মজার বিষয় হলো, এই ইউনিয়নে শুধুমাত্র একটি গ্রাম, নাম পিরুজালি। খুব সম্ভবত দেশের অন্যতম বড় গ্রাম এটি।
ঢাকার কোলাহল থেকে একটু দূরে শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ বলেই মনে হয় বাংলা উপন্যাসের অন্যতম লেখক এইখানে এসে মাঝে মাঝে সময় কাটাতেন। কখনো নিজে একা একাই আসতেন, কখনো আবার বন্ধুবান্ধব নিয়ে আসতেন। আর এখানে বৈশাখে তো নিয়মিত মেলা বসাতেন তিনি।
-
-
গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হোতাপাড়া বাজার। সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে পিরুজালী গ্রামে অবস্থিত নুহাশ পল্লী যা ৪০ বিঘা জায়গা নিয়ে তৈরি। একেবারে জঙ্গলের ভিতরে হঠাৎ করে এক টুকরো পরিচ্ছন্ন উদ্যান। শান্ত সৌম্য পরিবেশ। উপরে লিচু, জাম আর জলপাই গাছ। নিচে সবুজ ঘাসের গালিচা। যেন এক টুকরো শান্তি নিকেতন।
-
যাওয়ার ইচ্ছা ছিল অনেক আগে থেকেই। আর সেই ইচ্ছাটা আরও প্রকট হয়েছিল তিনি মারা যাবার সময়। তখন কতই না লোক এসেছিল দেশে-বিদেশে থেকে কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত কারণেই যেতে পারি নাই। যাই হোক এইবার সেই সুযোগ এসছিল কিন্তু এবার আর হাত ছাড়া করি নাই। এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে বৃষ্টি মাথায় করে বেরিয়ে পরেছিলাম নুহাশপল্লির উদ্দেশে।
-
মেইন গেইট দিয়ে ঢুকতেই মনে হয়েছিল যেন সবুজ কার্পেটে মোড়ানো কোনও এক শিল্পীর রং তুলির আঁচরে আঁকা একখানা ছবি। চারিদিকে শুধুই সবুজের মিলন মেলা। এক নজরে এইদিক ওইদিক তাকাতেই চোখে পড়লো একটা সুইমিং পুল যেখানে নাকি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এবং হুমায়ূন আহমেদ একসঙ্গে জলে নেমেছিলেন, দাবার গুটির প্রতিকৃতি, টি-হাউসসহ নানা রকম দৃষ্টিনন্দন সব স্থাপত্য। এছাড়াও শত প্রজাতির দূর্লভ ঔষধি, মসলা জাতীয়, ফলজ ও বনজ গাছপালা। প্রতিটি গাছের গায়ে লাগিয়ে দেয়া আছে পরিচিতি ফলক, যা দেখে গাছ চেনা যায় সহজেই। সবুজ মাঠের মাঝখানে একটি বড় গাছের উপর ছোট ছোট ২টি...[…]
আজিঙ্কা রাহানের বিশ্ব রেকর্ড