কবির সুমন
বাংলা ভাষাভাষি মানুষ মাত্রই জানেন শিল্পী কবির সুমনের মানে!১৯৪৯ সালের ১৬ মার্চ তিনি ভারতের ওড়িশায় জন্মেছিলেন। ২০০০ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে সমস্ত বাংলায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন। সুমন চট্টোপাধ্যায় থেকে হয়েছিলেন কবির সুমন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেছিলেন।
প্রচলিত গানের বাজারে নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় এক আলাদা সুর আর কথায় গেয়ে উঠলেন এক গায়ক।তার গানে প্রথমবার মানুষ শুনতে পেলো এক অন্যরকম সুর। ‘প্রথমত আমি তোমাকে চাই,দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই, তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই, শেষ পর্যন্ত আমি তোমাকে চাই’। অসাধারণ এই গায়কী শক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ জন্মালো, বলতে গেলে মানুষকে সম্মোহনের বন্ধনে আবদ্ধ করে দিলেন প্রথম অ্যালবাম তোমাকে চাই’ দিয়েই; নাম তার কবির সুমন।
কবির সুমন শুধু তার গানের জন্য সমস্ত বাংলায় বিখ্যাত নন, একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও মানবিকতার পরম এক মূর্তি হিসেবেও তিনি অতি পরিচিত একটি নাম। বাংলা গানের মানে যাঁরা বদলে দিলেন, কবির সুমন তাদের একজন।
কবির সুমনের স্পর্শে বাংলা গান শুধু সমৃদ্ধই হয় না, বরং খুঁজে পায় নতুন দিশা। তার গানের বিষয়বস্তু হয় রাজনীতি, ধর্ম,দর্শন, সমাজ; যা আগে কেউ ভাবেওনি হয়তো। অনায়াসে শাসক আর শোষকদের নির্মম সত্য বলে দিতে পারেন গানের মাধ্যমে। সীনা টানটান করে সমাজের সঙ্গতি আর অসঙ্গতিগুলিও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন এই গানের মাধ্যমেই। তার গানের মাধ্যমে বাংলা গানে সূচনা হয় এক নতুন ধারার। সুমনের গানের মাধ্যমে মানুষ আরাম খুঁজে পায়, শ্রান্তি খুঁজে পায়,মনকে হারিয়ে ফেলারউন্মাদনা আছে তার গানে।তারগান মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়েযায়, অনুভূতিকে স্পর্শ করে, কন্ঠ,সুর আর গানের কথায় মগ্ন হয় মানুষ।
তাই দেখা যায়, ভিন্ন ধারার এই শিল্পীর গান শুধু কলকাতাতেই জনপ্রিয়তা পায় না, বরং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাংলা ভাষাভাষি মানুষের...[…]