Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ছুটিতে যাবার আগে জেনে রাখুন এই ১৫টি টিপস

শীত আসছে আর এ সময়টায় অনেকেই ছুটি কাটাতে বেড়িয়ে আসেন শহরের বাইরে। তবে ছুটিতে যাবার আগে খুব দরকারি একটা কাজ করতে ভুলে গেছেন আর তার দুশ্চিন্তায় পুরো ছুটিটাই মাটি- এমন ঘটনাও ঘটে খুব। তাই মোটেই ভুলে যাওয়া যাবে না এই কাজগুলোকে।
১) বিল শোধ করে ফেলুন
ছুটিতে যাবার আগে সেই মাসের বিলগুলো দিয়ে ফেলুন। নয়তো দেখা যাবে ছুটি শেষ করে আসতে আসতে বিল দেবার তারিখ পার হয়ে গেছে।
২) ওয়ালেট থেকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস বের করে ফেলুন
পুরনো বিভিন্ন রিসিপ্ট, বাজারের লিস্ট, আগের ছুটির বাস/ট্রেন/প্লেন টিকেট ইত্যাদি বের করে ফেলুন ওয়ালেট বা পার্স থেকে। এগুলো পরে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।
৩) দরকারি ডকুমেন্ট কপি করে রাখুন
বিশেষ করে দেশের বাইরে বেড়াতে গেলে এই কাজটি অবশ্যই করবেন। আপনার আইডি, পাসপোর্ট, ক্রেডিট কার্ড এগুলোর ফটোকপি করে রাখুন। স্ক্যান করে সেই কপি আপনার ইমেইলেও সেভ করে রাখতে পারেন।
৪) অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করুন
ডাক্তার, ডেন্টিস্ট অথবা অন্য কোনো জায়গায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকলে সেটা মনে করে ক্যান্সেল করে যান। আপনার অফিসেও যদি কোনো মিটিং এ বসার কথা থাকে তাহলে জানিয়ে যান তা হচ্ছে না।
৫) সুইচ অফ
বাড়ি থেকে বের হবার আগে অবশ্যই সবকিছুর সুইচ বন্ধ করে যাবেন। সব ইলেকট্রনিক জিনিস প্লাগ খুলে রাখবেন। এতে শক্তি এবং টাকা দুটোই বাঁচবে।
৬) লিস্ট চেক করুন
কি কি নেওয়া লাগবে সাথে তার জন্য একটা লিস্ট তৈরি করে রাখুন আগে থেকেই। বের হবার আগে ভালো করে কয়েক বার এই লিস্ট চেক করে নিন। দরকারি ওষুধ সাথে করে নিতে ভুলবেন না অবশ্যই।
৭) বই এবং স্ন্যাকস
অনেকেই বাসস্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশন বা এয়ারপোর্ট থেকে বই, ম্যাগাজিন, চিপস, চকলেট এসব কিনে থাকেন। কিন্তু এতে খরচটা বেশি হয়ে যায়। এর...[…]

Travel Image

ঘুরে আসুন দার্জিলিং

দেশ দেখে বেড়ানোটা আনন্দের। কিন্তু সেটা যদি হয় আর্থিক সঙ্গতির মধ্যে, তবেই তা সম্ভব। বিভিন্ন মানুষের দেশ দেখে বেড়ানো বিভিন্ন রকম। বিলাসবহুল জীবনযাপন যারা করেন তারা একটু আভিজাত্যের ছাপ রেখেই দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করে বেড়ান। কিন্তু সবার সঙ্গতি তো আর সমান নয়। আর সমান নয় বলেই কি দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না?
যাবে। অবশ্যই যাবে। চারদিক থেকে নিজের আভিজাত্যকে একটু কাটছাঁট করে নিলেই তা সম্ভব। স্বল্প খরচে, অল্প আরামে মনটাকে মানিয়ে নিতে পারলেই আমাদের চোখের সামনে খুলে যাবে সৃষ্টির অনেক অজানা দুয়ার। আর সেই দুয়ার খুলেই চলুন চট করে বেড়িয়ে আসা যাক, হিমালয়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা ছবির মতো সুন্দর স্বপ্নপুরী দার্জিলিং থেকে।
কিভাবে যাবেন?
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিভোর নগরী পাহাড়ে ঘেরা অপূর্ব চিরহরিৎ ভূমির দার্জিলিংয়ে স্থলপথে রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি দার্জিলিং যেতে চাইলে উত্তরবঙ্গের বুড়িমারি সীমান্ত অতিক্রম করে যাওয়াটাই সবচেয়ে সুবিধাজনক। ঢাকার গাবতলী থেকে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে উত্তরবঙ্গের বুড়িমারী সীমান্তের উদ্দেশে। ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস থেকে পাসপোর্টে নির্দিষ্ট সময়ের ভিসা নিয়ে রাত ১০টার সুপার সেলুন চেয়ার কোচে উঠে পড়–ন বুড়িমারী সীমান্তের উদ্দেশে। ভাড়া জনপ্রতি আর কত সামর্থের মধ্যেই। ভোর ৭টা নাগাদ আপনি অনায়াসে পৌঁছে যাবেন বুড়িমারী চেকপোস্টে। ইমিগ্রেশন অফিসের কাছেই সব বাস থামে। প্রাতঃরাশ সম্পন্ন করে ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তির সঙ্গে সম্পন্ন করে নিন ভ্রমণ কর ও কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া। অবশ্য আপনি চাইলে ঢাকা থেকেই ভ্রমণ কর প্রদান করে যেতে পারেন সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায়। বুড়িমারী অতিক্রম করে ওপারে চ্যাংড়াবান্দা সীমান্তে পৌঁছে একইভাবে সম্পন্ন করে নিন আপনার ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া। ও ভালো কথা, আপনার বহনকৃত ইউএস ডলার চ্যাংড়াবান্দায় অবস্থিত সরকার অনুমোদিত ডিলারদের কাছ থেকেই ভারতীয়...[…]

Travel Image

পুরোনো ঢাকায় ঘুরতে গেলে ঐতিহ্যবাহী যেসব খাবার না খেলেই নয়

ঢাকায় রয়েছে অনেক অনেক পর্যটনস্থল। রয়েছে ঢাকাই কাপড়, সংস্কৃতি আর ঢাকাইয়া ভাষা। তবে এ সবকিছুর পাশাপাশি ঢাকায় সবাইকে আকর্ষণ করবার মতন আর যে জিনিসটি রয়েছে সেটা হল এখানকার ঐতিহ্যকে বহন করে আসা নানা রকমের উপাদেয় খাবার। ভোজনবিলাসী হিসেবে বাংলাদেশের মানুষদের একটা আলাদা পরিচিতি থাকলেও ঢাকার, বিশেষ করে পুরোন ঢাকার মানুষদের খ্যাতি এ ব্যাপারে অনেকটাই বেশি। কিন্তু দৃঃখজনক হলেও সত্যি যে, ঢাকায় বসবাসের অনেক দিন পেরিয়ে গেলেও এ শহরে এমন অনেকে আছেন যারা ঢাকার, বিশেষ করে পুরোন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোকে এখনো অব্দি চেখেই দেখেননি পুরোপুরি। চেখে দেখা তো দূরে থাকুক, অনেকে কখনো নামই শোনেন নি অনেক বিখ্যাত খাবারের। আর সেসব ঢাকাবাসীদের জন্যেই আজকে দেওয়া হল প্রিয়তে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কিছু খাবারের নাম। যেগুলো না খেলে হয়তো জীবনে বড় একটা ব্যাপার হারাবেন আপনি! আর তাই চটজলদি জেনে নিন খাবারগুলোকে আর নিয়ে আসুন তাদের স্বাদ।
১. কাচ্চি বিরিয়ানী
ঢাকায় এসেছেন অথচ নান্না, হাজি কিংবা হানিফের বিরিয়ানীর নাম শোনেন নি এমন মানুষ হাতে গুনে হয়তো দু-পাঁচজনও পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। অনেক আগে থেকেই সবার মুখের স্বাদকে আরো অনেকটা বাড়িয়ে দিয়ে চালু করা হয়েছিল এই নানান মশলার উপাদেয় খাবার। আর তারপর থেকে এখনো অব্দি বাঙালীর রসনা পুরোপুরিভাবে তৃপ্ত করে দিয়ে আসছে এই খাবারটি। ঢাকার বিখ্যাত কাচ্চি বিরিয়ানীর খোঁজ পেতে হলে আপনাকে ঢুঁ মারতে হবে কাজী আলাউদ্দীন রোড, নারিন্দা, নাজিমুদ্দীন রোড, মালিটোলা, সুরিটোলা, নবাবপুর কিংবা মৌলবীবাজার রোডে। সেখানে গেলেই গন্ধে গন্ধেই আপনাকে টেনে নেবে নান্না, হানিফ, হাজী, ভুলু, মামুন, রহিম, রয়েল কিংবা ঝুনার কাচ্চি বিরিয়ানী।
২. বাকরখানি
আগা বাকেরের নামে নামাঙ্কিত এই বাকরখানি তৈরি হয় দুধ, ময়দা, মেওয়ার খামির আর ঘি থেকে। ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় এই উপাদেয়...[…]

Travel Image

কোনার্কের সূর্যমন্দির

প্রধান সড়ক থেকে সূর্যমন্দিরে হাঁটার পথ। ৩০০ গজ হবে। মন্দিরের গেটে গিয়ে থামতে হবে। টিকিট কাটতে হবে। মন্দিরে ঢুকতে চওড়া সড়ক। সড়কের দুই পাশে সবুজ পরিপাটি বাগান। এরপর মন্দিরে ঢোকার প্রধান গেট। সূর্যমন্দির। একসময় মন্দিরটি সমুদ্রের পাড়ে অবস্থিত ছিল। কথিত আছে, শ্রীকৃষ্ণর ছেলে শাম্ব এখানে সূর্য উপাসনা করে কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। এ জন্যই এটির নাম সূর্যমন্দির। মন্দিরটি আন্তর্জাতিক বিশ্ব ঐতিহ্য প্রকল্প কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ও ইউনেস্কো নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের (১০৭৮-১৪৩৪) রাজা প্রথম নরসিংহদেব (১২৩৮-১২৬৪) দ্বারা নির্মিত। এক হাজার ২০০ শিল্পী ১২ বছরে এটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। পুরো মন্দিরটি পাথরের খাঁজ কেটে তৈরি করা হয়েছে। কারুশিল্পের চমৎকার নিদর্শন এই মন্দির। না দেখলে বোঝার উপায় নেই কারুকার্যের নিদর্শন এরূপ হতে পারে। মন্দিরটির উচ্চতা ২২৮ ফুট। মন্দিরের কারুকার্যে তিন রকমের সূর্যদেবতা রয়েছে। দক্ষিণ পাশের সূর্যদেবতাকে ‘উদিত সূর্য’, যার উচ্চতা ৮.৩ ফুট, পশ্চিম দিকের সূর্যদেবকে ‘মধ্যাহ্ন সূর্য’, যার উচ্চতা ৯.৬ ফুট এবং উত্তর দিকের সূর্যদেবকে ‘অস্ত সূর্য’, যার উচ্চতা ১১.৫ ফুট, আখ্যায়িত করা হয়েছে।
পুরো সুর্যমন্দিরটি একটি রথের মতো। এটি তৈরি করা হয়েছিল সূর্যদেবের পুজোর জন্য। মন্দিরে আছে ২৪টি চাকা। প্রতি চাকায় আটটি খাডি। একেকটি চাকার ব্যাস ৯.৯ ফুট।
মন্দিরের দক্ষিণ দিকের কারুকার্যে খচিত রয়েছে দুটি যোদ্ধা ঘোড়া। প্রতিটি দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট ও প্রস্থে ৭ ফুট। পূর্ব দিকে মন্দিরে প্রবেশের মুখে দুই পাশে দুটি ঐশ্বর্যপূর্ণ সিংহ দুটি হাতির ওপর চেপে আছে। প্রতিটি সিংহ ও হাতির মূর্তি একটি পাথরের তৈরি। এটি দৈর্ঘ্যে ৮.৪, প্রস্থে ৪.৯ এবং উচ্চতায় ৯.২ ফুট। প্রতিটি সিংহ ও হাতির ওজন ২৭.৪৮ টন। এটি মন্দিরের প্রধান গেট। এ ছাড়া মন্দিদের গায়ে অসংখ্য দেবদেবীর...[…]

Travel Image

হাজার দুয়ারী প্যালেস মিউজিয়াম

বাংলার নবাব মুর্শীদকুলি খাঁ মুর্শিদাবাদ শহরের প্রতিষ্ঠাতা।বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা’র রাজধানী হিশেবে এ শহরের চরম উৎকর্ষতা।সুন্দর মনোরম তিনতলা বিশিষ্ট-‘হাজার দুয়ারী প্যালেস মিউজিয়াম’ প্রাসাদটি ‘মুর্শিদাবাদ’র সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান।ইতালীয় স্থাপত্যকলার এক অনুপম জীবন্ত নিদর্শন এটি।
প্রতিটি কক্ষের কারুকার্য অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।এর গ্রাউন্ড ফ্লোর’এ রয়েছে অস্ত্রাগার,অফিস,কাছারী,রেকর্ড রুম ইত্যাদি।অস্ত্রাগারে প্রায় ২৬০০ টি অস্ত্র সজ্জিত আছে বলে জানা যায়।এগুলো পলাশীযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এতে যেমন সংরক্ষিত আছে নবাব আলীবর্দী’র ব্যবহৃত তলোয়ার, বহুনল বিশিষ্ট বন্দুক তেমনি আছে নাদির শাহ বা মীর কাশেমের ছোরা, অস্ত্র ও বিভিন্ন আকারের কামান। দ্বিতল ও ত্রিতলায় রয়েছে ‘আর্ট গ্যালারী ও লাইব্রেরী’। আর্ট গ্যালারীতে বিশ্ববিখ্যাত বিভিন্ন চিত্রশিল্পির চিত্রকলা।এর মধ্যে-‘the burial of sir John More, Adom & Eve. Black Bent’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।লাইব্রেরী কক্ষে ছোট বড় আকারের অসংখ্য চুক্তিপত্, নাটক, নভেল,তাম্রলিপি,দলিল দস্তাবেজ, ইতিহাস সহ দেশি-বিদেশী বিভিন্ন বইপত্র। আইন-ই-আকবরী (আবুল ফজল) ও হারুন-উল-রশীদ’র হস্তলিখিত কোরান শরীফ এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।২০ কেজি ওজন বিশিষ্ট তিন হাত বাই ২ হাত আকৃ্তির সুবিশাল এলবামটি আপনাকে আকৃ্ষ্ট করতে বাধ্য। সমগ্র কেল্লা কম্পাউন্ডের আয়তন ৪১ একর।এই হাজার দুয়ারী প্যালেসটির সম্মুখভাগে দুপাশে মনোরম ফুলের বাগান।একতলা প্যালেসের সম্মুখভাগের সিঁড়িটি ‘দরবার কক্ষ’ পর্যন্ত উঠেছে। হাজার দুয়ারী প্যালেস মিউজিয়াম’ প্রাসাদটি শুক্রবারে বন্ধ থাকে। প্রবেশ মুল্য দশ টাকা।
হাজার দুয়ারী প্যালেস মিউজিয়াম’ প্রাসাদটির বিপরীত পার্শ্বে ‘ইমাম বাড়া’ অবস্থিত।পবিত্র আশুরা উপলক্ষে মহরমের প্রথম দশদিন এ সুরম্য ভবন জনসাধারনের প্রবেশের জন্য খোলা থাকে।এসময়ে এখানে মেলা বসে।বর্তমানে এদু’টি স্থাপত্য ভারত সরকারের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে বিভাগের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

হাজার দুয়ারী প্যালেস মিউজিয়াম’ প্রাসাদটি দেখতে আসলে আপনি বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখতে পারেন। যেমন-(১) কাঠগোলা বাগান, (২)নশীপুর রাজবাটি (৩)আজিমুন্নেসা সমাধি, (৪) ইংরেজ সমাধি,(৫)ডাচ সমাধি, (৬)জগৎশেঠের বাড়ি, (৭)সিরাজের প্রাসাদ হিরাঝিল, (৮)মতিঝিল, (৯)কাটরা/চক মসজিদ,...[…]

Travel Image

মেঘের রাজ্য চেরাপুঞ্জি

প্রাথমিক কিংবা মাধ্যমিকের ভূগোল বইয়ের একটি সাধারণ প্রশ্ন-পৃথিবীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় কোথায়? উত্তর-ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে। এটুকু পর্যন্ত মোটামুটি সবার জানা। তবে অনেকেই জানেন না এই চেরাপুঞ্জি বাংলাদেশ থেকে কতদূর। ম্যাপ বের করে হিসাব-নিকাশ করে দেখবেন বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে চেরাপুঞ্জি সোজাসুজি কুড়ি কিলোমিটারেরও কম। বাড়ির পাশেই বিশ্বের বৃষ্টিবহুল এই এলাকা, সেখানে আষাঢ় কিংবা শ্রাবণের বৃষ্টি উপভোগ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এই বৃষ্টির মৌসুমে ঘুরে আসুন চেরাপুঞ্জি। সঙ্গে রাখবেন মেঘালয়ের রাজধানী ভারতের অন্যতম পর্যটন শহর শিলং। কেউ কেউ বলেন, দার্জিলিং যদি হয় রূপের রানী তা হলে শিলং হচ্ছে রাজা।
ম্যাপ দেখে দূরত্ব কুড়ি কিলোমিটারের কম হলেও সীমান্তের যেখানে ইমিগ্রেশন অফিস আছে, সেই তামাবিল থেকে চেরাপুঞ্জি যেতে আপনাকে ঘুরতে হবে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ। আর এটুকু পথ পেরুতে সময় লাগবে অন্তত দুই ঘণ্টা। শিলংয়ের দূরত্ব এর চেয়ে সামান্য বেশি, সময়ও কিঞ্চিত্ বেশি লাগতে পারে। তবে সীমান্ত পার হয়ে যখন পাহাড়চূড়ার আঁকাবাঁকা পথে চলতে থাকবেন তখন মনে হবে এই দূরত্ব আরও বেশি হলেই বোধহয় ভালো ছিল। চলার পথে আপনাকে সঙ্গ দেবে চারপাশের অসাধারণ সুন্দর সব পাহাড়। কখনও আপনাকে চারপাশ থেকে ঢেকে দেবে মেঘ। প্রকৃতির মধ্যে নিজেকে মনে হবে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে পড়া যাযাবর। কখনওবা পাহাড়ের ঢালে সরু রাস্তার আরেক পাশেই গভীর খাদ। এ এক ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’ দৃশ্য।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সিলেট, সেখান থেকে বাসে কিংবা সিএনজি স্কুটারে তামাবিল। ভারতের পাহাড়গুলোর ঠিক পাদদেশে বাংলাদেশের এই প্রান্তে সমতলভূমিতে ইমিগ্রেশন-কাস্টম অফিস। সীমান্ত পার হলেই জায়গাটার নাম ডাউকি। ইমিগ্রেশন-কাস্টমের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ভাড়া করতে হবে ট্যাক্সি। শুরুতে শিলং যাওয়াই ভালো। শিলং শহর আর তার আশপাশের জায়গাগুলো ঘুরে বেড়িয়ে তারপর সেখান থেকেই এক দিনের জন্য চেরাপুঞ্জি ঘুরে আসা যাবে। আর যারা...[…]

Travel Image

মালয়েশিয়ায় যা দেখার আছে

এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ রাজধানী হিসেবে কুয়ালালামপুর ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসীর নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকেই এখানে বসছে বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া উৎসব। কেবল ক্রীড়া উৎসবই নয়,ভ্রমণকারীদের জন্য মালেশিয়াকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সমুদ্রপাড়ের এই দ্বীপ দেশটিতে দর্শনার্থীগণ অন্যরকম আনন্দ খুঁজে পাবেন।
দেখার স্থানের মধ্যে রাজধানী কুয়ালালামপুরে রয়েছে-চেন সি সো ইয়েন হাউস,মেনারা অলিম্পিয়া,ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি,পুত্রজায়া ব্রীজ,রয়্যাল প্যালেস,এগ্রিকালচারাল পার্ক,ন্যাশনাল বোটানিক্যাল গার্ডেন,অর্কিড পার্ক,বার্ড পার্ক প্রভৃতি। তবে সিটি ট্যুরের বাইরে আপনার যদি অন্য কোথাও যেতে ইচ্ছে জাগে সেখান থেকে যেতে পারেন কুচিং শহরের বোর্নিও দ্বীপে। এখানে দেখবেন বোনিংও জঙ্গলের লং হাউস। গভীর জঙ্গলের মধ্যিখানে অবকা করা একটা গ্রাম সাজিয়ে বসে রয়েছে এর অধিবাসীরা। কুচিং শহরটাও দেখার মত। শহরে রয়েছে মিউজিয়াম,প্যালেস,ফোর্ট প্রভৃতি দর্শনাীয় স্থান। নদীতে নৌকোবিহারও করতে পারেন। জঙ্গলে যাবার পূর্বে অবশ্যই আপনার এজেন্টকে জানিয়ে রাখতে হবে যে জঙ্গলে যেতে চাচ্ছেন। তাছাড়া পোশাক, টর্চ, ওষুধপত্র, পোকামাকড় বিতাড়ক মলম ইত্যাদি মনে করে সঙ্গে নিন।
জঙ্গলে যাবার যাত্রাপাথে বাস যখন সারি সারি রাবার বাগানের মধ্যে থামবে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে অনায়াসেই। তারপর নদীতীর দিয়ে গিয়ে পৌঁছবেন নদীতে আপনার জন্য অপেক্ষারত সরু মোটরচালিত নৌকায়। এই নৌকাই ক্র্যাং নদীতে ভেসে ভেসে একসময় গভীর জঙ্গলে পৌঁছবে আপনাকে নিয়ে। এই জঙ্গলের মাঝে চোখে পড়বে লং হাউস,দীর্ঘ বাঁশের ঘর,বিশাল বাঁশের মাচা,কুটির ইত্যাদি। এখানে মাচার উপর বাঁশের তৈরি দীর্ঘ কুটিরকেই লং হাউস বলে। দীর্ঘ মই বেয়ে তাতে চড়া যায়। এই বনে এলে নিশ্চিত অরণ্য মানুষের এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চার করতে পারবেন।
কুয়ালালামপুর শহুরে দর্শনীয় স্থানের কোনো অভাব নেই। দেখতে পারেন মালেশিয় সংস্কৃতি,হস্তশিল্প,নানা নিদর্শন। এছাড়াও রয়েছে কর্মাশিয়াল সেন্টার,ইন্ডিপেণ্ডেন্ট স্কোয়ার,কিংস প্যালেস,ন্যাশনাল মিউজিয়াম,ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম,হাউস অব পালার্মেন্ট এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ স্থাপনা টুইন টাওয়ার।
এখান...[…]

Travel Image

ত্রিপুরা

ত্রিপুরায় বেড়াতে গেলে খুঁজে পাবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস। ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গাতেই গড়ে উঠেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ছিল মেলাঘরে।
তবে শুধু ইতিহাস অনুসন্ধান নয়, ত্রিপুরার সৌন্দর্যও পর্যটকদের কাছে টানে। ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা। পরিবেশ-প্রকৃতি বাংলাদেশের সমতলভূমির মতোই, তবে আরেকটু ভেতরে ঢুকলেই গহিন অরণ্য। আছে ছোট ছোট পাহাড়, বিচিত্র জীবনধারার পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। গহিন বনে তৈরি হয়েছে ইকোপার্ক। রাজধানীর কাছেই আছে লেকের মাঝখানে মহারাজাদের গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ। আরেকটু দূরে গেলে দেখা যাবে পাহাড়ের গায়ে পাথর কেটে তৈরি করা দেবীমূর্তি। ‘চির বসন্তকাল’ পাওয়া যাবে আরও দূরের জাম্পুই পাহাড়ে।
ঢাকা থেকে আগরতলার দূরত্ব মাত্র ৯০ কিলোমিটার। যাতায়াতও খুব সহজ এবং সস্তা। ট্রেনে বা বাসে চেপে প্রথমে আখাউড়া যেতে হবে। আখাউড়া নেমে স্কুটার বা রিকশা নিয়ে চলে যাবেন আখাউড়া স্থলবন্দর। ইমিগ্রেশন-কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সেরে আবারও রিকশা নিয়ে মাত্র ২ থেকে ৩ কিলোমিটার দূরেই আগরতলা। ঢাকা থেকে আগরতলা সরাসরি বিআরটিসির বাসও চলে, তবে তা প্রায়ই বন্ধ থাকে। সব মিলিয়ে সকাল ৭টায় রওনা দিলে সকাল ১১টার মধ্যেই আগরতলা পৌঁছে যাবেন।
হোটেলে উঠে দুপুরের খাবার আর কিছুক্ষণ দিবানিদ্রার পর বিকেলে বের হয়ে পড়ুন আগরতলা শহর দেখতে। অবশ্যই দেখতে যাবেন অতীতের মহারাজাদের উজ্জয়নী প্রাসাদ, যা এখন বিধানসভা ভবন। শহরের উত্তরে নেহরু পার্কে কাটিয়ে আসতে পারেন কিছুক্ষণ। আবার দক্ষিণে ফুল আর সবুজে ছাওয়া রবীন্দ্র কাননে গিয়ে দেখে আসতে পারেন পুতুলনাচ।
পরদিন সকালে শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে রুদ্রসাগর লেকে নীরমহল প্রাসাদ দেখার পালা। শহর থেকে বাসেই যেতে পারবেন। নৌকায় লেক পাড়ি দিয়ে মাঝখানের প্রাসাদে যেতে হবে। মুঘল আর হিন্দু স্থাপত্যকলায় নির্মিত এক অনুপম সুন্দর এই প্রাসাদ। নীরমহল প্রাসাদ দেখে চলে যাবেন সেখান থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার...[…]

Travel Image

তিয়েন আনমেন স্কোয়ার

বিশ্বের বৃহত্তম পাবলিক স্পট বা জনসমাগম স্থলটি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। বিশ্বব্যাপী এটি তিয়েন আনমেন স্কোয়ার হিসেবে সমধিক পরিচিত। ১৯৮৯ সালে এখানেই গণতন্ত্রকামী ছাত্রদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালায় চীন সরকার। সেটি ছিল গণতন্ত্রের দাবিতে বিশ্বের ইতিহাসে অন্যতম বড় আন্দোলন। সেই আন্দোলন ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সুবাদে তিয়েন আনমেন স্কোয়ার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিদিন আনন্দঘন পরিবেশে লাখ লাখ মানুষ উপভোগ করে তিয়েন আনমেন স্কোয়ারের নৈসর্গিক সৌন্দর্য। নিজের জীবনের সঙ্গে এর স্মৃতি ধারণ করতে এখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে।
চীনের একটি বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ব্যাটালিয়ন প্রতিদিন সকালে সেখানে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা স্কোয়ারের কেন্দ্রস্থলে জাতীয় পতাকা ওড়ায়। সূর্যাস্তের পরও ৪৪ হেক্টর জায়গা বিস্তৃত তিয়েন আনমেন স্কোয়ার থেকে দিনের মতোই আলোকিত। স্কোয়ারের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে কমিউনিস্ট চীনের প্রতিষ্ঠাতা ‘মাও সে তুং’-এর সুবিশাল এক ভাস্কর্য। উত্তর থেকে দক্ষিণে তিয়েন আনমেন স্কোয়ারের বিস্তৃতি ৮৮০ মিটার। পূর্ব-পশ্চিমে ৫০০ মিটার। গোটা স্কোয়ার ৪ লাখ ৪০ হাজার বর্গমিটার। একসঙ্গে ১০ লাখ লোক সমবেত হতে পারে এ স্কোয়ারে। বিশ্বের অন্য কোন পাবলিক স্পটে একসঙ্গে এত লোক জড়ো হতে পারে না। স্কোয়ারের উত্তরদিকে রয়েছে তিয়েন আনমেন গেট টাওয়ার। এ টাওয়ারের ওপরে পতপত করে উড়ে চীনের পাঁচ তারকা খচিত লাল পতাকা। স্কোয়ারের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে চীনের জাতীয় বীরদের ভাস্কর্য বা স্মৃতিস্তম্ভ। গ্রেট হল অব দ্য পিপল, চীন বিপ্লব ও চীনের ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর রয়েছে পুর্বদিকে। পশ্চিমে রয়েছে চেয়ারম্যান মাও মেমোরিয়াল হল এবং দক্ষিণে কিয়ানমেন গেট। গত কয়েক শতকে তিয়েন আনমেন স্কোয়ারের গণতন্ত্রের পক্ষে বহু সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে বেইজিংয়ের ১৬টি নৈসর্গিক স্পটের মধ্যে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় তিয়েন আনমেন স্কোয়ার। ১৯৮৯ সালে...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.