Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

\"বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান\" সোমপুর মহাবিহার

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার নওগাঁ জেলার বাদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর নামক গ্রামে অবস্থিত। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের দূরত্ব নওগাঁ জেলা সদর থেকে ৩২ কিলোমিটার। এই বিহার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যাপক পরিচিত। পরিপাটি এই বিহারের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক প্রাচীন নিদর্শন। বিহারের মূল ভবনে ১৭৭ টি কক্ষ ছিল এবং এখানে প্রায় ৮০০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষু বসবাস করতে পারতেন। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম বৌদ্ধ বিহার। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এই বিহারকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) এর মর্যাদা দেয়। ইউনেস্কো ঘোষিত তালিকায় এই পাহাড়পুর বিহারকে ৩২২তম বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পূর্বের ইতিহাসঃ
অষ্টম শতকের শেষের দিকে অথবা নবম শতকে পালবংশের রাজা শ্রী ধর্মপাল (৭৮১-৮২১) পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার তৈরি করেছিলেন। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের আরেক নাম সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার। উপমহাদেশে ইংরেজদের আগমনের পর তারা সবখানে জরিপ কাজ শুরু করে। জরিপ কাজ পরিচালনার সময় বুকানন হ্যামিল্টন এবং পরে ওয়েস্টম্যকট পাহাড়পুর পরিদর্শন করে ফিরে গিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পাহাড়পুরের কথা তুলে ধরেন। পরবর্তীতে ১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই স্থান খননের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু তৎকালীন বলিহারের জমিদার তাকে এই কাজে বাঁধা দেন। তারপরও তিনি অল্প কিছু স্থান খনন করেন। ফলে পাহাড়পুরের মাথার দিকের ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ইমারত আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে এটি ১৯১৯ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষিত হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননঃ
ব্রিটিশ যুগে কয়েকবার এই পাহাড়পুর বিহার খনন করা হয়। ১৮৭৯ সালে প্রথম খনন কাজ শুরু করেন স্যার কানিংহাম। তারপর বলিহারের জমিদারের বিরোধিতার কারণে খনন কাজ থেমে যায়। অনেক প্রচেষ্টার পর ১৯২৩ সালে ডি.আর.ভান্ডারকরের নেতৃত্বে আবার খনন কাজ শুরু হয়। এই কাজে আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন দিঘাপতিয়ার জমিদার বাড়ির সদস্য শরৎ কুমার রায়।...[…]

Travel Image

সুপ্রাচীন খেরুয়া মসজিদ

বগুড়া শহরের প্রবেশ পথে শেরপুর উপজেলায় এই অসাধারণ মসজিদটি অবস্থিত। শেরপুরের ধনুট মোড় থেকে পাঁচ মিনিট হেঁটে খেরুয়া মসজিদে পৌঁছানো যায়। ধনুট মোড়ে নামলেই চোখে পড়বে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের একটি সাইবোর্ড। যেটা খেরুয়া মসজিদে যাবার দিক নের্দেশ করছে। খেরুয়া মসজিদ একটু গ্রামের ভিতর। গ্রামের পথ ধরে হেঁটে যেতে ভালই লাগবে। পথে লোকজনকে জিজ্ঞেস করে পথ দেখে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
তিন গম্বুজ বিশিষ্ট আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত এই মসজিদ এবং মসজিদের ৪ কোনে রয়েছে ৪টি মজবুত টাওয়ার। পূর্ব প্রাচীরে ৩টি খিলানকৃত প্রবেশ পথ। প্রত্যেকটি প্রবেশ পথ একটি আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অবস্থিত এবং সাধারন ইটের দেয়ালের মধ্যে বৈচিত্র্য আনার জন্য দরজার মধ্যবর্তী স্থানে খাড়া প্যানেলের ব্যবহার লক্ষণীয়।
বক্রছাদ কিনারা বিশিষ্ট প্রাচীন বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এই মসজিদের কার্নিশের নিচ দিয়ে রয়েছে ছোট খিলানকৃত প্যানেলের সারি। উত্তর ও দক্ষিন দেয়ালে রয়েছে একটি করে খিলানকৃত প্রবেশ পথ এবং পশ্চিম দেয়ালে কেন্দ্রীয় মিহরাবের বিপরীতে দেয়ালের উদগত অংশ। আয়তাকার মসজিদটিকে দুটি পার্শ্ব খিলানের দ্বারা তিনটি বর্গাকার অংশে ভাগ করে তার উপর তিনটি অর্ধগোলাকৃতির গম্বুজ নির্মান করা হয়েছে এবং পার্শ্ব খিলান ও দেয়ালের সংযোগ স্থলে করবেল পেনডেন্টিভের ব্যবহার করা হয়েছে। পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি অর্ধগোলায়িত মিহরাব যার প্রত্যেকটিরই আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে অবস্থিত।
মিহরাবগুলোর খিলানের স্পানড্রেলসমূহ সুন্দর সুন্দর নকশা ও আয়তাকার ফ্রেমের পার্শ্ববর্তী অংশ লতাপাতা ও উপরের অংশ মার্লন নকশা দ্বারা অলংকৃত।
মসজিদটিতে মুঘল পূর্ব যুগের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেলেও ভূমি পরিকল্পনায় মুঘল স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। দেয়ালের সামনের দিকে মসজিদ থেকে পাওয়া শিলালিপিটি বসানো আছে। শিলালিপিটি পাথরের তৈরী। দেয়াল গাত্রের শিলালিপি অনুযায়ী ৯৮৯ হিজরী/১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে জনৈক মির্জা মুরাদ খান কাকশাল কর্তৃক মসজিদটি নির্মিত। মসজিদের সামনে খোলা চত্বরে সবুজ ঘাস কার্পেটের মত...[…]

Travel Image

গ্রীসের স্নিগ্ধ দ্বীপ সান্তোরিনি

পৃথিবী বিখ্যাত পুরাকাহিনীর দেশ গ্রীস, প্রাচীন কল্পনার স্বপ্নভুমি গ্রীস। স্বতন্ত্র সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ইউরোপের এই দ্বীপ দেশটি মানুষকে মোহিত করেছে যুগে যুগে। প্রাচীন সভ্যতার সেই স্বর্ণযুগ এখন আর না থাকলেও তার রত্নরাজি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেশটি জুড়ে। আর আপনি তা সবচাইতে বেশি উপভোগ করতে পারবেন সান্তোরিনি দ্বীপে গিয়ে।
আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপত্তি হয়েছে গ্রীসের এই দ্বীপটির। এর আনুষ্ঠানিক নাম আসলে “থেরা” অথবা “থিরা” কিন্তু সাধারণত একে সান্তোরিনি বলেই ডাকা হয়। এর পূর্বে এই দ্বীপটির নাম ছিল ক্যালিস্টে এবং স্ট্রঙ্গাইলে। গ্রীসের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত ছোট্ট এই দ্বীপে রয়েছে নতুন-পুরনো ধাঁচের বেশ কিছু গ্রাম। এখানে গিয়ে আপনি যেমন পুরনো আমলের গ্রীসের স্বাদ অনুভব করতে পারবেন, তেমনই আধুনিক সব সুযোগ সুবিধার মাঝে থেকে আপনার ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন। সাদা রঙের বাড়ি দিয়ে ভরে আছে পুরো শহর। বাড়িগুলোর ছাদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নীল। এই দুই রঙের মিশেলে মনে হয় সাগর থেকে উঠে এসেছে এই দ্বীপের বাড়ীগুলো। শুধু এই শহরই নয়। পুরো সান্তোরিনিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো অনেক কিছুই।
সান্তোরিনিতে গেলে প্রথমে আপনার বেড়াতে যেতে হবে থেরা নগরীর প্রাচীন অংশটিতে। কামারি অঞ্চল থেকে পেরিসা অঞ্চলকে আলাদা করে রেখেছে এই থেরা। খ্রিস্টপূর্ব ৯ম শতাব্দিতে ডোরিয়ান জাতির মানুষের দ্বারা স্থাপিত হয় এই নগরী। প্রাচীন গ্রীসিয়, রোমান এবং বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে ভরপুর এই অঞ্চলটি।
এর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই আপনি দেখতে পাবেন প্রাচীন রোমান ধাঁচের স্নানঘর, মোজাইকের বাড়ি এমনকি একটি দর্শনীয় “অ্যাগোরা” বা বাজার। আর এখানে যখন গ্রীক দেবতা অ্যাপোলোর সম্মানে উৎসব পালন করা হয় তখন এই শহরের সৌন্দর্য আপনার চোখ ধাঁধিয়ে দেবে! সাধারণত মঙ্গলবার থেকে রবিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত এই...[…]

Travel Image

রাঙামাটি ঘুরে আসার এখনই সময়

রাঙামাটি সুন্দরের এক অপরূপ লীলাভূমি। এই বর্ষা মৌসুম রাঙামাটি যাওয়ার উপযুক্ত সময়। অনেকেই এই সুন্দরের নগরীতে যেতে আগ্রহী। কিন্তু সেখানে কীভাবে সেখানে যাবেন, কী কী জায়গা ঘুরে দেখবেন, এমন নানা প্রশ্ন তাদের মনে উঁকি দেয়। তাদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই আমাদের আজকের আয়োজন। জেনে নিন রাঙামাটির মানুষেরই মুখে যাবতীয় খুঁটিনাটি।
রাঙামাটি কীভাবে যাবেন?
ঢাকা সায়েদাবাদ, কলাবাগান, ফকিরাপুল অথবা গাবতলি থেকে শ্যামলী, হানিফ, ইউনিক, এস আলম এবং বিআরটিসি বাসে করে যেতে পারবেন রাঙামাটি। তবে সব থেকে ভালো হবে সায়েদাবাদ থেকে টিকিট করলে। নন এসি বাস ৬২০ টাকা। এসি বাস আছে শ্যামলী এবং বিআরটিসির। ভাড়া ৮০০ টাকা।
সাধারণত সকাল ৮ টা, ৯ টা এবং ১০ টায় প্রতিটি কোম্পানির ২ টা করে বাস ছাড়ে। আবার রাতে ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে প্রতি কোম্পানির দুইটা করে বাস ছাড়ে।
কোথায় থাকা যায়?
রাঙামাটি বেশ কিছু হোটেল মোটেলে আপনি থাকতে পারেন। হোটেলের মধ্যে অন্যতম হোটেল সুফিয়া, সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল প্রিন্স ইত্যাদি। হোটেলের নন এসি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং ডাবল রুম ৮০০-১৫০০ টাকার মধ্যে। আর এসি সিঙ্গেল রুমের ভাড়া ১০০০-১৮০০ টাকা, ডাবল ১৫০০-২৫০০ টাকার মধ্যে। আর মোটেলের মধ্যে রয়েছে জর্জ মোটেল, পর্যটন মোটেল ইত্যাদি। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন পর্যটন কমপ্লেক্সে সুন্দর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
শুভলং ঝর্ণায় কীভাবে যাবেন?
শহর থেকে শুভলং ঝর্ণায় যেতে হলে নৌ পথে যেতে হয়। ইঞ্জিন চালিত ট্রলার রিজার্ভ করাই সবচেয়ে ভালো উপায়। শুভলং ঝর্ণা রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার মধ্যে পড়েছে। রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার এলাকা থেকে অথবা পর্যটন এলাকা থেকে ট্রলার রিজার্ভ করা যায়। এগুলোর ভাড়া আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে ভাড়া সাধারণত ১২০০-৩০০০ টাকার মধ্যে। মূল শহর থেকে শুভলং...[…]

Travel Image

ভারতের সেরা ৫টি হোটেল

যেকোন স্থানে ভ্রমণে যান, সেটা পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দরতম স্থান হলেও কিছু ব্যাপার আছে যেগুলোর অনুপস্থিতিতে সেই অপরূপ সৌন্দর্যও অনেকটাই ফিকে হয়ে যাবে আপনার কাছে। বিস্বাদ ঠেকবে। আর এই অতি প্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলোর ভেতরে অন্যতম হচ্ছে খাবার আর থাকার জায়গা। এমন অনেক স্থান রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হওয়া স্বত্ত্বেও পর্যটকদের আকর্ষণ হারায় শুধুমাত্র থাকা-খাওয়ার পর্যাপ্ত সুবিধার অভাবেই। আর তাই কোন স্থানে যাওয়ার আগে ভালো করে জেনে নেবার চেষ্টা করুন সেখানকার থাকা ও খাওয়ার জায়গাগুলো ঠিকঠাক মতন আছে কিনা। আর সেটা সম্পর্কে একমাত্র নিশ্চিত হবেন আপনি যদি একটা ভালো হোটেলের খোঁজ পান। থাকা কিংবা খাওয়া তো বটেই, নিরাপত্তার ব্যাপারটাও নিশ্চিত হয়ে যাবে। ভারত আমাদের পাশের দেশ। প্রায়ই অনেকে ছুটি-ছাটায় ঘুরে আসেন সেখানে। আর সে কথা ভেবেই এখানে উল্লেখ করা হল ভারতের সেরা পাঁচ হোটেলের নাম ও তাদের সাথে যোগাযোগের বিস্তারিত।
১. দ্যা মারকুরি, হায়দ্রাবাদ
হায়দ্রাবাদে থাকবার জন্যে অনেক বেশি শান্ত, পরিচ্ছন্ন আর ভালো মানের কোন হোটেল যদি আপনি চান এবং তাও আবার মাঝারী দামের ভেতরেই তাহলে একবাক্যে একটা হোটেলের কথাই বলতে হয। আর সেটা হচ্ছে মারকুরি হোটেল। হায়দ্রাবাদের পুরোন শহর, লেক, গোলকোন্দা দূর্গসহ আরো অনেকগুলো দেখার মতন স্থান ঘুরে এসে শান্তিতে শ্বাস ফেলতে পারবেন আপনি এই হোটেলে। এখানকার খাবার ব্যাবস্থাও উচ্চমানের। আর পাশাপাশি এখানে এলে আপনি কাছেই পাচ্ছেন স্থানীয় সুস্বাদু এক বিরিয়ানীর দোকান। যেটা কিনা অবস্থিত হোটেলের অপর পাশেই।
যোগাযোগ- +91 40 67122000, mercure.com
২. গ্রামাম হোমস্টে, কোচি, কেরালা
মধ্য কেরালার ভেতরে অবস্থিত এই নারিকেল ঘেরা জায়গাটি কোচি থেকে অল্প কিছুটা দূরে অবস্থিত। পুরো একটা পরিবারের জন্যে যথেস্ট এটি। কি করবেন এখানে গিয়ে? দেখার কি আছে? আছে খোলা প্রকৃতিতে শ্বাস নেবার,...[…]

Travel Image

একদম কম খরচে ভ্রমণ

মানুষ যতটাই খরুচে হোক না কেন, জীবনের কিছু সময়ে কোন না কোনভাবে সে কিছু না কিছু টাকা বাঁচাতে চায়-ই। বিশেষ করে ভ্রমণে গেলে তো কোন কথাই নেই। অনেকে তো ইচ্ছে করেই অন্যকে তাক লাগিয়ে দিতে কম খরচে ঘুরে আসতে চান বাইরে। কেউ আবার চাইলেও যেতে পারেননা হাতে পর্যাপ্ত টাকা থাকার অভাবে। তবে কারণ যেটাই হোক না কেন, যদি আপনি চান কম খরচে বাইরে বেশ ভালোভাবে ঘুরে আসতে তাহলে জেনে নিন এই ছোট্ট কিছু টিপস!
১. কম খরচের প্লেনে উঠুন
আপনার যাতায়াতের মাধ্যম যদি হয় বিমান তাহলে প্রথমেই খোঁজ নিন কম খরুচে বা বাজেট বিমানগুলোর দিকে। ভাবছেন সেগুলোর মান খুব বেশি খারাপ? তা কিন্তু নয়! কম খরচেই ওরা আপনাকে খাবার, ব্যাগ রাখার সুবিধা এবং আরামদায়ক ভ্রমণ- সবটাই দেবে। আর বাঁচিয়ে দেবে বড় একটা খরচের হাত থেকে!
২. বিনা খরচে থাকুন
বর্তমান যুগ হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। আর তাই যুগের সুবিধাকে পুরোটা বুঝে নিয়ে নিজের নেটওয়ার্ক বাড়ান আর হোটেলে না থেকে স্থানীয় ও আপনাকে কিছুদিনের জন্যে মেহমান হিসেবে পেতে ইচ্ছুক মানুষের খোঁজ নিন। এতে করে হয়ে যাবে খরচ এড়ানো, সেই সাথে হবে আরো বেশি করে সেই দেশের সংস্কৃতির কাছে পৌঁছানোও। ভাবছেন কি করে এমনটা করেন? অনেক অনেক সাইট আছে নেটে। সেগুলোতে খোঁজ নিন আপনার গন্তব্যস্তলে এমন কেউ আছে কিনা। আর এজন্যে আপনার জন্য উপকারী হতে পারে- বি ওয়েলকাম, কোচসার্ফিং, হাউজসিট ম্যাচ, হাউজ কেয়ারারস, ট্রাস্টেড হাউজসিটারসের মতন সাইটগুলো।
৩. সহজ পরিকল্পনা করুন
ভ্রমনের ক্ষেত্রে সবাই চান দু-একদিনের ভেতরেই গন্তব্যের দেশটিকে পুরোপুরি দেখে নেওয়ার। ফলে অতিরিক্ত স্থানে ভ্রমণ করতে গিয়ে জট পাকিয়ে ফেলেন পুরোটাতে, খরচ করে ফেলেন বেশি, শক্তি আর সময়ের অপচয় করেন এবং মূলত কোনরকম...[…]

Travel Image

আকাশপথে ভ্রমনের আগে

বাঙালিরা ঘরকুনো এই অপবাদ কাটিয়ে উঠেছে অনেকটাই। এখন ছুটি পেলেই ঘুরতে যাওয়া আর বিলাসিতা নয়, জীবনকে উপভোগ করার একটা পথও বটে। ছোট্ট একটা দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। তাই দেশের মাঝে ভ্রমণ করতে হলে স্থল বা জলপথটাই যথেষ্ট। তবে দেশের বাইরে যেতে হলে সেক্ষেত্রে আকাশ পথেই ভ্রমন করতে হয়। কাজের প্রয়োজনে হোক বা আনন্দের উদ্দেশ্যে, প্লেনে ভ্রমনের আগে যদি আপনার কিছু বিষয় জানা থাকে তবে আপনার ভ্রমনটি আরও আনন্দদায়ক ও নির্ঝঞ্ঝাট হতে পারে। আসুন জেনে নেই সেই সবই।
-ভ্রমনের আগে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখুন। এ জন্য ছোট পাউচ ব্যাগ বা হ্যান্ডব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। যদি বিদেশ ভ্রমন করতে যান তবে আগে থেকে আপনার পাসপোর্ট, টিকেট ও অন্যান্য কাগজ ঠিক করে রাখবেন। সেই সাথে আপনার ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে তা সাথে নিয়ে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। হোটেল বুকিং দেয়া থাকলে তার কাগজটাও সাথে রাখবেন। এছাড়া অন্যান্য কোন দরকারি কাগজ থাকলে সব এক সাথে এক ব্যাগের মধ্যে রাখতে পারেন। এসব কাগজের ফটোকপি করে নিতে ভুলবেন না অবশ্যই, কেননা জিনিষটি কখন কি কাজে লেগে যেতে পারে তা বলা যায়না আগে থেকে। দেশের ভেতরে ভ্রমনের ক্ষেত্রে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখতে পারেন।
-যদি এয়ারপোর্টে ফ্লাইট ছাড়ার বেশ কিছুক্ষণ আগে পৌঁছান ভালো, তাই বলে বেশি আগে গিয়ে বসে থাকার কোন মানে নেই। বরং বেশি আগে পৌছে গেলে সময় কাটানো ঝামেলার বিষয় হয়ে যেতে পারে। তাই ফ্লাইটের সময়সূচী অনুযায়ী হিসাব করে ঘর থেকে বের হওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে যদি গভীর রাতের ফ্লাইট হয় তবে আগে পৌঁছানটাই ভালো হবে।
-এয়ারপোর্টে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করতে করতে সময় কাটানো বেশ ঝামেলার হতে...[…]

Travel Image

সত্যিকারের \"ভূতুড়ে\" স্থানের গা ছমছমে গল্প

সাধারণত দেশে- বিদেশে নানারকম ভূতুড়ে স্থান আর ঘটনার কথাই বলে থাকি আমরা নানা সময়ে। কিন্তু আজ অন্য কোন দেশ নয়, শোনাব আমাদের বাংলাদেশের ভেতরেই থাকা বেশ কিছু ভূত আর ভূতুড়ে স্থানের গল্প। হয়তো সেখানে ঘুরে এসেছেন আপনিও। একদম না জেনেই! তবে তাতে কি হয়েছে? জেনে নিন এবার। আর চোখ খুলে রাখুন সেসব স্থানে পরবর্তীতবার ভ্রমণ করবার সময়। কে জানে দুটো- একটা ভূতের সাথে হয়তো দেখা হয়ে যেতে পারে আপনারও! তালিকায় আছে লালবাগ কেল্লা, এয়ারপোর্ট রোডের মত অতি পরিচিত স্থানের ভূতুড়ে সব গল্প। হতে পারে গুজব, হতে পারে সত্যি। তবে যেসব কাহিনী প্রচলিত আছে, আমরা তুলে ধরলাম কেবল সেগুলোই।
১. ফয়'স লেক
চট্টগ্রামের বিনোদনের স্থানগুলোর ভেতরে ফয়'স লেক অন্যতম। চট্টগ্রামে গিয়েছেন অথচ ফয়'স লেকে যাননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। শুনে আশ্চর্য হবেন যে এই লেকেও রয়েছে ভূতের আনাগোনা। দুজন মহিলাকে প্রায়ই দেখা যায় এখানে। লেকের পুরোন পাশটাতে বাস করছে তারা কয়েক শতাব্দী ধরে। নৌকা করে ওখানে গেলেই মাঝে মাঝে সামনে পড়তে হয় তাদের। স্থানীয়রা জানান, একজন সাদা শাড়ি পরা নারী আর একজন কালো নারী। এই দুজনকেই দেখা যায় ওখানে। তবে সাদা শাড়ি পরিহিত নারী কখনোই ভয় দেখায় না কাউকে। সে কাজটা কালো প্রেতাত্মার। কালো একধরনের নারী ছায়া ভেসে আসার আগেই সাদা শাড়ি পরা নারী ছায়া সাবধান করে দিয়ে যায় ভ্রমণকারীদেরকে। তবে এতকিছুর পরেও এখন অব্দি এই ভূতুড়ে কালো ছায়ার সম্মুখীন হতে হয়েছে অনেককেই!
২. লালবাগ কেল্লা
মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেবের ছেলে সুবাহদার মোহাম্মদ আজম তার মেয়ে পরী বিবির মৃত্যুর পর এই কেল্লা ছেড়ে চলে যান। আর পেছনে ফেলে যান ছোট্ট মেয়েটির আত্মাকে। এখনো শুনশান রাতে পূর্ণ চাঁদ উঠলে কেল্লায় পরী বিবির হাসি আর...[…]

Travel Image

কাজের ফাঁকে ঘুরে আসুন ভ্রমণের স্বর্গ মালয়েশিয়া

কাজের চাপে জীবন যখন অতিষ্ঠ হঠাৎ তখনই পেয়ে গেলেন একটা ছুটি। এই ছুটিকে কাজে লাগিয়ে ঘুরে আসুন দেশের বাইরে থেকে। খুব বেশি দূরে যাওয়ার সময় না থাকলে ঘুরে আসতে পারেন এশিয়ার মধ্যে ভ্রমনের স্বর্গ মালয়েশিয়া থেকে। মালয়েশিয়া দেখার মত আছে অনেক কিছু। সমুদ্র, পাহাড়, দ্বীপ কি নেই এখানে! চাইলে ইচ্ছামত শপিংও করে নিতে পারবেন। চলুন, জেনে নিন কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন, কীভাবে যাবেন সহ খরচাপাতির টুকিটাকি।
কিভাবে যাবেন:
মালয়েশিয়া ভ্রমন করতে চাইলে আপনাকে বেছে নিতে হবে আকাশপথ। ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় যেতে ইউনাইটেড এয়ার, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ, বাংলাদেশ বিমান ও মালয়েশিয়ান এয়ার থেকে টিকেট কাটতে হয়। এয়ারলাইন্স, সময়ভেদে টিকেটের দাম কম বেশি হয়ে থাকে।
সাধারণত যাওয়া আসা খরচ ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজে টিকিটের দাম পড়বে ২২ হাজার টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকার মত। বাংলাদেশ বিমানের টিকেট পাবেন ২৪ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায়। মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে যেতে চাইলে গুনতে হবে ৩০ হাজারের মত টাকা।
কোথায় থাকবেন:
প্রতিবছর মালয়েশিয়ায় প্রচুর পর্যটক আসে। এখানে সব হোটেলেই চেক ইন করার সময় দুপুর ১২টা। তাই কুয়ালালমপুরে পৌঁছে হোটেল খুঁজতে শুরু করলে, বিপদে পরতে পারেন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আগেই হোটেল বুকিং করে রাখতে পারেন।
অসংখ্য হোটেলের মধ্যে টাইমস স্কয়ার, পার্ক রয়্যাল, ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল, রয়্যাল বেনতান ইত্যাদি পর্যটকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। টাইমস স্কয়ার ও পার্ক রয়্যালে সকালের বুফে নাস্তাসহ দিনপ্রতি খরচ পড়বে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনি চাইলে মাঝারি কোন হোটলে থাকতে পারেন। “পাসার সেনি" বা "মসজিদ জামেক" দুটো জায়গাতেই আপনি পাবেন কে.এল এর অন্যান্য জায়গা থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামের হোটেল। মোটামুটি ৫০ থেকে ১০০ রিংগিতের মধ্যে পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দসই হোটেল। এর চেয়ে কম দামের...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.