Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

পারকি সমুদ্র সৈকত

পারকি সমুদ্র সৈকত- নামটা নিশ্চয়ই অনেকের কাছে কিছুটা অচেনা লাগছে। আবার অনেকেই হয়তো চেনেন জায়গাটি। একটা সময় সমুদ্র সৈকত বলতে শুধু কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বোঝানো হলেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে এই পারকি সমুদ্র সৈকতও। চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র এক থেকে দেড় ঘন্টার পথ দূরত্বে এই সুন্দর সমুদ্র সৈকতটি অবস্থিত। একদিকে ঝাউবনের সবুজের সমারোহ, আরেকদিকে নীলাভ সমুদ্রের বিস্তৃত জলরাশি আপনাকে স্বাগত জানাবে। আর সমুদ্র তীরের মৃদুমন্দ বাতাস আপনার মনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করে দেবে নিমেষেই।
একটা সময় এই সমুদ্র সৈকতে যাবার রাস্তাটি খুব উন্নত ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে এখানে ভ্রমণপিপাসুদের আনা-গোনা বেড়ে যাওয়াতে কর্তৃপক্ষ রাস্তাটিকে সংস্কার করে ঝকঝকে করে তুলেছে। এছাড়া জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সমুদ্র সৈকতের সাথেই ঝাউবনের ছায়াতলে গড়ে উঠেছে খাবারের দোকানসহ অনেক দোকান-পাট।
এছাড়া রয়েছে সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোর জন্য স্পীড-বোট, সমুদ্র তীরেই ঘুড়ে বেরানোর জন্য সী-বাইক আর ঘোড়া। এজন্য অবশ্য আপনাকে নির্দিষ্ট ভাড়া গুনতে হবে ঘন্টাপ্রতি হিসেবে। ঝাউবন ঘেঁষে উত্তর দিক বরাবর হেঁটে গেলে দেখতে পাবেন বঙ্গোপসাগর ও কর্ণফুলি নদীর মোহনা।
যেভাবে যাবেনঃ
চট্টগ্রাম শহরের যেকোন স্থান থেকেই বাস অথবা টেম্পুতে করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু বা তৃতীয় কর্ণফুলি সেতুর কাছে যেতে পারেন। সেখানে গেলেই আপনি বটতলী মহসিন আউলিয়ার মাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবেন। তবে খেয়াল রাখবেন, ভুলে যেন বাস কন্ডাক্টরের ‘বৈলতলী” উচ্চারণের সাথে ‘বটতলী’কে গুলিয়ে না ফেলেন। দুটি কিন্তু দুই জায়গা। পারকি বীচে যেতে হলে আপনাকে বটতলী মহসিন আউলিয়া মাজারগামী বাসে উঠতে হবে। প্রাচীন এই মাজারটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত।
বাসে উঠে কন্ডাকটরকে বলতে হবে যেন আপনাকে ‘সেন্টার’ নামক স্থানে নামিয়ে দেয়। জায়গাটির প্রকৃত নাম মালখান বাজার, তবে এটি সেন্টার নামেই পরিচিত। এতটুকু...[…]

Travel Image

পিনাকল-চুনাপাথর দিয়ে তৈরি অপরূপ সুন্দর পাহাড়

অস্ট্রেলিয়া। সমুদ্রবেষ্টিত এই মহাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এক নৈসর্গিক স্থান। আর অস্ট্রেলিয়ারই পশ্চিম অংশে অবস্থিত Cervantes, শহরের Nambung National Park এ রয়েছে এমন কিছু শৃঙ্গ যেগুলোর পুরোটাই চুনাপাথরে তৈরি। আর এগুলোকে ডাকা হয় The Pinnacles নামে।
পিনাকল পাহাড়গুলোর চুনাপাথর কিভাবে এল? এগুলো এসেছে মূলত বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর শক্ত খোলস থেকে। এই খোলসগুলো ভেঙ্গে গিয়ে চুন সমুদ্রের উপকূলের বালিতে ছড়িয়ে পড়ে ও ধীরে ধীরে সেগুলো স্তূপাকারে জমা হতে থাকে। কিভাব এই চুনাপাথরের পাহাড় কিংবা পিনাকল গুলো গঠিত হয়। এটা নিয়ে দ্বিমত আছে। সম্ভাব্য কিছু তত্ত্ব জেনে নেয়া যেতে পারে-
(১) পিনাকলগুলো মূলত বাতাসে উড়ে আসা ধুলো-বালিতে থাকা চুন আর বৃষ্টির পানি স্রোতে তৈরি চুনাপাথরের নরম ভিত্তির উপর তৈরি হয়। এরপর ধীরে ধীরে এই চুনাপাথরগুলো স্তূপীকৃত হতে শুরু করে। এতে মূলত থাকে অম্লীয় মাটি আর হিউমাস। এরপর নরম চুনাপাথরের উপর ক্যালক্রেটের তৈরি শক্ত আবরণ গঠিত হয়। মাঝে মাঝে চুনাপাথরে জন্মানো গাছের মূলের কারণে ক্যালক্রেটে ফাটল দেখা দেয়। ধীরে ধীরে আরো নরম চুনাপাথর এসে বেশ বড়সড় পাহাড়ের মতো হয়ে যায়। এভাবেই পিনাকল গুলো তৈরি হয়।
(২) সমুদ্র উপকূলে বায়ুপ্রবাহের কারণে সমুদ্রের নিচে জমে থাকা তলানি পাথরে পরিণত হয়। আর এ প্রক্রিয়াতে কিছু গাছও এই পাথরগুলোতে জমা হয়ে ক্যালক্রেট তৈরি করে। ক্যালক্রেট হচ্ছে শক্ত পাথরের মত পদার্থ যা মূলত ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে তৈরি।
১৯৬০ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে পিনাকলের অস্তিত্ব অজানা ছিল। বর্তমানে এই জায়গাটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। প্রতি বছর ২ লাখ ৫০ হাজার দর্শনার্থী এই চুনাপাথরের পাহাড় পিনাকলগুলো দেখতে আসেন। পিনাকল দেখতে যাবার সবচেয়ে চমৎকার সময় হচ্ছে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়াতে এসময় বসন্তকাল চলে ও এই এলাকাটিতে সুন্দর সুন্দর...[…]

Travel Image

মনোমুগ্ধকর জলে ভাসা মসজিদ

প্রাচীন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের কথা শুনলে মনে হয় বিশাল এক বাগান যেন শূন্যে ঝুলে আছে আর বাতাসে দোল খাচ্ছে। আসলে ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়। তেমনই দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভেসে আছে কিন্তু আসলে ভেসে নেই, এমন একটি মসজিদ আছে মরক্কোয়। বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান এ মসজিদটি তৈরি করেছেন কাসাব্লাঙ্কা শহরে।
মসজিদটির নির্মাণ কাজ করেছেন ফরাসি কোম্পানি বয়গিসের প্রকৌশলীরা। আর এর নকশা তৈরি করেছিলেন বাদশা হাসানের ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনচিউ। মসজিদটিকে যে কারণে ভাসমান মসজিদ বলা হয় সেটা হলো, মসজিদটির তিনভাগের একভাগ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর অবস্থিত। দূরের কোনো জাহাজ থেকে দেখলে মনে হয়, ঢেউয়ের বুকে যেন মসজিদটি দুলছে আর মুসল্লিরা যেন নামাজ পড়ছেন পানির ওপর।
মসজিদটি কিন্তু ছোটখাটো নয়। এখানে প্রায় ১ লাখ মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। এর মিনারের উচ্চতা ২০০ মিটার! আর মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ৬৫ মিটার। মসজিদের ছাদটি প্রতি ৩ মিনিট পরপর যান্ত্রিকভাবে খুলে যায়। ফলে মসজিদের ভেতরে প্রাকৃতিক আলো ও মুক্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তবে বৃষ্টির সময় ছাদটি খোলা হয় না। মসজিদটি এতই বড় যে, এর মূল কাঠামোর ভেতরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা সেন্ট পিটার্সকেও অনায়াসে বসিয়ে দেওয়া যাবে।
২২.২৪ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এ মসজিদের মূল ভবনের সঙ্গেই আছে লাইব্রেরি, কোরআন শিক্ষালয়, ওজুখানা এবং কনফারেন্স রুম। ২৫০০ পিলারের ওপর স্থাপিত এ মসজিদের ভেতরের পুরোটাই টাইলস বসানো। শুধু তাই নয়, কোথাও কোথাও আবার সোনার পাত দিয়ে মোড়া। মসজিদ এলাকার আশপাশে সাজানো আছে ১২৪টি ঝরনা এবং ৫০টি ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালের আগস্টে। প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কারুশিল্পীর দিনে দুই শিফট শ্রমের ফলে প্রায় সাত বছরে নির্মিত হয় এ...[…]

Travel Image

বিরিশিরি

চলো না ঘুরে আসি অজানাতে... মানুষের এই আহ্বান চিরন্তন। প্রতিনিয়ত এই কৃত্রিমতার ভুবনে থাকতে থাকতে একধরনের একঘেয়েমি চলে আসে। এই একঘেয়েমি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের চেষ্টা সবসময় চলতেই থাকে। একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা বড় উপায় হচ্ছে ভ্রমন। ঘুরে বেড়ানোর মত মজার কাজ হয়তো পৃথিবীতে আর নেই। খোলামেলা যে কোন জায়গা মানুষের মনকে অনেকটা প্রশান্তি এনে দিতে পারে।
কর্মজীবনের সকল ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে সূর্যস্নানে বের হতে পারেন আপনিও। অনেক স্কুল বা কলেজে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বা কয়েকদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে আপনার আদরের সোনাওনণির স্কুলেও। গ্রীষ্মের এই ছুটিতে কি মেয়েকে নাচের স্কুলে বা আর্ট স্কুলে ভর্তি করে দিবেন নাকি তাদের নিয়ে ঘুরতে যাবেন নিজ দেশের একটি অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভুমিতে।
হ্যাঁ,আপনিও সপরিবারের বা বন্ধুদের সাথে যেতে পারেন বিরিশিরি'র সৌন্দর্য দেখতে। বিরিশিরি বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রাম। বিরিশিরির মূল আকর্ষণ বিজয়পুর চীনামাটির খনি। এছাড়াও দেখার মত জায়গা রয়েছে রানীখং গির্জা, কমলা রানী দীঘি,এবং সোমেশ্বরী নদী। সেন্টমার্টিন্স এর গভীর নীল পানি, কিংবা জাফলং এর স্বচ্ছ পানির গল্প তো অনেকই শুনেছেন বা দেখেছেন। কিন্তু সবুজ নীলের মিশেলে অদ্ভুত-রঙা হ্রদটার গল্প কি শুনেছেন? বা কখনো দেখেছেন? যদি না দেখে থাকেন তবে তৈরি হয়ে যান এই গ্রীষ্মে।
বিরিশিরির পরিবেশ আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভুলিয়ে দেবে সব ব্যস্ততা। আগেই বলেছি বিরিশিরির মূল আকর্ষণ হচ্ছে চীনামাটির পাহাড়, যার বুক চিরে জেগে উঠেছে নীলচে-সবুজ পানির হ্রদ। সাদা মাটি পানির রঙটাকে যেন আরো বেশি গাঢ় করে দিয়েছে। তবে বিরিশিরি গিয়েই আপনি এ সুন্দর দৃশ্য দেখতে পারবেন; সেটা কিন্তু না। আপনাকে যেতে হবে আরেকটু দূর বিজয়পুর চীনা মাটির পাহাড়ে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রয়েছে রিক্সা আর ভাড়ায় চালিত মটর...[…]

Travel Image

ভালোবাসা দৃঢ় করতে বিশ্বজুড়ে যত রোমান্টিক স্থান ও বিচিত্র প্রথা

ভালোবাসার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। কত অদ্ভুত অদ্ভুত পাগলামী করে টিকিয়ে রাখতে চায় ভালোবাসার সম্পর্ক। ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার জন্য নানান অদ্ভুত প্রথাও চালু আছে বিশ্বের অনেক দেশে। আর এই প্রথা গুলো দেখতে এবং সেই ট্রাডিশনে অংশ নিতে অনেকেই বিশ্বের নানা দেশ ঘুরে বেড়ান। ভালোবাসার সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য তেমনই ৪টি অদ্ভুত স্থান ও সেগুলোর সাথে জড়িত বিচিত্র প্রথার কথা জানবেন এই ফিচারে।
টানেল অফ লাভ, ইউক্রেন
ফিচারে যেই ছবিটি দেখছেন সেটা টানেল অফ লাভ এর। ইউক্রেনের ক্লেভান শহরের কাছে অবস্থিত টানেল অফ লাভ পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর স্থান গুলোর মধ্যে একটি। সবুজ গাছ-পাতায় ঘেরা একটি ট্রেন টানেলের মাঝে দিয়ে চলে গিয়েছে রেললাইন। এতি পৃথিবীর অন্যতম একটি রোমান্টিক স্থান হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে প্রেমিক প্রেমিকা যুগলদের কাছে এটি একটি প্রিয় স্থান। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রেমিক যুগলরা ও দম্পতিরা এই টানেলে বেড়াতে আসে। তাঁরা পরস্পরকে চুম্বন করে এবং নিজেদের সম্পর্কের সুখ ও দীর্ঘস্থায়ীতার জন্য প্রার্থনা করে। এই স্থান সম্পর্কে একটি কথা প্রচলিত আছে তার তা হলো কোন প্রেমিক-প্রেমিকা যুগল যদি এই পথটির উপর দিয়ে হাত ধরে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে যায় এবং তাঁরা যদি কোন ইচ্ছাপোষণ করে তাহলে তা বাস্তবে পরিণত হয় । তাহলে দেরি কেন? প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে আপনিও ঘুরে আসুন এই অপূর্ব স্থানটি থেকে।
লাভ লক, প্যারিস
ভালোবাসা অটুট রাখতে চান? তাহলে তালা মেরে চাবি ছুড়ে পানিতে ফেলে দিন! অবাক হলেন তাই না? ভালোবাসা অটুট রাখার জন্য এমনই এক অদ্ভুত প্রচলন আছে প্যারিসে। নটর ডেম গির্জায় যাওয়ার পথে শ্যেন নদীর উপর বানানো একটি হলো ‘পুঁন দে লা আর্শসিভিশে।’ এই ব্রিজের রেলিং এ ঝোলানো আছে হাজার হাজার তালা।...[…]

Travel Image

যে কারণে ভ্রমনপ্রিয়দের সফল হবার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি

প্রত্যেকটি মানুষের কিছু নিজস্বতা থাকে, শখ থাকে, ভালো লাগার জায়গা থাকে। অনেকেই ভালোবাসেন ছবি তুলতে, অনেকে রান্না করতে, কেউবা বই পড়তে বা গান গাইতে। ঠিক তেমনি কিছু মানুষ আছেন যাদের জীবনের লক্ষ্যই থাকে পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ানো। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই মানুষগুলোকে উড়নচন্ডী বলে পরিবার আর আশপাশের মানুষেরা আখ্যায়িত করে থাকেন। কিন্তু ব্যাপারটা কি আসলেও তাই? আদতে এই মানুষগুলোরই কিন্তু সবচাইতে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে জীবনে ভালো কিছু করার। আর এর কারণগুলো নীচে উল্লেখ করা হলো।
১. পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়া
ভ্রমনপ্রিয়রা সবসময়েই প্রস্তুত থাকেন যে কোন অস্বাভাবিক আর প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্যে। কারন এটা তাদের সাথে প্রায় সময়েই হয়ে থাকে। তারা তাই খুব ভারো করে জানেন যে কোন পরিস্থিতিতে মাথা কি করে ঠান্ডা রাখতে হয় আর সামলে নিতে হয় সবটাকে। আর ঠিক এই কারণেই জীবনের কোন সমস্যাতেই সহজে ঘাবড়ে যাননা তারা।
২. নতুন কিছু করা
ভ্রমনপ্রিয়রা এক স্তানে কখনো বেশিদিন না থাকায় সহজে বিরক্ত হয়ে পড়েন না আর ফলে তাদের ভাবনার জায়গাটাও অনেক বেড়ে যায়। নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করেন তারা খুব সহজেই।
৩. আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা
ভ্রমনপ্রিয়রা নিজের আবেগ সম্পর্কে সচেতন থাকেন অনেক বেশি। অনেক খারাপ ব্যবহার আর চাপের ভেতরে দিয়ে তারা চলাচল করেন। ফলে জীবনের যেকোন কঠিন সময়েও নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারেন তারা।
৪. বিশ্বাস করার ক্ষমতা
ভ্রমনপ্রিয়দের সবসময়েই নতুন নতুন জায়গায় আর নতুন নতুন মানুষের সান্নিধ্যে যেতে হয়। সাহায্য নিতে হয় অপরিচিত মানুষদের কাছ থেকে। ফলে তাদের ভেতরে অপরিচিতদের বিশ্বাস করবার একটা সহজাত ক্ষমতা গড়ে ওঠে। পাশাপাশি নতুন সম্পর্ক তৈরি এবং মানুষ চেনার ক্ষেত্রেও তাদের পারদর্শীতা বাড়ে।
৫. ভয়কে জয় করা
ভ্রমনের সময় অনেক ধরনের বাজে পরিস্থিতিতে পড়াটা খুব স্বাভাবিক...[…]

Travel Image

ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনকে নিয়ে বেড়ানোর জন্য দারুণ ৫ রিসোর্ট

প্রতিদিনকার কর্মব্যস্ত জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে সবাই চায় একটু নির্মল আনন্দ, একটু প্রশান্তি। তাই তো একটু ছুটি পেলে সকলেই হারিয়ে যেতে চান কোলহল থেকে দূরে কোথাও। আর ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হল ঈদের ছুটি। ঈদের এই ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন কোন রিসোর্ট থেকে। ঢাকার ভেতরের রিসোর্টগুলো দেখা শেষ হয়ে গেলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার বাইরের কিছু রিসোর্ট থেকে। ঈদের সময় ভিড় থাকায় এখনই বুকিং দিয়ে দিতে পারেন আপনার পছন্দের রিসোর্টে। জেনে নিন ঈদের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার দারুন কিছু রিসোর্টের ঠিকানা ও যোগাযোগের বিস্তারিত।
১। মারমেইড ইকো রিসোর্ট
ঢাকার বাইরের রিসোর্টগুলোর মধ্যে অন্যতম হল মারমেইড ইকো রিসোর্ট। স্বপ্নিল সৌন্দর্যের এক আবাসভূমি মারমেইড ইকো রিসোর্ট। কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপে প্রাকৃতিক কোলে গড়ে উঠেছে এই রিসোর্টটি। এই রিসোর্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এখানে সবকিছু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা হয়েছে। এখানকার থাকার ঘরগুলো ছাদ-চালা বাঁশ ও ছন দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা গাছপালাগুলোর উচ্চতাকে ছাড়িয়ে না যায়। রিসোর্টের বাংলোর জানালা ও দরজারগুলো অনেক বড় করে নির্মিত যাতে অতিথিরা সুনির্মল বাতাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। রাতে নিয়ন আলোর পরিবর্তে পাবেন খয়েরি ঠোঙার ভেতর মোমের আলো। এত সব গ্রামীণ জিনিসপত্রের মধ্যেও আপনি আধুনিকতার ছোঁয়া পাবেন। পাবেন ইয়োগা সেন্টার, স্পা, নৌকা ভ্রমণ, প্রেক্ষাগৃহসহ সবকিছু।
যোগাযোগঃ ০১৮৪১৪১৬৪৬৪-৯।
www.mermaidecoresort.com
২। নাজিমঘর রিসোর্ট
সবুজঘেরা এই রিসোর্টটি সিলেটে অবস্থিত। সবরকম নাগরিক সুযোগ সুবিধাসহ সবুজের মাঝে ডুবে থাকতে চাইলে এর চেয়ে ভাল কোন রিসোর্ট হবে না। ঘোড়া চালানো থেকে শুরু করে নৌকা ভ্রমন পর্যন্ত সব পাবেন এইখানে। এই রিসোর্টটি ওয়াইল্ডারনেস রিসোর্ট, গার্ডেন রিসোর্ট আর নেচার পার্ক এই তিন ভাগে বিভক্ত। তিনটির ভাড়া ও সুবিধাদি তিন রকম। তিনটির জন্য রয়েছে আলদা আলাদা প্যাকেজ।...[…]

Travel Image

নজরকাড়া সুন্দর ৫টি রোমান্টিক বিচ রিসোর্ট

প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে রোমান্টিক কিছু সময় কাটানোর জন্য মধুচন্দ্রিমার প্রয়োজন নেই একেবারেই। শুধু সঙ্গীর হাত ধরে ঘুরে আসলেই হলো অসাধারণ সুন্দর রোমান্টিক কিছু স্থান থেকে। যদি প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসতে চান তাহলে ঘুরে আসুন এমন স্থান থেকে যার স্মৃতি মনে রাখতে পারবেন চিরকাল। আর যারা নতুন বিবাহিত তাদের মধুচন্দ্রিমার জন্য প্ল্যান তো থাকেই এমন স্থানে যাওয়ার যার স্মৃতি পুরো জীবন ধরে রাখা যায়। যদি এমনই পরিকল্পনা থাকে তাহলে এই ফিচারটি আপনাদের জন্যই। আজকে দেখে নিন এমনই অসাধারণ সুন্দর ৫ টি রোম্যান্টিক ‘বিচ রিসোর্ট’ যা সত্যিকার অর্থেই মুগ্ধ করবে আপনাকে।
১) ফোর সিজনস, বোরা বোরা, ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া
অসম্ভব সুন্দর বিলাসবহুল এই বিচ রিসোর্টটিকে বলা হয় বিশ্বের সেরা রোমান্টিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এবং একে আখ্যায়িত করা হয় বিশ্বের সেরা বিচ হোটেল হিসেবে। শ্বাসরুদ্ধকর পানির উপর এবং ফ্রন্ট বিচ ভিউ ভিলা, সানসেট ক্রুজ সহ আরও রোমাঞ্চকর বিলাসিতা অপেক্ষা করছে এই রিসোর্টটিতে শুধুমাত্র আপনার জন্যই।
২) ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্ট, মরিশাস
বালাকলাভা সৈকতে অবস্থিত মরিশাসের সবচাইতে রোমান্টিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্টটি, যেখানে আপনি নিজের জীবনের সবচাইতে রোম্যান্টিক মুহূর্তগুলো কাটাতে পারেন। বিলাসবহুল এই রিসোর্টটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যার প্রায় প্রতিটি রুম থেকেই অবলোকন করা যায় অসম্ভব সুন্দর ওশান ভিউ। এই রিসোর্টে দুইধরনের রুম পাওয়া যায় ‘ডিলাক্স ওশান’ এবং ‘ডিলাক্স টেরেস ওশান’। এছাড়াও এই রিসোর্টে হানিমুন কাপলদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।
৩) আমানকিলা, বালি
একপাশে সমুদ্র এবং একপাশে পর্বতের এই অসাধারণ রিসোর্টটি বালির সবচাইতে সুন্দর রিসোর্ট হিসেবে পরিচিত। এই রিসোর্টে রয়েছে বিলাসবহুল ৩৪ টি স্যুইট। রিসোর্টে বেড়াতে আসা সকলেই রিসোর্টের ৩ স্তরের অসাধারণ সুন্দর ও মোহনীয় সুইমিং পুলে এবং মজা নিতে পারেন বিচ ক্লাবের। লাইভ মিউজিক এবং...[…]

Travel Image

ভ্রমণে অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন যেসব সাজপোশাক

দৈনন্দিন জীবনে কত রকমের পোশাক-আশাকই তো পরিধান করি আমরা। নিজেদেরকে আরো একটু ভালো দেখাতে চেষ্টার কমতি থাকে না কারো। কিন্তু ভ্রমণের সময় ব্যাপারটা কিন্তু কেবল ভালো দেখার ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকেনা। সেটার সাথে যোগ হয় আরো অনেক কিছু। আরমদায়ক, মানানসই আর শরীরের পক্ষে ঠিকঠাক- এমন অনেক কিছুই মাথায় রাখতে হয় আমাদেরকে ভ্রমণের কাপড় নির্বাচনের সময়। কারণ, এখন এতটা সমস্যাকর মনে না হলেও ভ্রমণের কোন একটা সময় গিয়ে সেগুলোই হয়তো ঝামেলায় ফেলে দেবে আপনাকে। আর তাই ভ্রমণের সময় বিরত থাকুন এই কয়েকটি পোশাক ও আনুষাঙ্গিক পরিধান করা থেকে।
১. আঁটসাঁট কাপড়
ভ্রমণের সময় আঁটসাঁট কাপড় না পরাটাই ভালো। কারণ, এতে করে কোনভাবেই আপনার ভ্রমণকে উপভোগ করতে পারবেন না আপনি। চলাচলের ক্ষেত্রে বাঁধা সৃষ্টি করবে এটা আপনার জন্যে। পাশাপাশি আঁটসাঁট কাপড় পরিধান করলে রক্তনালীতে রক্ত চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস বা রক্তনালীতে রক্ত জমাট বাঁধার মতন প্রাণসংহারী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এটি। আর তাই ভ্রমণের সময় ব্যবহার করুন আরামদায়ক, খানিকটা ঢিলেঢালা আর মানানসই কাপড়। এতে করে আপনার শরীর আর মন দুটোই ভালো থাকবে।
২. হাই হিল
ভ্রমণের ক্ষেত্রে পোশাকের পরেই যে জিনিসটির কথা চলে আসে সেটা হচ্ছে জুতো। জুতো তো আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে। কিন্তু সেটা কোন ধরনের জুতো হবে তা বাছাই করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। বর্তমানে হাই হিলের ফ্যাশন চলে আসায় অনেকেই ভ্রমণের সময়েও হাই হিল ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সেটা পায়ের ব্যাথা, গোড়ালির সমস্যা থেকে শুরু করে আরো মারাত্মক সব ঝামেলা সৃষ্টি করতে পারে। আর তাই ব্যবহার করুন আরামদায়ক আর সহজে হাঁটতে পারার উপযোগী জুতো। এক্ষেত্রে কেডস বা বুট হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।
৩. সুগন্ধি
সুগন্ধি বা পারফিউম ব্যবহারের...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.