Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

কম খরচে ঘুরে আসুন খুব কাছেই অসাধারণ ৪টি স্থান

কত জায়গাতেই তো যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সাধ থাকলেই কি আর সাধ্যের নাগাল পাওয়া যায়? পৃথিবীর আনাচে-কানাচে থাকা সুন্দরের ছোঁয়া পেতে মন চাইলেও সেগুলোকে বড় পর্দা কিংবা আলোকচিত্রের ভেতরে দেখেই মন ভরাতে হয় অনেককে। কিন্তু আপনি কি জানেন, খুব কম খরচেও এমন অনেক সুন্দর কিছু স্থান থেকে ঘুরে আসতে পারেন আপনি, যেগুলো পৃথিবীর বিখ্যাত তাদের অসামান্য সৌন্দর্যের জন্যে? চলুন দেখে আসি এমন কিছু স্থান। আজকে দেওয়া হল দক্ষিণ এশিয়ার এমন কিছু স্থানের নাম যেখানটাতে ইচ্ছে করলেই খুব কম খরচে ঘুরে আসতে পারবেন সপরিবারে।
১. নেপাল
পাহাড় পছন্দ আপনার? সেই সাথে বরফের ছোঁয়া? তাহলে আর দেরী না করে বেরিয়ে পড়ুন নেপালের উদ্দেশ্যে! বাংলাদেশের খুব বেশি কাছে থাকা প্রকৃতির সৌন্দর্যের অনেকটা নিজ অঙ্গে সাজিয়ে থাকা এই দেশটিতে যেতে বাংলাদেশ থেকে আপনি বাস কিংবা প্লেন ভ্রমণ করতে পারেন। তবে যেটাতে করেই ভ্রমণ করুন না কেন কম-বেশি আপনার খরচ পড়বে ২৫০০০-৩০০০০ টাকা। তাছাড়া ওখানে থাকা-খাওয়ার মূল্য অনেকটাই হাতের নাগালে। থাকার জন্যে খুব বেশি ভালো ব্যবস্থা করতে চাইলে প্রতিদিন ১৫০০ টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে। তবে বাজেট আরো বেশি সীমিত হলে ৫০০ কিংবা ১০০০ এর ভেতরে অনেক অনেক গাছের ঘর পাবেন আপনি। খাবার ক্ষেত্রে নেপালে বিশুদ্ধ পানির দাম ৩০ টাকা। সকালের খাবারের জন্যে ১০০ টাকা আর দুপুর বা রাতের খাবারের জন্যে ২০০ টাকাই যথেষ্ট। তবে একটা ব্যাপার মনে রাখবেন যে, নেপালে খুচরা পাওয়াটা বড্ড ঝামেলার। আর তাই টাকা নিয়ে আসবার সময় ১০০০ টাকার নোটগুলো এড়িয়ে চললেই ভালো।
২. দার্জিলিং
সূর্যের অসাধারণ খেলা, পাহাড়, সবুজ, আঁকা-আকা পথ, ঠান্ডা- কি নেই দার্জিলিং-এ? আর এ সবকিছু একসাথে উপভোগ করতে হলে বেরিয়ে আসুন দার্জিলিং। ঘুম, বাসতাসিয়া, কাঞ্চনজঙ্ঘার মতন অসাধারণ কিছু...[…]

Travel Image

পিনাকল-চুনাপাথর দিয়ে তৈরি অপরূপ সুন্দর পাহাড়

অস্ট্রেলিয়া। সমুদ্রবেষ্টিত এই মহাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এক নৈসর্গিক স্থান। আর অস্ট্রেলিয়ারই পশ্চিম অংশে অবস্থিত Cervantes, শহরের Nambung National Park এ রয়েছে এমন কিছু শৃঙ্গ যেগুলোর পুরোটাই চুনাপাথরে তৈরি। আর এগুলোকে ডাকা হয় The Pinnacles নামে।
পিনাকল পাহাড়গুলোর চুনাপাথর কিভাবে এল? এগুলো এসেছে মূলত বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর শক্ত খোলস থেকে। এই খোলসগুলো ভেঙ্গে গিয়ে চুন সমুদ্রের উপকূলের বালিতে ছড়িয়ে পড়ে ও ধীরে ধীরে সেগুলো স্তূপাকারে জমা হতে থাকে। কিভাব এই চুনাপাথরের পাহাড় কিংবা পিনাকল গুলো গঠিত হয়। এটা নিয়ে দ্বিমত আছে। সম্ভাব্য কিছু তত্ত্ব জেনে নেয়া যেতে পারে-
(১) পিনাকলগুলো মূলত বাতাসে উড়ে আসা ধুলো-বালিতে থাকা চুন আর বৃষ্টির পানি স্রোতে তৈরি চুনাপাথরের নরম ভিত্তির উপর তৈরি হয়। এরপর ধীরে ধীরে এই চুনাপাথরগুলো স্তূপীকৃত হতে শুরু করে। এতে মূলত থাকে অম্লীয় মাটি আর হিউমাস। এরপর নরম চুনাপাথরের উপর ক্যালক্রেটের তৈরি শক্ত আবরণ গঠিত হয়। মাঝে মাঝে চুনাপাথরে জন্মানো গাছের মূলের কারণে ক্যালক্রেটে ফাটল দেখা দেয়। ধীরে ধীরে আরো নরম চুনাপাথর এসে বেশ বড়সড় পাহাড়ের মতো হয়ে যায়। এভাবেই পিনাকল গুলো তৈরি হয়।
(২) সমুদ্র উপকূলে বায়ুপ্রবাহের কারণে সমুদ্রের নিচে জমে থাকা তলানি পাথরে পরিণত হয়। আর এ প্রক্রিয়াতে কিছু গাছও এই পাথরগুলোতে জমা হয়ে ক্যালক্রেট তৈরি করে। ক্যালক্রেট হচ্ছে শক্ত পাথরের মত পদার্থ যা মূলত ক্যালসিয়াম কার্বনেট দিয়ে তৈরি।
১৯৬০ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে পিনাকলের অস্তিত্ব অজানা ছিল। বর্তমানে এই জায়গাটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। প্রতি বছর ২ লাখ ৫০ হাজার দর্শনার্থী এই চুনাপাথরের পাহাড় পিনাকলগুলো দেখতে আসেন। পিনাকল দেখতে যাবার সবচেয়ে চমৎকার সময় হচ্ছে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়াতে এসময় বসন্তকাল চলে ও এই এলাকাটিতে সুন্দর সুন্দর...[…]

Travel Image

প্রবাল দ্বীপের দেশে

বাংলাদেশের মানচিত্র দেখার সময়ে খেয়াল করেছেন কি, একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে ছোট্ট ছোট্ট দুটি বিন্দু? একেবারেই বেরসিক মানুষ না হলে আপনার জানার কথা যে ওটাই হল সেইন্ট মার্টিন’স আইল্যান্ড বা বাংলায় বলা “নারিকেল জিঞ্জিরা” ।
হুমায়ুন আহমেদের মতো সাহিত্য করে দারুচিনি দ্বীপ ও বলতে পারেন। তবে নামে কি আসে যায়? নাম পরিবর্তন করলেই কি এর মহিমা কমে যাবে? একটু ও না। বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের রূপে-গুণে মুগ্ধ পর্যটকের সংখ্যা যেন দিন দিন বেড়েই চলছে।
কক্স’স বাজারে বেড়াতে আসা সমুদ্রপ্রেমীদের অনেকেরই পরবর্তী গন্তব্য হয়ে ওঠে সেইন্ট মার্টিন’স দ্বীপ। টেকনাফ থেকে ট্রলারে অথবা জাহাজে করে যেতে পারেন সেইন্ট মার্টিন’স এ। দ্বীপে পৌঁছানোর পর কোনও মোটরচালিত যানবাহনের দেখা পাওয়ার আশা করবেন না যেন! গুটিকয়েক রিকশাভ্যান ছাড়া আর কিছু নেই এখানে। হোটেলগুলোর নিজস্ব জেনারেটর ছাড়া কোনও বিদ্যুতের উৎস ও নেই এই দ্বীপে। সভ্যতার কোরাল গ্রাস থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে আপনি নিশ্চিন্তে চলে যেতে পারবেন প্রকৃতির একেবারে কাছাকাছি।
১৯৮৯ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই দ্বীপে শুধুমাত্র দেশি-বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল। এর পর থেকে এখানে বসতি স্থাপনেরও অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে এখানে প্রায় ৭০০০ মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তাদের বেশিরভাগেরই পেশা হল মৎস্যশিকার। শৈবালের প্রাচুর্য থাকায় এগুলো রোদে শুকিয়ে মায়ানমারে রপ্তানি করেও জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন অনেকেই। এই দ্বীপে বসবাসকারীদের জীবন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বর্ষাকালে উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব এবং এ সময়ে কেউ গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জীবন বাঁচানোর কোনও উপায় থাকে না যেহেতু এই দ্বীপে নেই কোনও ডাক্তার।
পর্যটকদের জন্য এই দ্বীপটি আকর্ষণীয় মূলত এর অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে। যাত্রাপথ বেশ লম্বা এবং বিপদদঙ্কুল হওয়া সত্ত্বেও প্রচুর দেশি-বিদেশি...[…]

Travel Image

অপরূপ স্থাপত্য নিদর্শন হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির

গঠন স্থাপত্যের দিক থেকে এই মন্দিরের সাথে কান্তজীর মন্দিরের অনেক মিল আছে। দুটো মন্দিরই অপরূপ নকশার টেরাকোটায় সজ্জিত। কান্তজীর মন্দির বহুল পরিচিত হলেও এই মন্দিরটি তেমন একটা পরিচিত নয়। ধ্বংসের মুখে পড়া এই মন্দিরটি সংস্কার করে নতুন জীবন দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অসংখ্য পর্যটক এই মন্দির পরিদর্শনে আসতে শুরু করছে। মন্দিরটির গঠন বৈচিত্র্যের কারণে এটি অনেকের নজর কেড়েছে। পুরো মন্দির এলাকায় কোন সীমানা প্রাচীর নেই। তাই যেকোনো সময় যেতে পারেন এই মন্দিরে। মন্দিরটি যেহেতু একটু গ্রামের ভেতর তাই পথে আপনার চোখে পড়বে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দিক নির্দেশক সাইনবোর্ড। মেঠো পথ আর দুপাশের ধানের সারি পার হয়ে যেতে আপনার ভালই লাগবে। একথা নিশ্চিত যে মন্দিরের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই
হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দিরঃ
একটি উঁচু বেদীর উপর নবরত্ন পরিকল্পনায় নির্মিত মন্দিরের প্রতিটি বাহু ১৫.৪ মিটার দীর্ঘ এবং বর্তমানে ১৩.২৫ মিটার উঁচু। ক্রমহ্রাসমান তিনতলা বিশিষ্ট এ মন্দিরটি স্থানীয়ভাবে ‘দোলমঞ্চ’ নামে পরিচিত। মন্দিরের উপরের রত্ন বা চূড়াগুলো অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। নীচতলায় ২টি বারান্দা বেষ্টিত একটি গর্ভগৃহ আছে। এর বারান্দার বাইরের দিকে ৭টি এবং ভিতরের দিকে ৫টি খিলান প্রবেশ পথ আছে। গর্ভগৃহের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে ২টি প্রবেশ পথ রয়েছে। মন্দিরের দ্বিতীয় তলায় বারান্দা নেই। নিচ তলা থেকে উপরের তলাতে ওঠার জন্য মন্দিরের ভেতর থেকে একটি চিকন সিঁড়ি দোতালায় উঠে গেছে।
মন্দিরটি ইট,চুন,সুরকির মসল্লা দিয়ে নির্মিত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নবরত্ন মন্দির। মূল অবস্থায় মন্দিরটি পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা সজ্জিত ছিল। এখনও মন্দির গাত্রে সামান্য কিছু চিত্রফলকের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়। মন্দিরটির ছাদ-প্রান্ত আংশিক বাঁকানো অবস্থায় আছে। এ মন্দিরে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি। তবে কিছু পাঠজাত বিবরণ থেকে জানা যায় যে, নবাব মুর্শিদকুলি খানের শাসনামলে রামনাথ ভাদুড়ী নামে জনৈক...[…]

Travel Image

ঐতিহ্যময় তাজহাট জমিদারবাড়ি

বাংলাদেশের বিভাগের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন রংপুর। রংপুর প্রাচীন জনপদ বরেন্দ্র অঞ্চলের অংশ ছিল। রংপুরের নামকরণ নিয়ে রয়েছে অনেক মতভেদ। প্রচলিত রয়েছে যে, রঙ্গরসে ভরপুর, তার নাম রংপুর! রংপুরের প্রাচীন নাম ছিল রঙ্গপুর। আবার কেউ কেউ বলেন, রংধনুর সাত রং মিলিয়ে এ জেলার নামকরণ করা হয়েছে রংপুর।
রংপুর জেলার তাজহাট, ডিমলা, কাকিনা, মহুনা, পীরগঞ্জ ইত্যাদি এলাকায় বেশ কিছু বিখ্যাত জমিদার বংশ ছিল। তাদের ছিল প্রাসাদতুল্য বাড়ি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো তাজহাটের জমিদার বাড়ি। সাদা ধবধরে প্রাসাদটিকে মনে হয় যেন এক বিশালাকৃতির শ্বেতপদ্ম। বেশ বড় এলাকা নিয়ে তৈরি রাজবাড়িটি। রয়েছে বাগান এবং ঘাট বাঁধানো পুকুর। রংপুর শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই জমিদার বাড়িটি দেখতে আসেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা।
তাজহাট জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মান্নালাল রায়। তিনি শিখ ধর্ম থেকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। মান্নালাল রায় পাঞ্জাব থেকে এসে রংপুরের মাহীগঞ্জে বসবাস শুরু করেন। সে সময় মাহীগঞ্জ ছিল রংপুরের জেলা সদর। মান্নালাল পেশায় ছিলেন একজন স্বর্ণকার। ধারণা করা হয়, তাঁর নিজের তৈরি আকর্ষণীয় তাজ বা রত্নখচিত মুকুটের কারণে এ এলাকার নাম হয় তাজহাট।
মান্নালাল রায় তাঁর জীবদ্দশায় প্রচুর সম্পত্তির মালিক হন এবং রংপুরের অনেক এলাকা নিজ আয়ত্তে নিয়ে আসেন। তাঁর নাতি ধনপত লাল রায় বিয়ে করেন রতন লাল রায়ের নাতনিকে। রতন লাল রায়ও পাঞ্জাব থেকে এসে অভিবাসন গ্রহণ করেন। ধনপত লাল রায়ের নাতি উপেন্দ্রলাল রায় খুব অল্প বয়সে মারা যায়। ফলে জমিদারির দায়িত্ব তাঁর কাকা গিরিধারী লাল রায়ের ওপর আসে। গিরিধারী লাল রায় ছিলেন নিঃসন্তান। তিনি কলকাতার জনৈক গোবিন্দ লালকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেন। গোবিন্দ লাল ১৮৭৯ সালে এই জমিদারির উত্তরাধিকারী হন। তিনি ছিলেন খুবই স্বাধীনচেতা এবং একই সাথে জনপ্রিয়। তিনি...[…]

Travel Image

ঘুরে আসুন বালিয়াটির জমিদার বাড়ি

কর্মব্যস্ত একটি সপ্তাহ কাটানো পর অনেকেই চান কাজ থেকে ছুটির দিনে কোথাও বেড়িয়ে আসতে। কিন্তু শহরে ভিড় আর হট্টগোলের ভেতর বেড়ানোর প্রশান্তিটা আর মেলে কোথায়? শহর ছেড়ে দূরে কোথাও যাবেন সে সময়টাও তো নেই, কারণ ছুটি মোটে একদিন! রাজধানী ঢাকার সীমানা পেরোতে পারলেই মানিকগঞ্জ জেলার শুরু। ঘুরে আসতে পারেন মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার বালিয়াটি ইউনিয়নে অবস্থিত বালিয়াটি জাদুঘর থেকে। দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে পারবেন।
বর্তমান মানিকগঞ্জ শহরের গোড়াপত্তন হয় বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে। প্রাচীন এই শহরটি বর্তমান শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ছিল। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত মানিকগঞ্জ ছিল ঢাকা জেলার একটি মহকুমা। মহকুমা ঘোষণার আগে, অর্থাত্‍ ১৮৪৫ সালের পূর্বে মানিকগঞ্জ বন্দর এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল।
উনিশ শতকের শেষের দিকে ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত মানিকগঞ্জ বাজার ছিল প্রায় ২ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। শুকনো মৌসুম ছাড়া চলাচলের একমাত্র বাহন ছিল নৌকা। আর শুকনো মৌসুমে গাধা, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি ছিল পরিবহন ব্যবস্থা। এখানে সরষের তেল ও তামাকের বড় ব্যবসাকেন্দ্র ছিল। এগুলো আসত রংপুর ও কোচবিহার থেকে। এখান সেগুলোর চালান যেত নারায়ণগঞ্জ ও কলকাতায়।
বৃহত্তর ঢাকা জেলা গঠিত হওয়ার পর মানিকগঞ্জ বর্তমানে একটি জেলা। এই জেলার সাটুরিয়া থানায় অবস্থিত বালিয়াটি জমিদারবাড়িটিই বর্তমানে বালিয়াটি জাদুঘর।
বালিয়াটি জমিদারদের পূর্বপুরুষ গোবিন্দ রায় সাহা ছিলেন একজন ধনাঢ্য লবণ ব্যবসায়ী। বালিয়াটি জমিদারবাড়ি প্রায় ৫.৮৮ একর জমির ওপর অবস্থিত। পুরো চত্বরটি উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। এখানে রয়েছে ৭টি প্রাসাদসম ইমারত এবং মোট কক্ষ রয়েছে ২০০টি। এছাড়া অন্যান্য স্থাপনাও রয়েছে। ১৯ শতকের এই ইমারতগুলো ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বালিয়াটি প্রাসাদ ১৯৮৭ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
কীভাবে যাবেন :[…]

Travel Image

প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরে আসুন ঢাকার মাঝেই এক টুকরো সবুজ প্রান্তরে

কর্মব্যস্ত সপ্তাহ শেষে ইচ্ছে করবে দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে। কিন্তু দূরে যাওয়ার মত সময় কই? তখনই খোঁজ পড়ে ঢাকার ভেতর হারিয়ে যাবার মত জায়গার। ইট কাঠের এই শহরে এক টুকরো সবুজের দেখা মেলাই যেখানে ভার, সেখানে সবুজের প্রান্তরে হারিয়ে যাওয়া অনেকটাই অসম্ভব। কিন্তু এই অসম্ভব ইচ্ছা কিছুটা হলেও পূরণ করবে ‘দিয়াবাড়ি’। হ্যাঁ, যান্ত্রিক এই জীবনে একটু সবুজের ছোঁয়া পেতে চাইলে ছুটে যেতে পারেন উত্তরার দিয়াবাড়িতে।
সবুজ প্রান্তর। লেক পাড়। হু হু করা ঠান্ডা বাতাস। চারপাশে কাশবন। বিশেষ করে শরৎকালে যখন কাশ ফুল ফোটে। চাইলেই ছোটবেলার লুকোচুরি লুকোচুরি খেলাটাও খেলতে পারবেন এখানে”। লেকের এদিক ওদিক থেকে নৌকায় করে ঘুরেও আসতে পারবেন। চারদিকে শুনশান নীরবতা। একটু পর পর সেই নীরবতা ভেঙ্গে সাঁই সাঁই করে উড়ে যায় উড়োজাহাজ! অদ্ভুত সুন্দর একটি দৃশ্য। খুব কাছ থেকে উড়োজাহাজ উড়া দেখতে চাইলে এর চেয়ে ভাল কোন জায়গা হবে না। মাথা উঁচু করে উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজ দেখা মনে করিয়ে দিবে হারিয়ে যাওয়া ছেলেবেলাকে। সে এক অসাধারণ অনুভূতি।
আজকাল নাটকে একটি বটগাছ দেখতে পাওয়া যায়। এক বিশাল বটগাছ আর তার দুপাশে রাস্তা। এই বটগাছেরও দেখা মিলবে দিয়াবাড়িতে। এই জায়গারটার নাম এখন ‘দিয়াবাড়ি বটচত্বর’ হয়ে গেছে। প্রায় সময় সেখানে কোন না কোন নাটকের শুটিং চলে। ভাগ্য ভাল থাকলে হয়তো দেখা হয়ে যেতে পারে আপনার প্রিয় কোন তারকার সাথে। বেশ কিছুদূর সামনে গেলে দেখতে পাবেন একটি মরানদী। এটি তুরাগ নদীরই একটি শাখা। অনেকখানি জায়গা জুড়ে লাল মাটির চর। পরিত্যক্ত নৌকা। জাল ফেলে মাছ ধরছে জেলেরা। অদ্ভুত, অসাধারণ, রোমাঞ্চকর ও মনোরম পরিবেশে প্রিয়জনকে নিয়ে কাটিয়ে আসতে পারেন একটি রোমান্টিক বিকেল!
ঘুরাঘুরি শেষে ক্ষুধার জ্বালায় পেট যখন মোচড় দিবে তখন চলে যেতে পারেন বটতলা থেকে...[…]

Travel Image

বাংলার প্রাচীনতম শহর \"পানাম নগর\"

ঢাকার অদূরে সোনারগাঁয়ে পানাম নগর অবস্থিত। পানাম নগর বাংলার প্রাচীনতম শহর।
এখানে মূলত তখনকার ধনী হিন্দুসম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করতেন। তাঁরা ছিলেন ব্যবসায়ী শ্রেণীর ও তাঁদের এদের ব্যবসা বিস্তৃত ছিল ঢাকা ও কলকাতায়। তখন এখানে মসলিনের জমজমাট ব্যবসা ছিল। আজ আর সে সবের কিছুই অবশিষ্ট নেই, কেবল কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে পুরনো বাড়িগুলো। ঢাকা থেকে খুব কাছের এই স্থানটিতে একটু চাইলে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন ।
ঐতিহাসিক পানাম নগর-
১৫ শতকে ঈসা খাঁ বাংলার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেছিলেন সোনাগাঁওয়ে। ঈসা খাঁর যাতায়াত ছিল এই নগরীতে। সেই সময়টাতেই অর্থাৎ সুলতানি আমলে বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করে। পূর্বে মেঘনা আর পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা নদীপথে বিলেত থেকে আসতো বিলাতি থানকাপড়, দেশ থেকে যেতো মসলিন। শীতলক্ষ্যা আর মেঘনার ঘাটে প্রতিদিনই ভিড়তো বড় বড় পালতোলা নৌকা। প্রায় ঐ সময়েই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে ইউরোপীয় অনুপ্রেরণায় নতুন ঔপনিবেশিক স্থাপত্যরীতিতে গড়ে উঠে পানাম নগরী। ইংরেজরা এখানে নীলের বাণিজ্যকেন্দ্র খুলে বসে। সেই সাথে মসলিনের বাজার দখল করে নেয় নীল বাণিজ্য।
অনেকে বলেছেন পানাম ছিল সোনারগাঁয়ের রাজধানী। কিন্তু এই দাবীটির পক্ষে যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পানাম নগর যে সোনারগাঁয়ের প্রাচীন নগরী ছিল এই কথা সবাই একবাক্যে মেনে নেন। সোনারগাঁয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য পানামের আশেপাশে অনেক সেতু তৈরি করা হয়েছিল। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল পানাম পুল, দুলালপুর পুল। পানাম পুল এখন আর সেখানে নেই। কালের বিবর্তনে আজ হারিয়ে গেছে। এই পুলগুলো এবং এর সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী সড়ক তৈরি করেছিলেন মোঘলরা। ১৬১১ সালে মোঘলরা সোনারগাঁ অধিকারের পর সেখানকার ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেন।
পানামের অবকাঠামো-
পানাম নগরে ঢুকেই চোখে পড়বে একটি সরু রাস্তার...[…]

Travel Image

দক্ষিণ কোরিয়ায় বেড়াতে যাওয়ার আগে অবশ্যই যে ব্যাপারগুলো জানা উচিত

ছুটিতে ঘুরে আসতে চাইছেন কোরিয়ায়? তাই যদি আপনার পরিকল্পনা হয় সেটা তবে এই লেখাটি আপনারই জন্যে। দেখে নিন ঠিক কোন কোন বিষয় সম্পর্কে কোরিয়ায় যাওয়ার আগেই জানা উচিত আপনার।
১. কোরিয়ান ভাষা
কোরিয়ায় যাওয়ার আগে একটা জিনিস অবশ্যই খানিকটা হলেও শিখুন। আর সেটা হল কোরিয়ান ভাষা। ভাবছেন বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজি কে না জানে! কিন্তু অবাক করার মতন ব্যাপার হলেও সত্যি যে কোরিয়ার বাচ্চারা বেশ ভালো ইংরেজি জ্ঞান রাখলেও বয়স্করা কিন্তু একেবারেই তাতে অভ্যস্ত না।
২. ভিসা
দক্ষিণ কোরিয়ায় তিন মাসের বেশি প্রবেশ ও ঘোরার জন্যে ভিসা দেওয়া হয়না। কাজের জন্যে যেতে হলে আপনার দরকার হবে ই-২ ভিসা আর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
৩. প্রতিষেধক
দক্ষিণ কোরিয়ায় কাজের জন্যে ঢুকতে চাইলে প্রথমেই তারা আপনার শারীরিক কোন সমস্যা আছে কিনা সবকিছু দেখে-শুনে তবে ছাড়পত্র দেবে তারা। আর তাই এই ক্ষেত্রে থাকুন সাবধান। তবে কোরিয়ায় কোন ঔষুধের জন্যে ডাক্তারের কাছে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। ভ্রমণের জন্যে গেলে নিজের সাথেই যতটা দরকার বহন করুন। কারন এখানকার ঔষধগুলো যথেষ্টরকম কার্যকরী হয়। যেমন ধরুন, ডায়রিয়ার জন্যে ডাক্তারের দেওয়া অষুধ খেলে পরের কয়দিন হয়তো বাথরুমেই যেতে হবেনা আপনাকে আর!
৪. টিপস দেওয়া
সাধারনত মাঝে মাঝেই রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খানিকটা টিপস দিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি এখন আমরা। এছাড়াও নানা কাজে মানুষকে সম্মান হিসেবেই টাকা দিয়ে থাকি আমরা। এতে তারা খুশিও হয়ে ওঠে। আর বিদেশে যে ট্যাক্সিতে চড়লে, হোটেলে উঠলে কিংবা রেষ্টুরেন্টে খেলে খানিকটা টিপস দিতেই হবে যেটা জানা ব্যাপার। কিন্তু কোরিয়াতে সেটা একেবারেই আলাদা। এখানে আরো টিপস দেওয়ার ব্যাপারটাকে অনেক বেশি অপমানজনক হিসেবে নেওয়া হয়।
৫. খাবার
কোরিয়ায় গেলে না জেনে খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে অপরিচিত কোন খাবার। নিজেদের পৌরুষকে...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.