নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মেয়ে মৌটুসী বর্তমানে স্বামী সংসার আর আদরের সন্তানকে নিয়ে সুখের দিন যাপন করছেন। মাঝে অভিনয় থেকে প্রায় দু’বছর দূরে থেকেছেন। তবে অভিনয়কে মিস না করে নিজের সংসার জীবনটাকে বরং খুব ইনজয় করেছেন তিনি। প্রিয় ডট কমকে এভাবেই গুছিয়ে বললেন মৌটুসী।
এখনও আদরের মেয়ে আরিয়াকে ঠিকমত সময় দিতে পারছেন কিনা সেটা নিয়ে তার চিন্তার কমতি নেই। ছোট মেয়েকে আর স্বামীকে ঘিরেই যেন তার দিনের শুরু থেকে শেষ হয়।
বছরের সব রকম ফল পছন্দ করেন। খাবারটা খুব শখ করে খেতে পছন্দ করেন মৌটুসী। কমলা আর স্ট্রবেরী পছন্দের তালিকায় থাকে বলেই হয়তো এভাবেই নিজের গ্লামারটাকে ধরে রেখেছেন।
সাংসারিক কথা থেকে বেরিয়ে জানতে চাইলাম বড় পর্দায় কাজ করা নিয়ে কতখানি ভাবছেন? মৌটুসী বললেন, ‘আপাতত বড় পর্দায় অভিনয়টা নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। বড় পর্দার জন্য মাঝে বেশ কিছু ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ছবির কাজ পাওয়া সত্বেও নিজেকে বড় পর্দার জন্য প্রস্তুত করতে পারছেন না কেনো। এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আউটডোরের কাজটা এখন সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে ‘ইউটার্ন’ ছবির কাজ করছি। আলভী আহমেদের পরিচালনায় এ ছবিতে ভিন্নরুপে দর্শকরা দেখতে পাবেন। ছবিতে ডনের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি বলেই হাসি।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মৌটুসীর সুখের সংসার। এ সংসারের যিনি কর্ণধার তিনি পেশায় একজন অর্থনীতিবিদ, মৌটুসীর জীবনসঙ্গী পলাশ দাস। চাকরি করেন ইউএনডিপিতে। চাকরি একসময় মৌটুসীও করতেন। চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় চাকরি নিয়েছিলেন এক বেসরকারি ব্যাংকে। একসময় চাকরি, অভিনয় দুটোই চালিয়ে গেছেন সমান্তরালে।
প্রথম দিকে তিনি শুধু উপস্থাপনাই করেছেন। সেই ২০০০ সালে একুশে টিভির 'অ্যাডভেঞ্চার বাংলাদেশ' অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু। এর পরের তিনটি বছর তিনি শুধুই উপস্থাপনার সঙ্গে ছিলেন। অভিনয় শুরু করেছেন ২০০৩ সালে; মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'একান্নবর্তী' ধারাবাহিক দিয়ে। এর পর একেকটি দিন চলে গেছে, মৌটুসীর জন্য রেখে গেছে অফুরন্ত ব্যস্ততা।
সকল নির্মাতার সাথেই কম বেশি কাজ করেছি তবে ভয় লাগে যখন বড় কোন নির্মাতার সাথে কাজ করতে। তখন মনে হয় তাদের মত করে অভিনয়টা পারবো কিনা। নিজের অবস্থান নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই আমার। শুধু মনে হয় আমি ডিসেন্ট অবস্থানে আছি। এটাতেই ভালোলাগাটা কাজ করে বলে জানালেন।
বর্তমানে এক ঘন্টার ধারাবাহিক নাটক মাসুদ সেজানের ‘চলিতেছে সার্কাস’ আফসানা মিমির ‘সাতটি তারার তিমির’ ছাড়াও চলছে ‘ফ্যামিলি প্যাক’ আর এখনো প্রচারের অপেক্ষায় আছে শহীদুজ্জামান সেলিমের ‘মৃত জ্বোনাকী গুলো’ এবং রেদোয়ান রনির ‘ঝাল মুড়ি’ ।
অতীত জীবন নিয়ে কোন টানা হেঁচড়া নেই, বর্তমানেই বিশ্বাসী তিনি। তাই স্কুল আর কলেজ জীবনের সময়টাকেই বেশি মিস করেন। মৌটুসি বলেন, স্কুল আর কলেজ জীবন আমার কাছে এমন একটা পর্যায় ছিলো যেটা পার করতে হবে এবং সেটা পার করেও ফেলেছি। এখন মন খারাপ হয় না, পুরনো বন্ধুদের সাথেও তেমন আড্ডা হয় না তাই বর্তমানকে বেশি গুরুত্ব দেই।
বর্তমান যার কাছে প্রধান, পাওয়া না পাওয়ার যোগফল তার কাছে শূন্য..মৌটুসিরও তাই!