Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Lifestyle Image

সবার প্রিয়পাত্র হয়ে উঠুন



*সবার ভালোবাসার মানুষ হয়ে উঠতে গেলে থাকতে হবে ইচ্ছাশক্তি। এই ইচ্ছাশক্তি আপনার জীবনযাত্রার মানে উৎকর্ষ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। ইতিবাচকতা একটা আবরণের মতো। যখন আপনি মানুষের মনে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবেন, মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে।

*বাস্তববাদী হোন, একেবারে সাধু ব্যক্তি হওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। আপনি ইতিবাচক ব্যক্তি হয়ে উঠবেন, তার মানে এই নয় যে আপনার কোনো নেতিবাচক আবেগ থাকতে পারে না কিংবা কখনোই নেতিবাচক পরিস্থিতির শিকার আপনি হবেন না। কোনো কাজে ব্যর্থ হলে হতাশাগ্রস্ত হবেন না কিংবা বিপথের দিকে ধাবিত হবেন না।

*একজন মনোযোগী পর্যবেক্ষক হোন। আপনার চারপাশে খেয়াল রাখুন। কিভাবে আপনি আরো বেশি ইতিবাচক উপাদান আয়ত্ত করতে পারবেন তার জন্য দৈনন্দিন জীবনের কর্মকাণ্ডে মনোযোগী হোন। এটা আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে আরো বেশি ইতিবাচক করে তুলবে।

*ভাষায় মার্জিত ও ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে। সহকর্মীদের সঙ্গে মিশতে হবে কাছাকাছি থেকে এবং বন্ধুত্বপূর্ণভাবে। শারীরিক উপস্থাপনা সব সময় পরিশীলিত থাকবে। আপনার আশপাশে আনন্দময় কিছু ঘটলে চেহারায় আনন্দ ও সুখী সুখী ভাব নিয়ে আসুন। হাসির কিছু ঘটলে মুখে হাসি নিয়ে আসুন।

*একটিমাত্র পথেই যদি আপনি সবার আস্থাভাজন হয়ে উঠতে চান সে ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ঘটনাই ঘটতে পারে। আপনি যদি বন্ধুমহলে বেশির ভাগ সময়ই রূঢ় আচরণ করেন তাহলে মনে রাখবেন, আপনাকে একই ধরনের আচরণের মুখোমুখি হতে হবে। আপনার হৃদয়ে ইতিবাচকতা যদি গভীরভাবে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুমহল হবে ইতিবাচক, কর্মোদ্যোগী, হাসিখুশি ও প্রাঞ্জল।

*অলস বা আয়েশি হয়ে বসে থাকবেন না। অন্যদের সঙ্গে থাকুন আর একা থাকুন, ইতিবাচক কাজের মধ্যে থাকবেন। জোক বলুন, মজার ঘটনা শেয়ার করুন, খেলাধুলায় অংশ নিন। কাজ শেষে হাঁটতে বের হোন। একটা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।

*প্রাত্যহিক জীবন থেকে আপনি আঘাত পেতে পারেন। এটা মেনে নিতে আপনাকে তৈরি থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে প্রতিদিন ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালাতে অথবা পার্ক করতে হতে পারে। যখন আপনি এ ব্যাপারগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন তখন আর কোনো সমস্যাই হবে না।

*যোগ ব্যায়ামের শিক্ষক ও পুষ্টিবিদ অভিলাষ কেইল বলেন, ‘প্রতিদিন প্রার্থনা করুন, এটা আপনার ভেতরকে প্রকাশ করতে সহায়তা করবে, আত্মনিয়ন্ত্রণ করতে শেখাবে।’ এটা যে শুধু নীরবেই সুখ বিচ্ছুরিত করবে তা নয়, খুব অল্প সময়েই আপনার ইন্দ্রিয়কে সচেতন করে তুলবে।

*একটা সময় নির্ধারণ করে দিনের সব কাজকে মনে করুন, এখান থেকে ভালো কাজগুলো আলাদা করে ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করুন। এগুলো খুব সামান্য ব্যাপারও হতে পারে। যেমন কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আপনার বাসে আরোহণ করা, আপনার মায়ের হাতের তৈরি সুস্বাদু নাশতা, সময়মতো বিল পরিশোধ করা ইত্যাদি। এতে চোখের সামনে নিজের করা ছোট একটি ইতিবাচক কাজ দেখতে পারবেন। যখন আপনি আপনার লেখা ডায়েরিটি পড়বেন তখন নিজেই নিজেকে দৃঢ়ভাবে সুখী ঘোষণা করবেন।

*আশপাশের সবাইকে ধন্যবাদ দিন। বাবা-মাকে ধন্যবাদ দিন। বন্ধুদের ধন্যবাদ দিন। আপনি যে পরিশ্রম করছেন সে জন্য নিজেকেও ধন্যবাদ দিন। বারবার ‘থ্যাংক ইউ’ বললে আপনি হয়ে উঠবেন বিনয়ী। বিনয়ী হলে আর নিরাশ হবেন না।