Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Entertainment Image
Entertainment Image

নায়ক, নায়িকা, নির্মাতা-তিন ‘ন’ এর জবানবন্দি

আমি ডানা ছাড়া পাখি, তোমার আশায় আশায় থাকি…তুমি ছুঁয়ে দিলে এই মন, আমি উড়বো আজীবন’-গানটি ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবির। এমনই রোমান্টিক গানে ভরপুর ছবিটি শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৩টি হলে মুক্তি পেলো আজ। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ ও জাকিয়া বারী মম।
প্রশ্ন হলো, দর্শক কেন দেখবে ছবিটি? দর্শক আকর্ষণ করার মতো কি কি থাকছে এতে? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন চলচ্চিত্রটির তিন ‘ন’- অর্থাৎ নায়ক-নায়িকা ও নির্মাতা।
না দেখলে দর্শক মিস করবে: আরেফিন শুভ
প্রথমেই ছবি মুক্তির অনুভূতি জানালেন নায়ক আরেফিন শুভ। বললেন, ‘কাল ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে এটা নিয়ে টেনশনে যেমন আছি তেমনি ভয়েও আছি আবার আশাও করছি। আশা করছি দর্শক ছবিটা দেখবে। টেনশন করছি দর্শক আসলে ছবিটা কতটা দেখবে। ভয়ে আছি ছবিটা শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না?
আরিফিন শুভ নানামুখী টেনশনে থাকলেও ছবিটি ইতিমধ্যেই ৫০টির অধিক সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে।
এবার তাকে প্রশ্ন করলাম দর্শক ছবিটি কেন দেখবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটা ছবি যা না দেখলে দর্শক মিস করবে। একটি নিটোল প্রেমের ছবি দেখা থেকে দর্শক বঞ্চিত হবে ।’
জানতে চাইলাম এই ছবিতে শুভ অভিনীত অন্য ছবিগুলো থেকে ভিন্নতা কতটুকু থাকছে। এর জবাবে তিনি বলেন, ‘ভিন্নতার কথা কিছু বলবো না, আমি বলবো সব ধরনের ভিন্নতা বাদ দিয়ে দর্শক শুধু মাত্র আনন্দ পা্ওয়ার জন্য যদি আসে তাহলে আমি মনে করি দর্শক নিরাশ হবে না।’
প্রেম দেখার জন্যই দর্শক হলে যাবে: মম
এবার নায়িকার পালা। জাকিয়া বারী মমকে প্রশ্ন করতেই গড়গড় করে বলতে থাকলেন তিনি, ‘আমার চরিত্রের নাম নীলা। হৃদয়পুর গ্রামের আবির নামের এক ছেলের সঙ্গে সে প্রেম করে। আবির আর নীলার প্রেম দেখার জন্যই দর্শক হলে যাবে। আর এটি...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

দেশের ইতিহাসে প্রথম সেন্সর ছাড়পত্রে নির্মাতার নাম

সম্প্রতি সেন্সর পেয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘চুপি চুপি প্রেম’। তবে এই ছাড়পত্রে যুক্ত হয়েছে পরিচালকের নামও।
সেন্সর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোন ছবির ছাড়পত্রে পরিচালকের নাম যুক্ত হলো আর এটা মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের নাম।
সূত্র অারও জানায়, ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর পরিচালক সমিতি তথ্য মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন করে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৮ই ডিসেম্বর পুরনো সনদপত্র বাতিল করে নতুন সনদপত্র তৈরি করে সেখানে পরিচালকের নাম যুক্ত করার পূর্ণাঙ্গ আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ‘প্রথমবারের মতো পরিচালকদের নাম সেন্সর ছাড়পত্রে যুক্ত হলো এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে সুখবর। আমার ছবি প্রথম পেয়েছে বলে না, সকল পরিচালকদের জয় হলো। আমাদের সাবেক সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন দশ বছর ধরে চেষ্টা করছিলেন যে সেন্সর ছাড়পত্রে যেন পরিচালকদের নাম যুক্ত হয়। তার সেই প্রচেষ্টা আজ আলওর মুখ দেখলো। ’
এরই প্রেক্ষিতে আজ ১২ই এপ্রিল প্রথমবারের মতো কোন চলচ্চিত্রের সেন্সর ছাড়পত্রে পরিচালকের নাম যুক্ত হলো।
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে...

বাঙালি মানেই বৈশাখ। চৈত্রের খরদুপুর কাটিয়ে স্নিগ্ধ গ্রীষ্মের আগমন। চাতকের মতো বাংলার জনপদ অপেক্ষা করে বছরের সে প্রথম প্রহরের জন্য। জ্বরা-জীর্ণ আর অপ্রাপ্তির দিন শেষে শুরু হয় নতুন বছর, নতুন সকাল। বৈশাখের আগমনে তারকাদের রসুইঘরও জমে ওঠে। সকালে নানারকম ভর্তা, ইলিশ-পান্তা আর বেগুনভাজা। দুপুরে বাহারী খাবারের সঙ্গে বৈশাখী সাজ।
শুটিং নেই। ছুটির দিন। পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন আর বন্ধুদের মধ্যে চির পরিচিত একজন। কারও কারও পরিকল্পনা সারাদিন বউ বাচ্চা সহ ঘুরতে যাওয়া, কেউ কেউ সারাদিন বাসায় বিশ্রাম আর মায়ের রান্না খাওয়া। তবে আগের চেয়ে অনেক বেশি রঙ সচেতন এ যুগের তারকারা।
কথায় কথায় পুতুল জানালেন,‘আগে বৈশাখের কোন নির্দিষ্ট রঙ ছিল না। সবাই নতুন জামা পড়তে চেষ্টা করতো। কিন্তু বিগত দশ বছরে পহেলা বৈশাখ মানেই লাল-সাদা অথবা অন্যকোন হালকা রঙ।’ তার পরিকল্পনায় রয়েছে একেবারে ভারী সাজ। কারণ দুটো অনুষ্ঠানে গান গাইবেন তিনি। পরবেন লাল সাদা শাড়ী। সঙ্গে হাতভর্তি চুড়ি, খোঁপায় বেলী ফুল।
রওনক হাসান জানালেন-তার পরিকল্পনা সকাল থেকেই মেলায় ঘুরতে যাওয়া। শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী অথবা রমনা তার প্রথম পছন্দ। তবে এবার প্রথমবারের মতো সঙ্গী হবে আদরের পুত্র। চেষ্টা করবেন একই রঙের জামা পড়ার। তবে পুতুল আর রওনক দুজনেই ইলিশ পান্তা মিস করতে চান না।
চলচ্চিত্র তারকাদের ব্যস্ততা এদিন এফডিসি কেন্দ্রিক। সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে এক নজরের জন্য হলেও ঘুরে যান এফডিসি পাড়া। অনেকে ব্যস্ত থাকেন বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে। অনেকে আবার রিমোট হাতে ঘুরে বেড়ান টেলিভিশনের পর্দায়।
অভিনেতা চঞ্চলের অবশ্য গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ বৈশাখ এলেই তিনি বাড়ীর তৈরি বিশেষ খাবারের আকর্ষণের কথা জানান। তবে চারুকলার ছাত্র থাকাকালীন নিয়মিত মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতেন। আর গ্রামে থাকতে মেলায় গিয়ে মণ্ডা মিঠাইয়ের দোকানে ভিড় জমাতেন। অপু বিশ্বাস...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

গানের মেলা, প্রাণের মেলা...

‘গান গাই আমার মনরে বুঝাই, মন থাকে পাগল পাড়া, আর কিছু চাই না ভবে গান ছাড়া’। লাইন দুটির সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবার অবকাশ নেই। শাহ আব্দুল করিমের জনপ্রিয় এ লাইনগুলোর মতো আরো অনেক গানের কথা, বাণী, অ্যালবাম শোভা পাচ্ছে ‘এমআইবি’র [মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রি ওনার’স অব বাংলাদেশ] আয়োজিত প্রথম গান মেলা-২০১৫ তে। এর মাধ্যমে বইমেলার মতো আয়োজিত হয়েছে অনুষ্ঠানটি।
গান নিয়ে মেলা বলে এর নাম রাখা হয়েছে ‘গান মেলা’। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাঠ প্রাঙ্গণে দশদিন ব্যাপী আয়োজিত এ মেলা শুরু হয়েছে গত ৯ এপ্রিল। চলবে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। মেলার আমেজে এরইমধ্যে জমে উঠেছে মেলাটি। সঙ্গীতপ্রেমিরা সারাদিনের কাজ শেষে ছুটে চলছে মেলায়। ছুটে আসছেন শিল্পীরা। ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা হচ্ছে, ভাব বিনিময় হচ্ছে আবার শিল্পীরা নিজেদের মধ্যে আড্ডায় মেতে উঠছেন।
থাকছে গান নিয়ে আলোচনা, নতুন অ্যালবাম প্রকাশ. সিডি বেচাকেনা। পাশাপাশি প্রতিদিনই আয়োজিত হচ্ছে কনসার্ট। দর্শক দর্শনী ছাড়াই উপভোগ করতে পারছেন এ কনসার্ট। সময় সুযোগে প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে তুলে নিচ্ছেন শখের সেলফি। বাংলাদেশ শিল্কপ্পকলা একাডেমিক মাঠপ্রাঙ্গনে নন্দন মঞ্চের পাশেই গান মেলার মূল ফটক। গেট দিয়ে ঢুকেই দেখা যায় মাঠের মাঝখানে একটি সাজানো স্টেজ আর তার সামনে অনেক মানুষ। কেউ বসে আছেন আবার কেউ দাড়িয়ে মেলার স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
যারা বসে আছেন তারা সবাই গান শুনবেন বলে অপেক্ষা করছেন। আপাতত গানের লোকজনদের কথা শুনছেন। মাঠের চারপাশটা ঘুরে দেখার লোভ সামলাতে পারছিলাম না। তাই মঞ্চ থেকে বের হয়ে গেলাম স্টলগুলো ঘুরে আসার জন্য। পুরোটা মাঠের পাশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন জনপ্রিয় গানের প্রকাশনা স্টল। প্রত্যেকটা স্টল ঘুরে দেখা গেল নতুন পুরাতন সব ভাল লাগার গানের ডিভিডি।
শুধু তাই নয় মেলা শুরুর পর থেকেই প্রায় প্রত্যেকদিন...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

এবার চা বাগানে ‘শ্যামাপ্রেম’

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের দুর্গম এলাকা বেয়ন্ডী চা বাগান। এখানেই গত ২০ বছর ধরে চা শ্রমিকদের নিয়ে থিয়েটার চর্চা করছে ‘পথিক থিয়েটার’। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে দলটি আয়োজন করে বৈশাখী উৎসব ও নাট্যমেলা। এ বছর এ উৎসবে অংশগ্রহণ করছে প্রাঙ্গনেমোর।
আজ ১৭ এপ্রিল শায়েস্তাগঙ্গের পথিক থিয়েটার আয়োজিত বৈশাখী উৎসব ও নাট্যমেলায় যোগ দিচ্ছে নাট্যদল প্রাঙ্গনেমোর। তিনদিনব্যাপী এ আয়োজনের শেষদিনে মঞ্চায়ন হবে প্রাঙ্গনেমোরের নাটক ‘শ্যামাপ্রেম’।
আনন্দউৎসব ও নাট্যমেলার তৃতীয় দিনে চা বাগানের শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা ও স্থানীয় দর্শকের সামনে প্রাঙ্গনেমো
প্রদর্শন করবে নাটক ‘শ্যামাপ্রেম’ । এ উপলক্ষ্যে গত ১৬ এপ্রিল ২০ সদস্যবিশিষ্ট দল নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ যাচ্ছে প্রাঙ্গনেমোর।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত নৃত্যনাট্য ‘শ্যামা’ অবলম্বনে রচিত হয়েছে মঞ্চ নাটক ‘শ্যামাপ্রেম’। চিত্তরঞ্জন ঘোষের নাট্যরূপে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। নূনা আফরেরাজে, অনন্ত হিরা, রাজিম রাজু, ইউসুফ পলাশ, নিজাম লিটন, শুভেচ্ছা, আশা, জসিম, রিগ্যান, সীমান্ত, মনির, সুজয়সহ দলের আরও অনেক সদস্যবৃন্দ।
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

নারীর সুরক্ষায় শিল্পীদের সামাজিক আন্দোলনের ডাক

পহেলা বৈশাখে ঘটে যাওয়া কতিপয় পুরুষের হাতে নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সারাদেশ। সারাদেশের মানুষের সাথে এবার কন্ঠ তুলেছেন নির্মাতা থেকে অভিনয়শিল্পী সকলেই। সবাই ধীক্কার জানানোর পাশাপাশি দাবি তুলেছেন এর যথাযথ বিচারের। নারীর প্রতি পুরুষের সহিংস আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে ঘর ছেড়ে পথে নামতে আহ্বান জানিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই দাবি তুলেছেন জোরালো প্রতিবাদের। আর চুপ করে থাকা নয়। এবার চাই সত্যিকারের প্রতিবাদ। দিল্লিতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিলো ভারত। তেমন উদারহরণ তুলে ধরে নিজেদের ধীক্কার জানিয়েছেন তারকারা। প্রশ্ন তুলেছেন আমরা জাগবো কবে? কবে আমাদের নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষের অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা গনজোয়ার তুলবো? পুরুষ নামের নপুংশকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে ১৮ এপ্রিল বিকেলে তারকারা প্রেসক্লাবের সামনে মানব্বন্ধন করেছেন। এ মৌন অবস্থান শুধু মৌন অবস্থানই নয় এখান থেকে ডাক এসেছে- ‘তারুণ্য আর একবার রুখে দাড়াও এই শহরে/পুরুষ নামের নপুংসকদের বিরুদ্ধে, নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে হোক প্রতিবাদ’।
অনেক তারকাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রশমিত করেছেন। অনেকেই ফেসবুক ছেড়ে রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়েছেন মানুষকে। সবমিলে ডাক এসেছে নারী নির্যাতনে বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার। 
নারীর মর্যাদা রক্ষায় সামাজিক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তারকারা। জেগে উঠুক বাংলাদেশ…
দিনভর শিল্পীদের দেয়া স্ট্যাটাসের আরো কিছু অংশ সংযোজিত হলো..
লজ্জা ছি!-ওমর সানী
ওমর সানী বলেন, হায়েনা না, নিজেদেরকে মানুষ বলি। আমরা আশরাফুল মাখলুকাত। মেয়েরা মায়ের জাত, আসুন সবাই ওনাদের সম্মান করি। আর করতে অক্ষম হইলে চলেন নিজরা চিড়িয়া খানার পশু হয়ে খাচা বন্দি করে রাখি আমাদেরকে। লজ্জা ছি!
আপনি আপনার জিপার সামলান:ফারুকী
নারীর উপর যৌন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মুখর রয়েছেন গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। তিনি তার ফেসবুকে লিখেন, ‘পরিষ্কার কথা , যার পছন্দ হবে জিন্স- টিশার্ট পরবে, যার পছন্দ হবে বোরখা পরবে। মেয়েরা কি...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

গোপনে কাঁদছেন মাহি

দীর্ঘ তিনবছরের যৌথতার পর ভাঙছে মাহি ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার একচেটিয়া সম্পর্কের সেতু। যদিও জাজ মাল্টিমিডিয়ার স্বত্তাধিকারী আব্দুল আজিজ ও চিত্রনায়িকা মাহি বলছেন চিরতরে নয় এ বিচ্ছেদ।
রবিবার জাজ মাল্টিমিডিয়া তাদের নতুন চলচ্চিত্র ও নতুন নায়িকার ঘোষনা দিতে যাচ্ছে। তার আগে মাহিয়া মাহি পাঠালেন এক আবেগঘন ভিডিওবার্তা। 
জাজ মাল্টিমিডিয়া আর জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি যেনো একই সুতায় গাঁথা একটি নাম। দীর্ঘ তিন বছর বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে একসাথে অনেক ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তারা। বর্তমানে সিনেমার কাজে থাইল্যান্ড রয়েছেন অভিনেত্রী মাহি। এদিকে জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন নায়িকাদের অভিষেক ও দীর্ঘ তিন বছর তাদের একসাথে পথচলা নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মাহি বলেন, ‘জাজ নতুন নায়িকা আনছে এটাকে আমি অনুপ্রাণিত করছি। জাজ আমার মা-বাবার মতো কারণ জাজ মাল্টিমিডিয়া আমাকে গড়ে তুলেছে। একটু একটু করে ইনভেস্ট করে আমাকে মাহিয়া মাহি বানিয়েছে। আর বাকি রাস্তাটুকু আমি কীভাবে চলবো সেটারও দিক-নির্দেশনা দিয়েছ। তারা আমাকে গত তিন বছর বুঝিয়েছে। কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে হয়। আনকোরা মাহিকে নায়িকা বানিয়েছে জাজই। ’
কথা বলতে বলতে আবেগাপ্লুত হয়ে ওঠেন মাহি। মাহি বলেন, ‘জাজের প্রতিটি ইটের প্রতিটি রক্তফোটাকে আমার বলে মনে হয়। জাজকে আমার প্রতিষ্ঠানই মনে হয়। আব্দুল আজিজ ভাই আপনি কিচ্ছু না, জাজ আমার।’
জাজের বাইরে মাহির ছবি সফল হবে কি না? এ বিষয়ে নানা জনের নানা প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন মাহি। তিনি বলেন, ‘জাজ একটা ব্রান্ড। জাজের ছবি মানেই সুপার-ডুপার হিট। কিন্তু জাজের বাইরেও ছবি হিট হবে দর্শক যদি আমাকে দেখে আমার সঙ্গে থাকে। সামনে ওয়ার্নিং মুক্তি পাচ্ছে দেখা যাক কি হয়।’
মাহি জাজের নতুন নায়িকাদের হাসিমুখে অভিবাদন জানালেও তার কণ্ঠ বলে দিচ্ছে গোপন কান্নার খবর।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবি দিয়ে মাহির...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

বায়োস্কোপের নেশা তাহার ছাড়ে না

বর্তমান সময়ে গ্রাম বাংলায় বায়োস্কোপ এমনই বিরল যে, যাদুঘরে রেখে দেয়ার জন্যও অন্তত একটি বায়োস্কোপ কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। বৈশাখ উপলক্ষে সুদূর রাজশাহী থেকে বায়োস্কোপ দেখিয়ে অর্থ উপার্জনের আশায় রাজধানীতে এসেছেন জলিল মিয়া। ঠাঁই নিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ছবির হাটে। কৈশোর হৃদয় চুরি করে হারিয়ে যাওয়া এই হঠাৎ খুঁজে পাওয়া বায়োস্কোপ আজকের এ বৈশাখী আয়োজন-
বায়োস্কোপ, গ্রাম বাংলার সিনেমা হল:
বায়োস্কোপের সাথে বাঙালিকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার জনপদে বেড়ে উঠা মানুষকেতো বটেই। তবে যারা শহরের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি জীবন যাপন করে অভ্যস্থ কিংবা যাদের জন্ম এই মাত্র একযুগ আগে তাদের কাছে হয়তো হাস্যকর এক বোকা বাক্সো মনে হবে। কিন্তু বায়োস্কোপ মোটেও হাস্যকর কোনো বস্তু ছিলো না, কিংবা ছিলো না কোনো বোকা বাক্সোও!
প্রকৃতপক্ষে বায়োস্কোপ গ্রাম বাংলার সিনেমা হল। রঙ-বেরঙের কাপড় পরে, হাতে ঝুনঝুনি বাজিয়ে বিভিন্ন রকমের আলোচিত ধারা বর্ণনা করতে করতে ছুটে চলতো গ্রামের স্কুল কিংবা সরো রাস্তা ধরে। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতোন তার পেছন পেছন বিভোর স্বপ্ন নিয়ে দৌড়াতো গ্রামের ছেলে মেয়েরা।
বায়োস্কোপওয়ালার এমন ছন্দময় ধারা বর্ণনায় আকর্ষিত হয়ে ঘর ছেড়ে গ্রামের নারী পুরুষ ছুটে আসতো বায়োস্কোপের কাছে। একসাথে সকলে ভিড় জমালেও তিন কি চার জনের বেশী একসাথে দেখতে না পারায় অপেক্ষা করতে হতো। সিনেমা হলের মতোন এক শো –এর পর ফের আর তিন বা চার জন নিয়ে শুরু হতো বায়োস্কোপ।
বায়োস্কোপ দেখানো শুরু করলেই ‘কি চমৎকার দেখা গেলো’ বলে ফের শুরু হতো বায়োস্কোপওয়ালার ধারা বিবরণী। আর এই বায়োস্কোপ দেখানোর বিনিময়ে দু’মুঠো চাল কিংবা ২টাকা নিয়েই মহা খুশি হয়ে ফিরে যেতো একজন বায়োস্কোপওয়ালা।
কালের বিবর্তনে হারিয়ে গেছে বাংলার বিনোদনের এই লোকজ মাধ্যমটি। টিভি, ভিসিডি আর আকাশ...
[…]