Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বিনোদনস্পট বাঞ্ছারামপুর-আড়াইহাজারের ফেরিঘাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কড়িকান্দি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার বিষনন্দীতে মেঘনা নদীর উপর ফেরি চলাচল। ফেরী চলাচলের মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার মানুষের যোগযোগ সহজ হয়েছে। অন্যদিকে ফেরি চালু হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে ফেরিঘাট এলাকাটি এখন ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বেড়ানোর স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে ফেরিঘাট ও সংলগ্ন নদী তীরে ঘুরতে আসছেন শত শত বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ফেরিঘাটকে ঘিরে বিনোদনপ্রেমী শত শত মানুষ ভীড় চোখে পড়ে। মানুষের এমন উপস্থিতিতে ফেরিঘাটের দুই পাড়ে রাতারাতি গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত হোটেল-রেষ্টেুরেন্ট, ফাস্টফুডের দোকান ও শিশুদের খেলনার দোকান। ফেরিঘাটের উভয় পাশে শতাধিক নৌকার মাঝি ব্যস্ত সময় পার করছেন বিনোদন প্রেমীদের নৌকায় করে নদীতে ঘুরিয়ে। আয় বেড়েছে মাঝিদের। এলাকার লোকজন স্বপরিবারে বিকেল বেলায় ভিড় করে মেঘনার জলের স্পর্শ নিচ্ছেন। উপভোগ করছেন দক্ষিনা বিশুদ্ধ বাতাস। ফলে মাঝরাত পর্যন্ত উৎসুক মানুষের ভিড় থাকে এই ফেরিঘাটকে ঘিরে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে এক কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে আড়াইহাজার অংশে এক কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং বাঞ্ছারামপুর অংশে ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়। জনসাধারণের চলাচলের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ ফেরিঘাটটি গত ২৭ আগস্ট খুলে দেয়। প্রথম দিন থেকেই এঘাট দিয়ে অসংখ্য ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রো, প্রাইভেটকার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটর সাইকেল পারাপার হচ্ছে।
অন্যদিকে ফেরিঘাটটি চালু হওয়ায় এলাকাবাসী মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। এর মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সাথে বাঞ্ছারামপুরের প্রায় ২৮ কিলোমিটার রাস্তার দূরত্ব কমে এসেছে। বাঞ্ছারামপুর থেকে হোমনা হয়ে গৌরিপুর-দাউদকান্দি দিয়ে ঢাকার দূরত্ব হচ্ছে ৮০ কিলোমিটার। বাঞ্ছারামপুর থেকে ফেরিপার হয়ে আড়াইহাজার-মদনপুর হয়ে ঢাকা ৫২ কিলোমিটার, অপরদিকে আড়াইহাজার-ভুলতা(গাউছিয়া)...[…]

Travel Image

ঈদের আনন্দ ফ্যান্টাসি কিংডমে

বিশ্বমানের আদলে গড়া উত্তেজনাকর সব রাইডস নিয়ে এই পার্ক তৈরি করা হয়েছে। বিনোদনপিপাসু যে কোনো বয়সের দর্শকের জন্য এ পার্কটি আদর্শ। এখানে রয়েছে দুধরনের প্যাডেল বোটসহ মজার মজার সব রাইড। এই পার্কে সবচেয়ে উত্তেজনাকর ও জনপ্রিয় রাইড হল রোলার কোস্টার। এছাড়াও রয়েছে জায়ান্ট ফ্লুম, শান্তা মারিয়া, ম্যাজিক কার্পেট, ওয়ার্লি বার্ড, হ্যাপি ক্যাঙ্গারু, বাম্পার কার, বাম্পার বোট, জিপ অ্যারাউন্ড, পানি অ্যাডভেঞ্চার, ইজিডিজি, জুজু ট্রেন ইত্যাদি। এছাড়া খাওয়া-দাওয়ার জন্য রয়েছে তিন তারকা মানের আশু ক্যাসেল রেস্টুরেন্ট ও ওয়াটার টাওয়ার ক্যাফে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ও অন্যান্য দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকে। ঈদ উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষ আকর্ষণীয় কনসার্টসহ ড্যান্স শো, ডিজে শো এবং অ্যাক্রোব্যাট শো এর ব্যবস্থা করেছে। ঈদের এই উত্সবমুখর দিনগুলোতে ফ্যান্টাসি কিংডম বর্ণালি সাজে সজ্জিত হবে এবং থাকবে নানা ধরনের মাস্কাট, যা বাচ্চাদের দেবে অফুরন্ত আনন্দ।
ওয়াটার কিংডম
পানির মধ্যে অফুরাণ বিনোদন, যা কি না একমাত্র ওয়াটার কিংডমে সম্ভব। মাটির নিচ দিয়ে আকর্ষণীয় এক টানেল পার হয়ে তবেই এই ওয়াটার কিংডমে যাওয়া যায়। এখানকার উল্লেখযোগ্য রাইডগুলো হল-ওয়েভপুল, স্লাইড ওয়ার্ল্ড, লেজি রিভার, ফ্যামিলিপুল, টিউবস্লাইড, মাল্টিস্লাইড, ওয়াটারপুল, ডুমস্লাইড, লস্ট কিংডম, প্লে জোন ও ড্যান্সিং জোন। এখানে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে আপনি ভিজে যাবেন; তাই আপনাকে সঙ্গে আনতে হবে অতিরিক্ত কাপড় ও তোয়ালে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা চেঞ্জ রুম। পার্কে খাওয়া-দাওয়ার জন্য ফাস্টফুড শপ, আইসক্রিম শপ, রেস্টুরেন্টসহ রয়েছে গিফট শপও। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং অন্যান্য দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকে। দর্শনার্থীদের...[…]

Travel Image

রাজশাহী শহরের মধ্যস্থলে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর

আত্ম বিস্মৃত বাঙালী জাতি চিরকালই অনিহা প্রকাশ করে এসেছে ইতিহাস আর ঐতিহ্য চর্চায়। এ কারণে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রায় পোনে দুইশত বছর পূর্বে বাঙালীর ইতিহাস নাই বলে খোদোক্তি করেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ঐ খোদোক্তি দূর করার জন্য অনেক কৃতি বাঙালী বাংলার ইতিহাস চর্চায় ব্রতী হয়েছিলেন। কেউ ব্যক্তিগতভাবে, কেউ যুগ্নভাবে জাতির ইতিহাস ও ঐতিহার্য রক্ষায় তাদের মহান দয়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সথে পালন করে গেছেন। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্রয় হলেন দিঘাপতিয়ার (নাটোর) জমিদার কুমার শরৎকুমার রায় (জন্ম : ১৮৭৬,মৃত্যু: ১২ এপ্রিল ১৯৪৬) ও তার ২ সহযোগি অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় (জন্ম : ১ মার্চ ১৮৬১,মৃত্যু: ১০ ফেব্রয়ারী ১৯৩০)ও রমাপ্রসাদ চন্দ্র (জন্ম : ১৫ আগষ্ট ১৮৭৩, মৃত্যু: ২৮ মে ১৯৪২); তাদের পরিশ্রমের ফল ১৯১০ সালে গড়া বাংলদেশের একমাত্র শতবষীয় জদুঘর বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর।
১৯০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের কাশিম বজারে রাজা মনীচন্দ্রের রাজবাড়ীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে¡ অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গীয় সহিত্য সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন। ১৯০৯ সলে রাজশাহী শহরে পুঁঠিয়ার পাঁচ আনীর রাজ বাড়ীর চত্বরে আচর্য্য পি.সি. রায়ের সভাপতিত্বে বঙ্গীয় সহিত্য সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন বসে। এই সম্মেলনের আঞ্চল-ভিত্তিক একটি মৌলিক তথ্য সম্বলিত প্রবন্ধ উপস্থাপনে ব্যবস্থা করা হয়। তৎকালীণ রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক রমাপ্রসাদ চন্দ্র অত্যান্ত পরিশ্রম করে ‘বাঙালী জাতির উৎপত্তি’ বিষয়ে একটি প্রবন্ধ রচনা করে পাঠ করেন। মৌলিক তথ্য সমৃদ্ধ এই প্রবন্ধ উপস্থিত নবীন ও প্রবীণ সহিত্যিকদের মনে ব্যাপক অলোড়ন সৃষ্টি করে। এই সম্মেলনের রমাপ্রসাদ চন্দ্রকে এ অঞ্চলের উপর অর্থাৎ বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রত্ন সম্পদের উপরে আরো একটি প্রবন্ধ রচনা করার জন্য অনুরোধ করা হয় এবং তা আগামী অধিবেশনে পাঠনীয় হিসাবে নিদ্ধারণ করা হয়।
পরের বছর, ১৯১০ সালে বিহারের ভাগলপুরে বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে কুমার শরৎকুমার রায়, অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় ও...[…]

Travel Image

তৈদুছড়া (খাগড়াছড়ি)

প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়। পাহাড়ের ওপর পাথরের ছড়া। স্বচ্ছ পানিতে চোখে পড়ে মাছের আনাগোনা। তবে সেখানে যাওয়ার আগে পেরিয়ে যেতে হবে সবুজ পাহাড়, পাথরের গুহা, জলপ্রপাত আর ঝরনা। যাত্রাপথ দারুণ রোমাঞ্চকর। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার তৈদুছড়ার কথা বলছি।
ত্রিপুরা ভাষায় ‘তৈদু’ শব্দের অর্থ হচ্ছে পানির দরজা। আদিবাসীদের কাছে গেলে জানা যাবে এখানকার কথা। প্রাকৃতিক শোভা আর রোমাঞ্চ—দু'য়ের স্বাদ নিতে আপনিও যেতে পারেন তৈদুছড়ায়।
গাড়িতে করে দীঘিনালা উপজেলার চাপ্পাপাড়া পর্যন্ত গিয়ে পা দুটো কাজে লাগাতে হবে। কারণ, কাঁচা রাস্তায় গাড়ি আর যাবে না। প্রথমে গিয়ে পৌঁছাবেন বোয়ালখালী ছড়ার পাশের গ্রাম বুদ্ধমা পাড়ায়। সেখানে একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। এরপর বোয়ালখালী ছড়া পেরিয়ে তৈদুছড়ার মুখ দিয়ে প্রবেশ। অল্প পানির ছড়া দিয়েই হাঁটতে হবে। দূর থেকে দেখে চমকে উঠতে পারেন। মনে হতে পারে বুনো হাতির পাল পানিতে গা ভাসিয়ে রয়েছে। আর যাওয়া ঠিক হবে না? ভুল ভাঙবে ভালো করে দেখে। এগুলো হাতি নয়, সারিবদ্ধ বড় বড় পাথর। পুরো ছড়াটিতেই এ রকম বড় বড় পাথর, মাঝেমধ্যে সুড়ঙ্গের মতো। ঘণ্টাখানেক হাঁটার পর কান বন্ধ হওয়ার মত উপক্রম তীব্রবেগে পানি গড়িয়ে পড়ার শব্দে। ১০ মিনিট হাঁটাপথ এগিয়ে পেয়ে যাবেন তৈদুছড়ার জলাধার। ‘ওপরে গেলে পানির উৎসও দেখা যাবে। আমরা সবাই একবাক্যে রাজি। একটু বিশ্রাম নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করতে পারেন হাঁটা।’
প্রায় এক ঘণ্টা হাঁটার পর আবার সেই কানফাটানো পানির আওয়াজ। আরও একটু এগিয়ে চোখে পড়বে ঝরনায়। ঠিক সিঁড়ির মতো প্রাকৃতিক ধাপ আছে। তাতে বসে বা শুয়ে পানিতে গা ভাসানো যায়। মাঝেমধ্যে আবার পানির স্রোত বেড়ে হঠাৎ ধাক্কা মারে। সেজন্য সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এই ঝরনাটির ওপরে আছে আরও একটি ঝরনা। আর ঝর্নাটির নিচে পানি পড়ে তৈরি হয়েছে ছোট হ্রদ।
সেই ঝরনা থেকে আরও...[…]

Travel Image

শরীয়তপুরের ধানুকার মনসা মন্দির

সংস্কার আর সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে শরীয়তপুরের ধানুকার মনসাবাড়ি । এ বাড়ির বেশির ভাগ সম্পদই বেহাত হয়ে গেছে । শুধু দালানগুলো এলাকার প্রভাবশালীদের হাত থেকে এখনো রক্ষা করে রেখেছেন বাড়ির শেষ পুরুষ শ্যামাচরন চক্রবর্তী । শরীয়তপুর জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পেছন দিকটাই ধানুকা গ্রাম । দক্ষিন দিকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ হাঁটলেই চোখে পড়ে মনসা বাড়ি । কথিত আছে, বাড়ির এক কিশোরের অভ্যাস ছিল প্রত্যুষ বাগানে গিয়ে ফুল কুড়ানো। একদিন প্রত্যষেু ফুল কুড়াতে গিয়ে সে দেখতে পায় বাগানে মস্তবড় এক সাপ । ভয় পেয়ে সে ঘরে ফিরে আসে । পরদিন আবার যথা রীতি ওই কিশোর ফুল কুড়াতে যায় বাগানে । সেদিনও মুখোমুখি হয় সেই সাপের । সাপটি কিশোরের পিছু পিছু বাড়ির আঙিনায় প্রবেশ করে তাকে ঘিরে নৃত্য করতে শুরু করে। বাড়ির লোকজন প্রত্যক্ষ করে সে দৃশ্য। রাতে তাদের সামনে স্বপ্নে আর্বিভূত হয় মনসা দেবী। দেবী তাদের মনসা পূজা করার নির্দেশ দেন। এর পরই বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয় মনসা মন্দির। আর সেই থেকেই ময়ূর ভট্রের বাড়ি রূপান্তর হয় মনসা বাড়িতে। মূল রাস্তা থেকে বাড়িটির প্রবেশ মুখে একটি বড় পুকুর রয়েছে। পুকুরে পশ্চিম পাড় থেকে শুরু রয়েছে মূল বাড়ির সীমানা। মন্দির বাড়ির পশ্চিম সীমানার মাঝামাঝি পূর্বদিকে মূখ করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলো প্যাটার্নের দোচালা ছাদবিশিষ্ট ইমারত। এটাই একসময় মনসা মন্দির হিসাবে ব্যবহার হতো। উওরের প্রান্তসীমায় দক্ষিন দিকে মুখ করে অপেক্ষাকৃত বড় একটি ইমারত রয়েছে। এটি দোচালা ছাদবিশিষ্ট। এটি দূর্গা মন্দির হিসেবে চিহ্নিত। দুর্গা মন্দিরের দিকে মুখ করে একটু ভিন্ন ডিজাইনের একটি ভবন রয়েছে। ভবনটি দ্বিতল ছিল। দ্বিতল ভবনের দ্বিতীয় তালাটি বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। এর ওপরে ওঠার জন্য ইটের তৈরি সিঁড়ির কিছু অংশ এখনো টিকে...[…]

Travel Image

তেতুলিয়া চা বাগান

চা বাগানের কথা উঠলেই মনে হয় সিলেট বা শ্রীমঙ্গলের কথা। উচু নিচু সবুজে ঘেরা টিলা আর পাহাড় তার গাঁয়ে সারি সারি চা গাছ। কিন্তু সমতল ভূমিতেও যে চা বাগান হতে পারে তা পঞ্চগড় না এলে বোঝা যাবে না। দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গড়ে উঠেছে এমন অর্গানিক চায়ের প্রাণজুড়ানো সবুজ বাগান। এ দেশে অর্গানিক ও দার্জিলিং জাতের চায়ের চাষ হয় একমাত্র তেঁতুলিয়ার বাগানগুলোতেই। ইতিমধ্যে এ চা দেশের বাইরেও সুনাম অর্জন করেছে। পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়ার দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটারের মতো। পঞ্চগড়ের অধিকাংশ চা বাগান এই তেঁতুলিয়াতেই অবস্থিত। এখানকার চা বাগানের মধ্যে কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট, ডাহুক টি এস্টেট, স্যালিলেন টি এস্টেট, তেঁতুলিয়া টি কোম্পানী প্রভৃতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
সমতল ভূমিতে সুন্দর পাকা রাস্তা। যতই এগুবেন সবুজ আপনাকে ক্রমেই মোহিত করতে থাকবে। সীমান্তের কাঁটাতারও যেন ঢাকা পড়েছে সবুজে। ওপার থেকে একটি খাল নির্দ্বিধায় ঢুকে পড়েছে আমাদের সীমানার ভেতরে। খালটির দুই পাশের শস্যরাশি মায়া ছড়াচ্ছে। এ এক অন্য রকম ভালোলাগার রাজ্য।
রাস্তার দুই পাশে বিস্তীর্ণ সবুজ। মুহূর্তেই যাবেন সবুজের সমারোহে। দলে দলে নারী কাঁধে সাদা ব্যাগ ঝুলিয়ে অবিরাম চা পাতা তুলছেন। নয়নাভিরাম দৃশ্য! এখানকার চা বাগান কিন্তু সিলেট বা চট্টগ্রামের মতো উঁচু-নিচু নয়, একেবারেই সমতল, দেখতেও অন্য রকম। রাস্তার দুই পাশে যেন সবুজ মখমলের চাদর বিছানো। বাগানের ধার ঘেঁষে অসংখ্য জারুলগাছে বেগুনি ফুল ফুটে আছে।
সন্ধ্যার পরে এসব চা বাগানের নেমে আসে ভিন্ন এক স্বগীর্য় সৌন্দর্য। আহামরি সে সুন্দর। সন্ধ্যার পরে যখন চাঁদ আসে তখন মনে হবে আপনি যেন ভেসে বেড়াচ্ছেন নীল পরীর দেশে। চা পাতায় চাঁদের আলো পড়ে সৃষ্টি হয় মায়াবী রূপ। জোনাকিরা বাগান সাজায় আপন মনে। মনে হবে এ যেন মর্তের বাহিরে অন্য...[…]

Travel Image

বিশ্বের বিপদজনক পাঁচ রাস্তা

একবার ভেবে দেখুন আপনি হাঁটছেন ভূপৃষ্ঠ থেকে হাজারো ফুট উঁচু কোনো পথ দিয়ে, কিংবা সাগরের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে কোনো সেতুতে; আর সেখান দিয়ে পার হচ্ছেন আপনি। চিন্তা করতে ভয় লাগলেও বাস্তবেই রয়েছে এমন বিপদজনক পথ। আর বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা এসকল রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো মানুষ।
ছবিতে দেখুন এমনই পাঁচটি বিপদজনক পথ
১. প্রশান্ত মহাসাগরের রাস্তা
৮.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ পেরোতে আপনার লাগবে ৩০ মিনিট। বিভিন্ন দ্বীপে যুক্ত হওয়া এই সেতুটির রয়েছে ৮টি শাখা-প্রশাখা। প্রতিনিয়তই সাগরের বিশাল ঢেউ এই সেতুতে আঘাত হানে। ভয়ংকর এই স্থানটি ভ্রমণের জন্যও বেশ চমৎকার। প্রতিবছর হাজারো দর্শনার্থী এই দ্বীপগুলোতে ঘুরতে আসেন এবং এই সেতুটি অতিক্রম করেন।
২. সাউথ ইয়াংগাস রোড
৪৩ মাইল দীর্ঘ ভয়ংকর এই রাস্তাটি বলিভিয়ায় অবস্থিত। এটি ‘ডেথ রোড’ বা ‘মরণপথ’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। প্রতিবছর রাস্তাটিতে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারান। তবুও নিকটস্থ গ্রামবাসীদের এ পথই ব্যবহার করতে হয় কারণ এ পথ ছাড়া আর কোনো রাস্তা তাদের জন্য নেই।
৩. ভিটিম রিভার ক্রসিং
সাইবেরিয়ার ভিটিম নদী পারাপারের এই রাস্তাটি খুবই চিকন। ৬০০ মিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটির খুবই ভয়ংকর। শীত এবং ঝড়ের সময় এটি আরো ভয়ংকর রুপ ধারণ করে।
৪. শিয়ারি রোড
ভারতের শিয়ারি পথটিও বেশ বিপদজনক। পাহাড় কেটে তৈরি করা এই রাস্তা প্রায় সময়ই বৃষ্টির পানি ও কাদায় ঢেকে থাকে। তখন চলাচলের জন্য আরো বিপদজনক হয়ে ওঠে।
৫. হিমালয়ের রাস্তা
বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিমালয় পর্বতমালায় স্বাভাবিকভাবেই রাস্তাগুলো বিপদজনক থাকবে। কিন্তু এটি যে কতটা ভয়ংকর তা না দেখে বোঝার উপায় নেই। প্রায়ই এই রাস্তাটি বরফ ও পানিতে ঢেকে যায়। চলাচলের ক্ষেত্রেও খুবই পিচ্ছিল এই রাস্তায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।[…]

Travel Image

বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ৯টি গিরিখাত

এই তো কয়েক দশক আগেও পর্যটক বা দর্শনার্থীদের অনেকেই গিরিখাত এর নাম শুনলেই চমকে যেত। নিশ্চিত মৃত্যুর সাথে আলিঙ্গনের ভয়ের কারণে! কিন্তু সময় বদলেছে। এখন আর গিরিখাত মানেই নিশ্চিত মৃত্যু নয়। এখন সেই গিরিখাতের অপার সৌন্দর্য দেখার জন্য মানুষ পাড়ি দিচ্ছে কত যে কঠিন পথ তার হিসেব নেই। আসুন দেখে নিই,বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নয়টি সংকীর্ণ গিরিখাত; যেগুলো ভ্রমণপিপাসু মানুষদের চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে।
(১)আনটিলৌপ গিরিখাত,অ্যারিজোনা
পৃথিবীর সুন্দরতম গিরিখাত বলে মনে করা হয় এই গিরিখাতকে। যেটা আমেরিকার দক্ষিণে অ্যারিজোনার নাভোজোতে অবস্থিত। এই গিরিখাতের দুইটি ভাগ আছে। এক উপরের গিরিখাত এবং নিচের গিরিখাত। উপর থেকে ধেয়ে আসা বন্যায় বেলে পাথর ক্ষয়ে এই সুন্দর ও নান্দনিক গিরিগাত গঠিত। অদ্ভুত কৌণিক দেয়াল আছে। বাহারী রং, গঠন, রেখাচিত্র এবং দর্শনীয় সব দৃশ্য আছে যা একজন আলোকচিত্রীকে সহজেই আকর্ষণ করে। গ্রীষ্মকালে এর সৌন্দর্য বহুগুনে বেড়ে যায়।
(২)সিক গিরিখাত,পেত্রা,জর্ডান
জর্দানের পেত্রা শহরের প্রধান প্রবেশপথে এই গভীর খাদ অবস্থিত। এই গিরিখাতের দেয়াল কালো। এই গিরিখাতের তিন চতুর্থাংশ পথ সংকীর্ণ। কখনো কখনো এই গিরিখাত ৮-৯ ফুটের বেশী চওড়া হয় এবং আর এই গিরিখাতের দেয়ালের উচ্চতা প্রায় ৩০০-৬০০ ফুট। এই গিরিখাত জলের ক্ষয় দ্বারা গঠিত।
(৩)ওয়েভ গিরিখাত , অ্যারিজোনা
এই নান্দনিক গিরিখাতটিও আমেরিকার অ্যারিজোনায় অবস্থিত। ওয়েভ এর নিচে শুধুমাত্র ৭ ফুট চওড়া। তবে এটি ৫২ ফুটেরও বেশি গভীর এবং উপরে ৬২ ফুট চওড়া। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এই গিরিখাতটি পর্যকটদের সব সময়ই আকর্ষণ করে থাকে। ভূ-বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে বলেছেন যে জায়গাটা ১৯০ মিলিয়ন বা ১৯ কোটি বছরের পুরোনো। জায়গাটা বালিপাথর বা স্যান্ডস্টোনে তৈরি। এই পাথর সহজেই ক্ষয়ে যায় মানুষের পায়ের চাপ লেগে। অ্যারিজোনা সরকার তাই ওয়েভে যেতে একদিনে কুড়ি জনের বেশি পর্যটককে অনুমতি...[…]

Travel Image

যে দশটি দেশে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন ব্রিটিশরা

ভ্রমণ করতে কে না ভালোবাসেন। অজানাকে জানা, অচেনাকে চেনার পাশাপাশি আনন্দ লাভের জন্য নিজের দেশে ছাড়াও অন্য দেশে ভ্রমণে আগ্রহী হন পর্যটকরা। অন্যান্য পর্যটকদের পাশাপাশি ব্রিটিশদের মধ্যেও অন্য দেশ ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা দিন দিনই বাড়ছে। কেবল ধারণা নয়, জরিপই বলছে এমন তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১০-১৪ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক বছরেই অন্য দেশ ভ্রমণে ব্রিটিশদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ব্রিটিশরা ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোন দেশকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কোন কোন দেশে ব্রিটিশদের ভ্রমণ আগের চেয়ে বেড়েছে তাও প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকাটি গেল বছর ব্রিটিশদের সর্বাধিক ভ্রমণ করা দেশগুলোর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
২০১৪ সালে ব্রিটিশদের সর্বাধিক ভ্রমণ করা ১০ দেশের তালিকা:
১. স্পেন
২. ফ্রান্স
৩. যুক্তরাষ্ট্র
৪. আয়ারল্যান্ড
৫. ইটালী
৬. জার্মানী
৭. পর্তুগাল
৮. নেদারল্যান্ড
৯. গ্রিস
১০. বেলজিয়াম
২০১৪ সালে যেসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে
১. রোমানিয়া
২.ফিনল্যান্ড
৩. লিথুনিয়া
৪. রাশিয়া
৫. মরক্কো
৬. সংযুক্ত আরব আমিরাত
৭. বুলগেরিয়া
৮. ডেনমার্ক
৯. মেক্সিকো
১০. হাঙ্গেরি
[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.