Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

প্রেম যমুনার ঘাট

বগুড়া শহর থেকে ২২ কিলোমিটার পূর্বে সারিয়াকান্দিতে অবস্থিত ভ্রমণ স্পট প্রেম যমুনার ঘাট। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে এখানে তৈরি করা হয়েছে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষার্থে একটি বিশাল বাঁধ। যমুনা নদী এবং এই বাঁধের সৌন্দর্য একসাথে মিলেমিশে এখানে তৈরি হয়েছে এক অনিন্দ সুন্দর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। এখানে নদীতে ভ্রমনের জন্য আছে ছই ছাড়া এবং ইঞ্জিনের নৌকা। ইচ্ছা করলেই ঘুরে আসা যায় ওই পাড়ের চর থেকে। যমুনার বুকে প্রেম যমুনার ঘাটটিই সবচে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন ঘাট। নদীতে ভ্রমনের সময় হঠাৎ করে পেয়ে যেতে পারেন ছোট বড় অনেক চর। এমন চর পেয়ে গেলে সেখানে নেমে গোসলও করতে পারেন মনের আনন্দে। এটি হতে পারে আপনার জীবনের একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা। গোসলের সময় হয়তো আপনার মুখ থেকে অবলিলায় বেড়িয়ে আসবে বিখ্যাত সেই গান " আরে যমুনার জল দেখতে কালো স্নান করিতে লাগে ভাল…"
এখানে যাবার আগে বগুড়ার সাতমাথার আকবরিয়া থেকে প্যাকেট লাঞ্চ নিয়ে যেতে পারেন। তাতে যমুনার চরে বসে সেরে ফেলতে পারেন ছোট খাটো একটি পিকনিক।
বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি হয়ে প্রেম যমুনার ঘাট যাওয়ার পথটাও কম নজর কাড়ে না। পথে পরে বাঙাল নদীসহ আরও ছোট ছোট কয়েকটি নদী বা খাল, সাথে পথের দু’পাশে নয়ন জুড়ানো ফসলের মাঠ আর বিল তো আছেই।
যেভাবে যেতে হবে
আপনাকে প্রথমে ঢাকা বা আপনার নিজস্ব ঠিকানা থেকে যেতে হবে বগুড়া। ঢাকা থেকে বগুড়া আসার সবচাইতে উত্তম পন্থা হল বাস। বগুড়ায় ট্রেনে যাওয়ার পরিকল্পনা অংকুরেই বিনাশ করেন। মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রীন লাইন, ভলভো থেকে শুরু করে “মফিজ” গাড়ি সবই পাবেন ঢাকা-বগুড়া রুটে। তবে এই রুটের সবচে ভাল (ইকোনমি+ভাল মান) গাড়ি হল এস আর ট্রাভেলস, টি আর ট্রাভেলস, শ্যামলী ইত্যাদি। যাবেন ঢাকার কল্যানপুর থেকে।
নামবেন ঠনঠনিয়া...[…]

Travel Image

তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ ও চা বাগান

স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকা বর্তমানে একটি অন্যতম ও আকর্ষণীয় পিকনিক স্পট। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানের ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসেন তেলিয়াপাড়া চা বাগান এলাকায় অবস্থিত ব্যতিক্রমধর্মী এই স্মৃতিসৌধ দেখতে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক কিংবা তেলিয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যনত্মরে চা বাগান বাংলোর কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের অনন্য স্মৃতি ধারণ করে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে এই স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধের নিকটেই লাল রংয়ের শাপলা ফুল শোভিত লেক এবং চা বাগানের অপূর্ব নৈসর্গিক দৃশ্য। যা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে সহজেই।
রাইফেলের বুলেট আকৃতির স্মৃতিসৌধের সোনালী রং রোদ্রের উজ্জ্বল আলোকে ঝলমল করে। অপূর্ব এই স্থাপত্যকর্মের পাদদেশের ফলকে ‘২নং ৩ নং ৪নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ ১৯৭৫ সালে উদ্বোধন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ৩নং সেক্টর কমান্ডার মেজর কেএম শফিউল্লাহ্ তার হেড কোয়ার্টার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপন করেন। সড়ক ও রেলপথে বৃহত্তর সিলেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এখান থেকে মুক্তি বাহিনী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়াও তেলিয়াপাড়া চা বাগানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প গড়ে উঠে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীসহ অপর কয়েকটি সেক্টরের কমান্ডাররাও কার্যোপলক্ষে বিভিন্ন সময়ে তেলিয়াপাড়া সফর করেন। ম্যানেজার বাংলোসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সেনা নায়কদের পদচারণায় মুখরিত। ১৯৭১ সালের ২১ শে জুনের পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণের কারণে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্থাপিত সেক্টর হেডকোয়ার্টার তুলে নেয়া হয়। বর্তমানে তেলিয়াপাড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ এই স্মৃতিসৌধ রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। স্মৃতিসৌধ এলাকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিকল্পে ইতোমধ্যেই কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চা বাগানের ঐতিহাসিক ডাকবাংলোকে যাদুঘরে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। যাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি, ইতিহাস, দলিলপত্র রক্ষিত থাকবে। তার পাশে নির্মিত হবে স্মৃতিসৌধ। ৭১ ফুট উচু ও ৫০...[…]

Travel Image

হাইল হাওর

হাইল হাওর
পড়ন্ত বিকেলে রক্তিম সূর্যের আলোয় লালচে আকাশ। রাখালিয়ারা গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছে। জেলেরা তীরে নৌকা ভিড়াচ্ছে। একদল জেলে নৌকার বৈঠা কাঁধে একপ্রান্তে জাল অন্যপ্রান্তে মাছের ঝুড়ি বেঁধে গাঁয়ের বাজারের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। পাখির দল এপ্রান্ত হতে ওপ্রান্তে ছুটে চলছে। দেশী বিদেশী পাখির কিচির মিচিরে মুখরিত চারিপাশ। আর কিছুক্ষণ পরই ডুবে যাবে লাল সূর্য। ঘনিয়ে আসবে সন্ধ্যা। এমনই অপরূপ দৃশ্য আর কোথাও নয় ধরা দেয় শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে। শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী এই হাইল হাওর প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র ও জীবন জীবিকার বিবেচনায় একটি গুরুত্বপূর্ন জলাভূমি। মৌলভীবাজার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন যথা-কালাপুর, শ্রীমঙ্গল, ভূনবীর ও মির্জাপুর নিয়ে বিস্তৃত এ হাওরের।
পর্যটক কিংবা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বরাবরই প্রিয় মৌলভীবাজার। কিন্তু এখানে যে চমৎকার একটি হাওর আছে, এটা খুব কম পর্যটকই জানেন। অবশ্য সেখানে ভ্রমণে যাওয়ার পর জানতে পারেন। স্থানীয় লোকজনের কাছে এ হাওরটি লতাপাতার হাওর নামেই পরিচিত। কারণ এখানে প্রচুর লতা এবং গুল্মজাতীয় গাছ রয়েছে।
হাইল হাওরের আসল সৌন্দর্য হল এখানকার পাখি। বহুদিন ধরেই এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বারো মাসই হাইল হাওর মুখরিত থাকে পাখিদের কলতানে। আর এই কলতান বছরের যে কোন সময়কে ছাড়িয়ে যায় শীতকালে। এ সময় স্থানীয় পাখির পাশাপাশি অসংখ্য প্রজাতির পাখি এসে ভিড় জমায় এখানে। হাইল হাওরের একটা অংশে বেশ কিছু ছন জাতীয় গাছ রয়েছে। এসব গাছের আড়ালে পাখিরা ডিম পাড়ে। যারা এখানে বেড়াতে যান তারা নির্দিষ্ট একটা দূরত্ব থেকে পাখি কিংবা পাখির বাসা দেখতে পারেন।
বর্ষা মৌসুমে হাইল হাওরের সুনীল জলরাশি চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। শুধু পানি আর পানি। হাইল হাওরের পানির প্রধান উৎস গোপলা নদী। উজানে বিলাসছড়া থেকে উৎপত্তি লাভ করে হাইল হাওরকে দ্বিখন্ডিত করে...[…]

Travel Image

সিতাকুন্ডুর খৈইয়াছড়া ঝর্ণা

সিতাকুন্ডুর খৈইয়াছড়া ঝর্ণা
প্র্কৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপার লিলাভুমি আমাদের এই বাংলাদেশ। সাগর-নদী , পাহাড়, ঝর্ণা, হাওড়-বাওড় সব কিছুতেই সয়ংস্মপূর্ণ আমাদের এই দেশ। খৈইয়াছড়া ঝর্ণা তার মধ্যে অন্যতম। সিতাকুন্ডু ওজলায় এর অবস্থান। পাহাড়, ঝর্ণা আর সবুজ অরণ্যের মিলনমেলা ঘটেছে এইখান। দেখলে মনে হবে ক্যানভাসের উপর জলরঙের ছবি একেছেন কোন এক নিপুন ঞাতের শিল্পি। এইরুপ দেখাটাও অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।
বর্ষাকালে খৈইয়াছড়া ঝর্ণা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য যাওয়া যথেষ্ট কষ্টকর ব্যপার। তবে ইচ্ছে শক্তি থাকলে এই পথ পাড়ি দেওয়া অসম্ভব না কিন্তু বাধ সাধতে পারে জোক নামক প্রাণী ও বৃষ্টি। আপনার চ্যালেঞ্জই আপনার ভ্রমণের আনন্দপল দ্বিগুণ করে দিবে। বর্ষাকাল ছাড়া আপনি খৈইয়াছড়া ঝর্ণার আসল রুপ টুকু কখনও উপভোগ করতে পারবেন না। বাংলাদেশের অন্যান্য ঝর্ণা ট্র্যাকিং থেকে খৈইয়াছড়া ঝর্ণার উকটু ভিন্ন। তাই একটু সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয় আর হ্যা যাওয়ার সময় অবশ্যই লবণ নিয়ে যাবেন জোকের উপদ্রব থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য।
আমরা অনেক করে বৃষ্টির মধ্যে গিয়েছিলাম । আমরা ৬ দিন আগে মহানগর ট্রেনের টিকিট কেটে রেখেছিলাম।এত বৃষ্টির মধ্যে সাহস পাচ্ছিলাম না যেতে। কিন্তু শেষমেষ আমরা যাওয়ার উদ্দ্যেশে বেরিয়ে পরলাম। রাত ১০. ৪৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়ল ৩.২০ মিনিট্ এ ফেনী স্টেশনে নামলাম।এত বৃষ্টির মাঝে আনেক কষ্ট করে ৫ টা অবধি স্টেশন কাটালাম। তারপর ৫.৩০ টায় মইপাল স্টেশন এ গেলাম তারপর নাস্তা শেষ করলাম। এত সকালে বৃষ্টির ভিতরে বাস চলছিল না। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর বাস আসলো। তারপর বাস থেকে ৪০ মিনিট পর নামলাম সীতাকুন্ডু স্টেশন এ। ঐ খান থেকে একটু হেটে খৈইয়াছড়া ঝর্ণার হেটে আসলাম একটা হোটেলে খাবার অর্ডার করে সবার ব্যাগ জমা রেখে হাটা শুরু করলাম। খৈইয়াছড়া ঝর্ণায় পৌছাতে আমাদের সময় লেগেছিল প্রায় সোয়া ঘন্টার মতো। যাহোক আমরা নিরাপদ ভাবে একটা আনন্দ...[…]

Travel Image

সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য

প্রকৃতি অপরুপ ভাবে ঢেলে সাজিয়েছে আমাদের এই বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের প্রতিটিœ প্রান্তে ছড়িয়ে আছে এইসব অপরুপ সৌন্দর্য্য মন্ডিত জায়গা। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের সৌন্দর্য্য এত মন মাতানো তা আগে জানতাম না। ভ্রমন পিয়াসু মানুষদের জন্য সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করছি।
সমুদ্রের নির্মলতা ও বিশলতা সবারই মন কেড়ে নেয়। তবে পাহাড়, নদী, মেঘ, সবুজ গাছ একসাথে দেখাটা সবার ভাগ্যে জুটে না এবং এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত জায়গা পাওয়াটা একটু কঠিন। তবে আপনি যদি সিলেটের সুনামগঞ্জে যান তবে আনি পাবেন এই ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে স্বাদ। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে প্রেমে পড়েছি বহুত আগে। সেই প্রেমের টানে ঘুড়ে বেড়িয়েছিও পাগলের মতো তবে এই প্রেমের অসম্পূর্নতা থেকে যেত যদি সুনামগঞ্জে না যেতাম। সুনামগঞ্জের রুপ সৌন্দর্য্য দেখে মনে হয়েছে আল্লাহ তার নিখুত হাতে ক্যানভাসে ছবি একছেন এ যেন তার অপার মহিমার এক উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে টেকেরহাট, বারেকটিলা, নিলাদ্রী, শিমুলবাগ, রাজাইঝর্না, যাদুকাটা নদী তার রুপের মহিমায় আমাকে যাদু করে দিয়েছে। সুনামগঞ্জের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে প্রেমে মশগুল না হয়ে পড়াটা কঠিন ই বটে। বিশেষ করে পাহাড় আর নদীর সচ্ছ পানি আপনার মন কেড়ে নেবেই। তবে যাওয়ার সময় দলবেধে গেলে আনন্দের মাত্রাটা অধিক হয়ে উঠবে। তাই চাইলে আপনিও যেতে পারেন প্রকৃতির অপার লিলা সুনামগঞ্জে আর বুক ভরে নি:শ্বাস নিতে পারবেন ঐ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত নির্মল বাতাসের।
যেভাবে যাবেন:
ঢাকা টু সিলেট ট্রেনে বা বাসে তারপর সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ। তার ঐকান থেকে অটো বা সিএনজিতে তাহিরপুর, লাউরেরগড়, যাদুকাটা নদী। চাইলে আপনি লোকাল বাসেও যেতে পারেন। টেকেরহাট ও বারেকটিলা রাজাইঝর্ণা যেতে চাইলে স্থানীয় লোকেদের কাছে জিজ্ঞেস করে যেতে পারেন।[…]

Travel Image

চা এর রাজ্যে শ্রীমঙ্গলে অল্প সময়ে ভ্রমণ

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন ভ্রমণ পিয়াসু। ভ্রমণের নাম শুনলেই উড়ে চলে। কিন্তু পড়াশুনার চাপ বা চাকরীর কারণে প্লান করাটা একটু কঠিন হয়ে যায়। কম বাজেটে একদিনর ভিতর ঘুরে আসতে পারেন সিলেটের শ্রীমঙ্গল। সেখানে দেখতে পাবেন পৃথিবীর আরেক অপার লিলা ভূমি চা বাগান । মনে হবে সবুজের ভিতর হারিয়ে গেছেন কিছূ সময়ের জন্য। চোখ যতদুর যায় ততদুর সবুজ ছাড়া আর কিছু দেকেতে পাবেন না। মনে হবে সবকিছুু নিটল ও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আপনার জন্য। শ্রীমঙ্গলকে সিলেটের সৌন্দর্য্যরে মা বলা হয়।
আগেই বলে রাখি সিলেটে দেখার মতো জায়গার অভাব নেই। সমস্যা হল স্পট গুলোর দুরুত্ব দুরে দুরে। তাই প্লান করে বের হওয়াটাই উত্তম।
ট্যুর প্লান ( যেসব জায়গা গুলিতে আপনি একদিনে ঘুরে দেখতে পারবেন)
১. লাউয়াছড়া উদ্যান
২. মাধবপুর লেক
৩, চা বাগান
৪. আনারস বাগান
৫. খাসিয়া পল্লী
৬. বধ্যভুমি
৭. বি টি আর আই
৮. নীল কন্ঠ টি কেবিন
৯. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধী
শুরুতেই বলে রাখি উপরোক্ত জায়গা ঘুরে দেখতে হলে আপনাকে চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করতে হবে ফুল ডে এর জন্য। সিএনজি নিয়েও ঘুরা যায় তবে অনেক দুর্গম রোড আছে যেখানে সিএনজি যেতে পারে না।
যেভাবেই হোক ভোর ৬ টায় ভ্রমন শুরু করতে হবে আর হ্যা চান্দের গাড়ি আগের দিন রিজার্ভ করে নেবেন তা না হলে সকালে সময় নষ্ট হতে পারে অনেক গাড়ি ঠিক করতে। ৬ টার দিকে গাড়ি নিয়ে চলে যাবেন পাচ ভাই/ পানসী হোটেলে নাস্তার জন্য। নাস্তা শেষে লাউয়াছড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। সময় নষ্ট না করে সোজা ভিতরে চলে যাবেন ১ ঘন্টা ঘুরলেই বনের অনেকাংশ ঘুরে দেখতে পারবেন। তারপর যতদ্রুত সম্ভব মাধপুর লেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন।...[…]

Travel Image

ঘুরে আসুন সিলেটের লালাখাল

ঘুরে আসুন সিলেটের লালাখাল
সিলেটে যে কত টুরিজম স্পট আছে তা গুনে শেষ করা যাবে না। ছোট বড় মিলিয়ে হাজারটা জায়গা আছে ঘুরে দেখার মতো। লালাখাল তার ভিতরে অন্যতম। নয়ন জুড়িয়ে যাবে নীল সবুজ ও আলাদা ভাবে লাইনে চল ঘোলা পানির রুপ দেখে। চ্ইলে নৌকা বা ট্রলারে করেও ভেসে বেড়াতে পারবেন এই অপার সৌন্দর্য্যরে বুকে। নীল সবুজ স¦চ্ছ পানির সাথে পাড়ে পাথর নামানোর দৃশ্যও দেখতে পাবেন। লালাখালের পানি এত স্বচ্ছ যে আপনি কিছু কিছু জায়গার তলদেশে জমে থাকা পাথর ও দেখতে পাবেন। নৌকায় চলার সময় দুই পাড়ের সবুজ গাছপালা আপনার নয়নকে জুড়িয়ে দিবে।মনে হবে আমাজন বনের বুক বেয়ে চলছেন আপনি।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা সিলেট বাস ও ট্রেনে যেতে পারেন। সিলেট নেমে কীনবীজ পার হয়ে চলে যাবেন সেনাবাহিনী ঘাটে চলে আসুন।সেখান থেকে জাফলং গামী বাসে উঠে পড়বেন। সোজা গিয়ে সারিঘাটে নামবেন যেতে ঘন্টা দেড়েক সময় লাগতে পারে। সারিঘাট থেকে অটো বা লেগুনা পাবেন লালাখাল যাওয়ার জন্য। ৭ কিমি রাস্তা যেতে আপনার ভালোই লাগবে চারিদিকে সুন্দর করে সাজানো গাছপালা আর মাঝে মাঝে ছোট ছোট টিলা দেখতে পাবেন। সারিঘাট নামার পর নৌকা রিজার্ভ করবেন তবে আগে অবশ্যই দর মুলিয়ে নিবেন না হলে ঝামেলা করবে মাঝিরা।নৌকাতে ৮-১০ জন অনায়াসে উঠা যায় তবে মাঝিরা ৬ জনের বেশী নিতে চায় না। অনুরোধ করে বললে আবার নেয়। তবে সাতার না জানলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পড়ে নিবেন। ভ্রমণের সময় শুধু অবাক হয়ে দেখবেন প্রকৃতির কি অপরুপ খেলা। সব কিছু মনে হবে ছবির মতো এমন স্মৃতিকে ফ্রেমে বন্দি করার জন্য কে না চাইবে বলুন। লালাখালের আসল রুপ দেখা যায় বিকেলে।
খরচ:
ভ্রমণের টাইমে খরচের হিসাবটাও মাথায় রাখতে হয় কেননা সব...[…]

Travel Image

লাল শাপলার রাজ্যে ভ্রমণ।

একি অপরুপ রুপ মা তোমার হেরি ও পল্লি জননী। হ্যা হাজার রুপে রুপবতি আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে হাজারো পর্যটন এলাকা। রুপের রানি বলা হয় আমাদের দেশকে। সেই রুপের রেশ ধরেই বরিশালের লাল শাপলার রাজ্যের কথা বলবো আজকে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপার লিলাভুমি এই লাল শাপলার রাজ্য
বরিশালের উজিরপুর থানার সাতলা গ্রামে লালা শাপলার রাজ্যের অবস্থান। প্রতি বছর বর্ষার সময়ে হাজার হাজার জমিতে ফোটে এই লাল শাপলা। তবে লাল মাপলার আসল রুপ দেখতে চাইলে সকাল ৮ টার আগে যেতে হবে । কারন শাপলা ভোর বেলায় ফুটে আর রোদের আলো পড়লে বুজে যায়।তবে লাল শাপলার রুপ দেখতে চাইলে আগের দিন গিয়ে থাকা ভালো যদিও ভালো কোন থাকার জায়গা নাই।আত্মীয় স্বজন না থাকলে একটু সমস্যা হতে পারে । তবে বরিশালের মানুষ আতিতীয়তায় উদার। তাতে কি ভ্রমণ তো আরামের জন্য না। শাপলার রাজ্য ঘুরে দেখতে লোকাল এলাকার মানুষের সাহায্য নিন। নৌকা ভাড়া করে নিবেন মন মতো ঘুরে বেড়াবেন শাপলার রাজ্যে। জলের সাথে শাপলার নিবিড় প্রেম আর সেই প্রেমের স্বাক্ষি আপনি ব্যপারটা ভাবতেই গায়ে শিহরণ জাগে। শাপলা পাতার সবুজ রঙের রিফ্লেকশনে পানের রঙ সবুজ মনে হবে। সবুজ রঙের পানির উপর লাল শাপলা একবার কল্পনা করে দেখুন কি মায়াবী প্রকৃতির রুপ। এরকম রুপে ভ্রমণ পিয়াসুরা ভিমরী খায় অবিরত। এই রুপ মিস না করতে চাইলে আজই চলে আসুন দলবল বেধে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা টু বরিশাল বাসে বা লঞ্চে যেতে পারেন।
বরিশাল শহর থেকে উজিরপুর যাওয়ার বাস পাবেন।
আর উজিরপুর থেকে অটো বা সিএনজিতে সোজা সাতলাগ্রাম
বর্ষাকাল তো নৌকায় পার হওয়াও লাগতে পারে।
খরচ:
ঢাকা বরিশাল লঞ্চে ২০০ টাকা বাসে ৪০০ টাকার মতো
বরিশাল থেকে...[…]

Travel Image

অল্প সময়ে ঘুরে আসুন জিন্দা পর্ক থেকে

বাংলাদেশে অনেক থিম পার্ক রয়েছে আমরা নিজেকে ফ্রেশ করতে ঘুরতে যাই এসব থিম পার্কে। কেননা ব্যস্ততার কারণে লম্বা ট্যুর দিতে পারি না। তাই কম খরচে অল্প সময়ে ঢাকার আশে পাশে ঘুরে আসার মতো অনেক স্থান রয়েছে। সেখানে আপনারা ঘুরে আসতে পারেন অনায়াসে । জিন্দা পার্ক তার ভিতর অন্যতম। আসুন জেনে নেই এই পার্ক সম্পর্কে।
একেবারে গ্রামীণ পরিবেশ ও আধুনিকতার সমন্বয়ে তৈরী করা হয়েছে এই পার্কটি। সারি সারি নানান ধরনের গাছ, ফুল লতাপতায় সাজানো হয়েছে পার্কটিকে। মনে মনে শিল্পির আকা কোন ছবি। নিটল নির্মল ভাবে গোছানো। চারিদিকে সবুজের সমাহার আর লেকের সচ্ছ পানির ভিতরে বোটিং সে যেন নয়ন মুগ্ধ করা দৃশ্য। প্রিয়জন বা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন অল্প সময়ে এই জিন্দা পার্ক থেকে।
যাওয়ার উপায়:
প্রথমে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড বা ৩০০ ফিট চলে আসুন। সেই কান থেকে সিএনজি বা অটোতে চলে যান জিন্দা পার্কে।
খরচ:
৩০০ ফিট থেকে জিন্দাপার্ক সিএনজি ভাড়া ৩০০-৪০০ টাকার মতো
এন্ট্রি ফি: ১০০ টাকা জনপ্রতি
দুপুরের খাবার পার্কের ভিতরে হোটেল আছে ২৫০-৩০০ টাকার খাবার প্যাকেজ একজনের জন্য যথেষ্ট।
আর বাইরে থেকে খাবার নিতে হলে এক্সট্রা চার্জ ২৫ টাকা করে দিতে হয়।
সব মিলিয়ে দেখা যায় যে ৩-৪ জনের টিম গেলে ৫০০-৬০০ টাকার ভিতরে অল্প সময়ে ঘুরে আসতে পারবেন এই অসাধাণ পার্ক থেকে। তো আর দেরি কেন আজই আপনার ট্যুর প্ল্যান করে ফেলুন।[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.