সুন্দর পোস্ট। শুভকামনা জানবেন।
ফেরদৌসী আপা, অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে। আশা করি আপনার অন্নেক সুন্দর সুন্দর কবিতা, রেসিপি, ফটোব্লগ--- ইত্যাদি ইত্যাদি এই ব্লগে পাব।
আপনাকেও আমার আন্তরিক ফুলেল শুভেচ্ছা নাহার আপা। আমিও প্রত্যাশা করছি, আপনারও চমৎকার সব পোষ্টগুলো অতিসত্বর পাব, আর আমি চেষ্টা করবো আপা। ভালো থাকুন সতত।
সুন্দর লিখেছেন।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে আপু অর ভাই নিঃশব্দ, লিখাটি পড়ে মন্তব্য দেওয়ার জন্য। অনেক অনেক ভালো থাকুন।