Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Entertainment Image
Entertainment Image

‘দ্য ক্রানবেরিস’ আইরিশ ব্যান্ড

১৯৮৯ সালে মধ্যপশ্চিম আয়ারল্যান্ডের লিমেরিক শহরের দুই গিটারিস্ট ভাই মাইক ও নোয়েল হোগান তাদের ড্রামার বন্ধু ফেরগাল লওলার ও গায়িকা নিয়াল কুইন কে নিয়ে একটি গানের দল গঠন করেন যার নাম দেওয়া হয় “The Cranberry Saw Us”। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে নিয়াল দল ছেড়ে চলে গেলে বাকি সদস্যরা একজন নারী সঙ্গীতশিল্পী চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন। তখন অনেকের সাথে ডলোরেস ও’রিওরডান বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে অডিশন দিতে আসেন। সেখানে তিনি তাঁর লেখা এবং সুর করা কিছু গানের ডেমো পরিবেশন করেন। মাইক ও নোয়েল তখন ডলোরেসকে নতুন আরেকটি ডেমো নিয়ে আসতে বলেন। কিছুদিন পর ডলোরেস ‘লিঙ্গার’ নামের একটি গানের আনকোড়া সংস্করণ নিয়ে আসেন। সেটা শোনার পরপরই ডলোরেসকে দলভুক্ত করে নেওয়া হয়।
এরপর ব্যান্ড হিসেবে তারা কিছু গানের ‘হোম রেকর্ডিং’ করে তা ক্যাসেট হিসেবে বিক্রি করা শুরু করে। প্রায় ৩০০ কপি বিক্রি হয়ে যায়। সেই সময় তাঁরা ব্যান্ডের নাম ছোট করে ‘The Cranberries’ রাখেন। সেই সময় তাঁরা ‘লিঙ্গার’ ও ‘ড্রিমস’ নামের দুটি গানের ডেমো তৈরি করে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রেকর্ড কোম্পানির কাছে পাঠিয়ে দেন। ডেমো দুটো তাঁরা তৈরি করেন আয়ারল্যান্ডের জেরিক স্টুডিওতে। যার স্বত্বাধিকারী ছিলেন পিয়ারস গিল্মর যিনি পরে দ্য ক্র্যানবেরিসের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দ্য ক্র্যানবেরিসের পাঠানো ডেমো টেপটি সে সময় ব্রিটিশ মিডিয়াসহ প্রায় সব রেকর্ডিং লেবেলের নজর কাড়ে এবং সবাই তাদের গান করার জন্য রীতিমতো লাইন দিয়ে প্রস্তাব দেওয়া শুরু করে। অবশেষে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে বিখ্যাত ব্রিটিশ রেকর্ডিং লেবেল ‘আইল্যান্ড রেকর্ডস’-এর সাথে দ্য ক্র্যানবেরিস চুক্তি করে।
আয়ারল্যান্ডে ফিরে এসে পিয়ারস গিল্মরের স্টুডিওতে দ্য ক্র্যানবেরিস তাদের প্রথম আনঅফিসিয়াল এলপি ‘আনসারটেইন’-এর কাজ শুরু করে, এই অ্যালবাম ছিল সেই সময়ের কোনো ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম যা একইসাথে সিডি এবং এলপি- দুই ভাবেই বাজারে...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

১৫ কোটির পিসি

আমির খান একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার জন্য নিচ্ছেন মাত্র দুই কোটি রুপি পারিশ্রমিক। এ পর্যন্ত পাওয়া খবরে বলিউড তারকাদের মধ্যে বিজ্ঞাপনের জন্য এটাই ছিল সর্বোচ্চ মূল্য। এবার মিস্টার পারফেকশনিেস্টর পথেই হাঁটলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। একটি পণ্যের প্রচারদূত হওয়া বাবদ এই সুন্দরী সম্মানী চাইলেন ১৫ কোটি রুপি!
নায়িকা থেকে গায়িকা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, অতঃপর যুক্তরাষ্ট্রের এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে উপস্থিতি—সব মিলিয়ে মেঘের ওপর ভাসছেন তিনি। এবার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হওয়ার প্রস্তাব এল তাঁর কাছে। আন্তর্জাতিক এ প্রতিষ্ঠান তৈরি করে থাকে বিশেষ নকশার হাতব্যাগ। শোনা যাচ্ছে, বরফি নায়িকা পিসি এই ব্যাগের সব ধরনের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণামূলক কাজ করবেন এবং এর জন্য পারিশ্রমিক নেবেন ১৫ কোটি রুপি।
গত মাসেই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করে প্রতিষ্ঠানটি এ প্রস্তাব দেয়। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো বাকি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরই চূড়ান্ত হবে, এ মেয়ে আসলেই মিস্টার পারফেকশনিস্টকে কতটা অনুসরণ করতে পারলেন?
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন

কাইয়ুম চৌধুরী (৯ মার্চ ১৯৩২- ৩০ নভেম্বর ২০১৪)
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন যে বছরটিতে (১৯৩২) শিল্পপাঠের জন্য কলকাতা গিয়েছিলেন, সেই বছরই কাইয়ুম চৌধুরীর জন্ম। আর জয়নুলের জন্মশতবর্ষে প্রয়াত হলেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণের দিনটিতে তিনি জয়নুলের জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন জাতীয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করে গেছেন। স্মরণীয় যে জয়নুল যে ময়মনসিংহ থেকে শিল্পশিক্ষার জন্য কলকাতা গিয়েছিলেন, সেই ময়মনসিংহ থেকেই কাইয়ুম চৌধুরীও যাত্রা করেছিলেন শিল্পপাঠের জন্য। যদিও তিনি কলকাতা নয়, এসেছিলেন ঢাকায়। পরবর্তীকালে জয়নুলের প্রেরণায়, জয়নুলের হাত ধরেই অগ্রসর হয়েছিল কাইয়ুম চৌধুরীর শিল্পপাঠ। জয়নুলের প্রতিষ্ঠিত শিল্পশিক্ষালয়ে শিক্ষক নিযুক্ত হয়ে স্বেচ্ছায় সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে আবারও সেখানে নিযুক্ত হওয়ার বিরল সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন কাইয়ুম চৌধুরী। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন অস্বাভাবিক ঘটনা সম্ভব হয়েছিল শুধু জয়নুলের স্নেহধন্য হওয়ার কারণেই। জয়নুলের শিল্পদর্শনকে নিজ শিল্পধ্যানে ধারণ করেই বিকশিত হয়েছিল কাইয়ুম চৌধুরীর শিল্পবোধ। বাংলার এই ভূখণ্ড থেকে রুচির দুর্ভিক্ষ দূর করার প্রতিজ্ঞা পূরণে জীবনভর যে নিরলস প্রয়াসে অবতীর্ণ ছিলেন জয়নুল, একই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমৃত্যু এ দেশের প্রকাশনাশিল্পের জগৎটিকে সৌন্দর্যে মণ্ডিত করার কাজে ব্রতী ছিলেন কাইয়ুম চৌধুরীও। চিত্রশিল্পের জমিনকে দেশজ মৃত্তিকারসে পরিপুষ্ট করার আদর্শগত প্রত্যয়ের ক্ষেত্রেও তিনি হেঁটেছেন জয়নুল-অনুসৃত পথে। জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রথমা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত জয়নুল আবেদিন: সৃষ্টিশীল জীবনসমগ্র বইটি তাই যথার্থভাবেই উৎসর্গীকৃত হয়েছে কাইয়ুম চৌধুরীর স্মৃতির উদ্দেশে।
জন্মসূত্রেই তিনি অর্জন করেছিলেন পিতার সুন্দর হস্তলিপির উত্তরাধিকার। পিতার বদলিপ্রবণ চাকরিসূত্রেই পেয়েছিলেন এই বঙ্গভূমির বৈচিত্র্যময় আত্মার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ। পিতার ঔদার্যসূত্রেই বাল্য-কৈশোর থেকে অনুরাগ জন্মেছিল চলচ্চিত্র ও সংগীতের প্রতি এবং যৌবনে অনুমতি মিলেছিল শিল্পশিক্ষা ও শিল্পচর্চার। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই চলচ্চিত্র ও সংগীতানুরাগ প্রবলভাবে অব্যাহত থেকে নিজ সৌন্দর্যবোধ, রুচিশীলতা আর শিল্পচেতনাকে এমন এক বৈশ্বিক মাত্রায় উন্নীত...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

ক্যামেরা জীবনের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী

নিপুণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। তবে শুধু মাত্র চলচ্চিত্রে সীমাবদ্ধ নন তিনি। সমান তালে করে যাচ্ছেন বিজ্ঞাপন ও নাটক টেলিফিল্মও। সব জায়গাতেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন তিনি। এমনকি ব্যক্তি জীবনেও তিনি সদালাপি, একজন ভাল মা। সব কাজেই নিখুঁত নিপুণের মুখোমুখি হয়েছিল প্রিয়.কম।
চলচ্চিত্র জগতে খুবই জনপ্রিয় মুখ নিপুন। বগুরার জালগাঁও থানার মেয়ে নিপুন। রাশিয়া থেকে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে বিএসসি শেষ করে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে ফেলেছেন বেশ আগেই। এর পর ইউএসতে স্যাটেল হয়েছেণ নিপুন। পরবর্তীতে বাংলাদেশে এসে চলচ্চিত্রে পদার্পণ তার। দু’বোনের মধ্যে নিপুন বাবা মায়ের ছোট মেয়ে। ‘যখন চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনা শুরু করলাম, আমার মা ভীষণ চিন্তা করতো আমি অভিনয়কে কতটুকু গ্রহন করতে পারবো তা নিয়ে’-বললেন নিপুন।

ভীষন হাসি খুশি মেয়ে নিপুন। চলচিত্রে পা রেখে তাকে সাফল্যতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। এফ আই মানিকের পরিচালিত পিতার আসন সিনেমাটির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। এরপর একে একে অনেক গুলো সফল সিনেমা জমেছে তার ঝুলিতে।
তার অভিনীত চলচ্চিত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রথমেই প্রয়াত নায়ক মান্নাকে স্মরন করে বলেন, আমার চলচ্চিত্র জীবনে সবচেয়ে বেশি ছবি মান্নার সাথে ছিল। এবং প্রতিটা ছবি সফলতা পেয়েছিল, কিছুটা চুপ থেকে বললেন, জুটি প্রথা বলতে যা বোঝায় মান্না এবং নিপুনের মধ্যে সেই কেমিস্ট্রিটা ছিলো। বলেই নিপুন দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বলেন, ‘ভীষণ মিস করি আজও এই মহা নায়ককে’।
রিক্সাওয়ালার প্রেম, সাঁঝ ঘর, আমার প্রানের স্বামী সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছে নিপুন। বর্তমানে নতুন বেশ কিছু সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে তার। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে বাপ্পারাজ পরিচালিত কার্তুজ সিনেমাটি। এ ছবিতে আঁচল চরিত্রে নবাগত নায়ক সোহানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিপুন। সিনেমাটিতে প্রথম দিনেই বেশ সাড়া পেয়েছে বলে বেশ খোশ...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

পৃথিবী জয় করা চার এশিয়ান নারী নির্মাতার গল্প

কথায় আছে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে! যার উদ্যম আছে,কিছু করার মানসিকতা আছে শত প্রতিবন্ধকতা স্বত্বেও সে তার চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেই। পৃথিবীর নানান পেশায় তাই বীরদর্পে বিচরণ করছে নারী। নারীরা এখন শুধু আর ঘরকুনো হয়ে সংসারই সামলাচ্ছেন না; বরং বাহিরের পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়েও চলতে শিখেছেন। নারী আজ আকাশে উড়ছে, যুদ্ধ করছে, জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে গহীন সমুদ্রে। পেশাদারিত্বের সব জায়গাতেই নিজেদের সামর্থ জানান দিচ্ছে। শিল্প,সাহিত্য,কলাবিদ্যায়ও তারা এখন সিদ্ধহস্ত। সিনেমা নির্মাণেও রাখছেন নিজেদের স্বাক্ষর। ডিরেক্টর মানে এখন শুধু আর পুরুষ পরিচালককেই বোঝায় না! কারণ নারীরাও এখন গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে বলতে শিখে গেছেন লাইট,ক্যামেরা,অ্যাকশান! পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দেয়া এমন চার এশিয় নারী নির্মাতার কথাই জানাচ্ছি। 
মিরা নায়ার
১৯৫৭ সালের ১৫ অক্টোবর ভারতের ওরিশায় জন্ম নেয়া এই নারী নির্মাতা নিজের প্রথম ফিচার ফিল্ম দিয়েই বাজিমাৎ করে ফেলেন। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম সিনেমা ‘সালাম বোম্বে’। প্রথম সিনেমা মুক্তির পরই দুনিয়া ব্যাপী তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। সালাম বোম্বে কান ফ্যাস্টিভালে গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কার জেতে। এছাড়াও অস্কারে বিদেশি ভাষার শ্রেষ্ট সিনেমা হিসেবে মনোনিত হয় এটি। মিরা নায়ার একজন ভারতীয় বংশ্দ্ভুত আমেরিকান নাগরিক। তিনি অসংখ্য জাতিয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে অভিসিক্ত হয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো নেমসেক,ভ্যানিটি ফেয়ার, দ্য প্যারেজ ফ্যামিলি ও অ্যামেলিয়া।
সামিরা মাখমালবাফ
সমকালীন সময়ে শুধু নারী নির্মাতাদের মধ্যে নয়, বরং সামগ্রিক বিবেচনায় সামিরা মাখমালবাফ জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বচলচ্চিত্রের তালিকায়। একজন প্রভাবশালী সিনেমা নির্মাতা হিসেবে তিনি এখন সুপ্রতিষ্ঠিত। ১৯৮০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে ইরানের তেহরানে তাঁরজন্ম। বাবা আরেকজন স্বনামধন্য সৃজনশীল চলচ্চিত্র নির্মাতা মহসিন মাখমালবাফ। সিনেমার প্রতি প্রবল আগ্রহ থাকায় সামিরার উচ্চবিদ্যালয়ের গন্ডিও পার হয়নি। পাঁচ বছর মেয়াদি সিনেমা নির্মানের কোর্স করতে গিয়ে একাডেমিক...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

পাওয়া না পাওয়ার যোগফল শূন্য

নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মেয়ে মৌটুসী বর্তমানে স্বামী সংসার আর আদরের সন্তানকে নিয়ে সুখের দিন যাপন করছেন। মাঝে অভিনয় থেকে প্রায় দু’বছর দূরে থেকেছেন। তবে অভিনয়কে মিস না করে নিজের সংসার জীবনটাকে বরং খুব ইনজয় করেছেন তিনি। প্রিয় ডট কমকে এভাবেই গুছিয়ে বললেন মৌটুসী।
এখনও আদরের মেয়ে আরিয়াকে ঠিকমত সময় দিতে পারছেন কিনা সেটা নিয়ে তার চিন্তার কমতি নেই। ছোট মেয়েকে আর স্বামীকে ঘিরেই যেন তার দিনের শুরু থেকে শেষ হয়।
বছরের সব রকম ফল পছন্দ করেন। খাবারটা খুব শখ করে খেতে পছন্দ করেন মৌটুসী। কমলা আর স্ট্রবেরী পছন্দের তালিকায় থাকে বলেই হয়তো এভাবেই নিজের গ্লামারটাকে ধরে রেখেছেন।
সাংসারিক কথা থেকে বেরিয়ে জানতে চাইলাম বড় পর্দায় কাজ করা নিয়ে কতখানি ভাবছেন? মৌটুসী বললেন, ‘আপাতত বড় পর্দায় অভিনয়টা নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। বড় পর্দার জন্য মাঝে বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ছবির কাজ পাওয়া সত্বেও নিজেকে বড় পর্দার জন্য প্রস্তুত করতে পারছেন না কেনো। এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আউটডোরের কাজটা এখন সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ‘ইউটার্ন’ ছবির কাজ করছি। আলভী আহমেদের পরিচালনায় এ ছবিতে ভিন্নরুপে দর্শকরা দেখতে পাবেন। ছবিতে ডনের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি বলেই হাসি।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মৌটুসীর সুখের সংসার। এ সংসারের যিনি কর্ণধার তিনি পেশায় একজন অর্থনীতিবিদ, মৌটুসীর জীবনসঙ্গী পলাশ দাস। চাকরি করেন ইউএনডিপিতে। চাকরি একসময় মৌটুসীও করতেন। চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় চাকরি নিয়েছিলেন এক বেসরকারি ব্যাংকে। একসময় চাকরি, অভিনয় দুটোই চালিয়ে গেছেন সমান্তরালে।
প্রথম দিকে তিনি শুধু উপস্থাপনাই করেছেন। সেই ২০০০ সালে একুশে টিভির 'অ্যাডভেঞ্চার বাংলাদেশ' অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু। এর পরের তিনটি বছর তিনি শুধুই উপস্থাপনার সঙ্গে ছিলেন। অভিনয় শুরু করেছেন...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

নাটকের মানুষ নাটক দেখে না

নাটকের মানুষ তারা। টিভি খুললেই দর্শক তাদের দেখতে পান। দর্শক ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের নাটক দেখলেও মজার ব্যাপার হচ্ছে তারকারা নিজেই নিজের নাটক দেখতে পারেন না। কারণ আর কিছুই নয়, ব্যস্ততা। বেশকিছু তারকার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেল।
সারাবছর ব্যস্ততার কারণে নাটক দেখার সময়ই পান না তারকারা। এমনকি ঈদ বা ছুটির দিনগুলোতেও মেলে না ফুরসত। কারণ এদিন সময় দিতে হয় পরিবার আর আত্মীয় স্বজনকে। তবে একেবারেই যে দেখেন না তা কিন্তু নয়, সময় পেলেই কেউ কেউ বসে যান রিমোট হাতে। তবে সেটা সংখ্যায় খুবই কম।

ছোটপর্দার জনপ্রিয় নায়ক মাহফুজ আহমেদ এখন বড়পর্দাতেও নিজেকে মেলে ধরছেন। নিজের নাটক দেখা হয় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সেভাবে আয়োজন করে টিভির সামনে বসে নাটক দেখার সময় হয় না। তবে কখনো কখনো বেকার বসে থাকার সময় হয়তো দেখা হয়। অার নিজের পরিচালিত কাজ হলে প্যানেলে বেশ কয়েকবার দেখা হয়। আর উৎসব পার্বণে তো ফ্যামিল আর আত্মীয়-স্বজনদেরই সময় দিতে হয়। তবে এটা ঠিক অবসর পেলে আমি নিজের নাটকসহ অন্যদের নাটকও দেখার চেষ্টা করি। তবে ইদানিং মোটামোটি মানের নাটকই বেশি চোখে পড়েছে। তবে চূড়ান্ত মূল্যায়ণ দর্শকের উপরই। দর্শকই মূল্যায়ণ করবেন নাটক ভাল না মন্দ।'

এই সময়ের সবচেয়ে ব্যস্ততম অভিনেতার নাম মোশাররফ করিম । তিনি বলেন, 'কাজের চাপে আমার এমন অবস্থা যে আমি কোনও নাটকই দেখার সময় পাই না। এমনকি নিজের অভিনীত নাটকও না। অনেক ভাল ভাল নাটক প্রচারিত হলেও দেখতে পারি না। আফসোস লাগে।'
মোশাররফ করিমের মতোই ব্যস্ত চঞ্চল চৌধুরীও। শ্যুটিং শেষ করেই ফিরেন বাসায়। কখনো চেষ্টা করেন নিজের নাটক দেখার। কিন্তু খুব একটা দেখা হয় না তারও। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা...
[…]

Entertainment Image
Entertainment Image

মিডিয়ায় নারী বাণিজ্যিক

টিভি মিডিয়া হোক আর চলচ্চিত্র হোক-নারীকে বাণিজ্যিক স্বার্থেই উপস্থাপন করা হচ্ছে। বিষয়টিকে কেউ ইতিবাচক ভাবেন আবার কেউ নেতিবাচক মনে করে নাক সিঁটকান। কিন্তু যাদের নিয়ে এত আলোচনা তারা বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন। আর তা জানাচ্ছেন  কয়েকজন অভিনেত্রী। 
আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঠিক রেখেই নারীকে উপস্থাপন করতে হবে:ববিতা
সারা বিশ্বেই যেহেতু নারীকে বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নারীকেও এগিয়ে যেতে হবে। তবে মিডিয়া হোক আর চলচ্চিত্র হোক সেখানে যেন কোন অশ্লিলতা না থাকে, নারীকে যাতে শালীনভাবে উপস্থাপন করা হয়, এতটুকুই আমি চাইবো। আমরা যেহেতু বাঙালি সংস্কৃতির সেহেতু আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঠিক রেখেই নারীকে উপস্থাপন করতে হবে, সেটা বাণ্যিজ্যিক হোক আর অবাণিজ্যিক হোক সেটা কোন বিষয় না।
আর আজকের এই নারী দিবসে আমি যেটা বলতে চাই পুরুষ শাসিত সমাজে নারীকে যেন ভালভাবে মূল্যায়ণ করা হয়। স্বামীর দ্বারা নারী যেন নির্যাতিত না হয়। নারীকে তার কাজটি যেন ঠিকভাবে করতে দেওয়া হয়, নারীকে তার কাজ ঠিকভাবে করতে দিলে পুরুষেরও উপকার হবে। অর্থনৈতিকভাবে সেও এগিয়ে যাবে।
কাজের স্বার্থেই নারী নিজেকে উপস্থাপন করছে : দীপা খন্দকার
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার তিনি মনে করেন নারী যেহেতু স্বেচ্ছায় মিডিয়ায় কাজ করছে এবং সেভাবেই নিজেকে প্রেজেন্ট করতে আপত্তি করছে না সে কারণে এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আর নারীর বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপনকে আমি খারাপভাবে দেখছি না। কারণ কাজের স্বার্থেই নারী নিজেকে এক্সপোজ করছে। আর উপস্থাপনের ধরন নিয়ে বলবো যে নারীকে তো আর কেউ জোর করে উপস্থাপন করছে না। নারী নিজের গরজেই তাদের মতো করে উপস্থাপিত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা এটা একটা কম্প্লিকেটেড বিষয়।
আর নারী দিবস বলে আলাদা কোন দিন রাখার দরকার আছে বলে মনে করি না। কারণ...
[…]