নিপুণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। তবে শুধু মাত্র চলচ্চিত্রে সীমাবদ্ধ নন তিনি। সমান তালে করে যাচ্ছেন বিজ্ঞাপন ও নাটক টেলিফিল্মও। সব জায়গাতেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন তিনি। এমনকি ব্যক্তি জীবনেও তিনি সদালাপি, একজন ভাল মা। সব কাজেই নিখুঁত নিপুণের মুখোমুখি হয়েছিল প্রিয়.কম।
চলচ্চিত্র জগতে খুবই জনপ্রিয় মুখ নিপুন। বগুরার জালগাঁও থানার মেয়ে নিপুন। রাশিয়া থেকে কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে বিএসসি শেষ করে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে ফেলেছেন বেশ আগেই। এর পর ইউএসতে স্যাটেল হয়েছেণ নিপুন। পরবর্তীতে বাংলাদেশে এসে চলচ্চিত্রে পদার্পণ তার। দু’বোনের মধ্যে নিপুন বাবা মায়ের ছোট মেয়ে। ‘যখন চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনা শুরু করলাম, আমার মা ভীষণ চিন্তা করতো আমি অভিনয়কে কতটুকু গ্রহন করতে পারবো তা নিয়ে’-বললেন নিপুন।
ভীষন হাসি খুশি মেয়ে নিপুন। চলচিত্রে পা রেখে তাকে সাফল্যতার জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। এফ আই মানিকের পরিচালিত পিতার আসন সিনেমাটির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। এরপর একে একে অনেক গুলো সফল সিনেমা জমেছে তার ঝুলিতে।
তার অভিনীত চলচ্চিত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রথমেই প্রয়াত নায়ক মান্নাকে স্মরন করে বলেন, আমার চলচ্চিত্র জীবনে সবচেয়ে বেশি ছবি মান্নার সাথে ছিল। এবং প্রতিটা ছবি সফলতা পেয়েছিল, কিছুটা চুপ থেকে বললেন, জুটি প্রথা বলতে যা বোঝায় মান্না এবং নিপুনের মধ্যে সেই কেমিস্ট্রিটা ছিলো। বলেই নিপুন দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বলেন, ‘ভীষণ মিস করি আজও এই মহা নায়ককে’।
রিক্সাওয়ালার প্রেম, সাঁঝ ঘর, আমার প্রানের স্বামী সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছে নিপুন। বর্তমানে নতুন বেশ কিছু সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে তার। গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে বাপ্পারাজ পরিচালিত কার্তুজ সিনেমাটি। এ ছবিতে আঁচল চরিত্রে নবাগত নায়ক সোহানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিপুন। সিনেমাটিতে প্রথম দিনেই বেশ সাড়া পেয়েছে বলে বেশ খোশ মেজাজে আছেন।
আসছে ২২শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর চলচ্চিত্র ৭১’র মা জননী মুক্তি পাবে। এখানে দুটি চরিত্র রূপায়ন করেছি, ‘মনের মত একটা চরিত্র পেয়ে ছবিতে অভিনয় করার লোভ সামলাতে পারিনি।’
বড় পর্দার বাইরেও ছোট পর্দায় ও অভিনয় করে নিজস্ব একটা জগত গড়ে নিয়েছেন নিপুন। নাটক এবং সিনেমার পাশাপাশি অনেক গুলো বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি।
মোসুমী, শাবনুর, পূর্নিমা ও পপির পরে নিজের অবস্থানকে বেশ শক্ত বলেই মনে করেন নিপুন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক বড় একটা গ্যাপের পর এখন আমার এবং অপু বিশ্বাস এর অবস্থানটাই মজবুত বলে মনে করি। আর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ক্যামেরা ছাড়া আর কাউকে মনে হয় না, ক্যামেরাই আমার জীবনের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী, হাহাহা…(হাসি)
এদিকে প্রথমবারের মতো ওমরায় যাচ্ছেন নিপুণ। সেখানে যাবার জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করেছেন তিনি। ১১ মার্চ এর ফ্লাইটে সৌদি আরব রওনা করবেন তিনি। নিপুন জানান, ‘হজ্বে যাওয়ার সঙ্গে অভিনয়ের কোন সম্পর্ক নেই। ফিরে এসেই কাজ শুরু করবো। আমার ছোট ভাইসহ ওমরায় যাবার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। এবারই প্রথমবার যাচ্ছি।’
অভিনয় জীবন ছাড়াও নিপুন একজন ভালো রাঁধুনিও বটে, কথায় প্রচলিত আছে যে রাঁধতে জানে সে চুল ও বাঁধতে জানে। নিপুনের ক্ষেত্রেও সে কথা মানিয়ে যায়। দেশী বিদেশী অনেক রেসিপি তার আয়ত্বে আছে বলে প্রিয় ডট কমকে জানালেন। কাজের বাইরে মেয়ের সাথে ভিডিও চ্যাট করা, বই পড়া এবং বাংলা পুরোনো ছবি গুলো দেখে সময় কাটাতে পছন্দ করেন তিনি। পাশাপশি বাসার ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ নিয়েও সময় পার করছেন নিপুন।
নায়িকার মনে যে কতো রঙ…