Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ইদ্রাকপুর জলদুর্গ

আনুমানিক ১৬৬০ সালের দিকে বাংলার সুবাদার মীর জুমলা নির্মিত ইদ্রাকপুর দুর্গটি ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ইছামতী নদীর পূর্ব তীরে মুন্সিগঞ্জ জেলা শহরে অবস্থিত। বর্তমানে নদী দুর্গ এলাকা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠেছে। নদীপথ শত্রুর আক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে নির্মিত ইদ্রাকপুর জলদুর্গটি পূর্ব ও পশ্চিমে দু’ভাগে বিভক্ত। পূর্ব অংশ আয়তাকার এবং পশ্চিমের অসম আকৃতির দুটি অংশ মিলিত হয়ে সম্পূর্ণ দুর্গটি নির্মিত হয়েছে।
দুর্গের পূর্ব অংশটি উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এবং এ অংশের দৈর্ঘ্য ৭৭ মিটার এবং প্রস্থ ৪৪ মিটার। আয়তাকার অংশের চারকোণে চারটি গোলাকৃতির পর্যবেক্ষণ বুরুজ রয়েছে। বুরুজগুলির ব্যাস ৫.৫০ মিটার এবং ৪.৬০ মিটার। দুর্গের একমাত্র প্রবেশ তোরণটি উত্তর দুর্গ প্রাচীরের মাঝখানে অবস্থিত। প্রবেশ তোরণের খিলানপথটি আয়তাকার বর্ধিত নির্মাণ কাঠামোর মধ্যে সংস্থাপিত। প্রবেশপথটি ২.১০ মিটার প্রশস্ত এবং দু’পাশে প্যানেল নক্শায় সুশোভিত। প্রবেশ তোরণের উপরে মার্লন বা শরছিদ্রের নকশা করে সুশোভিত করা হয়েছে। দুর্গ প্রাচীরের এ অংশের পুরুত্ব ০.৮৮ মিটার। দুর্গের বেষ্টনী প্রাচীর ১.২২ মিটার উঁচু।
উন্মুক্ত নদীপথের দিকে দৃষ্টি দিতে দুর্গের পর্যবেক্ষণ বুরুজটি এ অংশে অবস্থিত। পশ্চিম অংশটি আয়তনে পূর্বের অংশের চেয়ে বড় এবং এ অংশের দৈর্ঘ্য ৯৭ মিটার এবং প্রস্থ ৫১.৮০ মিটার। এ অংশটিও প্রাচীর বেষ্টিত এবং এর উত্তর-পশ্চিম কোনে একটি পর্যবেক্ষণ বুরুজ বিদ্যমান। এ বুরুজটি গোলাকৃতির এবং ৬.১০ মিটার প্রশস্ত। ভূমি-নকশা অনুযায়ী ধারণা করা যেতে পারে এ প্রান্তের মতই দক্ষিণ-পশ্চিম কোণেও একটি বুরুজ ছিল। যার চিহ্ন বর্তমানে অনুপস্থিত। ইদ্রাকপুর দুর্গের প্রান্তভাগের মোট পাঁচটি বুরুজ দূর থেকে শত্রুর গতিবিধি লক্ষ করার জন্য পর্যবেক্ষণ চৌকি হিসাবে নির্মিত হয়েছিল। সাধারণত বর্ষাকালে বহিরাক্রমণ প্রতিহত করতে হতো এবং সে সময়ে এসব বুরুজের ফাঁকা অভ্যন্তরভাগ সৈন্যদের আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যবহৃত হতো বলে ধরে নেয়া...[…]

Travel Image

অল্প খরচে বেড়িয়ে আসুন বৈচিত্র্যময় স্থানগুলো

কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের চাপে প্রাণ যখন ওষ্ঠগত, তখনই মনে হয় একটু ঘুরে আসি প্রাকৃতিক কোল থেকে। কিন্তু ঢাকায় কোথায় পাবেন প্রকৃতির ছোঁয়া? ঢাকার কেন্দ্রে না হলেও একটু দূরেই কিন্তু পেয়ে যাবেন প্রকৃতির স্পর্শ। দর্শনীয় বহু স্থান তো আছেই, চাইলে ঘুরতেও পারবেন নদীর কোলে কিছুক্ষণ। খুব বেশি দূরে যেতে হবে না এর জন্য। ঢাকা থেকে মাত্র কয়েক কি.মি দূরত্বে পেয়ে যাবেন নদী, জমিদার বাড়িসহ দারুণ বৈচিত্র্যময় এই স্থানের খোঁজ আর খরচও হবে বেশ কম। সময় পেলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার কাছে নবাবগঞ্জ থেকে। আসুন চিনে নিই নবাবগঞ্জ এর দর্শনীয় জায়গাগুলো।
ইছামতি নদী
নবাবগঞ্জ শহরে মহাকবি কায়কোবাদ মোড় থেকে পশ্চিম দিকে কলাকোপার দিকে শহরে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। শান্ত, স্নিগ্ধ এক নদী। চাইলে এই নদীর বুকে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারেন কিছুক্ষণ। এখানকার বাসিন্দা, বর্তমানে ঢাকার তিতুমির কলেজে পড়াশোনারত সৌরভ প্রিয়.কম কে বলেন “ ইছামতি নদীতে আসলে মন ভাল হয়ে যায়। এখানে বিকেলে ঘুরতে আসা দর্শনাথীদের খাওয়ার জন্য ফুচকা, চটপটির দোকান বসে”।
এখানকার নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে সৌরভ প্রিয়.কম কে বলেন “ ইছামতি নদী অনেক নিরাপদ। আর প্রতি শুক্রবার এখানে পুলিশ টহল দিয়ে থাকে”।
এছাড়া পৌষ মাসে পৌষ মেলা, বৈশাখ মাসে বৈশাখমেলা বসে এই নদীর পাড়ে।
গান্ধী মাঠ
নবাবগঞ্জ এলাকায় বিখ্যাত একটি জায়গা হল গান্ধী মাঠ। এই মাঠে দেখার মত একটি বট গাছ আছে। তবে বর্তমানে বিশাল এই মাঠ পড়ে আছে অযত্ন আর অবহেলায়।
আর এন হাউজ
গান্ধী মাঠ থেকে কিছুটা সামনে গেলে দেখতে পাবেন প্রাচীন একটি বাড়ি। এই বাড়ীটির নাম হল আর এন হাউজ। আগের জৌলুস থাকলেও এখন বাড়ীটি চুন সুরকি খসে ধ্বংসের প্রহর গুণছে। তবে এখন এখানে দেখার মত অনেক কিছু আছে। চারিদিকে কক্ষ...[…]

Travel Image

মাটির নিচে ঘুমন্ত ইতিহাস

উত্তর বঙ্গের প্রবেশপথ নামে খ্যাত বগুড়া জেলা সদর থেকে আরো ১২ কিলোমিটার উত্তরে যেতে হবে। বিশ্বরোড নামে পরিচিত বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক ধরে যে কোনো যানবাহন ব্যবহার করে নেমে পড়া যাবে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন নগরীতে। সাধারণ চোখে চট্ করে হয়তো এর গুরুত্ব বোঝা একটু কঠিন। কিন্তু যারা ইতিহাস-ঐতিহ্যের খোঁজ-খবর রাখেন তারা এখানে পা রাখতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করেন।
এখন থেকে আড়াই হাজার বছর আগেও এখানে গড়ে উঠেছিল এক সমৃদ্ধ নগর। যার নাম পুন্ড্রনগর বা পুন্ড্রবর্ধন নগর। কালের আবর্তনে এর বর্তমান নাম দাঁড়িয়েছে মহাস্থানগড়।
বিভিন্ন কারণে মহাস্থানগড় প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন প্রত্নস্থল বলে সারা পৃথিবীর পর্যটক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে মহাস্থানগড় আকর্ষনীয়। মহাস্থানগড় কথাটার শেষ শব্দ ‘গড়’-এর মানে হলো ‘উচ্চস্থান’। স্বাভাবিক ভূমির চেয়ে এ জায়গাটা অনেক উঁচু। তাছাড়া ঘটনাবহুল ইতিহাস, ধর্মীয় অনুভূতি, প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব সব মিলিয়ে মহাস্থানগড়ের মানসিক ধারণাও অনেক উঁচুতে। অসংখ্য প্রাচীন রাজা ও ধর্ম প্রচারকদের বসবাসের কারণে এই উচ্চভূমিটি ‘মহাস্থান’ বা গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
লুকিয়ে থাকা নগর
মহাস্থানগড়েই এক সময় গড়ে উঠেছিল পুন্ড্রবর্ধন বা পুন্ড্রবর্ধন নগর নামের এক প্রাচীন বসতি। যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও আগে এখানে সভ্য জনপদ গড়ে উঠেছিল প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবেই তার প্রমাণ মিলেছে। জানা যায়, খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতাব্দী থেকে খ্রিষ্টীয় ১৫ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই নগর এক সমৃদ্ধ জনপদ হিসেবে বিস্তার লাভ করে। বেশ কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এখানে অসংখ্য হিন্দু রাজা ও অন্যান্য ধর্মের রাজারা রাজত্ব করেন। এর ভেতর রয়েছেন মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সামন্ত রাজবংশের লোকেরা। এরপর এখানে ধর্মীয় সংস্কার করতে আসেন ইসলাম ধর্ম প্রচারকরা।
অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক আর ইতিহাসবিদ মহাস্থানগড়কে হারিয়ে যাওয়া কিংবদন্তির নগরী পুন্ড্রবর্ধন বলে উল্লেখ করেছেন। বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন...[…]

Travel Image

বৌদ্ধপীঠ ভাসু বিহার

বগুড়া জেলা সদর থেকে আরো ১৮ কিলোমিটার উত্তরে ভাসু বিহারের অবস্থান। বিশ্বরোড নামে পরিচিত বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পাশে দেখা মিলবে সমৃদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান মহাস্থানগড়। সেখান থেকে আরো ৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে গেলে দেখা মিলবে ভাসুবিহারের। মহাস্থানগড় প্রত্নস্থল হিসেবে বেশ পরিচিত হলেও ভাসু বিহারের খোঁজ খুব বেশি মানুষ জানে না। মহাস্থানগড়ের লোকারণ্যের কোলাহল ছাড়িয়ে শান্ত, নিরিবিলি ভাসু বিহারের কোলে পাওয়া যাবে অন্য রকম আমেজ।
ভাসুবিহার স্থানীয় নাম নরপতীর ধাপ। বিভিন্ন সময় গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করেছে এই ঐতিহাসিক প্রত্নস্থল। এর অবস্থান শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার হাটে। বিহার হাটের কেন্দ্রীয় বিপননস্থল পার হয়ে পাকা সড়ক ধরে পশ্চিমে আরো খানিকটা এগিয়ে যেতে হবে। সেখানে পৌঁছে দেখা যাবে খোলা মাঠের ওপর একটি ছোট আকারের প্রাচীন ইটের ভবনের অংশবিশেষ, আর তার চেয়ে বড় আকারের দুটি ভবনের কাঠামো।
এখানে ১৯৭৩-৭৪ সালে প্রথমবারের মতো প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয় এবং তা পরবর্তী দুই মৌসুম অব্যাহত থাকে। খননের ফলে দুটি মধ্যম আকৃতির সংঘারাম এবং একটি মন্দিরের স্থাপত্তিক কাঠামো সহ প্রচুর প্রত্নবস্তু পাওয়া যায়। সংঘারাম সেই ধরনের ভবনকে বলা হয় যেখানে অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষু রা একসঙ্গে বসবাস করতো। তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান, ধর্মচর্চা আর শিক্ষা গ্রহণের কেন্দ্র হিসেবে সংঘারামগুলো ইতিহাসজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছে।
ছোট সংঘারামটির আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ৪৯ মিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৪৬ মিটার। এর চার বাহুতে ভিক্ষুদের ২৬টি কক্ষ রয়েছে। কক্ষগুলির সামনে চারদিকে ঘোরানো বারান্দা এবং পূর্ব বাহুর মাঝখানে প্রবেশ পথ আছে। বড় সংঘারামটি ছোটটির মতই দেখতে তবে এর আয়তন ও কক্ষসংখ্যা বেশি। বড় আকারের একটি খোলা অংশকে ঘিরে এসব ছোট আকারের ঘরগুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আবাসকক্ষ। দেখে মনে হয়, খোলা বড় অংশটি ছিল মিলনায়তন। কল্পনা করুন, একটা বিশাল হলঘরে শত শত নবীন ভিক্ষু তাদের...[…]

Travel Image

সাগরকন্যা কুয়াকাটা

প্রকৃতির সাথে কিছুক্ষন থাকতে চান? নিরিবিলি কিছুসময় কাটাতে চান? তাহলে বেড়িয়ে পড়ুন কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে। এমন শান্ত ও নিরিবিলি সৈকত কোথাও পাবেন না এটা বলতে পারি। অনেকেই কক্সবাজারের সাথে কুয়াকাটার মিল খুজতে চান। অনেকেই বলে থাকেন কুয়াকাটায় দেখার মত কিছু নেই, এর থেকে কক্সবাজার অনেক সুন্দর। এখানে বলে রাখি কক্সবাজার আর কুয়াকাটার সৌন্দর্য সম্পূর্ন ভিন্ন রকমের। জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য অথবা গাংচিলের ওড়াওড়ি দেখেতে পাবেন একটু নজর রাখলেই।
পথে যেতে যেতেঃ
অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন কুয়াকাটার রাস্তা খুবই খারাপ। কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতাটা এই যে কুয়াকাটার যাবার রাস্তা আসলে খুবই ভাল। শুধু শেষের কয়েক কিলোমিটার রাস্তা মোটামুটি হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু ফেরিতে নদী পার হতে হয় চারটি। তবে আশার কথা হল তিনটি নদীতে সেতু নির্মান হচ্ছে।। একটির কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। তাই অচিরেই ফেরী পারাপারের হ্যাপাও আর থাকবে না।
বরিশাল বিভাগ পুরোটাতে অসংখ্য নদী দিয়ে ঘেরা। তাই নদীপারের জীবন যাত্রা দেখে অবিভূত হতে পারেন। রাস্তার দুপাশে যতদূর চোখযায় শুধু ধান ক্ষেত। নদী, ধান, খাল এই নিয়ে বরিশাল কথাটার সার্থকতা খুজে পাবেন। যত কুয়াকাটার দিকে যেতে থাকবেন ততই পাল্টাতে থাকবে আশেপাশের দৃশ্য। দেখা পাবেন সাগরের মাছ ধরার ট্রলার হয়তো সাগর থেকে ফিরছে। এদিকের মানুষের অনেকেরই প্রধান জীবিকা মাছ ধরা।
দূরে দেখতে পাবেন ম্যনগ্রোভ বনের সারি। এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাবে বুঝতেও পারবেন না।
অবশেষে কুয়াকাটায়ঃ
কুয়াকাটায় গিয়ে প্রথম কাজ হবে কোন একটি হোটেলে ওঠা। যারা একটু নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য পর্যটন করপোরেশনের হোটেল অনেক ভাল লাগবে। চারদিকে নারিকেল গাছে সারি। সামনে বিশাল বাগান। পর্যটন করপোরেশনের হোটেলে একটু বাড়তি নিরাপত্তা দেয়। তাছাড়াও আছে অসংখ্য হোটেল। তার যে কোন একটিতে...[…]

Travel Image

ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন অপরূপ সুন্দর যে দেশটি হতে

কম খরচে এবং ভিসা ছাড়াই দেশের বাইরে থেকে ঘুরে আসতে পারলে কেমন হয় বলুন তো? দারুন! তাই না? অবাক হচ্ছেন এই ভেবে ভিসা ছাড়া দেশের বাইরে কীভাবে যাওয়া যায়! হ্যাঁ, হাতেগোনা কিছু দেশ আছে যেখানে যাওয়ার জন্য কোন ভিসা লাগে না। তেমনি একটি দেশ হল ভূটান। ভিসা ছাড়া অল্প খরচেই ঘুরে আসা যায় অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ভূটান থেকে।
হিমালয় কন্যা ভূটান। কম খরচে অনেক কিছু দেখার আছে এখানে। ভিসার ঝামেলা নেই, ফলে খুব সহজে ঘুরে আসা যায় এই অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশটি থেকে।
কীভাবে যাবেন
ভূটান যাওয়ার জন্য ভিসার প্রয়োজন নেই। ভারত-ভূটানের বর্ডার ওপেন, সেজন্য ভিসা না লাগলেও এন্ট্রি পারমিট নিতে হয়। যা ভিসার কাজ করে। এখানে একটি কথা জেনে রাখা ভালো তা হল এয়ারপোর্টে অন এরাইভাল যে ভিসা দেয় তা শুধু ভুটানের তিনটি শহর ফুয়েন্টশোলিং, থিম্পু আর পারোর জন্য। অন্য জায়গাগুলোতে যাওয়ার জন্য আলাদা ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে ভিসা নিতে হয়।
ভুটানে ঢোকা তেমন কোন কঠিন ব্যাপার না। ভারতের নাগরিক এবং বাংলাদেশীদের জন্য ভূটানে ঢুকতে কোন টাকা লাগেনা। পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদেরকে প্রতিদিনের জন্য ২০০ ডলার করে ফী দিতে হয় ভূটান সরকারকে।
ভূটানে আকাশপথ ও সড়ক পথ দুইভাবে যাওয়া যায়। আকাশ পথে যেতে একটু বেশি খরচ পড়বে। আনুমানিক ২০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা বাই এয়ারে লাগবে। ভুটানে শুধুমাত্র একটি এয়ারলাইনের প্লেনেই যাওয়া যায়। এছাড়া বাই রোডে ভূটানে যাওয়া যায়। ভারতের শিলিগুড়ি হয়ে, ভূটানের ফুটসলিং হয়ে থিম্পু।
কমলাপুর থেকে সরাসরি শিলিগুড়ির বাস ধরতে পারেন। ভাড়া নেবে ১৩০০ টাকার মত। রাতে রওনা হয়ে শিলিগুড়ি পৌছাবেন পরদিন দুপুর ১২ টার দিকে। বাসে যাওয়া অনেক বেশি সাশ্রয়ী।
কোথায় থাকবেন
ফুয়েনশলিং-এ ফাইভ স্টারের সাথে সাথে থ্রি-স্টার মানেরও কিছু হোটেল...[…]

Travel Image

বিখ্যাত যে দালানগুলোর নির্মাণকাজ আজও অসমাপ্ত

প্রতিটি কাজের শুরু যেমন আছে, শেষও আছে। একটা কিছু করা শুরু করে মাঝপথে সেটাকে ছেড়ে দিদেয়া খুব ভালো কাজ নয়। বিশেষ করে সেটা যদি হয় ইতোমধ্যেই লোকের মুখে মুখে ছড়িয়ে যাওয়া বিখ্যাত কোন স্থাপনা। কিন্তু অবাক করা হলেও সত্যি যে এমন কিছু স্থাপনা রয়েছে যেগুলো বেশ জনপ্রিয় হওয়ার পরেও অর্ধনির্মিত হয়েই থেকে গিয়েছে আজ পর্যন্ত। আর এমন কিছু বিখ্যাত অর্ধনির্মিত স্থাপনার কথাই জানাচ্ছি আপনাদেরকে।
১. সাগ্রাডা ফ্যামিলিয়া
বার্সেলোনায় অবস্থিত সাগ্রাডা ফ্যামিলিয়া নামক এই চার্চটি তৈরি করা শুরু করেছিলেন অ্যান্টনি গাউদি। তবে তৈরির খানিকটা হবার পরেই মারা যান তিনি। ফলে অর্ধেকেই আটকে থাকে নির্মাণকাজ। সেটা ১৮৮২ সালের কথা। এরপর কতো কিছু হল! ইউনেস্কোর কাছ থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেল, পোপের কাছ থেকে সম্মানজনক উপাধি পেল, কিন্তু নির্মাণকাজ আটকে থাকল অতোটুকুতেই! কিছুদিন আগে গাউদির অনুপ্রেরণাকে সাথে নিয়ে আবার শুরু করার কথা হয়েছে সাগ্রাডা ফ্যামিলিয়াকে ঘিরে। বলা হচ্ছে কাজ ঠিকঠাক এগোলে এতদিন ধরে অর্ধনির্মিতাবস্থায় পড়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী এই স্থানটি পুরোটা নির্মিত হবে ২০২৬ সালে।
২. মার্বেল হিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট
অনেক অর্ধনির্মিত স্থাপনা রয়েছে যেগুলো কোনো না কোনো কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বর্তমানে। কিন্তু মার্বেল হিল নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের কথাটা একেবারেই আলাদা। ১৯৭৭ সালে ইন্ডিয়ানায় শুরু হয় এর কাজ। এবং পরবর্তী ৭ বছরে প্রায় অনেকটাই কাজ হয়ে গিয়েছিল এর। কিন্তু এরপরেই বাঁধলো সমস্যা। ১৯৮৪ সালে ২.৫ কোটি ডলারের লস করার পর কোম্পানি আর এগোলো না প্ল্যান্টটি নিয়ে। পড়ে রইল এটি একেবারে খাপছাড়া ভাবে। অর্ধনির্মিত অবস্থায়। শেষ আব্দি নিজেদের ধার শোধ করতে এর ভেতরের তখন পর্যন্ত সাজানো যন্ত্রপাতিগুলোকেও বেচে দিল তারা। এখনো সে অবস্থাতেই আছে এটি।
৩. নিউজিল্যান্ড পার্লামেন্ট বিল্ডিং
মোট দুটো ধাপে কাজ করার কথা...[…]

Travel Image

সবচাইতে উঁচু স্থানে সর্ববৃহৎ লেক টিটিকাকা

পৃথিবীর তিন ভাগ জল আর এক ভাগ মাত্র স্থলে। এই তিন ভাগ জলের আবার অনেক ধারা। কোথাও মিষ্টি পানি, কোথাও বা লোনা। কোথাও গভীর খাদের মাঝ দিয়ে হয়তো বয়ে যাচ্ছে খরস্রোতা নদী, আবার কোথাও পাহাড়ের উপর শান্ত একটি জলাধার আসন গেড়ে আছে। পাহাড়ের উপর যদি থাকে সুবিশাল কোনো লেক,তা সত্যিই খুব অবাক করার মতন ব্যাপার বৈকি। তেমনই একটি লেক হচ্ছে টিটিকাকা লেক। অসাধারণ সৌন্দর্যমন্ডিত, কোথাও নিস্তরঙ্গ আবার কোথাও তরঙ্গপূর্ণ পানির লেক এই টিটিকাকা।
এই পৃথিবীতে টিটিকাকা লেক সবচেয়ে উঁচু স্থানে অবস্থিত সর্ববৃহৎ লেক। লেকটি দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত। দক্ষিন আমেরিকার দুইটি দেশ পেরু ও বলিভিয়ার সীমান্তদেশের মাঝখানে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০০ মিটার উঁচুতে এই লেকের অবস্থান। টিটিকাকা লেক ৮৩০০ কিলোমিটার ব্যাপী স্থান জুড়ে আছে। লেকের সবচেয়ে বেশী দৈর্ঘ্য ১৯০ কিলোমিটার আর প্রস্থ ৮০ কিলোমিটার। লেকের গড় গভীরতা ১০৭ মিটারের মতণ। সবচেয়ে বেশী গভীর উত্তর দিকের একটি অংশ, তা হচ্ছে ২৮০ মিটার।
টিটিকাকা লেকে সর্বমোট ২৭টি নদী এসে মিশেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় রামিস নদী। আর এই লেকের মধ্যে ছোট বড় মিলিয়ে দ্বীপ আছে সর্বমোট ৪১টি। কতগুলো দ্বীপে ঘনবসতিও আছে। আন্দিজ পর্বতমালার অনেক পাহাড়ে বরফ জমলেও এই দ্বীপ কখনই পুরোপুরি জমে যায় না।
টিটিকাকা লেকের পানি স্বচ্ছ, নির্মল ও বিশুদ্ধ। কিন্তু স্বাদের দিক থেকে সামান্য লোনা। এই লেকে সাধারণত দুই ধরনের মাছ দেখতে পাওয়া যায়। একটি কিলিফিস আর অন্যটি ক্যাটফিস। লেকটি পৃথিবীর বৃহত্তম নৌপরিবহনযোগ্য লেক। সবচেয়ে উঁচু এই লেকটিকে ঘিরে পেরু ও বলিভিয়াতে গড়ে উঠেছে বিশাল পর্যটন শিল্প। লক্ষ লক্ষ মানুষ অনিন্দ সুন্দর এই লেকটি দেখার জন্য প্রতি বছর ভিড় জমায়। আর অবলোকন করে পৃথিবীর সবচেয়ে উচু স্হানে অবস্থিত বৃহত্তম...[…]

Travel Image

ডাল লেক

ভূস্বর্গ কাশ্মীর। এ নামটি উচ্চারন করলে মুহূর্তের মাঝে দুটি চিত্র ফুটে ওঠে মনের আয়নায়- এক হলো যুদ্ধবিদ্ধস্ত কাশ্মীর, অন্য দিকে অতুলনীয় সৌন্দর্যের আধার কাশ্মীর। প্রকৃতপক্ষে এই দুটি রূপই কাশ্মীরের বাস্তবতা। তবে আজকে যুদ্ধের কথা বাদ দিয়ে সুন্দর মনোরম কাশ্মীরের কথাই আলোচিত হবে। কাশ্মীরকে যেমন বলা হয় ভূস্বর্গ, তেমনি ডাল লেক হচ্ছে কাশ্মীরের মধ্যমণি। অপরূপ সাজে সজ্জিত ডাল লেক যুগে যুগে মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে অনবরত। প্রকৃতি যেন ডাল লেককে তার সৌন্দর্য সুধা দু হাত ভরে বিলিয়ে দিয়েছে।
বোম্বের কিছু কিছু মুভিতে কাশ্মীরের ডাল লেকের দৃশ্য দেখা যায়। মুভির দৃশ্য দেখেই বোঝা যায় কি অসাধারণ সুন্দর এই ডাল লেক। সেখানে বাস্তবে এর রূপ নিঃসন্দেহে অপূর্ব। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে অবস্হিত ডাল লেক। ঝিলাম নদী এসে মিসেছে এই লেকে। লেকটির দৈর্ঘ্য সাত কিলোমিটারের বেশী আর প্রস্থ তিন কিলোমিটারের বেশী। লেকের সর্বাধিক গভীরতা ছয় কিলোমিটার। এই লেকে দুটি দ্বীপও আছে। সোনা লান্ক আর রূপা লান্ক। শীতকালে লেক এলাকার তাপমাত্রা মাইনাস এগারো ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে যায়। লেকের পানি তখন জমে বরফে পরিণত হয়। এসব হচ্ছে ডাল লেকের তাত্ত্বিক কথা।
বিভিন্ন দিক দিয়ে ডাল লেকের প্রকৃতি এবং জীবন বৈচিত্র্য অসাধারণ। লেককে ঘিরে কাশ্মীরের হাজারো মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। কেউ বিখ্যাত হাউসবোটের মালিক, কেউ ডাল লেকের বিশেষ নৌকা শিকারাতে পর্যটকদের নিয়ে পরিভ্রমন করে,আবার কেউবা ডাল লেক বাজারে সবজি বিক্রয় করে।
হাউসবোট
কাশ্মীরের ডাল লেকের একটি প্রধান আকর্ষণ হলো হাউসবোট। পানির উপর ভাসমান বাড়ি। ডাল লেকে সাতশোর বেশী হাউসবোট আছে। এর ভিতরে অত্যাধুনিক হোটেলের মত নানান ব্যবস্থা করা। শোবার ঘর, বসার ঘর, বাথরুম সবই আছে। সবকিছুই সুসজ্জিত। সুন্দর কার্পেট বিছানো,পর্দা টানানো। আরো আছে বারান্দা, যেখানে বসে...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.