Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Sports Image

ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দাপট দেখানো ১১ ফুটবলার




অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো লীগের শেষ পর্যায়ে এসে ঘোষণা করা হল সেই ১১ জন খেলোয়াড়ের নাম যারা পুরো মৌসুম নিজ নিজ দলের হয়ে দাপট দেখিয়েছেন মাঠে। এপ্রিলে পিএফএ’র ঘোষিত দলে ছয় জন চেলসির খেলোয়াড় থাকলেও এই দলে চেলসির খেলোয়াড়দের একক আধিপত্য নেই। চলুন জেনে নেই এই মৌসুমে দারুণ পারফর্ম করে কোন ১১ জন জায়গা করে নিয়েছেন সেরা একাদশ-২০১৫ তে-

ডেভিড ডি গিয়া-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডঃ গোলবার সামলানোর দায়িত্ব এবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গে’র কাঁধে। পুরো মৌসুমে দলের গোলবার সামলিয়ে রাখা এই স্প্যানিশ ফুটবলার অনেকটাই সফল দলের হয়ে।

ব্রানিস্লাভ ইভানোভিচ-চেলসিঃ সার্বিয়ান এই ফুটবল তারকা এবার আলো ছড়িয়েছেন চেলসির জার্সি গায়ে। রক্ষণভাগের রাইট উইং সামলানোর পাশাপাশি দলকে পুনরায় আক্রমণে উঠতেও সাহায্য করেছেন ইভানোভিচ। এই মৌসুমে গোলের জন্য ৩৪টি সুযোগ তৈরি করেছেন এবং ৫টি এসিস্ট করতে সক্ষম হয়েছেন এই ফুটবলার।

হোসে ফোন্টে-সাউদ্যাম্পটনঃ দুই বছরের চুক্তিতে সাউদ্যাম্পটনে যোগ দেয়া পর্তুগিজ এই ফুটবলার নীরবে আলো ছড়িয়ে গেছেন নিজ ক্লাবের হয়ে।

জন টেরি-চেলসিঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে ফুটবল খেলাটার উপর দক্ষতা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে ইংলিশ খেলোয়াড় এবং চেলসি অধিনায়ক জন টেরি’র। ৩৪ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার সফলতার সাথেই আগলে রেখেছিল চেলসির ডিফেন্স।BSPN অবিশ্বাস্যভাবে প্রতিহত করেছে প্রতিপক্ষ দলের আক্রমণ।

সিজার এজপিলিচুয়েটা-চেলসিঃ খেলার মধ্য দিয়ে শুধু ভক্তদেরই মন জয়ে করেননি এই স্প্যানিশ লেফট ব্যাক। জয় করেছেন কোচ হোসে মরিনহো’র মন ও। গেরি নেভেল এবং জিমি কারাগার’কে পিছনে ফেলে সেরা একাদশে লেফট ব্যাক এ নিজের নামটা বসাতে বাধ্য করেন নির্বাচকদের।

নিমাঞ্জা ম্যাটিচ-চেলসিঃ বেনফিকা থেকে চেলসি’তে যোগ দেয়া ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ মিড ফিল্ডার মাঝ মাঠ থেকে আক্রমণে সাহায্য করে গেছেন পুরো মৌসুম জুড়েই। সেস ফেব্রিগাস’ই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি কিনা ম্যাটিচ এর চেয়ে বেশী পাস দিয়েছেন এই মৌসুমে।

সান্তা কাজুরলা-আর্সেনালঃ অ্যালেক্সিস সানচেজের মতো নামকরা ফুটবলারকে পিছনে ফেলে জায়গা টা নিজের করে নিয়েছেন কাজুরলা। সানচেজের গোল সংখ্যা বেশী হলেও এই মৌসুমে সর্বাধিক এসিস্ট (আর্সেনালের পক্ষে) এবং মাঝ মাঠে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে ভক্তদের মন জয় করে নেন এই সেন্টার মিড ফিল্ডার।

ফিলিপ কোটিনহো- লিভারপুলঃ ২২ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান এই মিড ফিল্ডার লিভারপুল দলের জন্য “প্রাণ সঞ্চারকারী” ছিলেন। প্রতিটি আক্রমণেই ছিলেন তিনি দূর্বার। সুয়ায়েজ এবং জেরার্ড এর অনুপস্থিতিতে বর্তমান লিভারপুল দলের সেরা তারকা এই ব্রাজিলিয়ান। এই মৌসুমে ৫ গোলের পাশাপাশি করেছেন ৫টি এসিস্টও।

এডেন হ্যাজার্ড-চেলসিঃ এই তালিকার পঞ্চম চেলসি’র খেলোয়াড় হলেন এডেন হ্যাজার্ড। বেলজিয়াম এই তারকা দলের হয়ে এই মৌসুমে করেছেন ১৪ গোল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ওয়েস্ট হাম এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতেও গোলের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।

হ্যারি কেন -টটেনহামঃ ইংল্যান্ড এর এই উঠতি ফরোয়ার্ড এই মৌসুমে নিজ দক্ষতা, স্কিল এবং ড্রিবলিং করার ক্ষমতা দিয়ে মন জয় করেছেন ফুটবলপ্রেমীদের। এই মৌসুমে ১৯ গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। মার্চে ইংল্যান্ড এর হয়ে অভিষেক হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচেই গোলের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।

সার্জিও আগুয়েরো-ম্যানচেস্টার সিটিঃ ওয়েইন রুনি, ফেব্রিগাস সহ আরও ভালো মানের স্ট্রাইকারের সাথে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত সেরা একাদশের সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে নিজের নাম লেখাতে সক্ষম হন আর্জেন্টিনা’র সার্জিও আগুয়েরো। ক্ষিপ্র গতি, বলের লাইনে থাকার ক্ষমতা এবং টার্গেটে শট করা সব গুণই রয়েছে তার মাঝে। মৌসুমে তিনি ৩১ গোলের দেখা পেয়েছেন ।