তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় পেয়ে স্বান্তনার জয় পেলো ভারত।কারণ তার পূর্বেই টাইগারদের কাছে দুই মায়চ পরাজিত হয়ে সিরিজ হাতছাড়া করে ধোনিবাহিনি। সিরিজের শেষ ম্যাচে ৭৭ রানে ভারতের কাছে হেরে যায় টাইগাররা।শেষ ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডেতে পূর্ণ শক্তির ভারত একমাত্র জয় নিয়ে দেশে ফিরবে।
ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ৩১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৭ ওভার ব্যাট করে ২৪০ রান সংগ্রহ করে। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় দ্বিতীয় ওভারে কুলকার্নির বলে এলবি’র ফাঁদে পড়েন তামিম ইকবাল। আউট হওয়ার আগে মাত্র ৫ রান করেন তিনি। দলীয় দশম ওভারে ৩৪ বলে ব্যক্তিগত ৪০ রান করে কুলকার্নির বলে অশ্বিনের তালুবন্দি হন সৌম্য। দলীয় ৬২ রানের মাথায় সৌম্য সরকারকে হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন টাইগারদের ‘রান মেশিন’ খ্যাত মুশফিকুর রহিম। তামিম, সৌম্যর পর বিদায় নেন তিনি। বিদায় নেয়ার আগে , দলীয় ১৯তম ওভারে রায়নার একটি লাফিয়ে উঠা বলে উইকেটের পেছনে ধোনির গ্লাভসবন্দি হন ২৪ রান করে।
এর আগে টসে জিতে টাইগার দলপতি ভারতকে ব্যাটিং এর আমন্ত্রণ জানান। তার এইরকম সিদ্ধান্তকে ভারত স্বাগত জানায়। ব্যাটিংয়ে নেমে শিখর ধাওয়ান, মহেন্দ্র সিং ধোনি, আম্বাতি রাইডু আর সুরেশ রায়নার ব্যাটে ভর করে সফরকারীরা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৭ রান সংগ্রহ করে।
মুস্তাফিজের করা দলীয় সপ্তম ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন রোহিত শর্মা। প্রথম দুই ওয়ানডেতেও মুস্তাফিজের বোলিং তোপে রোহিত আউট হয়েছিলেন। আউট হওয়ার আগে রোহিত ২৯ বলে দুই চার আর এক ছয়ে ২৯ রান করেন।
রোহিত আউট হওয়ার পর বিরাট এবং শিখর ধাওয়ান প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।বিরাট কোহলি ২০তম ওভারে সাকিবের অসাধারণ ঘূর্ণিতে বোল্ড আউট হন বিরাট কোহলি। আউত হওয়ার আগে ৩৫ বলে ২৫ রান করেন বিরাট।
শিখর ধাওয়ান অর্ধ-শতক পূরণ করার পর ৭৫ রান করে মাশরাফির বলে ক্যাচ আউট হন।ক্যাচটি তালুবন্ধি করেন নাসির হোসেন।
অবশেষে মহেন্দ্র সিং ধোনি, আম্বাতি রাইডু আর সুরেশ রায়নার ব্যাটিং এর মাধ্যমে ৩১৭ রান করতে সক্ষম হয় নির্ধারিত ৫০ ওভারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
ভারতঃ ৩১৭/৬ (৫০)
শিখর ধাওয়ানঃ ৭৫,ধোনি ৬৯।
মাশরাফি ৩ উইকেট,মোস্তাফিজুর ২ উইকেট।
বাংলাদেশঃ২৪০/১০ (৫০)
সাব্বির রহমানঃ ৪৩, সৌম্য সরকারঃ ৪০।
সুরেশ রায়না ৩ উইকেট।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচঃ সুরেশ রায়না ।
ম্যান অফ দ্যা সিরিজঃ মোস্তাফিজুর রহমান।