Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বিশ্বজুড়ে আকর্ষণীয় ১০টি হ্রদ

অদ্ভুত সুন্দর এই পৃথিবী সমৃদ্ধ অনন্য সাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে। অরণ্য হোক, পাহাড় হোক, সমুদ্র হোক বা হ্রদ- চোখ মেললেই পৃথিবী রূপ মুগ্ধ করে মানব সন্তানদের। চলুন, ভ্রমণ পিপাসু পাঠকেরা আজ দেখে আসি পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর ১০টি হ্রদকে। সময় পেলে এই স্থানগুলো ভ্রমণ করে আসতে ভুলবেন না যেন!
Laguna Verde
Laguna Verde একটি লবণ পানির হ্রদ । এটি বলিভিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত । Laguna Verde একটি স্প্যানিশ শব্দ যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় সবুজ হ্রদ। সবুজ জলে আলোছায়া এই হ্রদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
ব্যান্ড-ই আমির
ব্যান্ড-ই আমির নামক নীল জলের হ্রদটি আফগানিস্থানের হিন্দ কুশের ছয়টি পর্বতমালার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। ২০০৮ সালে আফগানিস্থান এটিকে জাতীয় পার্ক হিসেবে ঘোষণা করে।
Lake Pukaki
নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত Lake Pukaki। “glacier blue color water বা হিমবাহের নীল জল এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।
Laguna Colorada
Laguna Colorada হ্রদটি চিলি সীমান্ত ঘেষেঁ বলিভিয়ায় অবস্থিত। এই হ্রদের পানির রঙ লাল।
Kelimutu
এটি Kelimutu আগ্নেয়গিরির পাদদেশে অবস্থিত। এর হ্রদের পানিতে রয়েছে তিনটি ভিন্ন রঙ। এর পানি কখনো সবুজ, কখনো লাল আবার কখনো লাল-সবুজের সংমিশ্রণ হয়। পর্যটকদের নিকট বেশ জনপ্রিয় এই হ্রদটি ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত।
Havasu Falls
Havasu Falls গ্রান্ড ক্যানিয়ন এর একটি অংশ। এটি আমেরিকায় অবস্থিত। নীল-সবুজ রঙের স্বচ্ছ পানি পর্যটকদের খুব আকর্ষণ করে।
Moraine Lake
চারদিকে বরফে ঘেরা পাহাড়ের পাদদেশে স্বচ্ছ নীল জলের লেকটি বেশ আকর্ষণীয়। এই লেকটি কানাডায় অবস্থিত।
Lake Nakuru
কেনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি স্থান হলো এই লেক। এটি একটি অগভীর লেক। এই লেকের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য হলো flamingos পাখির বাহার। বলা হয়ে থাকে যে, পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম পাখির অভয়ারণ্য হচ্ছে এই লেক।
Jiuzhaigou
এই হ্রদটিকে স্থানীয়রা বলে থাকে “son of the sea”। এটি চীনে অবস্থিত। এই হ্রদে রয়েছে নীল ও সবুজ রঙের...[…]

Travel Image

সৌন্দর্যে অনন্য দ্বীপরাষ্ট্র \"পালাউ\"

ওশেনিয়া মহাদেশের ছোট একটি দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ। এর রাষ্ট্রীয় নাম রিপাবলিক অব পালাউ বা পালাউ প্রজাতন্ত্র। পুরো দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রায় ২৫০টি ছোট বড় দ্বীপ নিয়ে গঠিত। পালাউ প্রজাতন্ত্রের রাজধানী মেলিকিওক। ৪৫৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট এই দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ২১,০০০ । তাদের বসবাস দেশটির বিভিন্ন দ্বীপে। পালাউয়ের রাষ্ট্রীয় ভাষা পালাউ এবং ইংরেজি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পট পরিবর্তনের পর পালাউ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের জাতিসংঘ ট্রাস্ট এলাকার অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটি শাসন করতো। ১৯৯৪ সালের ১ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এক চুক্তির মাধ্যমে পালাউ স্বাধীনতা লাভ করে। সেই থেকে ১ অক্টোবর ক্যা পালাউ সরকার স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। পালাউয়ের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ। এখানকার গড় তাপমাত্রা ২৮° সেলসিয়াস। এছাড়া এখানে সারাবছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। গড়ে প্রতি বছর এখানে ৩,৮০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে।
পালাউয়ের জনপ্রিয় খেলা
পালাউয়ের জনপ্রিয় খেলা হল বেসবল। পালাউয়ের জনগণ এই খেলার সাথে পরিচিত হয় জাপানিজদের মাধ্যমে ১৯২০ সালে। তারপর থেকে এই খেলাকে পালাউয়ের জনগণ আপন করে নিয়েছে। পালাউ ন্যাশনাল বেসবল টিম মাইক্রোনেশিয়ান গেমসে তিনবার স্বর্ণপদক লাভ করে। সর্বশেষ ২০১০ সালে তারা মাইক্রোনেশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক লাভ করেছে। এছাড়াও পালাউয়ের জনগণ ফুটবল খেলা পছন্দ করে। কিন্তু এটা এখনো এতটা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি।
পালাউয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
পালাউতে আসার সময় বিমান থেকেই পালাউয়ের অনেকটা সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। সাদা মেঘের ভেলার নীচে সচ্ছ নীল জলরশি আপনাকে মুগ্ধ করবে। পালাউয়ের অন্যতম আকর্ষণ এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পুরো দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বেষ্টিত করে রেখেছে স্বচ্ছ নীল জলরাশি। ইচ্ছে করলে আপনি ডুবরীর পোশাক পরে নেমে যেতে পারেন সাগরের তলদেশ ভ্রমণে। সেখানে দেখা মিলবে হাজারো প্রজাতির সুন্দর সুন্দর প্রাণীর। এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ বারবার...[…]

Travel Image

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য

মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, এদেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বেশেষে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের ফলে এ দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতি ভাস্কর্য। বিজয় পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁদের চির অম্লান করতে নির্মাণ করা হয় 'জাগ্রত চৌরঙ্গী' নামের ভাস্কর্যটি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এটি প্রথম ভাস্কর্য। এ ভাস্কর্যটি ১৯৭৩ সালে গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তার ঠিক মাঝখানে সড়কদ্বীপে নির্মাণ করা হয়। ভাস্কর আব্দুর রাজ্জাক 'জাগ্রত চৌরঙ্গী' ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন।
জয়দেবপুর শহর থেকে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা পর্বের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। আর এই প্রতিরোধ যুদ্ধে কমপক্ষে ২০ জন মুক্তিকামী মানুষ শহীদ হন এবং ১৬ জন আহত হন। তাঁদের অবদান ও আত্মত্যাগকে চেতনায় সমুন্নত রাখতে এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। ভিত বা বেদিসহ ভাস্কর্যটির উচ্চতা ৪২ ফুট ২ ইঞ্চি। ২৪ ফুট ৫ ইঞ্চি ভিত বা বেদির উপর মূল ভাস্কর্যের ডান হাতে গ্রেনেড ও বাম হাতে রাইফেল। সাধারণ মানুষের প্রতীকী রূপ হিসেবে ভাস্কর্যের পুরুষটি মালকোচা মেরে লুঙ্গি পরা, খালি গা ও পেশিবহুল। কংক্রিট, হোয়াইট সিমেন্ট, গ্রে সিমেন্ট ইত্যাদি দিয়ে ঢালাই করে নির্মিত এ ভাস্কর্যটিতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর সেক্টর ও ১১ নম্বর সেক্টরের শহীদ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিপিবদ্ধ করা আছে।[…]

Travel Image

ইউরোপ ভ্রমণে বাদ যাবে না যে ১০টি প্রাসাদ

ভ্রমণ বিলাসী মানুষের স্বপ্নের স্থান ইউরোপ। এই সুপ্রাচীন মহাদেশের সুদীর্ঘ ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে নানান জায়গায় ছড়িয়ে আছে স্থাপত্যকলার বিভিন্ন নিদর্শন। দূর্গ, প্রাসাদ, ভিলা কিংবা বিখ্যাত মানুষদের স্মৃতিবিজরিত স্থান পর্যটকদের কাছে জীবন্ত করে তোলে ইতিহাসের নানান অধ্যায়। প্রাসাদে ঢুকলে বর্তমান সময় কিংবা সামর্থ্য ভুলে নিজেকে মনে হবে রাজা, রানী, সভাসদ কিংবা জমিদার। আজকাল তো প্রাসাদে থাকার উপায় নেই, তাই এটুকু অনুভূতিই বা কম কিসে! ইউরোপের এমনই দৃষ্টিনন্দন দশটি প্রাসাদ-
১. ফ্রান্সের ভার্সাই (Versailles) প্রাসাদ
প্যারিসের কাছে অবস্থিত ভার্সাই প্রাসাদে কক্ষের সংখ্যা মাত্র এক হাজার আটশো! ইউরোপের বৃহত্তম প্রাসাদগুলির মধ্যে অন্যতম এই সুবিশাল প্রাসাদ ও উদ্যান নির্মিত হয় ১৬৭৭ সালে। ফরাসি নৃপতি চতুর্দশ লুই নিজের বাসভবন হিসেবে প্রাসাদটি নির্মাণ করান। পরে ইউরোপের অপরাপর শাসক তাদের নিজস্ব ‘ভার্সাই’ তৈরি করার চেষ্টা করেছেন।
২. রাশিয়ার পেটারহোফ (Peterhof/ Petrodvorets) প্রাসাদ
সেন্ট পিটার্সবার্গের পশ্চিমে, ফিনল্যান্ড উপসাগরের কূলে অবস্থিত প্রাসাদটি ‘রুশ ভার্সাই’ নামেও পরিচিত। জার পিটার দ্য গ্রেট ১৭২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাসাদটির উদ্বোধন করেন – তার গ্রীষ্মকালীন বাসস্থান হিসেবে। প্রাসাদটির অন্যতম আকর্ষণ হল গ্র্যান্ড ক্যাসকেড কিংবা স্যামসন ফাউন্টেনের মতো ফোয়ারা।
৩. তুরস্কের টপকাপি (Topkapi) প্রাসাদ
পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে প্রায় ৪০০ বছর ইস্তানবুলের টপকাপি প্রাসাদ ছিল তুর্কি সম্রাটের বাসভবন। প্রাসাদের চারটি মুখ্য চত্বর এবং অন্যান্য ছোটখাটো ভবন আছে, যেখানে প্রাসাদের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী বসবাস করতেন। রাজার বাসভবন, তাই রাজকীয় স্থাপত্যর পাশাপাশি বিনোদন, খেলাধুলা, প্রমোদ কিংবা গোপন অত্যাচারকুঠুরীতেও রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
৪. ব্রিটেনের উইন্ডসর (Windsor) প্রাসাদ
যেখানে মানুষজন বাস করে, এবং সবচেয়ে বেশিদিন ধরে বাস করে আসছে, এমন সব প্রাসাদ ও দুর্গগুলোর মধ্যে ইউরোপের বৃহত্তম প্রাসাদ উইন্ডসর। প্রথম হেনরির আমল থেকে ইংল্যান্ডের রাজপরিবার এখানে বাস করেছে। প্রাসাদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়...[…]

Travel Image

বিশ্বের যে ৫টি শহরে বসবাস সবচেয়ে নিরাপদ

কোথাও খেতে খেতে নিজের ল্যাপটপ রেখে আসলেও বোধহয় চিন্তা করবেন না পৃথিবীর নিরাপদ সব শহরের বাসিন্দারা। কোন ক্যাফেতে নিজের টাকার ব্যাগ বা ল্যাপটপ রেখে আসার ব্যাপারে প্রায় সবাই সতর্ক থাকলেও অন্তত নিরাপদ শহরের বাসিন্দাদের এ ব্যাপরটিতে উদাসীনতা দোষের কিছু নয়। বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরগুলোতে বসবাসরত অধিবাসীদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলাটা এক ধরণের বাতুলতা। দ্য ইকোনমস্টি ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ৫টি শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকা প্রনয়ণে ইআইইউ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্যগত স্থায়িত্ব, ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রযুক্তি এই বিষয়গুলোকে মানদন্ড হিসেবে গণ্য করেছে।
ওসাকা:
টোকিওর পাশাপাশি জাপানের ওসাকা শহর বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শহর। ১৭ বছর আগে ইংল্যান্ড থেকে জাপানে চলে আসা স্থানীয় ইংরেজি ম্যগাজিন কানসাই সিনের প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল লি বলেন: “জনসাধারণের বসবাসের জন্য জাপান অবিশ্বাস্য রকমের নিরাপদ জায়গা।”
ওসাকা জাপানের বাণিজ্যিক শহর হিসেবে পরিচিত। শহরটির বেশিরভাগ মানুষই অনেক রাত করে ঘরে ফেরে। আর একারণেই দিনে হোক আর রাত স্টেশনগুলো সবসময়ই মানুষে সরগরম থাকে। কিয়োটো থেকে ওসাকা আসা ২৫ বছর বয়সী ইয়োশি ইয়ামামোতো বলে: “রাতের বেলা শহরে মেয়েদের চলা ফেরা একদম নিরাপদ।”
বাণিজ্যিক এই শহরটির মানুষগুলো অনেক বন্ধুপরায়ণ। লি বলেন: “ওসাকা হল বিক্রেতাদের শহর, আর এখানকার মানুষগুলো আলাপ করতে ভালোবাসে। একজন আাগন্তুক হিসেবে আপনি কোন পানাহারের দোকানে গেলে দোকানীরা আপনাকে প্রচুর খাতির যত্ন করবে। আপনি হয়ত তাদের কোন কথায় বুঝবেন না তবে তাদের আতিথিয়তায় আপনি মুগ্ধ হবেন।
আমস্টারডাম:
প্রায় ১০ লক্ষ অধিবাসীর শহর আমস্টারডাম এখনও পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাকি সব শহর থেকে তুলনামূলকভাবে ছোট। শহরটিকে ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ আবাসিক পরিবেশ হিসেবে গণ্য করা হয়।
তিন বছর আগে নিউইয়র্ক ছেড়ে আমস্টারডামে আসা আন্দাজ আস্টারডাম প্রিনসেনগ্রাচ্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপক টনি হিন্টাসটসিয়ার বলেন: “এই শহরটির বাসিন্দা হিসেবে আমি নিজেকে...[…]

Travel Image

জব্বলপুর: ইতিহাসের নগরী, পাথরের নগরী

ভারতের মধ্যপ্রদেশের শিল্পশহর জবলপুর, যা আসলে জব্বলপুর নামের পরিচিত। আরবি ভাষায় 'জব্বল' শব্দের অর্থ পাথর। জব্বলপুর হলো পাথুরে শহর। বিচিত্র আকৃতির ক্ষয়িঞ্চু পাথরের পাহাড় তার চারদিকে। এক সময় এখানে ছিল কালচুরি আর গোন্ড রাজাদের রাজধানী। শহরের একধারে রয়েছে গোন্ড রাজাদের তৈরি মদনমোহন দুর্গ। পাহাড়তলির পরিচ্ছন্ন বসতি ছাড়িয়ে টানা চড়াইপথ উঠে গিয়েছে চূড়া পর্যন্ত। কোথাও সিঁড়ি, কোথাও ঢাল। পাহাড়ের উপর মদনমোহন কেল্লা, রানি দুর্গাবতীর প্রাসাদ সময়ের আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে। বারো শতকে গোন্ড রাজারা এখান থেকেই শাসন করতেন তাদের গোন্ডয়ানা রাজ্য। দুর্গ দেখে পাহাড়ের মাঝামাঝি নেমে এলে হাতের বাঁ দিকে পড়বে শিবের মহামন্দির। গুহাটা অনেকটা ছোটখাট ঘরের মতো, তার মাঝে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ।
জব্বলপুর শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূর ভেড়াঘাট। যেখানে প্রকৃতির কয়েকটি ভয়ঙ্কর সুন্দর সৃষ্টি দেখার জন্য ভিড় করেন দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। পাথরে বাঁধানো চওড়া রাস্তা পৌঁছেছে নদীর ধারে। পথের শেষে ধুঁয়াধার জলপ্রপাত। স্থানীয় মানুষের কাছে গঙ্গার মতো পবিত্র নর্মদা নদী এখানে জলপ্রপাতের রূপ নিয়ে, পাথরের এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে আছড়ে, অনেক নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তাতে বহু দূর পর্যন্ত ধোঁয়ার মতো জলকণা উড়ছে বলেই নর্মদা প্রপাতের আরেক নাম 'ধুঁয়াধার' জলপ্রপাত। দাঁড়িয়ে থেকে সেই প্রপাত দেখার জন্য নিরাপদ দূরত্বে নদীর উপর রেলিংঘেরা ভাসমান প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। বৃষ্টির মতো উড়ন্ত জলকণা প্রতিনিয়ত এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাবে শরীর। কয়েকশো মিটার দূরে আরেকটি টিলার উপরে রয়েছে আরেকটি ভিউ প্ল্যাটফর্ম।
ধুঁয়াধার জলপ্রপাত থেকে ১ কিলিমিটার দূরে চৌষট্টিযোগিনী মন্দির। বড় বড় গাছে ভরা এক পাহাড়ের মাথায়। ১০৮টি সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পর সেখানে সমতল চূড়া। উঁচু শিখরওয়া পাথরের তৈরি মন্দির। এই চৌষট্টিযোগিনী মন্দির খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দীতে তৈরি। কেয়ূরবর্ষ নামে জনৈক কালচুরি রাজা যা তৈরি করিয়েছিলেন। মন্দির...[…]

Travel Image

সারনাথ : বৌদ্ধধর্মের উন্মেষ যেখানে

বিশ্বের প্রচীনতম জীবন্ত শহর ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসী। গঙ্গার পশ্চিম তীরে বরুণা ও অসি নদীর মিলনস্থলে জ্বলজ্বলে এক নক্ষত্রের মতো শহরটি। হিন্দুধর্মের পবিত্রতার প্রতীক আজকের বারাণসী তথা সেকালের কাশী। আর এই কাশী থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সারনাথ, আরেকটি ধর্মের তীর্থস্থান। বৌদ্ধধর্ম। বৌদ্ধধর্মের উন্মেষ এই সারনাথেই। সারনাথে সিদ্ধার্থ প্রথম মহাধর্মচক্র প্রবর্তন করেন। বৌদ্ধধর্মের প্রচার করেন তাঁর পাঁচজন শিষ্যের মাঝে। সুজাতার হাতে পায়েস গ্রহণের ফলে বুদ্ধের প্রতি রুষ্ট হয়ে তাঁর পাঁচ সঙ্গী বুদ্ধকে ছেড়ে ধর্মচর্চার জন্য এখানে আসেন। বুদ্ধও আসেন তাঁদের খোঁজে। ৬০ জন শিষ্য নিয়ে রূপ পায় সংঘ। দিকে দিকে তাঁরাই ছড়িয়ে পড়েন বৌদ্ধধর্মের বার্তা নিয়ে। আরো পরে বুদ্ধের ধ্যানে বসার স্মারকরূপে আশোকের রাজত্বকালে গড়ে ওঠে মূল বৌদ্ধবিহার। বার বার মুসলিম হানায় বিনষ্ট হয়ে হারিয়ে যায় সারনাথ। ১৭৯৪ খ্রিস্টাব্দে বারাণসীর রাজা চৈত সিংয়ের দেওয়ান জগত্‍ সিং হারিয়ে যাওয়া সারনাথ আবিষ্কার করেন। আর ১৮৩৪ থেকে ১৯০৫-এ স্যার আলেকজান্ডার কানিংহামের নেতৃত্বে ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিকদের খননে নবরূপে উদ্ভাসিত হয় সারনাথ।
চীনা পরিব্রাজক ফা হিয়েন এবং হিউয়েন সাঙয়ের বিবরণী থেকে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত সারনাথ ছিল শিক্ষাদীক্ষার পীঠস্থান। ৬৫ মিটার উঁচু বিহার, ৩০টি মঠ এবং ১৫০০ হীনযান ভিক্ষুর বাস ছিল সারনাথে। বৌদ্ধ পরবর্তী যুগে এই অঞ্চলের নাম হয় সারনাথ। 'সারঙ্গ' অর্থাত্‍ মৃগ আর 'নাথ' অর্থাত্‍ প্রভু। কালে কালে লোকমুখে সারনাথ। জাতক কাহিনীতেও আছে বুদ্ধ এক সময় হরিণরূপে এই স্থানে জন্মগ্রহণ করে এবং এলাকার দলনেতা হিসেবে বিবেচিত হন। মতান্তর সারঙ্গনাথ শিবের বাসস্থল থেকে সারঙ্গনাথ নাম।
সারনাথে প্রবেশপথের কাছেই রয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি টিলার মতো চৌখন্ডি স্তূপ - অষ্টকোণবিশিষ্ট স্তম্ভ। বুদ্ধকে এখানেই তাঁর অনুগামী শিষ্যরা বরণ করে। বাদশাহ আকবর পিতা হুমায়ুনের সারনাথ...[…]

Travel Image

অতীত রাজাদের রাজপাট: মহীশূর

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৭০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত মহীশূরকে কেউ বলেন বাগিচার শহর, আবার কেউ বলেন চন্দনের। কথিত আছে, অসুররাজ মহিষাসুরের থেকেই এ শহরের নাম - মহীশূর। কর্নাটকের প্রাচীন রাজধানী শহর মহীশূর যেন আজও অতীত রাজাদের রাজ্য। রাজত্ব গেলেও রাজরাজড়াদের বৈভব আজও মহীশূরের অন্যতম আকর্ষণ। ওদিয়ার রাজবংশ দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছে মহীশূরে।
স্থাপত্যরীতির নান্দনিকতার কারণে মহীশূরের প্রকাণ্ড রাজপ্রাসাদটিই হলো পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। ১৮৯৭ সালে পুরনো প্রাসাদ আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর ইন্দো-সেরাসেনিক শৈলীতে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে এ প্রাসাদ। নানা স্মারক সংগ্রহে সুসজ্জিত প্রাসাদের বিভিন্ন মহল খুলে দেয়া হয়েছ দর্শকদের জন্য।
রাজপ্রাসাদের দরবাল হলে রয়েছে ষোড়শ শতকের ওদিয়ার রাজের রত্নখচিত সোনার সিংহাসন। এছাড়াও মুগ্ধ করবে প্রাসাদের বিভিন্ন মহলের কাঠের দরজা, ছাদের সূক্ষ্ম কারুকাজ, রূপার দরজা, শুভ্র মেঝে, ঝাড়লণ্ঠন, হাতির দাঁত ও চন্দন কাঠের আসবাবপত্র। রয়েছে হায়দার আলি ও টিপু সুলতানের তরোয়াল, ছত্রপতি শিবাজির বাঘনখ।
১৮৬১ সালে কৃষ্ণরাজা ওদিয়ারের বিয়ের সময়ে তৈরি জগমোহন প্রাসাদে রয়েছে আর্ট গ্যালারি। এখানে রবি বর্মা, এস এল হলদিকরের ছবি ও নানা অ্যান্টিক আছে। আছে উল্লেখযোগ্য বাদ্যযন্ত্রের সংগ্রহ। মহীশূরের চিড়িয়াখানা চামরাজেন্দ্র জু গার্ডেনটি তৈরি হয়েছিল ১৮৩২ সালে মহীশূররাজের পৃষ্ঠপোষকতায়। ৩৭ হেক্টর জায়গা জুড়ে সবুজ গাছপালায় ছাওয়া, পরিখায় ঘেরা নীল আকাশের নিচে প্রায় ১৫০০ জীবজন্তুর ছড়ানো সংসার।
শহরের দক্ষিণে ১০৯৫ মিটার উঁচু চামুণ্ডি পাহাড়ে রাজপরিবারের কুলদেবী চামুণ্ডেশ্বরী মন্দির। এ মন্দিরে রয়েছে ২০০০ বছরের প্রাচীন মূর্তি। সুন্দর স্থাপত্যের এ মন্দিরটিতে পদব্রজে পৌঁছতে হলে চড়তে হবে ১০০০টি সিঁড়ি। পাহাড় ঘুরে গাড়িতে যাওয়ার পথও আছে। পথে পড়বে একখণ্ড পাথর কুঁদে তৈরি করা ২৫ ফুট দীর্ঘ ও ১৬ ফুট উঁচু বিশাল, বিস্ময়কর নন্দীমূর্তি এবং মন্দিরের সামনে বিশাল মহিষাসুরের মূর্তি। এই মহিষাসুরকেই বধ করেছিলেন দেবী চামুণ্ডেশ্বরী।
মহীশূর...[…]

Travel Image

প্রকৃতির স্পর্শে হোক ঈদের হৈ-হুল্লোড়

ঈদের ছুটি পেয়ে গেছেন নিশ্চয়। কেউ কেউ হয় তো বাড়িতেও পৌঁছে গেছেন। বাবা মা’র সঙ্গে একটা জম্পেশ ঈদ কাটানোর পরেও হাতে থাকবে বেশ কয়েকটি দিন। আর সেই কয়েকটা দিনে হয় তো হাতের কাছে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন। আপনার হাতের কাছে কি আছে? সমুদ্র? সিলেটের চা বাগান? মহাস্থান গড়? না ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান? চলুন ঘুরে আসি প্রকৃতির অপার সান্নিধ্য থেকে।
সমুদ্র সৈকত
সমুদ্রের হাওয়ায় মন হয়ে ওঠুক প্রশান্ত:
সমুদ্র টানে না কাকে? নীল জলের গর্জন শুনে, সমুদ্রের হাওয়ায় উদাস হতে কার না ভালো লাগে। হাতে দিন-চারেকের সময় পেলেই ঘুরে আসতে পারেন নীল সমুদ্রের বুক থেকে। আর এই সমুদ্র দেখার জন্য বিদেশ পাড়ি জমানোর কোনো দরকার নেই। এদেশেই রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম বেলাভূমি কক্সবাজার সম্রদ্র সৈকত।
ঢাকা থেকে খুব সহজেই বাসে অথবা প্লেনে করে পৌঁছে যেতে পারেন কক্সবাজার। তবে ট্রেনে চেপে কক্সবাজার সরাসরি যাওয়া যাবে না। ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছে সেখান থেকে খুব সহজে বাসে করে পৌঁছে যেতে পারবেন কক্সবাজার। কক্সবাজারে নেমে ভালো কোনো হোটেলে উঠে সামান্য আয়াস করতে না করতেই আপনাকে ডাক দিবে সমুদ্রের নীল জল। সমুদ্রের উন্মাতাল ডাকে সাড়া দিয়ে সমুদ্র সৈকতে পা রাখতেই আপনার চোখ জোড়া জুড়িয়ে যাবে।
যতদূর চোখ যাবে ততদূর জল আর জলের ঢেউ। পায়ের কাছে আছড়ে পড়ছে নোনাজল। এ অনুভূতি তো আর ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না। সমুদ্রের নীল জলের পাশে পাশে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে নিতে পারবেন বিশ্রামও।
সমুদ্র সৈকতের পাশে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি রঙিন ছাতা। ছাতাগুলোর নিচে শোভা পাচ্ছে আরাম চেয়ার। এই সব আরাম চেয়ারে বসে আয়েসী ভঙ্গিতে সমুদ্রের ঢেউ আর গুঞ্জন আপনার কাছে বলে যাবে রোমাঞ্চের অন্য রকম এক অনুভূতির গল্প। চাইলে নানা রকম...[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.