Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

রাবার ড্যাম প্রকল্প যেন দিনাজপুরের জলপ্রপাত

দেখে মনে হতে পারে কোন জলপ্রপাত। প্রায় ১০ ফুট উঁচু হাওয়ায় ফুলানো রাবারের বেলুনের উপর দিয়ে প্রচন্ড গর্জন ও তীব্র বেগে আছড়ে পড়ছে জলধারা।
জলপ্রপাত যারা দেখেননি, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর এর কাঁকড়া নদীতে সেচ কাজে নির্মিত রাবার ড্যামের অবিরাম জলবর্ষনকে তারা জলপ্রপাত মনে করতে পারেন। এই রাবার ড্যাম প্রকল্প শুস্ক নদীর দু’কূলের প্রায় ৫ হাজার কৃষক পরিবারের ৫০ হাজার মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে আরো ১০ হাজার মানুষের।
জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে এলাকায় এনেছে নান্দনিক সৌন্দর্য। যা কেও দেখে হয়ত মনে মনে দেশাত্মকবোধক গানের দু/এক কলি গুন গুন করে উঠবেন।
যদিও কৃষকদের চাষাবাদের বিষয়টি চিন্তা করে ২০০১ সালে কাঁকড়া নদীর উপরে দিনাজপুর এলজিইডি ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৩০ ফুট দীর্ঘ রাবার ড্যামটি নির্মান করে। এই রাবার ড্যাম নির্মানের ফলে চিরিরবন্দর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই ও কাঁকড়া নদীর ১০ কিলোমিটার এবং পাশ্ববর্তী ১২ কিলোমিটার কয়েকটি শাখা খাল বছরের পুরো সময় পানিতে ভর্তি থাকে। ২ হাজার ২০৫ হেক্টর জমি সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। কুশলপুর, খোচনা, পশ্চিম সাইতাড়া, দক্ষিণ পলাশবাড়ী, উত্তর ভোলানাথপুর, আন্দারমুহা, অমরপুর, ভিয়াইল, কালিগঞ্জ, তালপুকুর, পুনট্টি, উচিতপুর, তুলসীপুর, নারায়নপুর ও গোবিন্দপুর গ্রামের ৪ হাজার ৯৫০ জন কৃষক ড্যামের পানি তাদের জমিতে সেচ কাজে ব্যবহার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এ অঞ্চলের জমি উর্বরা হওয়া সত্বেও সেচের অভাবে অনাবাদি ছিল। রাবার ড্যাম নির্মিত হওয়ায় এখন নিয়মিত ৪টি ফসল হচ্ছে। আমন, ইরি, আলু, সরিষা, ভুট্টা, গমসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। নদী ও খাল থেকে পানি তুলে কৃষকেরা অনায়াসে জমিতে সেচ দিচ্ছেন। আগে এক বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২০ মন ধান উৎপন্ন হত। রাবার ড্যাম হওয়ায় সেচ সুবিধার কারণে এখন...[…]

Travel Image

ডানলপ সাহেবের নীলকুঠি

সাধারন মানুষের কাছে পরিচিত ডান লপ সাহেবের নীল কুঠি নামে। গরীব চাষীদের উপর ব্রিটিশ নীলকরদেও অত্যাচার ও ঐতিহাসিক ফরায়েজী। আন্দোলন এর নীরব সাক্ষী নীলকুঠি এখন ও এটি দাঁড়িয়ে আছে। মাদারীপুর জেলা শহর থেকে ১০ কিঃমিঃ উওর- পূর্ব দিকে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে এই নীলকুঠিরটির অবস্থান। জন শ্রুতি আছে, বহুকাল আগে থেকে গ্রামটি বিভিন্ন পীর আউলিয়ার পদস্পর্শে ধন্যবলে এর নাম হয় আউলিয়া পুর । এই গ্রামেই রয়েছে খ্যাতিমান আউলিয়া হযরত শাহসুফি খাজা ইউসুফ শাহ আহসানের দরগা শরীফ । অযত্নে অবহেলায় দরগাটি আজ জরাজীর্ণ। দরগাটির অবস্থান নীল কুঠিরের পাশেই । ৫০ বছর আগে ও এই এলাকাটি ছিল ঘন জঙ্গলে আবৃত। এখানে বাস করত বাঘ সহ নানা ধরনের হিংস্র প্রাণী । এখন অবশ্য এখানেআর জঙ্গল নেই । প্রায় দুশ বছর আগের কথা । ডানলপ সাাহেব নামের একজন ইংরেজ নীল কর নীলের ব্যবসা কওে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার বাসনা নিয়ে তিনি এসে ছিলেন এই এলাকায় । ১২ একর জমির ওপর তিনি স্থাপন করেন নীল কুঠি । এই নীল কুঠি আজ প্রায় নিশ্চিহৃ । কুঠির জমিও বিভিন্ন ভাবে বেহাত হয়ে গেছে । কুঠির ধ্বংসাবশেষ এবং ইটের তৈরি ভবনের ভিওি পড়ে রয়েছে । আর স্মৃতি হিসাবে প্রায় অক্ষত রয়ে গেছে শুধু চুল্লিটি স্থানীয় ভাবে জানা গেছে, বৃহওর ফরিদপুরের অংশ হিসেবে মাদারীপুওে নীল চাষ শুরু হয় পলাশীর যুদ্ধের কিছুকাল পর থেকেই। এলাকার তৎকালীন কৃষকদের ধান,পাট, গম, সরিষা সহ অন্যাণ্য ফসল বাদ দিয়ে শুধূ মাত্র নীল চাষে বাধ্য করা হত । যে জমিতে একবার নীল চাষ করা হতো সেখানে অন্য কোন ফসল চাষ করা সম্ভব হতো না। অত্যন্ত দরিদ্র কৃষকদেও বিপদেও সময় স্থানীয় দালালের মাধ্যমে সুদে...[…]

Travel Image

কানাইঘাটের বাঘ খেওড়

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অসংখ্য ছোট বড় নদী বিধৌত অপূর্ব শোভায় শোভিত প্রাচীন জনপদটির নাম কানাইঘাট। সিলেট বিভাগীয় শহর থেকে প্রায় ৫১.২ কিলোমিটার (৩২ মাইল) দূরে উত্তর পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে কানাইঘাটে আসতে হলে সিলেট-তামাবিল রোড অথবা,জকিগজ্ঞ রোডে কানাইঘাট উপজেলা সদরে আসা যায়। কানাইঘাট বাজার ঘেঁষে প্রবাহিত সুরমা নদীর দু’পারেই দু’টি বাস ষ্টেশন আছে। সীমান্তকে ঘিরে রেখেছে খাসিয়া জৈয়ন্তিয়া পাহাড়। এর পাদদেশে অবস্থিত অসংখ্য টিলা,মণিপুরী টিলা,মিকিরপাড়া,লুহাজুড়ি সহ অসংখ্য টিলার অবস্থান এ উপজেলায়। আবার এসব টিলার মধ্য দিয়ে অসংখ্য নদী বা ছড়া পাহাড় থেকে নেমে এসেছে। এর মধ্যে লোভা, নুনগাং, কালিজুড়ি, আপাং, সুরই, সিংগাইর, নাপিতখাল অন্যতম, এগুলি দিয়ে খাসিয়া-জৈয়ন্তিয়া পাহাড় থেকে অতীতে অসংখ্য বানর,শুকর,হাতি,বাঘ ইত্যাদি প্রাণী এখানকার লোকালয়ে নেমে আসত। এখনো শরৎ হেমন্তকালে বাঘ নামে। প্রতি বছর ২/১ টি বাঘ আটক করা হয়। স্থানীয় ভাষায় এ বাঘ আটক করাকে বলা হয় “বাঘ খেওড়”।
বাঘ আসে কোথা থেকে:
কানাইঘাটের পাহাড়গুলোতে প্রতিবছর যে বাঘগুলো আসে তা পাশ্ববর্তী ভারতের উঁচু উঁচু পাহাড় থেকে এসব লোকালয়ে নেমে আসে। সাধারণত খাবারের সন্ধানে,দলছুট হয়ে বাঘগুলো এসব লোকালয়ে আসে। স্থানীয় পাহাড়ী এলাকার লোকদের বক্তব্য প্রায় রাত্রে এসব বাঘের গর্জন ও শোনা যায়। গত বছরের শেষের দিকে এখানে বিরল প্রজাতির দুটি কালো বাঘ নামলে ১ টি বাঘকে আটক করতে সক্ষম হয় এলাকাবাসী,যে বাঘটি প্রশাসনের সহযোগিতায় চিটাগাং সাফারি পার্কে নেওয়ার পথে মারা যায়।
যে ভাবে বাঘকে আটক করা হয়:
মূলাগুল,বড়বন্দ,সুরইঘাট,কালিনগর,নিহালপুর,লক্ষীপ্রসাদ ইত্যাদি পাহাড়ী এলাকার গ্রামগুলোতে বাঘ নামলে লোকজন সুকৌশলে বাঘের অবস্থানের বন,টিলা, ঘিরে জাল দিয়ে বাঘকে আটক করে। সীমান্তবর্তী এসব গ্রামে বাঘ নামলে প্রথমে গরু,ছাগল,মহিষ ও ভেড়ার উপর আক্রমন করে এতে এলাকার লোকজন নিশ্চিত হন যে পাহাড় থেকে লোকালয়ে বাঘ...[…]

Travel Image

অবহেলিত চন্দ্রাবতীর শিব মন্দির

গ্রামের নাম কাচারিপাড়া। বাংলাদেশের অন্য গ্রামগুলোর মতো এ গ্রামটিও ছায়া সুনিবিড় সবুজে ঘেরা। তারপরও আর দশটা গ্রাম থেকে এ গ্রামটি একটু ভিন্ন, গ্রামের রয়েছে আলাদা এক গৌরব। রয়েছে এক কালজয়ী ইতিহাস। এ ইতিহাসের জীবন্ত সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় চারশত বছরের পুরনো অষ্টকোণাকৃতির ৩২ ফুট উচু এক শিব মন্দির। বাংলা সাহিত্যের আদি মহিলা কবি মতান্তরে প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর নিজস্ব উপাসনার জন্য ষোড়শ শতকের দ্বিতীয় ভাগে নির্মাণ করা হয় এ শিব মন্দির। কবি চন্দ্রাবতীর নামানুসারে এ মন্দির চন্দ্রাবতীর শিব মন্দির নামে পরিচিত। ঈশা খার স্মৃতি বিজড়িত জঙ্গলবাড়ি অঞ্চলের পাতুয়াইর এলাকায় বর্তমানে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজকাপন ইউনিয়নের কাচারি পাড়া গ্রামে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চন্দ্রাবতীর শিব মন্দির।
জেলা সদর থেকে যার দূরত্ব ১০-১২ কিলোমিটার। ষোড়শ শতকে রচিত মনসা মঙ্গলের বিখ্যাত কবি দ্বিজবংশী দাশের কন্যা চন্দ্রাবতীর বিয়োগাÍক ভালোবাসার স্মৃতি সম্পৃক্ত এ মনদির আজ কাচারি পাড়া গ্রামবাসীর গর্বের অনন্য সম্পদ। নারায়ণ ঘোষের বর্ণনা থেকে জানা যায়, কবি চন্দ্রাবতী একদিকে যেমন ছিলেন সাহিত্য প্রতিভাময়ী অন্যদিকে ছিলেন অসম্ভব রূপবতী ও রোমান্টিক মনের অধিকারী। বাল্যকালেই চন্দ্রাবতীর সঙ্গে একই এলাকার জয়ানন্দ নামে এক ব্রাহ্মণ যুবকের মনের আদান প্রদান হয়। তাদের প্রেম, ভালোবাসা একসময় গভীর হয়। কবির ভাষায় ‘তোমারে দেখিব আমি নয়ন ভরিয়া/তোমারে লইব আমি হৃদয়ে তুলিয়া/বাড়ির আগে ফুট্যা রইছে মল্লিকা মালতী/জন্মে জন্মে পাই যেন তোমার মত পতি/’ তাদের এ ভালোবাসাকে চন্দ্রাবতীর পিতা অসম্মান করেননি। তিনি জয়ানন্দের সঙ্গে চন্দ্রাবতীর বিবাহে সম্মত হন। কিন্তু জয়ানন্দ চন্দ্রাবতীর সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করে ধর্মান্তরিত হয়ে কমলা নামে এক মুসলমান রমণীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় চন্দ্রাবতী অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে পিতার কাছে দুটি প্রার্থনা করেন একটি ফুলেশ্বরী নদীর তীরে তার উপাসনার...[…]

Travel Image

গজনী অবকাশ কেন্দ্র

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অপূর্ব লীলাভূমি শেরপুর জেলার সীমন্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীর ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড়। গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সীমান্তবর্তী গজনী অবকাশ কেন্দ্র । সারি সারি শাল, গজারী, সেগুন,ছোট-বড় মাঝারি ঢিলা, লতাপাতার বিন্যাস প্রকৃতি প্রেমিদের নিশ্চিত দোলা দিয়ে যাবে। শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমন পিপাসুরা দল বেধেঁ ভিড় করে ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের গাজনী অবকাশ কেন্দ্রে । নৈস্বর্গীক সৌর্ন্দযের লীলা ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ গারো পাহাড়। এখানকার সবুজ প্রকৃতি আপন করে নেয় ভ্রমন পিপাসুদের। শ্যামল বৃক্ষরাজীর মাঝ দিয়ে আকাঁ-বাকাঁ পাকা সড়ক পথ যেন সুড়ঙ্গের দিকে ঢুকে যাচ্ছে। ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের গাজনীর সৌর্ন্দযের মুদ্ধ হয়ে ভ্রমন পিপাসুরা বার বার এখানে ছুটে আসেন। এখান কার পাহাড়ী ঝর্ণা, খাল,ঢিলা, ছড়ার স্বচ্ছ জল আর ঘন সবুজ বন-বনানী অতি সহজেই আগন্তুকদের হাত ছানি দিয়ে ডাকে। পাহাড়, বন-বনানী, ঝর্ণা –এতসব প্রাকৃতিক সৌন্দযের মধ্যে কৃত্রিম অনেক সৌর্ন্দযের সংযোজন রয়েছে এখানে । দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে গাজনীর আদি নাম পরিবর্তন হয়ে গজনী হয়েছে।এখানে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার প্রকৃতি প্রেমিক মানুষ ছুটে আসেন। কাজের ফাকে কিংবা অবসরে পরিবারের লোকজন কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে চলে আসুন প্রকৃতির সান্নিধ্যে। পাহাড়ী ঝর্ণার ঝিরঝির শব্দ আর পাখির কলকাকলি গারো পাহাড়ের বিশেষ আর্কষন । এখানে এসে সবাই আনন্দ ধারায় হারিয়ে যান। পুরোদিনের জন্য স্মৃতি পটে আকাঁ হয়ে যায় একটি সোনালী সুন্দর রঙ্গিন দিন। মিতালী হয়ে যায়, পাহাড়ী গাছ-গাছালী ও পশু পাখির সঙ্গে। পরন্ত বিকেলে গজনী অবকাশ কেন্দ্র থেকে উত্তরে তাকালে তুরা পাহাড় স্পট দেখা যায়। মনে হবে তুরা পাহাড় যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। মনের মাঝে জাল বুনবে হায়, জন্ম যদি হতো এ গারো পাহাড়ে? তাই আবারও মন ব্যাকুল হবে গারো পাহাড়ে আসার জন্যে...[…]

Travel Image

টেকেরহাট সেতু

ঢাকা থেকে বের হলেই সড়কপথে মাত্র চার ঘন্টায় পৌঁছা যায় টেকেরহাট। মাদারীপুর জেলার একটি বন্দর টেকেরহাট। খাল-বিল-ঝিল-নদী-নালা জলের মতো ছড়িয়ে রয়েছে এখানে। সবুজ-শ্যামল স্নিগ্ধতা নদীমাতৃক টেকেরহাটকে করেছে যেন আরও বৈচিত্র্যময় ও রূপসী। এখানে বিলের কাছে এলেই শোনা যায় বিরহী ঘুঘুর একটানা ডাক। এখানকার বিলে-ঝিলে ফুটে আছে শাপলা-সাদা, লাল কিংবা গোলাপি। দেখবেন এরই পাশে এক ঝাঁক রাজহাঁস আপন মনে খেলছে। এ দৃশ্য দেখতে কার না ভালো লাগে। রূপসী বাংলাকে আপন করে পেতে চাইলে একটিবারের জন্য হলেও টেকেরহাটে আসুন।
যেভাবে যাবেনঃ- ঢাকা থেকে টেকেরহাট যাওয়ার বাস ছাড়ে গাবতলী এবং সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে। সার্বিক,চন্দ্রা ,হানিফের যে কোনো একটি পরিবহনে উঠুন। সমায় লগবে চার ঘন্টা। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০ টাকা।
যেভাবে থাকবেনঃ- রাত যাপন করার জন্য ডাকবংলো সওজের মিল্কভিটার গেস্ট হাউস রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য উলে¬খযোগ্য হোটেলের মধ্যে হোটেল সবুজ,হোটেল তানিয়া রয়েছে। এর যে কোনো একটিতে উঠতে পারেন।
যা যা দেখবেনঃ-এখানে কুমার নদীর তীরে মিল্কভিটার বিশাল এক কম্পাউন্ডে ঘুরে বেড়াতে পারেন অনুমতি নিয়ে পাশেই কুমার নদীর ওপরে ব্রিজ। এই ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে পূর্ব-পশ্চিম যে দিকেই তাকান না কেন, দেকবেন কুমার নদী এঁকে-বেঁকে বয়ে গেছে। পানসি নৌকা নিয়ে মাঝি চলে যাচেছ। তখন তো মনে পড়বেই শচীব দেব বর্মনের গাওয়া ঝিলমিল ঝিলের জলে ঢেউ খেলিয়া যায় রে ...গানের কথাগুলো। কুমার নদীতে নৌবিহার করার জন্য নৌকা পাবেন। নৌকা নিয়ে দূরে বহু দূরে বিল-ঝিলের দিকে চলে যান। সামনে যা কিছু দেখবেন সবই যেন সবুজের আদিগন্ত সাগর। এসব দেখতে দেখতে মনে পড়ে কবির লেখা ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিনু পল্লী জননী। ফুলে ওফসলে কাদা মাটি জলে ঝলমল করে লাবনী গানের এ কথাগুলো! নয়নভোলা দৃশ্য দেখতে দেখতে বিলের কাছ থেকে...[…]

Travel Image

শেরপুরের প্রাচীন স্থাপত্য রং মহল

শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য নির্দশন তিন আনী জমিদারদের রং মহলসহ নানা স্থাপনাকে গোল্ডেন হেরিটেজ হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে পোনে তিন আনী জমিদার কিশোরী মোহন চেীধুরীর আমলে রং মহল, শীশ মহলসহ নানা সৌধ নির্মাণ করা হয়। অপূর্ব কারুকার্যখচিত ভবনগুলোর মধ্যে উত্তর- দক্ষিণে প্রলম্বিত রং মহলের তিন অংশের প্রথম অংশ জমিদারদের খাস দরবার কক্ষ ও জলসাগর। দ্বিতীয় অংশে জমিদারদের খাস কামরা এবং তৃতীয় অংশে নায়েব-ম্যানেজারের কাচারি হিসেবে ব্যবহৃত হত।
রং মহলের প্রবেশ পথে দুটি দরজা। ডানদিকের দরজা বরাবর টানা লম্বা করিডোর। করিডোর ও ভিতরের অর্ধেক দেয়াল জুড়ে বিরাজ করছে রঙিন চিনাপাথরের ফ্রেসকো ও ফুল লতাপাতার আঁকা টালি বসানো। কবির ভাষায় ’ আজি হতে শতবর্ষ পরে কে মোর কবিতাখানি-র মতো শতবর্ষ পরও সেগুলোর ঔজ্জ্বল্য আজও চির যৌবন, চির উজ্জল। রং মহলের ডানদিক ঘেঁষে শান বাঁধানো পুুকুর। জলে জলসাগর প্রতিবিম্বিত হয়। সেই আমলে রং মহলের দীর্ঘ করিডোর ধরে প্রতিটি কক্ষে ঢোকার দরজার পাশে ছিল পিতল ও পাথরের নানা ধরনের মূর্তি আর বিরাট আকারের ফুলদানি।
শেরপুরের জমিদারদের মধ্যে পোনে তিন আনী জমিদার পরিবার শিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা ছিলেন। ছিল তাঁদের জয় কিশোর লাইব্রেরি ভবন, কূল দেবতা অন্নপূর্ণা-গোপীনাথের অপরুপ সুন্দর মন্দির যার মাঝে রয়েছে প্রাচ্য, পাশ্চাত্য ও মুসলিম স্থাপত্যরীতির অপূর্ব সুসমন্বয়। লাইব্রেরিতে ছিল পাঁচ সহস্রাধিক বই। অধিকাংশই বিজ্ঞান বিষয়ক।
পরের আধুনিক ইতিহাসে জমিদার বাড়িটিকে কৃষি প্রশিক্ষাণালয়ে রুপান্তরিত করা হলে লাইব্রেরি ভবনটি ভেঙে সেখানে টিনশেডের শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ করা হয়। রং মহলটি এক সময় কৃষি প্রশিক্ষাণালয়ের প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহার হলেও এখন তা আর ব্যবহার হচ্ছে না । কেননা জমিদারি বিলাসিতার রং মহলের দিন ফুরিয়ে গেছে। নেই সেদিনকার অভিজাতকূল। তবে ভবনটি এতোই...[…]

Travel Image

ঘাঘড়া লস্কর খান জামে মসজিদ

প্রায় সোয়া দু’ শ বছরের পুরনো স্থাপত্য শেরপুরের ঘঘড়া লস্কর 'খান বাড়ী' জামে মসজিদটি আজো ঠাই দাড়িয়ে আছে কালের সাক্ষ্যি হয়ে। মসিজদটি আজো অক্ষত অবস্থায় থাকলেও জাতীয় যাদুঘর প্রতœতত্ব বিভাগের সঠিক পরিচর্যার অভাবে তা ভংগুর দশার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবসীর অভিযোগ। মসজিদটি'র বাইরে থেকে বিশাল আকার দেখা গেলেও ভিতরে খুব বেশী বড় নয়। এক গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদের উত্তর এবং দক্ষিন পাশে রয়েছে দুটি জানালা। মসিজিদের ভিতর ইমাম বাদে তিনটি কাতারে ১২ জন করে মোট ৩৬ জন মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে মসজিদের বাইরের অংশে অর্থাৎ বারান্দায় আরো প্রায় অর্ধশত মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন । মসজিদের আকার বা পরিধি যাই হোক না কেন মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করার সময় নিজেকে মনে হয় দু’ শ বছর পেছনে চলে গেছি। কেমন জানি এক অদ্ভুত অনুভূতি। নিজে উপস্থিত হয়ে নামাজ না পড়লে বিশ্বাস করানো বা বোঝানো সম্ভব নয়।
স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন ঐতিহাসিক ‘খান বাড়ী’র মসজিদটি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার হাতিবান্দা ইউনিয়নের ঘাগড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত। কালের আবর্তে এ মসজিদের নাম ঘাগড়া লস্কর খান মসজিদ হিসেবেই পরিচিতি লাভ করে। শেরপুর জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। মসজিদের গায়ে বর্তমানে যেসব নির্দশন পাওয়া গেছে সে অনুসারে ধারনা করা হয়, বক্সার বিদ্রোহীদের নেতা হিরোঙ্গি খাঁর বিদ্রোহের সময় মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। আজিমোল্লাহ খান মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। মসজিদটির দরজার উপর মূল্যবান কষ্টি পাথরের উপর খোদাই করে আরবি ভাষায় এর প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ করা হয়েছে হিজরি ১২২৮ বা ইংরেজী ১৮০৮ সাল। মসজিদটির গঠন পদ্ধতি ও স্থাপত্য কৌশল শিল্পসমৃদ্ধ ও সুদৃশ্য। এর ভিতরে রয়েছে দুটো সুদৃঢ় খিলান। এক গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদটি বর্গাকার। যার দৈর্ঘ্য ২৭ ফুট প্রস্থও ২৭...[…]

Travel Image

রেমা-কালেঙ্গা অভয়ারণ্য

রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকা থেকে ১৩০ কিলোমিটার পূর্বে উত্তর দিকে এবং সিলেট থেকে ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে পশ্চিম দিকে অবস্থিত। অভয়ারণ্যটি রেমা ছনবাড়ী এবং কালেঙ্গা বিটের সমন্বয়ে গঠিত। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রেমা চা-বাগান, পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ভারতীয় ত্রিপুরা রাজ্য এবং পূর্বদিকে ভারত হিল রিজার্ভ ফরেস্টের অংশ। ১৯৮১ সালে ওই রিজার্ভ ফরেস্টের ১০৯৫ হেক্টর এলাকাকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সালে ফরেস্টের আরও কিছু অংশ বৃদ্ধি করে মোট ১৭৯৫ হেক্টর এলাকাকে অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যটি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক একমাত্র ভার্জিন বন। মূল বনে পৌঁছার যোগাযোগ মাধ্যম হল চুনারুঘাট উপজেলা থেকে সিএনজি অথবা জিপ।
জৈববৈচিত্র্য : উদ্ভিদ : এই অভয়ারণ্যে ৬৩৮ প্রজাতির উদ্ভিদ গাছপালা-লতাপাতা আছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদগুলো হচ্ছে আওয়াল, সেগুন, কাঁকড়া, নেউর, হারগাজা, গন্ধরই, হরীতকী, বহেরা, জাম, ডুমুর, কাঁঠাল, চামকাঁঠাল, কাউ, কদম, রাতা, চিকরাশী, চাপালিশ, নিম, বনমালা ইত্যাদি।
প্রাণীকুল : এ অভয়ারণ্যে ৭ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১৬৭ প্রজাতির পাখি যেমন ভিমরাজ, পাহাড়ি ময়না, কাও ধনেশ, বনমোরগ বা মুরগি, ফোটা কান্টি সাতভারলা, শ্যামা, শালিক, শামুক খাওরি, টুনটুনি ইত্যাদি এবং ৩৭টি প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাণী হচ্ছে বন্যশূকর কাল, বন্যশূকর সাদা, বানর, হনুমান, মুখপোড়া হনুমান, খরগোশ, ছোট হরিণ, মেছোবাঘ, মেছোবিড়াল, বনকুকুর বা রামকুত্তা ইত্যাদি।
পরিভ্রমণের জন্য নিসর্গ সহায়তা প্রকল্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ট্যুর গাইডের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।[…]

Where do you want to travel?

Your journey will lead you to famous domestic and foreign beauty spots.