Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মৌলভীবাজারে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে

শীতের আমেজ শুরু হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া, মাধবকুণ্ড, চা বাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।
ব্যস্ততার জীবনে একটু সবুজের প্রশান্তি পেতেই যেনো মানুষ ছুটে যাচ্ছেন সেখানে। আর দূর-দূরান্ত থেকে যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতেও সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।
চারিদিকে ছোটবড় টিলাগুলো যেন সবুজ গালিচা মোড়ানো। শান্ত, গভীর সৌন্দর্যের এই চা বাগানগুলোর কারণেই মৌলভীবাজার ভ্রমণপিপাসুদের কাছে ধরা দেয় একটু বাড়তি আকর্ষণ হয়ে।
শুধু চা বাগানের নীরবতা নয়, প্রকৃতির ভাঁজে ভাঁজে আছে পাহাড়ের বুক চিরে ঝরে পড়া ঝর্ণা কলতান আর গভীর বনে বন্যপ্রাণীর আনাগোনা। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপস্থিতি বেড়েছে।
আর আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন তৎপর বলে জানালেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান।
বৈচিত্র্যময় হাওড়, পাহাড়-টিলা মিলিয়ে শতাধিক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে জেলায়। প্রতিবছর কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হয় এখানে।[…]

Travel Image

লালাখাল

চা বাগানের দেশ সিলেটে ঘুরতে গেলে সবাই নজর থাকে কেবল শাহজালাল-শাহপরাণ এর মাজার দর্শণ, জাফলং আর মাধবকুন্ড বেড়ানো। জাফলং, মাধবকুন্ড ছাড়াও সিলেটের মাথা নষ্ট করার মত আরেকটি দর্শণীয় স্থান হচ্ছে লালাখাল। সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত এই অসাধারন সুন্দর জায়গাটির কথা এখনও অনেকেই অজানা।
স্বচ্চ নীল জল রাশি আর দুধারের অপরুপ সোন্দর্য, দীর্ঘ নৌ পথ ভ্রমনের সাধ যেকোন পর্যটকের কাছে এক দূর্লভ আর্কষণ। তেমনি এক নির্জন মনকাড়া স্থান লালাখাল। বাংলাদেশের সবোর্চ্চ বৃষ্ঠিপাতের স্থান এবং রাতের সৌন্দর্যে ভরপুর এই লালাখাল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার সন্নিকটে অবস্থিত। সারি নদীর স্বচ্চ জলরাশির উপর দিয়ে নৌকা অথবা স্পীডবোটে করে আপনি যেতে পারেন লালাখালে। যাবার পথে আপনির দুচোখ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে যাবেন কিন্ত সৌন্দর্য শেষ হবে না। মূলত সারিঘাট থেকে রওনা দেবার কিছুক্ষণ পরেই আপনার চোখে পড়বে দূরে মেঘালয়ের নীল পাহাড়গুলো। পথেই হয়ত দেখা মিলবে মহিষের পালের একসাথে গলা অবধি পানিতে ডুবে সাঁতার কাটার দৃশ্য। যত সামনে এগুতে থাকবেন ততই যেন মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি হাতছানি দিয়ে ডাকবে আপনাকে।
৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার যাত্রা শেষে আপনি পৌছে যাবেন লালখাল চা বাগানের ফ্যাক্টরী ঘাটে। মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবেন নদীর দিকে। কাঁচের মত স্বচ্ছ নীল পানির বুক ভেদ করে তাকিয়ে থাকে নদীর তলদেশ। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সৃষ্টি করেছে অনিন্দ সুন্দর প্রাকৃতিক মায়াজাল। এমন জায়গাটা দেখা না হলে সারাজীবনই আক্ষেপ থেকে যাবে। আক্ষেপ না রেখে ঘুরে আসুন লালাখাল থেকে। চাইলে লালাখালে পৌছে ঘুরে নিতে পারেন সেখানকার ছোট একটি টি-ফ্যাক্টরি।
যাতায়াত
লালাখালে যেতে হলে সিলেটের শিশু পার্কের সামনে থেকে লেগুনা অথবা জাফলংয়ের বাসে চেপে...[…]

Travel Image

ফানুসের উৎসব ই পিঙ

মনে আছে ডিজনির সেই ট্যাঙ্গলেড ছবিটির কথা? যেখানে রাজা-রানী নিজেদের হারিয়ে যাওয়া মেয়ের শোকে প্রতিবছর উড়িয়ে দিতেন ফানুস আর সেটাকে অনুসরণ করে রাজ্যের বাকী সবাইও যার যার মতো করে ফানুস উড়িয়ে দিত সাথে সাথে। তবে এখন যে উত্সবের গল্পটা বলব সেটা কোন কল্পকাহিনী নয়। এক্কেবারে সত্যি!
ভাবুন তো কোনো এক রাতের কথা। স্বাভাবিকভাবেই রাত যখন চারপাশটা অন্ধকারই থাকবার কথা। অথচ অন্ধকারের রেশটুকু নেই আলোর বন্যায়। সূর্য নেই তো কি হয়েছে? মানুষ নির্মিত লক্ষ লক্ষ ছোট্ট সূর্য শুধু সূর্যের অভাবটাই পূরণ করে দিচ্ছে না, বরং আরো যেন অন্যরকম এক ভালোলাগার আবেশ ছড়িয়ে যাচ্ছে মনের ভেতরে। নানা রঙ-এর ফানুসের মেলায় হেরে গিয়েছে সূর্যের আলোও। শুনলেও অন্যরকম ভালোলাগায় গা শিউরে ওঠা এই ফানুসের উত্সবটি খুব দূরের কোন দেশে নয়, প্রতিবছর পালিত হয় খানিক দূরের দেশ থাইল্যান্ডে।
কেন এই উৎসব
আরো অনেক কার্যকারণের মতোই মানুষের এই উত্সবটির পেছনেও রয়েছে নির্দিষ্ট একটি কারণ। আর সেই কারণটি হচ্ছে বিশ্বাস। ‘ই পিঙ' নামে প্রতিবছর থাইল্যান্ডে উদযাপিত আলোর এই উত্সবে পানির ওপরে প্রচুর পরিমাণ ফানুস উড়িয়ে দেয় সবাই। তবে সেটা এমনি এমনি নয়। মনে করা হয় এতে করে নিজেদের সৌভাগ্য আর সুখকে ডেকে আনে তারা। কেবল তাই নয়, আরো বিশ্বাস করা হয় ইচ্ছেপূরণ করার ক্ষমতাও রয়েছে এই ফানুসগুলোর। আর তাই নিজের ইচ্ছেকে পূরণ করার জন্যেও এখানে ছুটে আসে মানুষ। আর ফানুস উড়িয়ে দেন রাতে অন্ধকারে (ফেস্টিভাল এশিয়া)। ফানুসে ফনুসে ছোটখাটো এক আলোর রাজ্যই হয়ে দাঁড়ায় তখন পুরোটা উৎসব এলাকা।
উৎসবে যোগদান
থাইল্যান্ডের এই ফানুস উৎসবটি মূলত দুইটি ভাগে উদযাপিত হয়। একটি হয় দেশটির ভেতরে। নিজেদের মতো করে করা চিয়াং মাইএর এই উত্সবে গৌতম বৌদ্ধকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। নির্দিষ্ট...[…]

Travel Image

কালের সাক্ষী টাকা জাদুঘর

এমন একটা সময় ছিল যখন বিনিময় মূল্য হিসেবে কড়ির প্রচলন ছিল। সেই কড়ি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে পাঞ্চমার্কের প্রচলন হয়। যীশু খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় এক হাজার বছর আগে থেকে পাঞ্চমার্কের প্রচলন ছিল। তার পূর্বে এক পণ্য দিয়ে আরেকটি পণ্য বিনিময় হতো। পরবর্তীতে চীনে প্রথমবারের মত ধাতব মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। এরপর বাইজেনটাই, গ্রিস, রোমান অঞ্চলে ধাতব মুদ্রার প্রচলন শুরু হয়। একটি পর্যায়ে এসে চীনে প্রথমবারের মত কাগজি নোটের প্রচলন শুরু হয়ে যায়। সেখান থেকে অনেক বির্বতনের পর আস্তে আস্তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধাতব মুদ্রা ও কাগজি নোটের প্রচলন হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই তাদের নিজেদের ও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের সংগৃহিত মুদ্রা নিয়ে কারেন্সী মিউজিয়াম গঠিত হয়েছে। একটা সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে ক্ষুদ্র পরিসরে কারেন্সি মিউজিয়াম ছিল। ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরে প্রথমবারের ন্যায় বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমৃদ্ধ কারেন্সি মিউজিয়াম গঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয়েছে টাকা জাদুঘর। এর প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এখানে ‘টাকার গাছ’সহ বিভিন্ন শিল্পকর্মে অবদান রেখেছেন প্রথিতযশা শিল্পী হাশেম খান। এই টাকা জাদুঘরে গেলে দেখা যাবে প্রাচীন যুগ ও বর্তমান যুগের ধাতব মুদ্রা, ব্যাংক নোটসহ মুদ্রা সংরক্ষণের সকল উপকরণ। যেমন- কুষাণ রাজাদের মুদ্রা, হরিকেল রাজাদের মুদ্রা ও দিল্লি­র আটজন সুলতানের মুদ্রা। সুলতান আলাউদ্দীন মাসুদ শাহ, গিয়াসউদ্দীন বলবান, গিয়াস উদ্দীন তুঘলক শাহ, মুহম্মদ বিন তুঘলক, জালাল উদ্দিন ফিরোজ খলজী, আলাউদ্দীন মুহম্মদ খলজী, মইযউদ্দীন কায়কোবাদ, শামসউদ্দীন ফিরুয শাহ, গিয়াসউদ্দীন বাহাদুর শাহ, ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ, আলাউদ্দীন আলী শাহ, শামস উদ্দীন ইলিয়াস শাহ, শিহাবউদ্দীন বায়াযিদ শাহ, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ শাহ, নাসির উদ্দীন মাহমুদ শাহ, রুকন উদ্দীন বারকত শাহ, শামসউদ্দীন ইউসুফ শাহ, সাইফউদ্দীন ফিরুয শাহ, আলাউদ্দীন হুসাইন শাহ,...[…]

Travel Image

নিঝুম দ্বীপ

এখানে সমুদ্রের বুকে হেলে পড়ে অস্তগামী সূর্য, হাজার পাখির কলতান নিস্তব্দতার ঘুম ভাঙ্গায়, মায়াবী হরিনের পদচারনায় মুখরিত হয় জনপদ, সারি সারি কেওড়া গাছের কোল ঘেষে বয়ে চলে নদী, চুপিসারে কাছে ডাকে, মায়াবী ইন্দ্রজানে বেধে ফেলে মনুষ্যপ্রজাতীকে। সমুদ্রকোল হতে সরু খাল সবুজের বুক চিরে চলে গেছে গহীন বনে। সে যে সবুজ আর নোনা জলের কি এক প্রেমকাব্য না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। যেন সবুজ গালিচা বিছিয়ে দেয়া হয়েছে সমুদ্রের তলানী পর্যন্ত। স্বচ্ছ পানির নিচে সবুজ ঘাষ আর মাছেরা খেলা করে আপন খেয়ালে। দেখলেই মন চাইবে ঝাপিয়ে পড়ে পরাণ জুড়াই। এ এমনই এক মায়াবী প্রকৃতি যা শহুরে কর্মচঞ্চল মানুষক নতুন এক জীবন দেয়। নিঝুম দ্বীপ- সত্যিই নিঝুম। একবারই অলাদা। সব কিছুর বাহিরে। এখানে নেই পর্যটনের চাকচিক্য, রং চংগা বাতির ঝলক কিংবা যান্ত্রিক কোন বাহনের বিকট শব্দ। নিঝুম- সত্যিই নিঝুম, নিশ্চুপ। এ যেন প্রকৃতির একটি আলাদা সত্ত্বা। যা আর কোথাও নেই। বঙ্গোপসাগরের কোলে উত্তর ও পশ্চিমে মেঘনার শাখা নদী, আর দক্ষিণ এবং পূর্বে সৈকত ও সমুদ্র বালুচরবেষ্টিত ছোট্ট সবুজ ভূখণ্ড নিঝুম দ্বীপ—এখন পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় স্থান। নোয়াখালীর দক্ষিণে মূল হাতিয়া পেরিয়ে এ দ্বীপে পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় প্রমত্তা মেঘনা। শীতে নদী শান্ত থাকে বলে প্রকৃতিকে ভিন্ন স্বাদে উপভোগ করতে ভ্রমণপিয়াসীরা ছুটে যায় নিঝুম দ্বীপে। চিত্রা হরিনের চঞ্চল ছুটে চলা আর পাখির কলতান উপভোগ করার জন্য যেন প্রকৃতি আমাদেরকে বিলিয়ে দিয়েছ এই সম্পদ। ৬০ হাজারের বেশি হরিণের ছুটোছুটিতে এ দ্বীপের অরণ্য থাকে সর্বদাই মুখরিত। যারা বনবাদাড় মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে সৈকত আর সমুদ্র বালুচর দেখতে আগ্রহী তাদের জন্য আরও আকর্ষণীয় এখন নিঝুম দ্বীপ। শীতের সময় শরীরকে একবার চাঙ্গা করে নিতে হলে এখন ঘুরে...[…]

Travel Image

মুন হাউজ পার্ক

গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকায় হুমায়ুন আহমেদের নুহাশ পল্লীর পাশেই অবস্থিত এই মুন হাউজ পার্ক। অত্যন্ত নিরাপদ ও সাজানো গোছানো একটি মনোরম রিসোর্ট এটি। এখানে দুই রুমের একটি রিসোর্ট রয়েছে। রয়েছে খোলা মাঠ, সাজানো বাগান, শিশুদের জন্য খেলার জায়গা।
গায়ে হলুদ, পারিবারিক পিকনিক, ভ্রমন, হানিমুন, জন্মদিন ও শুটিং এর জন্য এটি যে কেউ ভাড়া নিতে পারে। খাওয়া দাওয়া সহ রয়েছে বারবি-কিউ এর ব্যবস্থা।
যেভাবে যেতে হবে:
ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের পাশে হোতাপাড়া বাসস্ট্যানড হতে মনিপুর বাজার পার হয়ে ৩ কিমি. পশ্চিমে গেলেই পাবেন মুন হাউজ পার্ক।
কোথায় থাকবেন:
মুন হাউজ পার্কে থাকার জন্য রয়েছে চমৎকার একটি কটেজ।
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান:
নুহাশ পল্লী
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
শফিপুর আনসার একাডেমী[…]

Travel Image

মেঘলা পর্যটন স্পট

বান্দরবন শহরের প্রবেশদ্বারে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের পার্শ্বেই অবস্থিত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট মেঘলা। নাম মেঘলা হলেও মেঘের সাথে মেঘলা পর্যটন স্পটের কোন সর্ম্পক নেই। এ যেন ভুমিতেই বিছানো হয়েছে সুন্দরের গালিচা। বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের ৫ কি:মি: আগে মেঘলা পর্যটন এলাকাটি অবস্থিত। এটি সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে। ঘন সবুজ গাছ আর লেকের স্বচ্ছ পানি পর্যটককে প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয় প্রতিনিয়ত। বৈচিত্র্যপিয়াসী মানুষের আত্মিক ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারণের অপূর্ব স্থান মেঘলা।
লেকের উপরে রয়েছে আকর্ষণীয় দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। চিত্তবিনোদনের অন্যান্য নানা উপকরণের মধ্যে রয়েছে শিশুপার্ক, সাফারি পার্ক, চিড়িয়াখানা, প্যাডেল বোট, ক্যাবল কার, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, এখানে সবুজ প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চুঁড়ায় চড়ে দেখতে পাবেন ঢেউ খেলানো পাহাড়ী বান্দরবানের নয়নাভিরাম দৃশ্য। মেঘলা পর্যটন স্পটের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বান্দরবান পর্যটন হোটেলটি। সাময়িক অবস্থানের জন্য এটি একটি চমৎকার রেষ্ট হাউজ। জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়।
যেভাবে যেতে হবে
.ইউনিক, এস.আলম সহ বেশ কয়েকটি বাসে করে ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দবন যেতে পারেন।
.ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী নামক দুটি ডাইরেক্ট নন এসি বাস আছে ৩০ মিঃ পর পর বান্দরবানের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়।
.বান্দরবন শহর েথকে চান্দেরগাড়ী কিংবা ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা করে যাওয়া যায় মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে।
কোথায় থাকবেন
.বান্দরবনে পর্যটন কর্পোরেশনের একটি হোটেল আছে মেঘলাতে। এখােন থাকতে পারেন। বুকিং এর জন্য ফোন করতে পারেনঃ ০৩৬১-৬২৭৪১ এবং ০৩৬১-৬২৭৪২
.হোটেল ফোর স্টারঃ এটি বান্দরবান বাজারে অবস্থিত। বুকিং ফোন:-০৩৬১-৬৩৫৬৬, ০১৮১৩২৭৮৭৩১,০১৫৫৩৪২১০৮৯।
.হোটেল থ্রী স্টারঃ এটি বান্দরবান বাস স্টপের পাশে অবস্থিত।...[…]

Travel Image

পেঁচার দ্বীপ

কক্সবাজারের কলাতলী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় চেপে সোজা রেজুব্রিজের কাছেই মারমেইড ইকো রিসোর্ট। রাস্তার ওপর থেকে তাকালে গাছপালার আড়ালে চোখে পড়ে ছোট-বড় অনেক কুটির। বড় রাস্তার ঢাল বেয়ে নিচে নামতেই কানে আসে কলরব। দুই পাশের জলাধারে ঝিকমিক করে ভরদুপুরের রোদ্দুর। গোটা তিরিশেক ভিলা আর বাংলোর নামেরও একই হাল।
কিন্তু ঘরগুলো সত্যিই মন ভালো করে দেওয়ার মতো। বাইরে স্রেফ কুটিরের মতো দেখালেও ভেতরে মোটামুটি আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা মজুদ। স্নানঘরটায় ঢুকলে মুহূর্তেই মন ভালো হয়ে যায়। প্লাস্টিকের বোতলে ভর্তি বাজারি শ্যাম্পুর বদলে কাচের পাত্রে ভেষজ উপায়ে বানানো শ্যাম্পু। সেটা আবার সবুজ গাছের পাতা দিয়ে কায়দা করে ঢাকা। দুই পাশে দুটো কাঠগোলাপ ফুল গুঁজে দেওয়া। সাবান, শ্যাম্পু রাখা হয়েছে নারকেলের লম্বা একটা খোলের মধ্যে।
মারমেইড ইকো রিসোর্টে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন সব জিনিসপত্র যথাসম্ভব কম ব্যবহার করা হয়েছে। পেঁচার দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ বহাল রেখেই সব বাংলো তৈরি করা হয়েছে। ইয়োগা সেন্টার, স্পা, নৌকা ভ্রমণ, সম্মেলন কক্ষ, প্রেক্ষাগৃহ সব কিছুরই এখন ব্যবস্থা আছে এই পরিবেশবান্ধব অবকাশ যাপন কেন্দ্রে। মারমেইড রিসোর্টের মূল নকশা করেছেন স্থপতি জিয়াউদ্দিন খান।
নাগরিক কোলাহল নেই। হাঁকডাক নেই। দুপুরের রোদ মরে এলে কুটিরের সামনের বাঁশের বেঞ্চে গা এলিয়ে দিয়ে বসতে ভারি আরাম। এ সময়টা নৌকা ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ার জন্যও অতি উত্তম। বাংলোর সারি আর নারকেল গাছ পেরিয়ে হেঁটে গেলে রেজু খালের পাড়। দেখবেন, নীলচে রং ধরতে শুরু করেছে সবে সাগরের শাখা রেজু খালের পানিতে। পাশ দিয়ে ভেসে যাবে বাহারি সাম্পান। দূরে আদিগন্ত বিছিয়ে থাকা সমুদ্র। নৌকা থামবে ওপারের কোনো এক অজানা চরে। বালুকাবেলায় পা রাখতেই হুটোপুটি করে ছুটে পালাবে লাল কাঁকড়ার দল। দখিনা বাতাসের দোলায় মাথা নেড়ে যেন অভিবাদন জানাবে ঝাউবন। তারপর...[…]

Travel Image

মাধবপুর লেক

প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভুমি মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত মাধবপুর লেক দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি স্থান। এটি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের পাত্রখলা চা বাগানে অবস্থিত। মৌলভীবাজার থেকে ৪০ কিলোমিটার ও শ্রীমঙ্গল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মনোরম লেকটি।
সুনীল আকাশ, ঘাঢ় সবুজ পাহাড়, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত মনোরম চা বাগানের দৃশ্যে হারিয়ে যান আপন মনে। চারিদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত লেকটি সত্যি অপূর্ব। লেকের ঝলমল পানি, ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের উপস্থিতি আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলে। আস্তে আস্তে যতই সামনের দিকে এগুতে থাকবেন ততই ভাল লাগবে। মাঝে মাঝে বানর ও হনুমানের লাফালাফির দৃশ্যও চোখে পড়ে। মাধবপুর লেকে গিয়ে পৌঁছতেই সবুজ পাতার গন্ধ যে কারো মনকে চাঙ্গা করে তুলবে। চারদিকে সবুজ পাহাড়। পাশাপাশি উঁচু উঁচু টিলা। সমতল চা বাগানে গাছের সারি। হয়তো এরই মাঝে একঝাঁক পাখি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাবে তাদের সুরের মুর্চ্ছনা দিয়ে। পাহাড়ী পাখির গান আর নৃত্য ছাড়াও দেখা যায় নানান প্রজাতির বন্যপ্রাণী। মাধবপুর লেক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে অঙ্কিত মায়াবী নৈসর্গিক দৃশ্য। সুনীল আকাশ আর গাঢ় সবুজ পাহাড়, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত চা বাগানের এই মনোরম দৃশ্য আকর্ষন করে নিয়ে যাবে ভিন্ন জগতে। চারদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝখানে অবসি’ত লেকটি খুবই চমৎকার। প্রতিদিনই পর্যটকরা আসছেন মাধবপুর লেকে। শত শত বিনোদন প্রিয় পর্যটকদের পদভারে পুরো বছরই মুখরিত থাকে লেক।
শ্রীমঙ্গলের সব দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে হলে অন্তত ৩-৪ দিন সময় নিয়ে এলেই ভালো হয়। তাহলে আর দেরী না করে হাতে ৩/৪ দিন সময় নিেয় বেড়িয়ে পড়ুন শ্রীমঙ্গলের পথে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে।
যেভাবে যেতে হবে
প্রথমে আপনাকে যেতে হবে শ্রীমঙ্গল।
ট্রেনেঃ
প্রতিদিন ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের পথে তিনটি...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.