Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Entertainment Image

মিডিয়ায় নারী বাণিজ্যিক



টিভি মিডিয়া হোক আর চলচ্চিত্র হোক-নারীকে বাণিজ্যিক স্বার্থেই উপস্থাপন করা হচ্ছে। বিষয়টিকে কেউ ইতিবাচক ভাবেন আবার কেউ নেতিবাচক মনে করে নাক সিঁটকান। কিন্তু যাদের নিয়ে এত আলোচনা তারা বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন। আর তা জানাচ্ছেন  কয়েকজন অভিনেত্রী। 

আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঠিক রেখেই নারীকে উপস্থাপন করতে হবে:ববিতা


সারা বিশ্বেই যেহেতু নারীকে বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের নারীকেও এগিয়ে যেতে হবে। তবে মিডিয়া হোক আর চলচ্চিত্র হোক সেখানে যেন কোন অশ্লিলতা না থাকে, নারীকে যাতে শালীনভাবে উপস্থাপন করা হয়, এতটুকুই আমি চাইবো। আমরা যেহেতু বাঙালি সংস্কৃতির সেহেতু আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঠিক রেখেই নারীকে উপস্থাপন করতে হবে, সেটা বাণ্যিজ্যিক হোক আর অবাণিজ্যিক হোক সেটা কোন বিষয় না।

আর আজকের এই নারী দিবসে আমি যেটা বলতে চাই পুরুষ শাসিত সমাজে নারীকে যেন ভালভাবে মূল্যায়ণ করা হয়। স্বামীর দ্বারা নারী যেন নির্যাতিত না হয়। নারীকে তার কাজটি যেন ঠিকভাবে করতে দেওয়া হয়, নারীকে তার কাজ ঠিকভাবে করতে দিলে পুরুষেরও উপকার হবে। অর্থনৈতিকভাবে সেও এগিয়ে যাবে।

কাজের স্বার্থেই নারী নিজেকে উপস্থাপন করছে : দীপা খন্দকার


ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার তিনি মনে করেন নারী যেহেতু স্বেচ্ছায় মিডিয়ায় কাজ করছে এবং সেভাবেই নিজেকে প্রেজেন্ট করতে আপত্তি করছে না সে কারণে এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। আর নারীর বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপনকে আমি খারাপভাবে দেখছি না। কারণ কাজের স্বার্থেই নারী নিজেকে এক্সপোজ করছে। আর উপস্থাপনের ধরন নিয়ে বলবো যে নারীকে তো আর কেউ জোর করে উপস্থাপন করছে না। নারী নিজের গরজেই তাদের মতো করে উপস্থাপিত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা এটা একটা কম্প্লিকেটেড বিষয়।

আর নারী দিবস বলে আলাদা কোন দিন রাখার দরকার আছে বলে মনে করি না। কারণ প্রতিদিন একজন নারী নারীই। তবে নারীকে তার সঠিক অধিকার দিলে তার তো কোন দিবসের প্রয়োজন নেই। আমি মনে করি একদিন নারী তার প্রকৃত মূল্যায়ণ পাবেন আর সেদিন নারী দিবসের প্রয়োজনীয়তাও থাকবে না।

নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা ঠিক না : বন্যা মির্জা


নারীকে বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপন, নারী যখন পণ্য এসব নিয়ে সংক্ষেপে বলা খুবই কঠিন। নারী দিবসের ইস্যু নিয়ে নানা প্রতিষ্ঠানের নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে এটা ঠিক না। আমি বলবো নারী দিবস মূলত নারী শ্রম মুক্তির প্রেক্ষাট ছিল। এটাকে বর্তমানে একটা রূপকে পরিণত করা হয়েছে। নারী দিবসের সঙ্গে যে রাজনীতি ছিল সেটা নেই। অর সফলতা মানে নারীর অগ্রযাত্রা নয়, ডিসি এসপি স্পিকার হওয়া মানেই নারী এগিয়ে যাচ্ছে তা নয়, নারীর মৌল বিকাশ ঘটাই হচ্ছে নারীর অগ্রযাত্রা।

‘নারীকে বাণিজ্যিকায়ন করা হচ্ছে’ এই বাক্যটাই নেগেটিভ-মৌসুমী হামিদ


দেখুন, মিডিয়ায় নারীকে বাণিজ্যিকায়ন করা হচ্ছে-এই বাক্যটাই তো নেগেটিভ। আমি বলবো কাজের স্বার্থে কেউ নিজেকে বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপন করছে কেউ করছে না এটা তার নিজস্ব ব্যাপার। আমি বলবো এটা কাজ। এটাকে কাজ হিসেবেই সম্মান করা উচিত। আর একজন নারীর জন্য বছরের ৩৬৫ দিনই নারী দিবস। নারীর অধিকার অর্জনের জন্যই নারী দিবসের প্রয়োজন।

প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে বাণিজ্যিকায়ন ইতিবাচক: আঁচল


প্রথমে আমি বলবো কারো স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে যদি তাকে উপস্থাপন করা হয় তাতে কোন প্রবলেম নেই। সেটা যেভাবেই হোক। আর বিজনেস বলেন বা চাকরীই বলেন মেয়েরা কিন্তু তার সেরাটা প্রমাণ করছে। আমরা নিজেদের মেধা দেখাতে পারছি। আর ফিল্মে নারীকে বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আমি বলবো ফিল্মে নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটানোর জন্যই তো একজন অভিনেত্রী আসে। বাণিজ্যই যদি না হয় তাহলে একজন প্রযোজক কেন একজন নায়িকাকে নিবে। বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্যই প্রযোজকরা বা প্রতিষ্ঠানগুলো নারীকে উপস্থাপন করে। এতে আমরাও নিজেদের প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারি। যুগ যেহেতু পরিবর্তন হয়েছে তাই আমার জায়গা থেকে আমি মনে করি মিডিয়ায় নারীকে বাণিজ্যিকভাবে উপস্থাপন একটা ইতিবাচক দিক।