Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

প্রাচীনতম জীবন্ত শহর: বারাণসী

বারাণসী - প্রাচীন ভারতের এক অন্যতম নিদর্শন। গঙ্গার পশ্চিম তীরে বরুণা ও অসি নদীর মিলনস্থলে বিশ্বের 'প্রাচীনতম জীবন্ত শহর'। অতীতের কাশী আজকের বারাণসী, হিন্দুধর্মের পবিত্রতার প্রতীক। পুরাণে আছে, খ্রিস্টের জন্মের ১২০০ বছর আগে সুহোত্র-পুত্র কাশ্য পত্তন করেন এ নগরী। কাশ্য থেকে নাম হয় কাশী। The City of Light। গঙ্গা, গঙ্গার ঘাট, মন্দির, ভারতীয় সঙ্গীত, রাবড়ি-লস্যি-মালাই, অলিগলি-তস্য গলি, দোকানপাট, যানজট, ষাঁড়, বেনারসি শাড়ির দোকান, কাচের চুড়ি - এ সব নিয়েই এক প্রাণবন্ত শহর বারাণসী। হানাদারদের হানায় বার বার এর অতীত ধ্বংস হলেও পুণের পেশোয়া, ইন্দোরের হোলকার, গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া এবং বারাণসীর রাজাদের হাতে মন্দির, ঘাট এবং শহর গড়ে উঠেছে নতুন করে।
বারাণসীর প্রধান দর্শনীয় স্থান হলো বিশ্বনাথ মন্দির আর গঙ্গাতীরের প্রাচীন ঘাট। এখানকার প্রধান ঘাটগুলো হলো - দশাশ্বমেধ, মণিকর্ণিকা, হরিশ্চন্দ্র, মানমন্দির, রাজেন্দ্রপ্রসাদ, পঞ্চগঙ্গা, রানিমহল, অহল্যাবাই ঘাট প্রভৃতি। ইন্দোরের মহারানি অহল্যাবাই হোলকার ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান কাশী-বিশ্বনাথ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। আর পাঞ্জাব কেশরী রণজিত্‍ সিংহ মন্দিরের শিখরগুলো সোনা দিয়ে মুড়ে দেন ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে। মন্দিরের দেবতা কালো পাথরের বিশ্বেশ্বর। এটি দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম। বিশ্বনাথ মন্দিরের বিপরীতে অন্নপূর্ণা মন্দির। কার্তিক মাসের শুক্লা প্রতিপদে এখানে অন্নকূট উত্‍সব হয়।
মূল শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রানি ভবানী প্রতিষ্ঠিত দুর্গামন্দির। গোধুলিয়া থেকে ৩ কিলোমিটার দূর রয়েছে শ্বেতপাথরের তুলসী মানস মন্দির। বিদ্যাপীঠ রোডে আছে ভারতমাতা মন্দির। ১৯৩৬ সালে মহাত্মা গান্ধী উদ্বোধন করেন এই মন্দির। এই মন্দিরে মূর্তির বদলে রয়েছে পাথরের তৈরি ভারতের মানচিত্র। এখানেই গড়ে উঠেছে এশিয়ার বৃহত্তম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্থে পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (BHU) প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিয়াম 'ভারত কলাভবন'-এ রয়েছে চিত্র ও ভাস্কর্যের অপূর্ব সংগ্রহ।
গঙ্গার পূর্ব পাড়ে রয়েছে সতেরো শতকে নির্মিত রামনগর...[…]

Travel Image

ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন সবুজঘেরা রিসোর্টে

ব্যস্ত এই নগর জীবন থেকে ছুটি নিয়ে কয়েকটি দিন দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে কেমন হয়? আর ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে মোক্ষম সময় হল ঈদের ছুটি। এই ছুটিকে কাজে লাগিয়ে ঘুরে আসতে পারেন কোনো রিসোর্টে। খুব বেশী দূরে যেতে না চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার আশেপাশের কোন রিসোর্টে। ঈদের সময় ভিড় থাকায় এখনই বুকিং দিয়ে দিতে পারেন আপনার পছন্দের রিসোর্টে। চাইলে একদিনের জন্যও বেরিয়ে আসতে পারেন এই রিসোর্টেগুলো থেকে। ঢাকার আশেপাশে কিছু রিসোর্টের খোঁজ জেনে নিন।
১। পদ্মা রিসোর্ট
বর্তমান সময়ে ছুটি কাটানোর অনত্যম জনপ্রিয় একটি রিসোর্ট হল পদ্মা রিসোর্ট। প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুকে এই রিসোর্টটি অবস্থিত। মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং নামক স্থানে রয়েছে এই রিসোর্টটি। পর্যটকদের নিরিবিলি অবকাশ যাপনের জন্য এখানে রয়েছে কাঠের তৈরি ১৬টি ডু-প্লেক্স কটেজ। প্রতিটি কটেজে রয়েছে একটি বড় বেডরুম, দুটি সিঙ্গেল বেডরুম ও একটি ড্রইংরুম। আছে দুটি ব্যলকনি এবং একটি বাথরুম। যারা চাঁদ দেখতে ভালবাসেন তাদের জন্য পদ্মা রিসোর্ট একটি আদর্শ স্থান। খাবার হিসাবে পাবেন পদ্মা নদীর টাটকা ইলিশ মাছ আর ইলিশের তৈরি নানা মজাদার খাবার।
যোগাযোগ-
রোড-১৯/বি, হাউজ – ২৮৯ (নিচতলা), মহাখালী নিউ ডিওএইচএস, ঢাকা।
মোবাইল: ০১৭১২ ১৭০৩৩০, ০১৭৫২ ৯৮৭৬৮৮,৮৬২৮৮৭৮
www.padmaresort.net
২। ছুটি রিসোর্ট
খুব বেশী দূরে যেতে না চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার খুব কাছে গাজীপুরের অবস্থিত ছুটি রিসোর্ট। গাজীপুরে সুকুন্দি গ্রামে গড়ে উঠেছে গাছপালায় ঘেরা নয়নাভিরাম ছুটি রিসোর্ট। প্রায় ৫০ বিঘা উপর গড়ে উঠেছে ভাওয়াল বনের এই সবুজ দ্বীপ। রিসোর্টটির গা ঘেঁষে আছে গভীর জঙ্গল, আছে দুটো বড় মাঠ,অসংখ্য গাছ আর আছে বিশাল একটা দিঘী। সবচেয়ে মজার যে ব্যপারটা আছে তা হল আপনি চাইলে সম্পূর্ণ গ্রামীণ আমেজে থাকতে পারবেন।আবার যদি চান তবে পাবেন ইট কাঠ বালুর কটেজ।[…]

Travel Image

বিশ্বের সর্ববৃহৎ কৃত্রিম সমুদ্র সৈকত

বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানুষের তৈরি সমুদ্র সৈকত হিসেবে রেকর্ড স্থাপন করেছে ‘ক্রিস্টাল লেগুন’ নামক একটি কোম্পানি। শিরোনামটি শুনে আশ্চর্যের মনে হলেও এটি সত্যি। চিলির সান আলফানসো ডেল মার টুরিস্ট কমপ্লেক্সে ৮ হেক্টর জায়গা জুড়ে এক বিশাল সৈকত বানিয়ে এই রেকর্ড স্থাপন করেছে ‘ক্রিস্টাল লেগুন’। অসাধারণ সৌন্দর্যের এই সমুদ্র সৈকতটি মানুষের তৈরি অতুলনীয় এক স্থাপত্য হিসেবে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর টুরিস্ট এই কৃত্রিম সৈকত এক নজর দেখার আশায় ভিড় জমাচ্ছেন চিলিতে।
ক্রিস্টাল লেগুনের তৈরি প্রথম এই একটি প্রকল্পই গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে। অবশ্য তারা নিজেরাই নিজেদের রেকর্ড ভাঙার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যেই সাড়ে ১২ হেক্টরের আরেকটি সৈকত তৈরি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তারা। বিশাল মরুভূমির মাঝে অবস্তিত মিসরের শার্ম আল শেখ অবকাশ যাপন কেন্দ্রে হবে এই দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ। এছাড়াও ২০২০ সালে দুবাইয়ের আরেকটি সৈকত বানানোর প্রকল্পে কাজ করবে ‘ক্রিস্টাল লেগুন’ যার আয়তন হবে প্রায় ৪০ হেক্টর জায়গা।[…]

Travel Image

ভাধু সমুদ্র সৈকত

সংস্কৃত ‘দ্বীপমালা’ শব্দ থেকেই মালদ্বীপের উৎপত্তি। আবার অনেকে মনে করেন- ‘মালে দিভেই রাজে’-এই কথা থেকে মালদ্বীপ শব্দটির উদ্ভব। ‘মালে দিভেই রাজে’-এই কথার অর্থ, ‘দ্বীপরাজ্য’। ‘মহলদ্বীপ’ থেকেও মালদ্বীপের উৎপত্তি অনেকে মনে করেন। মহল মানে প্রাসাদ। ২৬ টি অ্যাটোল নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ। অ্যাটোল মানে লেগুন ঘেরা প্রবালদ্বীপ। ২৬ টি অ্যাটোল আর ১১৯২ টি ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে মালদ্বীপ দেশ। এর মধ্যে মাত্র ২০০টি বাসযোগ্য।
ইতিহাস থাক। মালদ্বীপ হচ্ছে স্বর্গরাজ্য। প্রকৃতি তার অপরূপ রূপ যেন ঢেলে দিয়েছে সেখানে। বিশাল সমুদ্র, নীল আকাশ আর প্রবাল দ্বীপ। দ্বীপে দ্বীপে অসাধারণ সব সমুদ্র সৈকত। মধুচন্দ্রিমার জন্য পারফেক্ট চয়েস নাকি মালদ্বীপ। ঈদ-পূজোর ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মালদ্বীপ থেকে। দেখে আসতে পারেন মালদ্বীপের বিস্ময়কর এক সমুদ্র সৈকত। সেই সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ঢেউয়ের সাথে ভেসে আসে লক্ষ লক্ষ তারা। মিথ্যে বলছি না একদম! দেখুন ছবিতেই কেমন লাখে লাখে তারা সৈকতে নেমে এসেছে। বিস্ময়কর না?
সৈকতে যেন তারাবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে কেউ। এই তারাবাতির রহস্য প্রকৃতির আরেক রহস্য। মনে হয় প্রকৃতি সৈকতকে সাজিয়ে দিয়েছে ফ্লুরোসেন্ট লাইটে। মিটিমিট নীল আলোয় তাক লাগানো এক বিস্ময়কর সুন্দর। এই উজ্জ্বল নীল আলো আর কিছুর নয়, এক ধরণের সামুদ্রিক ফাইটোপ্লাঙ্কটনের। ফাইটোপ্লাঙ্কটনের নাম ডিনোফ্লাজেলাটিস। এইসব ফাইটোপ্লাঙ্কটনে রয়েছে লুসিফেরাস নামক রাসায়নিক উপাদান যা আলো সৃষ্টি করতে পারে।
জোনাকি, জেলিফিসের মতো অনেক জীবেরই আছে আলো তৈরির করার ক্ষমতা। জীবের আলো তৈরি করার এই ক্ষমতাকে বলে Bioluminescence। এটা অবশ্যই প্রকৃতির এক আশ্চর্য ঘটনা। সাধারণত নিজেদের আত্মরক্ষা, শিকার ধরা, আক্রমনকারী প্রাণীকে বিভ্রান্ত করা জন্য এইসব ফাইটো প্লাঙ্কটন আলো বিচ্ছুরণ করে।
যাইহোক, বলাই তো হয়নি কোন সৈকতে এইরকম নীল আলোর দেখা মিলে। মালদ্বীপের ভাধু দ্বীপের সৈকতে এই দৃশ্য দেখতে পারবেন। মালে থেকে ১৯৪ কিলোমিটার দূরে...[…]

Travel Image

চীনের আশ্চর্য মেইথজিসান কেইভ মন্দির

চীনের উত্তর পশ্চিমে গানসু প্রদেশে বিখ্যাত সিল্ক রোডের কাছে একটি বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। মন্দিরটি মেইথজিসান কেইভ নামে পরিচিত। মন্দিরটি পাহাড়ের গুহায় অবস্থিত। তিয়ানশুই শহরের মেইথজিসার পাহাড়ের গায়ে ১৯৪ টি গুহা তৈরি করে এই বুদ্ধ কমপ্লেক্সটি নির্মান করা হয়। এখানে রয়েছে ৭২০০ টি বুদ্ধ মূর্তি। আর ১০০০ মিটার দেয়াল জুড়ে রয়েছে নানারকম দেয়ালচিত্র। এই গুহামন্দিরটি খুব একটা পরিচিত নয়। কম লোকই জানে এ বিষয়ে। বুদ্ধ ধর্ম যাজকরা এখানে বাস করতে পছন্দ করেন। নীরবে ঈশ্বরের প্রার্থনা করেন, তপস্যা করেন।
এই সম্পর্কে ইতিহাসে খুব একটা তথ্য পাওয়া যায় না। কারা এটা নির্মান করেছিলেন, কোন যুগে, কখন এটি নির্মান হয়, তার সম্পর্কেও বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায় না খুব একটা। তবে এখান থেকে উদ্ধার করা সামগ্রী, পেইন্টিংস ও ক্যালিওগ্রাফি থেকে ধারণা করা হয় চতুর্থ শতাব্দী থেকে এখানে বুদ্ধ ধর্মগুরুরা নীরবে ধর্মচর্চা করার জন্য এই স্থানটিকে বেছে নেয়।
১৯৫৩-৫৪ সালে বেইজিং এর প্রত্নতাত্ত্বিকরা এটিকে আবিষ্কার করে। এখানে তাংহোঙ্গা ও হুয়ানগাঙ্গ নামক দুই ধর্ম যাজকের আত্মজীবনী পাওয়া গেছে। গুহার ভেতরের সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মূর্তির উচ্চতা ১৬ ফুটেরও বেশি।
আর বাইরের মূর্তিগুলোর উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুটের মতো।
মুর্তিগুলোর কাছে যাবার পাহাড়ের গা ঘেষে ঘোরানো সিড়িগুলো আগে কাঠের ছিল, পরে নিরাপত্তার জন্য ওগুলোতে ধাতব সাপোর্ট দেয়া হয়। বৌদ্ধ সন্যাসীরা অনেকেই সেখানে এখনো থাকেন, ধর্মচর্চা করেন।[…]

Travel Image

ইরানের অনন্য সুন্দর দ্বীপ \'কীশ\'

ইরানের দক্ষিণ উপকূল হতে ২০ কিলোমিটার দূরে পারস্য উপসাগরের উত্তরাঞ্চলে ৯১ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে অনেকটা ডিম আকৃতির একটি দ্বীপ রয়েছে। দ্বীপটির নাম কীশ। পূর্ব-পশ্চিমে কীশ দ্বীপের দৈর্ঘ্য হলো ১৫ কিলোমিটার। আর উত্তর দক্ষিণে দ্বীপটির প্রস্থ প্রায় ৮ কিলোমিটারের মত। পারস্য উপসাগরে ইরানের যতোগুলো দ্বীপ রয়েছে তাদের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ এটি। কারণ, সমগ্র বিশ্বের সাথে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে এই দ্বীপটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
কীশ দ্বীপ নৌচালনা এবং মুক্তা কুড়ানোর জন্যে বিখ্যাত। এর চমৎকার আবহাওয়াও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। শীতকালেও কীশের আবহাওয়ায় উষ্ণতার পরিমাণ ১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নীচে নামে না। বছরের ছয় মাস গরম থাকলেও বাকি ছয়মাসের আবহাওয়া বেশ উপভোগ্য।
এই দ্বীপে প্রচুর পরিমাণ প্রবাল রয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব দুই হাজার বছর আগে থেকে এখানে মানব বসতি গড়ে ওঠে। ফলে কীশের সংস্কৃতিতে রয়েছে প্রাচীনত্ব আর বেশ সমৃদ্ধও। তার পাশাপাশি অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবেও প্রাচীনকাল থেকেই কীশের খ্যাতি রয়েছে।
ইরানের কালজয়ী কবি সাদি সপ্তম শতকে তাঁর বিখ্যাত ‘গোলেস্তান’ কাব্যগ্রন্থে কীশ দ্বীপ প্রসঙ্গে লিখেছেন। তাঁর লেখায় উঠে এসেছে তৎকালীন কীশের মর্যাদা, বিস্তৃতি এবং বাণিজ্যিক লেনদেনের বিষয়গুলো।
কীশ দ্বীপ ইরানের সর্বপ্রথম ফ্রি ট্রেড জোন। কেবল বাণিজ্য নয় টুরিস্ট স্পট হিসেবেও কীশ দ্বীপটির খ্যাতি রয়েছে। সমগ্র দ্বীপের শতকরা প্রায় ৫৫ ভাগ এলাকা পর্যটনের জন্যে নির্দিষ্ট। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্যে গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপনা, চমৎকার হোটেল। প্রকৃতির সৌন্দর্য আর স্থাপনার নান্দনিকতায় কীশ হয়ে উঠেছে দর্শনীয় একটি দ্বীপ।
কীশ দ্বীপে রয়েছে উপকূলীয় বৈচিত্র্য, রয়েছে স্ফটিক স্বচ্ছ পানি, বহুরকমের প্রবাল, বিচিত্র রঙের অ্যাকুরিয়ামের মাছ এবং সর্বোপরি কীশে রয়েছে মন কেড়ে নেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এগুলো কীশ দ্বীপ দেখতে যাওয়া যে কোনো দর্শক বা পর্যটককেই
কীশ দ্বীপের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হলো...[…]

Travel Image

ভারতের শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্যের ৭ টি অজানা স্থান

দেশে বিদেশে ঘুরতে পছন্দ করার মতো মানুষের অভাব নেই। কিন্তু অনেকের কাছে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে দূরত্ব, সময় এবং অর্থনৈতিক সমস্যা। সপ্তাহের ৬ দিন কর্মক্ষেত্রে কাটিয়ে অনেক দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন না অনেকেই। আর টাকা পয়সার কথা ভেবে ইচ্ছা থাকলেও দেখা হয় না পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য। তাই বলে কি একেবারেই ঘোরা হবে না? অবশ্যই হবে। পাশের দেশ ভারতেই এমন কিছু অপরূপ সুন্দর স্থান রয়েছে যা আপনি বেশ অল্প সময়ে এবং ইউরোপ, আমেরিকার চাইতে বেশ স্বল্প খরচেই ঘুরে আসতে পারেন। ভাবছেন ভারতের দার্জিলিং, মানালি বা সিমলার কথা বলা হচ্ছে? মোটেই নয়, আজ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি ভারতের অজানা অপরূপ সুন্দর কিছু স্থানের সাথে। এই সকল স্থানে ঘুরে এলে ইউরোপ, আমেরিকা ঘুরে বেড়ানোর মতো সময় এবং সামর্থ্য না থাকার দুঃখ ঘুচিয়ে দিতে পারবেন অনায়েসেই। আর সেই সাথে দুচোখ ভরে দেখে আসতে পারবেন শ্বাসরুদ্ধকর অসাধারণ সৌন্দর্যের স্থানগুলো।
১) ইয়ামথাং ভ্যালী, সিকিম
ইয়ামথাং ভ্যালী উত্তর সিকিমে অবস্থিত এবং হিমালয় পর্বতমালা দ্বারা বেষ্টিত। এই স্থানটি সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় ৩,৫৬৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই অপরূপ স্থানটি ‘ভ্যালী অফ ফ্লাওয়ারস’ নামেই বেশী জনপ্রিয়।
২) নুব্রা ভ্যালী, লাদাখ
শ্বাস রুদ্ধকর সৌন্দর্যের এই ভ্যালীটি লাদাখে অবস্থিত, যাকে বলা হয় কোল্ড ডেজার্ট অর্থাৎ ঠাণ্ডার মরুভূমি।
৩) নোহকালিকাই জলপ্রপাত, চেরাপুঞ্জি
এই জলপ্রপাতটি ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে একটি। এই জলপ্রপাতটির নামের অর্থ হচ্ছে ‘Jamp of Ka Lakai’। এই স্থানের আদিবাসীদের লোককথা অনুযায়ী লাকাই নামের একজন নারী পারিবারিক দুর্ঘটনার পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এই প্রপাত থেকে লাফ দিয়ে আত্মহনন করেন। এবং এর পর থেকেই এই জলপ্রপাতটির নাম নোহকালিকাই জলপ্রপাত।
৪) মাথেরান
খুব ছোট্ট এই হিল স্টেশনটি মুম্বাই থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই স্থান থেকে...[…]

Travel Image

ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক ‘শশী লজ’

পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের তীরে অবস্থিত সবুজ সুন্দর শহর ময়মনসিংহের প্রাণকেন্দ্রে জমিদার আমলের এক অনন্য স্থাপনা রয়েছে। ‘শশী লজ’। হুমায়ূন আহমেদের অয়োময় নাটকটির কথা মনে আছে আপনাদের? সেই যে জমিদার মীর্জা সাহেব আর তার দুই স্ত্রী এলাচী আর লবঙ্গ, মনে আছে আপনাদের? সেই নাটকে যে জমিদার বাড়ি দেখানো হয়েছিলো সেটি এই 'শশী লজ'। সেই থেকে স্থানীয়ভাবে ‘শশী লজ’ জমিদার বাড়ি হিসেবে পরিচিত হতে থাকে।
ইতিহাস
মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে নির্মান করেছিলেন এক মনোরম প্রাসাদ ‘ক্রিস্টাল প্যালেস’ যা ‘রংমহল’ নামেও পরিচিত ছিলো। কিন্তু ১৮৯৭ সালের ১২ জুন গ্রেট ইন্ডিয়ান ভূমিকম্পে বিখ্যাত ‘রংমহল’ ধ্বংস হয়ে গেলে সেই স্থানে নির্মান শুরু করেন বাইজেন্টাইন ধাঁচের বর্তমান ভবনটি। ভবনটির নির্মান সম্পন্ন হওয়ার আগেই সূর্যকান্ত আচার্য মত্যুবরণ করেন। নিঃসন্তান সূর্যকান্তের দত্তক পুত্র শশীকান্ত আচার্য চৌধুরী ভবনটির নির্মান শেষ করেন ১৯০৫ সালে এবং তাঁর নাম অনুসারে এর নামকরণ করেন ‘শশী লজ’।
বিবরণ:
নয় একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত শশীলজের মূল ফটকে রয়েছে ১৬টি গম্বুজ। সাধারণ বাসভবন ছাড়াও বাড়িটিতে আছে হলঘর, বিশ্রামঘর, নাচঘর, স্নানঘর। সর্বমোট ২৪ টি কক্ষ রয়েছে এই ভবনটিতে। শশীলজের মূল ভবনের সামনে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। বাগানের মাঝখানে আছে শ্বেতপাথরের ফোয়ারা, যার মাঝখানে রয়েছে গ্রিক দেবী ভেনাসের স্নানরতা মর্মর মূর্তি। লাল ইট আর হলুদ দেয়ালে নির্মিত শশীলজের পাশেই আছে পদ্মবাগান। শশী লজের ভেতরের বারান্দা অতিক্রম করে কয়েক ধাপ সিঁড়ি পেরোলেই রঙ্গশালা। সুদৃশ্য সেই রঙ্গশালার এক প্রান্তে বিশ্রামঘর। বিশ্রামঘরের পর কাঠের মেঝেযুক্ত হলঘর। হলঘরের পাশেই মার্বেল পাথরে নির্মিত আরেকটি জলফোয়ারা। মূল ভবনের পেছনভাগে রয়েছে একটি দোতলা স্নানঘর। কথিত আছে এই স্নানঘরে বসে রানী পাশের পুকুরে হাঁসের খেলা দেখতেন। পুকুরটির ঘাট মার্বেল পাথরে বাঁধানো। এছাড়াও অর্ধ গোলাকার খিলান এবং ডরিক...[…]

Travel Image

প্রিয়জনকে নিয়ে ঢাকার মাঝে বেড়াতে যাওয়ার দারুণ কিছু স্থান

কাজের চাপে সময় দেওয়া হয় না প্রিয় মানুষটিকে? একসাথে ঘুরতে যাওয়া হয় না অনেকদিন? ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল সময় হল এই ঈদের ছুটি। যদিও এবার ঈদ কেটেছে বৃষ্টিতে আর অবশেষে সপ্তাহের শেষে এসেছে মিলেছে রোদের দেখা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘুরে আসুন কোথাও থেকে প্রিয় মানুষটিকে সাথে করে। দূরে কোথাও যাওয়া সম্ভব না হলে ঢাকার ভিতরে কোথাও থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন । জেনে নিন ঢাকার কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে পারবেন।
১। লালবাগ কেল্লা
পুরাতন ঢাকার লালবাগে অবস্থিত লালবাগ কেল্লা। মোঘল আমলে স্থাপিত এই দুর্গটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন।এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থল।খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের টিকিট লাগবে না।
২। আহসান মঞ্জিল
পুরাতন ঢাকার ইসলামপুরের বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত আহসান মঞ্জিল। ঘুরে আসতে পারেন এই আহসান মঞ্জিল থেকে। খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রবেশমূল্য জনপ্রতি পাঁচ টাকা।
৩। যমুনা ফিউচার পার্ক
ঈদের পর এখন খোলা থাকবে যমুনা ফিউচার পার্ক। প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে । ফুড কোর্টের দোকান গুলোও সবই খোলা থাকছে। আর সেই সঙ্গে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টারে চলবে বেশ কিছু সিনেমা। চাইলে প্রিয় মানুষটিকে সাথে প্রিয় কোন সিনেমাও দেখে আসতে পারেন।
৪। বোটানিক্যাল গার্ডেন
প্রাকৃতিক পরিবেশে যদি সময় কাটাতে চান তবে ঘুরে আসতে পারেন বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে। চিড়িয়াখানার পাশে বোটানিক্যাল গার্ডেন অবস্থিত।সবুজ গাছপালা ঘেরা বোটানিক্যাল গার্ডেন ছুটির দিন খোলা থাকবে।
৫। ফ্যান্টাসি কিংডম
ঢাকার অদূরে অবস্থিত ফ্যান্টাসি কিংডম। সারাদিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন বর্তমান সময়ের অন্যতম অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম থেকে।
৬। হেরিটেজ পার্ক
ফ্যান্টাসি কিংডমের পাশেই হেরিটেজ পার্ক।...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.